ভারত ও পাকিস্তানকে ঘিরে ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ! 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৭ ১৭:৩৮:২২
ভারত ও পাকিস্তানকে ঘিরে ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ! 

দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দীর্ঘদিনের বৈরিতা ও সীমান্ত সংঘাতের পটভূমিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় এবং আস্থা গঠনে যৌথভাবে কূটনৈতিক উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা এ দুই দেশ।

শনিবার (১৭ মে) পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক সাক্ষাৎকারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, "আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আস্থা তৈরি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে একটি সংলাপ আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি।"

তিনি আরও বলেন, "এই দুই প্রতিবেশীর একটি জটিল ইতিহাস রয়েছে। তারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব কমই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে পেরেছে। আমরা চাই, এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে এবং যুদ্ধবিরতি যেন দীর্ঘমেয়াদি হয়।"

ডেভিড ল্যামির বক্তব্যের আগেই পাকিস্তান জানায়, ১০ মে ভারত-পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পেছনে একটি "শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা" কার্যকর ছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

তবে, বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা সতর্ক করছেন যে, বর্তমান যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর এবং যেকোনো সময় এটি ভেঙে যেতে পারে, যদি দুই দেশের মধ্যে আস্থা তৈরির প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে না এগোয়।

উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর এক ভয়াবহ বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, ইসলামাবাদ তা সরাসরি অস্বীকার করে। এর পরপরই সীমান্তে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তোলে।

এ প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য কোনো নিরপেক্ষ তৃতীয় দেশে বৈঠকের আয়োজন করা যেতে পারে, যদিও এখনো কোনো তারিখ বা স্থান চূড়ান্ত হয়নি।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লক্ষ্য হচ্ছে—দুই দেশের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তি ও পারস্পরিক আস্থা গড়ে তোলা, যাতে করে ভবিষ্যতে এমন সংঘাত আর না ঘটে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে বিশ্বজনমত, এবং এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সফলতার ওপর।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ