‘দাওয়াত পেলেও যেতাম না’: প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে রনির কড়া মন্তব্য

প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্র সফরে সঙ্গী হিসেবে রাজনৈতিক নেতাদের যাওয়াটা বিতর্কিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি। তার দাবি, দাওয়াত পেলে এই সফরে তিনি যেতেন না। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন টক শোতে উপস্থিত হয়ে এমন মন্তব্য করেন গোলাম মাওলা রনি।
‘রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে রাজনীতির সম্পৃক্ততা ঠিক নয়’
উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে রনি বলেন, “বিষয়টি যদি সিরিয়াসলি বলি, তাহলে এটি বিতর্কিত। এই কাজটি উনাদের করা ঠিক হয়নি। কারণ জাতিসংঘের যে অধিবেশনটা এটা এবসলিউট রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
এই সফরে দাওয়াত পেলে যেতেন না বলেও দাবি করেছেন গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, “আমাকে দাওয়াত দিলে আমি সেখানে যেতাম না। এখন অনেকে বলবেন তোমাকে তো দাওয়াতই দেয়নি। সেটা পরের ব্যাপার। বাস্টিং হলো যে আমি সেখানে যেতাম না।”
সফরসঙ্গী হওয়া রাজনৈতিক নেতারা
সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়ে নিউইয়র্কে গেছেন তিনটি রাজনৈতিক দলের পাঁচজন নেতা।
এদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপি’র সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা সংবাদপত্রের ওপর আঘাত: শশী থারুর
বাংলাদেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের লোকসভা সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাকে বহুমাত্রিক সমাজের ভিত্তির ওপর চরম আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেন। বিশেষ করে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে পরিকল্পিত হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শশী থারুর তার পোস্টে সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামসহ অন্যান্য সাহসী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে সংবাদকর্মীদের জীবন বাঁচাতে মরিয়া হয়ে বার্তা দিতে হবে এমন পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি মনে করেন যে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ধরণের সংঘাত ও অসহিষ্ণুতার পরিবেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি অত্যন্ত অশুভ সংকেত। থারুর স্পষ্ট জানিয়েছেন যে একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং উগ্র জনতার শাসনের বদলে গঠনমূলক সংলাপের পথ বেছে নিতে হবে।
বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতির প্রভাবে খুলনা ও রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা পরিষেবা স্থগিত হওয়াকে তিনি একটি বড় বিপত্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন। এর ফলে দুই দেশের সাধারণ শিক্ষার্থী, রোগী এবং যারা জরুরি প্রয়োজনে সীমান্ত পার হতে চেয়েছিলেন তারা চরম সংকটের মুখে পড়েছেন। থারুরের মতে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে অবশ্যই নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে সুরক্ষা দিতে হবে এবং আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা দূতাবাসগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা অন্তর্বর্তী সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনে শশী থারুর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা কেবল দেশটির নিজস্ব বিষয় নয় বরং এটি পুরো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের কণ্ঠস্বর যেন কোনো সহিংসতা বা হুমকির মুখে চাপা না পড়ে এবং ব্যালটের মাধ্যমে প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরির প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তার বক্তব্য শেষ করেন এই জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা।
হাদির মৃত্যুতে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর আবেগঘন বার্তা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় দুই ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা পৃথক শোকবার্তা প্রকাশ করেন এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
জনপ্রিয় আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ তার শোকবার্তায় হাদিকে ‘বিপ্লবী’ আখ্যা দিয়ে তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে হাদির যে অকুতোভয় সাহসিকতা ছিল, তা থেকে যেন তরুণ প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হতে পারে এবং আল্লাহ যেন সবাইকে সেই তৌফিক দান করেন।
অন্যদিকে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী তার প্রতিক্রিয়ায় হাদিকে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের দুই আইকন আবরার ফাহাদ ও আবু সাঈদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি আবেগঘন বার্তায় মন্তব্য করেন, আবরার ফাহাদ ও আবু সাঈদের কাতারে এবার যুক্ত হলেন ওসমান হাদি। আজহারী হাদির আত্মত্যাগ কবুল করে তাকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান এবং জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করার জন্য দোয়া করেন। উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হন এবং বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার এই অকাল মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোক ও প্রতিবাদের আবহ তৈরি হয়েছে।
"আইআরআই ঐতিহাসিকভাবে ভ্রান্ত ডাটা দিয়েছে"

জিয়া হাসান
অর্থনীতিবিদ ও লেখক
আইআরআই–এর সার্ভের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে—এই সার্ভেতে কোন দলকে ভোট দেবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্তহীন বা বলতে অনিচ্ছুক মানুষের সংখ্যা মাত্র ২২%। অন্যদিকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি/মার্চ ও জুলাই মাসে করা ইনোভিশন কনসাল্টিং–এর দুইটি সার্ভে এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স–এর অক্টোবর ’২৪ ও ২০২৫-এর জুলাই মাসে করা মোট চারটি সার্ভেতে ‘বলতে অনিচ্ছুক’ ও ‘সিদ্ধান্ত নেয়নি’—এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৫০%–এর উপরে ছিল। ইনোভিশন ও বিআইজিডি সার্ভের একটি শক্ত ভ্যালিডিটি হলো—দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের করা চারটি ভিন্ন সার্ভের মূল অনুসিদ্ধান্তগুলো অত্যন্ত কনসিস্টেন্ট।
কিন্তু এই বছর সেপ্টেম্বর–অক্টোবরের আইআরআই সার্ভের সিদ্ধান্তগুলো বিআইজিডি ও ইনোভিশনের ফলাফলের সাথে সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে বলতে অনিচ্ছুক/সিদ্ধান্তহীন মানুষের সংখ্যা ৫০%–এর বেশি থেকে ২২%–এ নেমে এসেছে—এর সম্ভাবনা অত্যন্ত সীমিত।আমি ও তৌকির ইনোভিশনের সর্বশেষ সার্ভেটি খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে কিছু সিরিয়াস ফাইন্ডিং পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা সেটি প্রকাশ করিনি—কারণ সার্ভের উত্তরগুলো অনেক জায়গায় নিজেদের সাথে কনট্রাডিক্ট করছিল।
এক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে, এটি অত্যন্ত জটিল একটি সার্ভে, এবং এত বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে যে উত্তরদাতাদের ফ্যাটিগ আসা একদম স্বাভাবিক। ফলে সার্ভেটি জেনারেলি কনসিস্টেন্ট হলেও, আমি ইনোভিশনের ফাইন্ডিংস থেকে কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। এবং যে সার্ভেতে ৫০% মানুষের সিদ্ধান্ত জানা নেই, এবং যার ডাটা–কালেকশনের ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ–ওয়ারি, সেই সার্ভে থেকে ন্যাশনাল ইলেকশন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না—এটাই আমাদের অবস্থান।
তবে ইনোভিশন ও বিআইজিডির উভয়ের ডাটার কনসিস্টেন্সি দেখে আমরা বুঝতে পারি—তাদের ডাটা–কালেকশন ভালো এবং ডিরেকশনালি কারেক্ট, কিন্তু সেখান থেকে কোনোভাবেই কনস্টিটুয়েন্সি–লেভেলের রেজাল্ট অনুমান করা যায় না। অন্যদিকে আইআরআই–কে নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ ও ‘সিদ্ধান্ত নেয়নি’—এই ক্যাটাগরির পরিমাণ নিয়ে। পরপর চারটি সার্ভের তুলনায় এই সংখ্যাটি এত বেশি ভিন্ন যে—এটা থেকে কোনো সিদ্ধান্তেই পৌঁছানো যাবে না।
দ্বিতীয়ত, আইআরআই ঐতিহাসিকভাবে ভ্রান্ত ডাটা দিয়েছে। মনে পড়ে, ২০১৩ ও ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে আইআরআই শেখ হাসিনার ৭০% এপ্রুভাল রেটিং দেখিয়েছিল। উভয় সময়ই আওয়ামী লীগ আইআরআই–এর এই এপ্রুভাল রেটিং ব্যবহার করে ডিপ্লোম্যাটদের মধ্যে ক্যাম্পেইন চালিয়েছে—অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য। আরাফাত রা টক শোতে টুইটারে আইআরএর সার্ভের রেজাল্ট দিয়ে দেখায় যে, নির্বাচন না হইলেও দেশের মানুষ হাসিনাকে চায়। ২০২৩ সালের সার্ভের পর আমরা কয়েকজন আইআরআই–কে যাতা দিয়ে ধরেছিলাম। আমার যতদূর মনে পড়ে, আইআরআই সার্ভে কারা করেছে—তাদের পরিচয় রিসার্চ করে দেখা যায়, তারা প্রচণ্ডভাবে আওয়ামী–ব্যাকড ইন্টেলিজেনসিয়া।
জুলকারনাইন সায়ের এ বিষয়ে বহু এভিডেন্স ছিল—যা নিয়ে টুইটারে বড় বিতর্ক হয়েছিল। জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ডসকে একসময় বেশ ডিফেন্সিভ হতে হয়েছিল। বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে প্রফেশনাল সার্ভে হওয়া—এটা গণতন্ত্র ম্যাচিউর হওয়ার একটি ভালো লক্ষণ। কিন্তু এই সার্ভেগুলোর মেথডোলজি, আউটকাম, কনসিস্টেন্সি ও ভ্যালিডিটি নিয়ে আমাদের নিয়মিত প্রশ্ন করতে হবে।
কম্প্রোমাইজড হওয়ার ঐতিহাসিক এভিডেন্স এবং বিআইজিডি ও ইনোভিশন সার্ভের সাথে ইনকনসিস্টেন্সির কারণে আইআরআই সার্ভের উপর আমার আস্থা মাত্র ১১%। ১১% দিয়েছি শুধু কিছু দিতে হয় বলে। এনজিওগুলো বিদেশ থেকে টাকা আনছে, খরচ করছে—দেশের মন্দা অবস্থায় জিডিপিতে ব্যয় হচ্ছে—সেইটার একটু ক্রেডিট দিলাম।
আমরা কি ক্যাডারভিত্তিক সিস্টেম চাই, নাকি খোলা, প্রতিযোগিতামূলক গণতন্ত্র চাই?

আসিফ বিন আলী
শিক্ষক ও স্বাধীন সাংবাদিক
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামি, ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনা হাসপাতালসহ প্রায় ২০০-র বেশি ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং নিয়ন্ত্রণ করছে। জামাত এটাকে তাদের বিশাল সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে। বাস্তবে বিষয়টা গণতন্ত্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি। কোনো রাজনৈতিক দল যখন ব্যাংক বা হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে, “সেবা”র নামে সেখানে নিজের ক্যাডারদের চাকরি দেয়, আর নির্বাচনী রাজনীতিতে সেই নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করে, তখন তা আসলে গণতন্ত্র ও প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হয়। জামাত মুখে “সৎ মানুষের রাজনীতি”র কথা বললেও, এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা ও লাভজনক করার জন্য ২০০১–২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকার সময় যে ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, এবং ৫ আগস্টের পরে যেভাবে আবার নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করেছে, তা নিয়ে দুদকের তদন্ত হওয়া দরকার। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা দেশের গণতন্ত্রের জন্য মোটেও শুভ নয়, যদিও ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির জন্য এটি খুবই লাভজনক। প্রশ্নটা সোজা: আমরা কি ক্যাডারভিত্তিক সিস্টেম চাই, নাকি খোলা, প্রতিযোগিতামূলক গণতন্ত্র চাই, যেখানে ব্যাংক ও হাসপাতাল জনগণের, কোনো দলের নয়।
ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে আহমাদুল্লাহর জরুরি সতর্কবার্তা
জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন ঘন ঘন ভূমিকম্প শুধু ভূতাত্ত্বিক নড়াচড়ার ফল নয় বরং এটি আমাদের জন্য একটি গভীর সতর্কবার্তা। তিনি মন্তব্য করেন যে ভূমিকম্পের ঝুঁকির বিপরীতে রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি একেবারেই অপ্রতুল। সোমবার ২৪ নভেম্বর ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমাদুল্লাহ বলেন বড় কোনো বিপদ আসন্ন থাকতে পারে যা আমরা এখনো জানি না। এই সময় তাওবার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবিক প্রস্তুতি গ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন যে আমরা এমন এক ভৌগোলিক এলাকায় বসবাস করি যেখানে জনঘনত্ব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঢাকার বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন এখানে প্রতিটি অট্টালিকা যেন একেকটি সম্ভাব্য সমাধিসৌধ। তিনি বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেন যে ঢাকায় যদি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে তাহলে এক লক্ষের বেশি ভবন ধসে যেতে পারে যা অত্যন্ত ভীতিজাগানিয়া।
রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন দুঃখজনক হলো এমন ভয়াবহ ঝুঁকির বিপরীতে রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি একেবারেই অপ্রতুল। আধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্ধারকর্মীর সংখ্যা নগণ্য এবং বড় ধরনের উদ্ধারযুদ্ধ চালানোর মতো ভারী যন্ত্রপাতিও অপর্যাপ্ত। তিনি আক্ষেপ করে বলেন অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সীমিত সক্ষমতা দিয়ে হাজার হাজার ভগ্ন স্থাপনা সামলানো কেবলই কল্পনা। অথচ বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন ভাস্কর্য নির্মাণ বা অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পেই নয় বরং নেতা নেত্রীদের জন্য তোরণ নির্মাণ রাজনৈতিক সভা সমাবেশ শোভাযাত্রা ও ক্ষমতার প্রদর্শনীতেও বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের যে অপচয় ঘটে তা এই অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কাঠামোকে আরও প্রসারিত করে তোলে। তাঁর মতে সেই অর্থের সামান্য অংশও যদি দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও উদ্ধার সরঞ্জামে ব্যয় করা হতো তবে সেটিই হতো সবচেয়ে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।
তবে কেবল রাষ্ট্রকে দায়ী না করে তিনি সাধারণ মানুষের দায়বদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন আমরা যারা বাড়ি নির্মাণ করি তারা সামান্য আর্থিক লাভ বা অদূরদর্শিতার বশবর্তী হয়ে নির্মাণ বিধিমালা উপেক্ষা করি। প্রকৌশলীদের পরামর্শকে তুচ্ছজ্ঞান করে আমরা নিজ হাতে তৈরি করি আমাদের প্রিয়জনদের জন্য মৃত্যুফাঁদ। তিনি প্রশ্ন রাখেন এটি কি একপ্রকার সামাজিক আত্মহত্যা নয়। বিপর্যয় পরবর্তী বিলাপের চেয়ে বিপর্যয়রোধী প্রস্তুতিই বুদ্ধিমান ও দায়িত্বশীল মানুষের কাজ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রের করণীয় সম্পর্কে তিনি পরামর্শ দেন যে এখনই একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। উদ্ধারকাজ চিকিৎসা জরুরি আশ্রয় খাদ্য ও পানীয়ের ব্যবস্থা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ সবকিছু নিয়ে একটি সুস্পষ্ট জাতীয় রোডম্যাপ তৈরি করা জরুরি। শায়খ আহমাদুল্লাহ জাগতিক প্রস্তুতির পাশাপাশি আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়ে বলেন আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনো পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তিনি বলেন প্রতিটি দুর্যোগ আমাদের প্রতি সতর্কবার্তা তাই আমাদের সমাজের বিস্তৃত দুর্নীতি জুলুম ও অশ্লীলতা থেকে গণতাওবা করা জরুরি।
শিক্ষক হয়ে গালিগালাজ করায় হাদির কড়া সমালোচনা করলেন নীলা
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শরিফ ওসমান হাদি এবং তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি নিজের প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি ঘোষণা দেন যে তাঁর এলাকার ৫০০০ শিক্ষার্থীকে বিনা পয়সায় ইংরেজি শেখাবেন। তবে তাঁর এই জনহিতকর ঘোষণা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তুমুল সমালোচনাও শুরু হয়েছে।
বিশেষ করে সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইসরাফিল এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন যে শিক্ষকের মুখের ভাষা এতো খারাপ সে জাতিকে কী শেখাবে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ফেসবুকে হাদির ফ্রিতে পড়ানোর ঘোষণার ভিডিওর একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে নীলা ইসরাফিল লিখেছেন যে শিক্ষকের মুখের ভাষাই এত নোংরা সে জাতিকে কী শেখাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে হাদির নিজে মানুষ হবার শিক্ষা নেই কিন্তু তিনি এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
নীলা ইসরাফিল দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেন দেশের ট্র্যাজেডি এখানেই যে অশিক্ষিত আচরণই যেখানে যোগ্যতার মাপকাঠি সেখানেই ক্ষমতার চাবি সবচেয়ে নোংরা হাতে চলে যায়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সংসদে বসে নীতি ঠিক করবেন এমন ব্যক্তি যিনি নিজের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তিনি আরও যোগ করেন যে শিক্ষকতার মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে গালিগালাজকে পাঠ্যবই বানায় তার রাজনীতি যে কতটা নোংরা হবে তা হিসাব করার জন্য কারও গণিত জানার দরকার পড়ে না।
ঢাকায় লাশের মিছিল হতে পারত বলে ভূমিকম্প নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন আজহারী
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে শুক্রবার ২১ নভেম্বর সকালে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। নরসিংদীর মাধবদী থেকে উৎপত্তি হওয়া কয়েক সেকেন্ডের সেই কম্পনে দিশেহারা হয়ে পড়েন নগরবাসী। এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন ও আত্মসমালোচনামূলক পোস্ট দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।
শুক্রবার রাতে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন ভূমিকম্পের সময় বিল্ডিং দুলে ওঠায় কয়েক মুহূর্তের জন্য তিনি একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং আতঙ্কে তাঁর বুক কেঁপে উঠেছিল। তিনি মনে করেন যদি আরও কয়েক সেকেন্ড জোরে ঝাঁকুনি হতো তবে ঢাকায় হয়তো লাশের মিছিল হতে পারত। তাঁর মতে তখন নিমেষেই গোটা শহর পরিণত হতো নিস্তব্ধ এক গোরস্থানে কিন্তু দয়াময় আল্লাহ এই যাত্রায় সবাইকে রক্ষা করেছেন।
মিজানুর রহমান আজহারী ঢাকার বর্তমান অবস্থার সমালোচনা করে লেখেন এমন অপরিকল্পিত নগরী সারি সারি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং দুর্বল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আল্লাহর দয়া ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় নেই। তিনি মন্তব্য করেন যে এই দুর্যোগগুলো মানুষের জন্য গভীর সতর্কবার্তা। গোটা জনপদবাসীকে সামান্য এক ঝাঁকুনি দিয়ে আল্লাহ রিমাইন্ডার বা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন এবং বোঝাতে চাচ্ছেন যে মানুষ যতই বাড়াবাড়ি বা সীমালঙ্ঘন করুক না কেন নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই। তিনি চাইলে যেকোনো মুহূর্তে সবাইকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারেন এবং তছনছ করে দিতে পারেন এই চোখ ধাঁধানো সভ্যতা।
কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। আসলে ভূমিকম্প মানুষের অহংকার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে আসে এবং মানুষের অক্ষমতা দেখিয়ে দিতে আসে। এটি প্রমাণ করে যে মহাশক্তিধর আল্লাহর সামনে মানুষ কতটা অসহায় ও নিরুপায়। জুমার দিনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন অনেকে অনেক পরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিল কিন্তু এখন তারা না ফেরার দেশে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন মৃত্যু জীবনের পরিকল্পনায় থাকে না অথচ মৃত্যুর নির্ধারিত সময় আসলে সব ব্যস্ততা শেষ হয়ে যাবে।
পোস্টের শেষ অংশে তিনি সবাইকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন কার মৃত্যু কখন কীভাবে আসবে সেটা কেউ জানে না তাই সবার উচিত তওবা করে রবের কাছে ফিরে আসা এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁর কাছে সমর্পিত হওয়া। সবশেষে তিনি সূরা আল ওয়াকিয়াহর ৪ থেকে ৬ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন আসল ভূমিকম্প তো সেটাই যখন জমিন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে আর পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।
এত অর্জন কোনো সরকার করতে পারেনি, অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য তুলে ধরলেন শফিকুল আলম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে কোনো সরকার এত বেশি অর্জন করতে পারেনি, যতটা অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৫ মাসে করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবি জানান।
শফিকুল আলম তার পোস্টে এই সরকারকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন সমালোচনা ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, "অন্তর্বর্তী সরকার নামেই শুধু সরকার, আসলে এক প্রকার এনজিও-গ্রাম। অনেকের দৃষ্টিতে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল প্রশাসন—এতটাই দুর্বল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত এর সঙ্গে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি করতে আগ্রহী হয়নি।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই সরকারের নেতাদের প্রায়ই 'ভীত বা অদক্ষ' বলে মনে করা হয় এবং ৫০০ দিনে ১,৭০০টির বেশি বিক্ষোভের সময়েও তারা রাস্তাঘাটে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি লেখেন, "তারা যেন নতুন ও অদক্ষ, আইন পাস করতেও হিমশিম খাচ্ছেন, প্রয়োগ তো দূরের কথা। অন্তর্বর্তী সরকার বারবার তুলনামূলক ছোট বা অখ্যাত গোষ্ঠীর চাপের সামনে নতি স্বীকার করেছে।"
প্রেসসচিব আরও লেখেন, "গত ১৫ মাসে, এই সরকারকে অক্রিয়তা ও অযোগ্যতার অভিযোগে ঘিরে ফেলা হয়েছে। অনেকেই এটিকে ব্যঙ্গ করে বলেন, এটি এক ‘কিছু না করা, মাখন-খাওয়া দল’—যারা কাকতালীয়ভাবে ক্ষমতায় এসেছে, কিছুই করতে পারেনি, আর এখন অপমানজনক নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছে।"
এসব সমালোচনার জবাবে শফিকুল আলম তার পোস্টে লেখেন, "তবুও, পেছনে তাকিয়ে আমি দৃঢ়ভাবে বলি—এটি গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সরকারগুলোর একটি। তারা তাদের প্রায় সব লক্ষ্যই অর্জন করেছে।"
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিপ্লব-পরবর্তী প্রতিশোধমূলক হামলা থামানো সম্ভব হয়েছে। এমনকি কোনো লবিং ফার্ম ভাড়া না করেই মার্কিন শুল্ক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
আইন পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, মাত্র ১৫ মাসে রেকর্ড সংখ্যক আইন পাস হয়েছে, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার আইনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি 'জুলাই ঘোষণা'কে একটি ঐতিহাসিক নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, 'জুলাই চার্টার' (July Charter) এমন এক রাজনৈতিক সমঝোতা তৈরি করেছে যা আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিকে পুনর্গঠন করতে পারে।
বিচার বিভাগের সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে কোনো সরকারের পক্ষে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামিন বা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অনেক কঠিন হবে।
অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক অর্জনের বিষয়ে শফিকুল আলম জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বন্দর অপারেটরের সঙ্গে লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের শিল্প রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় বিনিয়োগ। নতুন পররাষ্ট্রনীতি কাঠামো বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও দাবি করেন, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে এবং পুনরায় প্রবৃদ্ধির পথে ফিরেছে। ব্যাংকিং খাতের লুটপাট রোধ করা হয়েছে, টাকার মান স্থিতিশীল এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশেষ করে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে কমে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
জবাবদিহিতার বিষয়ে প্রেসসচিব বলেন, আদালতের কার্যক্রম অনুযায়ী, অতীতের নিপীড়নের জন্য জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা শুরু হয়েছে এবং "শেখ হাসিনাকে তার অবস্থান দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, র্যাব এখন আইনের অধীনে পরিচালিত হয়, কোনো অনানুষ্ঠানিক মতবাদে নয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ভিন্নমতাবলম্বীদের হয়রানি করা থেকে সরে এসেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, গত ১৬ মাসে একটিও সাজানো ‘ক্রসফায়ার’ ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
পোস্টের শেষে শফিকুল আলম লেখেন, "আমি আরো বলতে পারতাম... আমাদের ইতিহাসের এক আগ্রহী পাঠক হিসেবে আমার বিশ্বাস— বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে কোনো সরকার এত কিছু অর্জন করতে পারেনি, যতটা অন্তর্বর্তী সরকার (IG) এই ১৫ মাসে করেছে।"
আওয়ামী লীগের নাম মোছা যাচ্ছে না ভীতিই এখন মূল শক্তি: গোলাম মাওলা রনি
সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি মনে করেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রাণান্ত চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিতে পারছে না। উল্টো গত ১৪ মাস ধরে প্রচারণার কারণে আওয়ামী লীগের নেতিবাচক দিক এবং শেখ হাসিনার ভীতি ক্রমশ বাড়ছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি এই বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
ভাইরাল হচ্ছে নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য
গোলাম মাওলা রনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো একজন নেতা বক্তব্য দিলেই তা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে, যদিও সেই বক্তব্যের আগা বা মাথা নেই। তিনি উদাহরণ দেন:
"আমি নাম বললাম না, সেদিন দেখলাম যে আওয়ামী লীগের এক নেতা সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন—মদ খেয়ে মদ খেয়ে পুরো মাতাল অবস্থায় তিনি থ্রেট দিচ্ছেন। ১৩ তারিখ এটা করবো ওটা করবো।"
তিনি সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখ করে বলেন, "অসুস্থ অবস্থায় তিনি লন্ডন থেকে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেই বক্তব্যও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তিনি সেখান থেকে হুমকি দিচ্ছেন ১৩ তারিখে এটা করবো, ওটা করবো। আর আমরা সবাই বাংলাদেশে বসে ভয় পাচ্ছি।"
শেখ হাসিনার পরিবর্তন ও কৌশল
রনি গত ১৪ মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার ধরনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথম ছয়-সাত মাস শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যে কথাগুলো বলেছেন, তা ছিল তাঁর আবহমান বাংলার স্বাভাবিক চরিত্র।
"কিন্তু লক্ষ্য করুন, গত চার-পাঁচ মাস ধরে তিনি এখন আর যার তার সঙ্গে কথা বলছেন না। তিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এখন তিনি অনেক পরিমার্জিত এবং তিনি সহজলভ্য নন।"
আওয়ামী লীগের মূল শক্তি এখন ত্রাস
গোলাম মাওলা রনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মধ্যে এখন একটি ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে এবং এই ভয়টাই এখন দলটির মূল শক্তি।
তিনি লগি বৈঠার মতো নিষ্ঠুরতা এবং প্রকাশ্য রাজপথে সাপের মতো মানুষ পিটিয়ে মারা এবং রামদা দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যার মতো ঘটনার উদাহরণ টেনেছেন।
তিনি বলেন, "এই ভয়টাই হলো আওয়ামী লীগের এখন মূল শক্তি। সে দূরবর্তী স্থান থেকে যত বেশি তার প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে পারবে, ততটাই তাদের সফলতা।"
রনি বিশ্লেষণ করেন, আদালতের রায়ের দিন যত এগিয়ে আসছে, নির্বাচন যত কাছাকাছি আসছে এবং নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে যত বেশি কথাবার্তা হচ্ছে, ততই আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক পলিসি হিসেবে ভীতি সঞ্চারকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, এই পলিসি ব্যবহার করে তারা বারবার বিজয়ী হয়েছে, কখনো পরাজিত হয়নি।
পাঠকের মতামত:
- পুলিশি চক্রান্তে অস্ত্র মামলায় ফাঁসলেন নিরীহ অটোচালক জাফর
- গুলশানের বাসায় তারেক রহমান ,শুরু হলো নতুন অধ্যায়
- ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের আদি নক্ষত্র এবং মহাবিশ্বের শৈশব দেখছে নাসা
- হিট অব দ্য মোমেন্টে দল ছাড়ার ঘোষণা সুজনের
- মাত্র ১০ মিনিটেই স্মৃতিশক্তি দ্বিগুণ করার ৫টি বৈজ্ঞানিক কৌশল
- অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে পারে এনসিপি: রিফাত রশিদের ৫টি কড়া যুক্তি
- ক্যালেন্ডারের প্রথম পাতাতেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মেলার মহোৎসব
- রাজনৈতিক মাঠে তারেক রহমানের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করবে জামায়াত
- মহানবীর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ গড়ব: তারেক রহমান
- ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে তিন আসামি আদালতে সব সত্য ফাঁস করলেন
- পদত্যাগের গুঞ্জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
- তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়: নাহিদ ইসলাম
- আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যার থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন: তারেক রহমান
- প্রবাসী ভোটারদের জন্য সুখবর!
- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি: শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
- ৪৬তম বিসিএস ভাইভার সূচি প্রকাশ
- যাত্রাপথে নিরাপদ থাকার সুন্নাহ দোয়া
- ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
- তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ
- ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
- শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- নিকোটিন পাউচ ও ই-সিগারেটের দিন শেষ আসছে নতুন আইন
- কাল মাঠে নামার কথা ছিল চট্টগ্রামের, আজই উধাও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক
- আরবের মরুভূমি কাঁপিয়ে বাংলার সবুজ গালিচায় তাসকিন ও মোস্তাফিজ
- তিল ধারণের জায়গা নেই, ৩০০ ফিট জুড়ে উৎসবের মহোৎসব
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা
- ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান
- বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- এক নজরে আজকের খেলা: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- শীতে বাড়ে কর্নিয়ার আলসার: চোখের যত্নে করণীয়
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের ভিড়
- দেশের মাটিতে তারেক রহমান
- নাইজেরিয়ায় রক্তাক্ত মাগরিব: নামাজের সিজদায় থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণ
- যিশু খ্রিষ্টের মানবমুক্তির বার্তা সবার অনুপ্রেরণা: উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- আজ ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
- আজ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কামড় দেখল ঢাকাবাসী
- জামায়াতের সঙ্গী হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি
- ছয় স্তরের অভেদ্য নিরাপত্তায় তারেক রহমান
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে যানজট এড়াতে যেসব রাস্তা পরিহার করবেন
- পাকস্থলীর ধ্বংস করছে আপনার এই ৩টি সাধারণ অভ্যাস
- কম ঘুমে শরীরে বাসা বাঁধছে যেসব মারাত্মক রোগ
- মাত্র ৭ দিনে চুল পড়া কমানোর জাদুকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
- সরকারি পদ ছেড়ে ভোটের ময়দানে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
- ভারতের 'বাহুবলী' রকেটের কাঁধে চড়ে মহাকাশ জয়
- রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র কিনলেন আলোচিত বক্তা আমির হামজা
- হাদি হত্যার রহস্য উন্মোচন: যুবলীগ কর্মী হিমনের বড় স্বীকারোক্তি
- ভারত এবং আওয়ামী লীগ দেশ অস্থিতিশীল করছে: নাসীরুদ্দীন
- আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের কড়া বার্তা
- হাদিকে সেলাই করা ব্যাঙের সাথে তুলনা করলেন বিএনপি নেত্রী মনি
- বৈপ্লবিক বিয়ে: বরের সাজে হাদি হত্যার বিচার চাইলেন ফরহাদ
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- ছুটির দিনেও উত্তপ্ত ঢাকা: আজ কোথায় কী কর্মসূচি?
- যখন দেশে ফিরছে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল
- হাদির মৃত্যুতে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর আবেগঘন বার্তা








