ঐতিহাসিক রায়ে ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্ক অবৈধ ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা বেশিরভাগ বৈশ্বিক শুল্ককে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। এই রায় ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
আপিল আদালত তার রায়ে বলেছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনের (আইইইপিএ) অধীনে অনুমোদিত নয়। সাত-চার ভোটে দেওয়া এই রায়ে আদালত ট্রাম্পের শুল্কগুলোকে ‘আইনের পরিপন্থী ও অবৈধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এই রায়টি ১৪ অক্টোবরের আগে কার্যকর হবে না, যাতে প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে আপিলের জন্য আবেদন করার সময় পায়।
আপিল আদালতের রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ তিনি লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে তা যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি আরও বলেছেন, ‘অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট একটি আপিল আদালত ভুলভাবে বলেছে আমাদের শুল্ক তুলে নেওয়া উচিত। কিন্তু তারা জানে, শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই জয়ী হবে।’
ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, এই শুল্কগুলো তুলে নেওয়া হলে তা দেশের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং আমেরিকা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
আইইইপিএ'র অধীনে একজন প্রেসিডেন্টকে অস্বাভাবিক হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। ট্রাম্প বাণিজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলেছিলেন, বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। তবে আপিল আদালত এই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, শুল্ক আরোপ করা প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার নয়, এটি কংগ্রেসের মূল ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত।
আদালতের ১২৭ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়েছে, আইইইপিএ আইনে ‘শুল্ক’ বা এর কোনো প্রতিশব্দ উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও, প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের ক্ষমতা সুস্পষ্টভাবে সীমিত করার মতো কোনো প্রক্রিয়াগত সুরক্ষাও এতে নেই। আদালত মনে করে, কর ও শুল্ক আরোপের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতেই থাকবে।
এই রায়টি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের জোটের দায়ের করা দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে। গত এপ্রিলে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক এবং আরও ডজনখানেক দেশের ওপর ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপ করা হয়েছিল।
এই রায়ের ফলে এখন প্রশ্ন উঠেছে, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর চুক্তি করেছিল, সেগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে। যদি সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি বিবেচনায় নেয়, তবে নয়জন বিচারপতি নির্ধারণ করবেন, ট্রাম্পের শুল্ক কর্মসূচি আইনসিদ্ধ কিনা। আপিল আদালতে ট্রাম্প হেরে গেলেও, সুপ্রিম কোর্টে ৬ জন রিপাবলিকান বিচারপতির মধ্যে ৩ জন ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় সর্বোচ্চ আদালতে মামলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হতে পারে।
-বিবিসি
যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে: স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে গাজায় আবারও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে। এই অব্যাহত হামলার ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ইসরায়েল আদৌ এই শান্তিচুক্তি মানবে কি না।
বাড়ি ফেরা ফিলিস্তিনিরা লক্ষ্যবস্তু
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উত্তর গাজার গাজা সিটি এবং দক্ষিণের খান ইউনিসে নিজেদের পুরোনো বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া খান ইউনিসে ইসরায়েলের চালানো একটি ড্রোন হামলায়ও বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।
মানবতার চরম বিপর্যয়
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪টি মরদেহ আনা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় এসেছেন আরও ২৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং বহু মানুষ এখনো চাপা পড়ে আছেন।
নিহতের সংখ্যা: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯১৩ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার ১৩৪ জন ফিলিস্তিনি।
ত্রাণ অবরোধ: ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েল এখনও মানবিক সহায়তা সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। খাদ্য, ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী ও আশ্রয়সামগ্রী—সবকিছুই এখন গাজার বাইরের গুদামে পড়ে আছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব হামলা ও সহায়তা অবরোধের ফলে নবঘোষিত যুদ্ধবিরতি এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।
ইতালি তাহলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে? গাজা শান্তি সম্মেলনের নতুন বার্তা
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঘোষণা করেছেন, তার দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’-এ তিনি এই ঘোষণা দেন।
শান্তি চুক্তির পর স্বীকৃতির পথে ইতালি
মেলোনি বলেন, ইতালি গাজায় যুদ্ধবিরতির অপেক্ষায় ছিল। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ইস্যুতে একটি সময়োপযোগী পরিকল্পনা প্রস্তাব করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন:
“আমরা দেখব—পরিকল্পনাটির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটে কি না। যদি ঘটে, সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে আমাদের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ এক কথায় বললে, ইতালি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত এবং বর্তমানে আমরা এর খুব কাছাকাছি আছি।”
তিনি আরও বলেন, ইতালির লক্ষ্য হলো একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন। ইতালি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে অংশ নিতেও আগ্রহী। মেলোনি বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি খুবই গর্বিত যে এই সম্মেলনে ইতালির উপস্থিতি আছে।”
শ্রমঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ার নতুন ঘোষণা, বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ সুবিধা
নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি খাতে শ্রমঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদন-সুবিধা ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি কর্মী কোটার আবেদনগুলো ‘কেস বাই কেস’ ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন।
যেসব খাতে মিলবে বিশেষ সুবিধা
সরকার তিনটি প্রধান খাত ও ১০টি উপখাতে বিদেশি কর্মী কোটার আবেদনের জন্য এই বিশেষ সুবিধা দিতে রাজি হয়েছে।
প্রধান ৩টি খাত: বৃক্ষরোপণ, কৃষি, খনি ও খনন।
১০টি উপখাত: নিরাপত্তা পরিষেবা, ধাতু ও স্ক্র্যাপ সামগ্রী, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ভবন রক্ষণাবেক্ষণ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, লন্ড্রি, রেস্তোরাঁ, স্থলভিত্তিক গুদামজাতকরণ, কার্গো হ্যান্ডলিং, সরকারি প্রকল্পের অধীনে নির্মাণকাজ এবং মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি কর্তৃক অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগ।
নাসুশন ইসমাইল বলেন, “এই সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে সরকার শুধু গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর শ্রম চাহিদা পূরণ করছে না, বরং অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জনগণের কল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মাদানি সরকারের অঙ্গীকারও প্রতিফলিত হচ্ছে।”
নিয়োগ প্রক্রিয়া ও মূল্যায়ন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বিশেষ প্রক্রিয়ার অধীনে যেসব নিয়োগকর্তার বিদেশি কর্মী প্রয়োজন, তারা সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ওয়ান স্টপ সেন্টার (ওএসসি) ফর ফরেন ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্টে তাদের কোটা আবেদন জমা দিতে পারবেন।
যাচাইকরণ: প্রতিটি আবেদন উপদ্বীপ মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ (জেটিকেএসএম) এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের সাপেক্ষে বিবেচিত হবে। নিয়োগকর্তাদের প্রয়োজনীয় সব সহায়ক নথি জমা দিতে হবে।
লক্ষ্য: এই নমনীয় পদ্ধতি শিল্পগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে এবং প্রতিযোগিতামূলক থাকতে সাহায্য করবে। এই পদক্ষেপ সরকারকে আগামী বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগের নীতি ও ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া পর্যালোচনা ও শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে মোট কর্মশক্তির ১০ শতাংশে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
হজ যাত্রীদের জন্য ৪ টিকা বাধ্যতামূলক করল সৌদি আরব
২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে হজযাত্রী ও হজসংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য কঠোর চিকিৎসা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ বছর টিকা গ্রহণ ও শারীরিক যোগ্যতা যাচাই আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস, মেনিনজাইটিস, পোলিও ও ইয়েলো ফিভার—এই চারটি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই টিকাগুলো না নিলে কোনো হাজি দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম
কোভিড-১৯ টিকা: টিকা অবশ্যই সৌদি অনুমোদিত প্রস্তুতকারকের হতে হবে। সর্বশেষ ডোজ ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে এবং যাত্রার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে তা সম্পন্ন করতে হবে।
মেনিনজাইটিস টিকা: এই টিকা পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে, তবে সৌদিতে প্রবেশের কমপক্ষে দশ দিন আগে নিতে হবে।
পোলিও ও ইয়েলো ফিভার: পোলিও নজরদারিতে থাকা দেশগুলোর হাজিদের টিকা যাত্রার অন্তত চার সপ্তাহ আগে নিতে হবে। ইয়েলো ফিভারের টিকা নয় মাস বয়সের ঊর্ধ্বে সব যাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক।
যাদের হজে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ
সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। গুরুতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে:
প্রধান অঙ্গ বিকল হওয়া রোগী।
জটিল দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যাযুক্ত ব্যক্তি।
উচ্চঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি।
ক্যান্সারের চলমান চিকিৎসায় থাকা রোগী।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হজের মতো শারীরিকভাবে পরিশ্রমসাপেক্ষ ইবাদতের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হজ করতে ইচ্ছুকরা নির্ধারিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন না করলে তাদের সৌদি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে বা প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
মেলোনিকে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ তুর্কি প্রেসিডেন্টের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে প্রকাশ্যে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মিশরের শারম এল-শেখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনের ফাঁকে এক অনানুষ্ঠানিক কথোপকথনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট মেলোনিকে এই পরামর্শ দেন।
অনানুষ্ঠানিক কথোপকথন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে মিশরে আয়োজিত ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’-এর ফাঁকে এই আলোচনা হয়।
ইহলাস নিউজ এজেন্সি (তুর্কি সংবাদ সংস্থা) সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, এরদোয়ান মেলোনির উদ্দেশে বলছেন:
“আমি আপনাকে বিমান থেকে নেমে আসতে দেখেছি। আপনাকে দারুণ লাগছে। কিন্তু আপনার ধূমপান বন্ধ করাতে হবে।”
তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এরদোয়ানের কথা শুনে তিনি হেসে উঠে বলেন, “এটা অসম্ভব!”
এ সময় মেলোনি জবাব দেন, “ধূমপান ছাড়লে আমি কম সামাজিক হয়ে যেতে পারি। আমি জানি, আমি জানি। আমি কাউকে হত্যা করতে চাই না।”
মেলোনি এর আগে একটি বইয়ে স্বীকার করেছিলেন যে, ধূমপান তাকে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করেছে।
‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়’: ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনি বন্দিরা। আব্দুল্লাহ আবু রাফে তার মুক্তিকে ‘দুর্দান্ত অনুভূতি’ হিসেবে বর্ণনা করলেও বলেন, “আমরা ছিলাম কসাইখানায়, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটির নাম ছিল ওফার কারাগার। অনেক তরুণ এখনো সেখানে বন্দি।”
আরেক মুক্ত বন্দি ইয়াসিন আবু আমরা ইসরায়েলি জেলখানার পরিস্থিতিকে বর্ণনা করেছেন ‘অত্যন্ত, অত্যন্ত খারাপ’ হিসেবে।
কারাগারে দুর্ভোগ
মুক্ত হওয়া বন্দিরা কারাগারের ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেন:
খাদ্য ও বঞ্চনা: ইয়াসিন আবু আমরা বলেন, “খাবার, নির্যাতন আর মারধর—সবকিছুই ছিল ভয়াবহ। সেখানে না খাবার ছিল, না পানি। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি সেগুলোই খেয়েছি।”
কঠিন অবস্থা: আব্দুল্লাহ আবু রাফে বলেন, ইসরায়েলি কারাগারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত কঠিন। সেখানে কোনো বিছানা নেই, খাবারের অবস্থাও ভয়াবহ। সবকিছুই সেখানে কষ্টকর।
সোমবার মুক্তিপ্রাপ্ত আরেক বন্দি সাঈদ শুবাইর জানান, তিনি নিজের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, “শিকলবিহীন সূর্যের আলো দেখা এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতা অমূল্য।”
মুক্তির চিত্র
ইসরায়েল সম্প্রতি প্রায় ২৫০ জন আজীবন ও দীর্ঘমেয়াদি সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দি এবং আরও প্রায় ১ হাজার ৭১৮ জন গাজা যুদ্ধ থেকে আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে। এই দ্বিতীয় দলটিকে জাতিসংঘ ‘বলপূর্বক নিখোঁজ’ হিসেবে বিবেচনা করেছিল।
ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৭০০ বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনে আনন্দ
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েল কারাগার থেকে মোট ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) এই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
দুই ব্যাচে বন্দি মুক্তি
এই কারাবন্দিদের দুটি ব্যাচে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রথম ব্যাচ (পশ্চিম তীর): প্রথম ব্যাচে প্রায় ২ হাজার বন্দি ছিলেন। তারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলের রাজধানী রামাল্লার পশ্চিমাংশে ইসরায়েলের মালিকানাধীন ‘ওফের’ কারাগার থেকে মুক্তি পান। এই বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া শহরে এসে পৌঁছায়।
দ্বিতীয় ব্যাচ (গাজা): প্রথম ব্যাচ পশ্চিম তীরে পৌঁছানোর কাছাকাছি সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার খান ইউনিস শহরে এসে পৌঁছান দ্বিতীয় ব্যাচের ১ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি। তারা দক্ষিণ ইসরায়েলের নাগেভ কারাগারে ছিলেন।
বন্দিদের পরিচয়
ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারা দপ্তরের বিবৃতিতে নাগেভ-এর কারাবন্দিদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সেখান থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৭১৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হলো। এই কয়েদিদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
গাজায় যেসব কারাবন্দি পৌঁছেছেন, তাদের সবাইকে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা করেছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসার মেডিকেল কমপ্লেক্স। এই বন্দিদের পরিবহনের জন্য আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি) বাস সরবরাহ করে।
কারাবন্দিদের স্বাগত জানাতে পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া ও গাজার খান ইউনিসে শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন।
পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষ
পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
টিএলপি’র মিছিলে সংঘর্ষ
কট্টরপন্থি ইসলামী দল তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) ডাকা এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। নিহত পাঁচজনের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য, তিনজন বিক্ষোভকারী এবং একজন পথচারী রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দেশটির ব্যস্ততম মহাসড়ক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডে এই সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অভিযান চালালে টিএলপি কর্মীরা গুলি চালায়। এ সময় তারা ৪০টিরও বেশি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ডজনখানেক মানুষ আহত হন।
নেতাদের গুলিবিদ্ধের অভিযোগ
টিএলপি’র ডাকা এই ইসরায়েলবিরোধী মার্চ বিক্ষোভ শুক্রবার লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে শুরু হয়। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মিছিলের পথেই একাধিকবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, টিএলপির দাবি, পুলিশ প্রথমে গুলি চালিয়েছে। এতে তাদের নেতা সা’দ রিজভি গুলিবিদ্ধ হন। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রিজভি তিনটি গুলিবিদ্ধ হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
সা’দ রিজভি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “আমাদের মিছিলের উদ্দেশ্য ছিল কেবল ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানানো। আমরা ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে এগিয়ে যাচ্ছি।”
সংঘর্ষের পর ইসলামাবাদের প্রবেশ ও বহির্গমন পথ আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সংঘর্ষ নিয়ে প্রাদেশিক সরকারের কোনো মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিনজন বিজ্ঞানী—জোয়েল মোকিয়র, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এই তিন অর্থনীতিবিদকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সুইডিশ অ্যাকাডেমি সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে।
বিজয়ী ও তাদের অবদান
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, এই তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণা আধুনিক অর্থনীতির চিন্তায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাদের কাজ উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও প্রতিযোগিতা কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে এবং সমাজের কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটায়, তা উন্মোচন করেছে।
জোয়েল মোকিয়র: তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্ত নির্ধারণে অবদানের জন্য তিনি এই পুরস্কার জিতেছেন।
ফিলিপ আগিয়োঁ: ফ্রান্সের কলেজ দ্য ফ্রান্স ও ইনসিয়াদ এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক।
পিটার হাউইট: যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। সৃজনশীল ধ্বংসের মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব বিকাশের জন্য তারা দুজনে যৌথভাবে এই পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
এই তিনজনের গবেষণা অর্থনীতিতে ‘সৃজনশীল ধ্বংস’ (Creative Destruction) এবং এর মাধ্যমে কীভাবে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি আসে, সেই ধারণাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
পাঠকের মতামত:
- যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে: স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের
- ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: নামাজের সময়সূচি
- নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি
- পৃথিবীর মানচিত্রেও যার অস্তিত্ব নেই! তিব্বতের সেই লুকানো জগতের অবিশ্বাস্য রূপ
- শায়খ আহমাদুল্লাহর কণ্ঠে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে স্বচ্ছতার আহ্বান
- এশিয়ান কাপের স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের
- ইতালি তাহলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে? গাজা শান্তি সম্মেলনের নতুন বার্তা
- মিরপুরের আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের ভিড়
- মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?
- শাপলা প্রতীক না পেলে আদায় করে নেব: এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি
- তাওয়া গরম করছি: রাজপথে নেমে সরকারকে হুঁশিয়ারি জামায়াত নেতার
- খ্যাতি পেয়ে মা-বাবা ও স্ত্রীকে অস্বীকারের অভিযোগ জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে
- শ্রমঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ার নতুন ঘোষণা, বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ সুবিধা
- মিরপুরে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামের আগুনে নিহত ৯
- গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা
- আগামী নির্বাচনের ওপর দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে: মির্জা ফখরুল
- বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন দিগন্ত: এক ক্লিকে জামিননামা যাবে জেলখানায়
- মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৪ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ দরপতনশীল কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ১৪ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
- লাল তারার বিস্ফোরণ: মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে মানুষের উপস্থিতি
- প্রস্রাব ঘোলাটে: কখন বুঝবেন এটি যৌনরোগ বা ইউটিআই?
- আজ বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই, টিভিতে নয় ২৫ টাকায় দেখুন অনলাইনে
- হজ যাত্রীদের জন্য ৪ টিকা বাধ্যতামূলক করল সৌদি আরব
- ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নতুন বিস্ফোরক অভিযোগ
- মেলোনিকে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ তুর্কি প্রেসিডেন্টের
- এনসিপিকে সময় বেঁধে দিল ইসি: শাপলার বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে হবে
- ‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়’: ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
- একনজরে দেখে নিন টিভিতে আজকের খেলার সূচি
- ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৭০০ বন্দির মুক্তি, ফিলিস্তিনে আনন্দ
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ
- শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ: ঢাকা কলেজের ঘটনায় আজ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি
- ১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার: নামাজের সময়সূচি
- সকালের শুরুতে কেন বাদাম খাবেন? জেনে নিন ৫টি স্বাস্থ্যকর কারণ
- দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্ত্রীর সঙ্গে থাকা জায়েজ? জেনে নিন শরীয়তের বিধান
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড
- ফ্যাসিস্টের দোসর সালাহউদ্দিন পেলেন দেশ ছাড়ার অনুমতি
- খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে ফোরামে ড. ইউনূসের ৬ প্রস্তাব
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- প্রস্রাবে ফেনা কেন হয়? কখন বুঝবেন এটি কিডনি রোগের সংকেত?
- ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে সরকার : ড. ইউনূস
- পূর্বের আটলান্টিস: চীনের সেই ডুবো শহর যেখানে সময় থেমে আছে!
- রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা
- পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ভয়াবহ সংঘর্ষ
- ঢাকা কলেজে শিক্ষক লাঞ্ছনা: এবার সব সরকারি কলেজে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- পর্যটন খাতে নতুন দিগন্ত: কক্সবাজার বিমানবন্দর পেল আন্তর্জাতিক মর্যাদা
- হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- হাটহাজারীতে হেফাজতের অবরোধ: চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ