বিজিবির অভিযানে জব্দ ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর, পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ২০:২২:৫৪
বিজিবির অভিযানে জব্দ ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর, পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমাছড়া থেকে ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সাদাপাথর লুটের ঘটনার পর এবার কালোপাথর উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার উৎমাছড়া সংলগ্ন চরার বাজার আদর্শগ্রামে অভিযান চালিয়ে এসব কালো রঙের পাথর জব্দ করা হয়। ৪৮ বিজিবি সিলেটের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হকের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, উৎমাছড়া নদী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে পাথর মজুত করে আসছিলেন। তবে বিজিবির কঠোর নজরদারির কারণে এসব পাথর পাচার করতে ব্যর্থ হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহিম ইকবাল চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা পাথরের সঠিক পরিমাপ ও আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। জব্দকৃত এসব পাথর উৎমাছড়ায় পুনঃস্থাপন করা হবে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হলেও এতে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

/আশিক


ওরা আমাদের সন্তানের বয়সী,বড় হলে লজ্জিত হবে: কটূক্তির জবাবে সেনাপ্রধান

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৯:৫২:১২
ওরা আমাদের সন্তানের বয়সী,বড় হলে লজ্জিত হবে: কটূক্তির জবাবে সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানছবি: আইএসপিআরের সৌজন্যে

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে নানা ধরনের কটূক্তি প্রসঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘এসব গালিগালাজ শুনে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তারা আমাদের সন্তানের বয়সী। ওরা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে।’

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, দেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে এবং সেনাবাহিনীও নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীকে সরকার সহযোগিতা করবে।

সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন এবং দায়িত্ব পালনে সেই পেশাদারত্ব দেখাতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিশোধমূলক কাজে নিজেদের জড়ানো যাবে না। একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না।

আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তাধীন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। তবে সেটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘ট্রায়াল’-এর মাধ্যমে নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানো প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ছড়ানো এসব বার্তা দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। সব সময় সতর্ক থাকবেন, যাতে কেউ বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে না পারে। তিনি সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।’

/আশিক


জুলাইয়ের হত্যা মামলায় আসামির জামিন,আইন মন্ত্রণালয়ের দায় নেই: আসিফ নজরুল

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৮:২০:৩২
জুলাইয়ের হত্যা মামলায় আসামির জামিন,আইন মন্ত্রণালয়ের দায় নেই: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় হাইকোর্ট পুলিশ বাহিনীর এক সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। এই জামিনের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারের করা একটি মামলায় হাইকোর্ট পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। এটি নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিক কারণেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে এই জামিনের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট দেশের উচ্চ আদালত এবং এটি আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের অধীনে নয়। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয় উল্লেখ করে তিনি জানান, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে এবং জামিন বাতিল হলে পুলিশ ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করবে।

এদিকে, জুলাই হত্যা মামলার আসামির জামিন হওয়ায় আজ সচিবালয় ও প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহতদের স্বজনরা। সেখানে তারা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পদত্যাগ দাবি করেন।

/আশিক


গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা: সাভারের সাবেক ইউএনও এখন রাজাপুরের ইউএনও

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৮:০৮:৫৪
গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা: সাভারের সাবেক ইউএনও এখন রাজাপুরের ইউএনও
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমনে ঢাকার সাভারে প্রশাসনের যে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম সাভারের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ। তিনি বর্তমানে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজাপুরে যোগদান করেন। সাভারের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুলাই বিপ্লব দমনে পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই রাহুল চন্দ। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আন্দোলন দমনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গত বছর ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে রাহুলের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালায়। সেই গুলিতেই সাভার ডেইরি ফার্ম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আলিফ আহমেদ সিয়াম নিহত হয়। সিয়াম হত্যা মামলায় গত ৬ জুন তার বাবা বুলবুল কবির বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খানকে ২ নম্বর, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ৩ নম্বর, আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৪ নম্বর এবং রাহুল চন্দকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট ঢাকামুখী লংমার্চে সিয়ামসহ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করলে সিয়াম গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।

বুলবুল কবির মোবাইল ফোনে জানান, তিনি শোকাহত থাকায় মামলা দায়ের করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে তার দুঃখ, মামলার অন্যতম আসামি, গুলির নির্দেশদাতা তৎকালীন ইউএনও রাহুল চন্দকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি ঝালকাঠিতে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

সিয়ামের বাবা আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন তারা আড়াই ঘণ্টা ধরে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। তিনি এসআই নাহিদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন।

এ বিষয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন বলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত’ বলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, এটি সরকারের বিষয় এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।

/আশিক


স্বামী-স্ত্রীর প্রকাশ্য মারামারির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৩:০৩:০০
স্বামী-স্ত্রীর প্রকাশ্য মারামারির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা
ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রকাশ্য হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক নারী তার স্বামীকে মারধর ও গালিগালাজ করেন, যা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে গত রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে।

ভাইরাল হওয়া ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বিথি আক্তার ওরফে মিষ্টি নামের এক তরুণী সাদা শার্ট পরা ফারুক হোসেনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চেষ্টা করছেন। ফোনটি হাতে পাওয়ার পর তিনি উত্তেজিত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং ফারুককে কিল-ঘুষি মারেন। এক পর্যায়ে তিনি স্বামীর মাথার চুল টেনে ধরে লাথিও দেন। ভিডিওতে তাকে একাধিকবার বলতে শোনা যায়—“এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক।”

মারধরের শিকার ফারুক হোসেন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অন্যদিকে বিথি আক্তার বর্তমানে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরি করছেন। তার বাড়ি কালুখালী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামে। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ফারুক দাবি করেন, কালুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরির সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে প্ররোচনায় পড়ে বিথি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

জামিন পাওয়ার পরও তিনি আরও চারটি মামলা দায়ের করেন। বিথি শর্ত দেন বিয়ে করলে মামলা তুলে নেবেন, কিন্তু বিয়ের পরও মামলা প্রত্যাহার না করে নানা উপায়ে হয়রানি শুরু করেন। অন্যদিকে বিথি বলেন, ফারুক দীর্ঘদিন তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি, বরং ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করছেন।

ঘটনার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক এনামুল হক রোগী দেখছিলেন। তিনি জানান, দুপুর সোয়া একটার দিকে হৈচৈ শুনে বাইরে গিয়ে দেখেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছে এবং এক পর্যায়ে নারীটি স্বামীকে একাধিকবার আঘাত করেন। তিনি উভয়কে হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা না করে বাড়িতে গিয়ে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বর্তমানে প্রশিক্ষণে বাইরে থাকায় আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি ফিরে এলে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

-রফিক


স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্ত্রীর কান ছিঁড়ে দিল স্বামী

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১১:৪১:৫৪
স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্ত্রীর কান ছিঁড়ে দিল স্বামী
ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কের ভিত গড়ে ওঠে বিশ্বাস ও ভালোবাসার বন্ধনে। কিন্তু যখন সেই বন্ধনে ফাটল ধরে, তখন তা কখনও কখনও ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নেয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার শান্তিপুর থানার চাঁদড়া গ্রামে এমনই এক নির্মম ঘটনার জন্ম দিয়েছে দাম্পত্য জীবনে পরকীয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে স্বামী টিঙ্কু দেবনাথ তার স্ত্রী ছবি দেবনাথের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে তার কান টেনে ছিঁড়ে ফেলেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার আহত অবস্থায় ছবি দেবনাথ থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তার স্বামী প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে তাকে মারধর করেন এবং পরে কান টেনে ছিঁড়ে দেন। ঘটনার পর ছবির চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার কানে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় ছবি থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তির দাবি জানান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, টিঙ্কু দেবনাথ পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফেরার পর থেকেই তাদের সংসারে বিবাদ-বিসংবাদ শুরু হয়। ছবির অভিযোগ, পরকীয়ার কারণে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করে এবং শেষ পর্যন্ত তা সহিংসতায় গড়ায়।

এ ঘটনায় শান্তিপুর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে স্বামী টিঙ্কু দেবনাথ এখনো কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দেননি।বর্তমানে ভুক্তভোগী ছবি দেবনাথ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন এবং ঘটনার পর গ্রামজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।

-রাফসান


দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২২:০৫:৫৭
দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও
ছবি: সংগৃহীত

কোটি কোটি টাকার পাথর লুটের পর সিলেটের দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর এখন প্রায় কংকালসারে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা বহাল তবিয়তে থাকলেও সেখানে শুধু নেই পাথর। এমন ঘটনার পর স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তীব্র জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনা স্থানীয় ইস্যুকে ছাড়িয়ে সবার মুখে মুখে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং জনরোষের পরিপ্রেক্ষিতে লুট হওয়া কিছু পাথর কুড়িয়ে এনে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা চলছে। তবে সর্বস্তরের সিলেটবাসী এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছেন—এত বড় রাষ্ট্রীয় সম্পদ জঘন্যভাবে খেয়ানতের দায় কার?

আইনবিদরা একবাক্যে বলছেন, এ সংক্রান্ত দায়ের করা মামলাতেই মূল অপরাধীদের আড়াল করা হয়েছে। সাদাপাথরের ঘটনাকে ঘিরে যখন তুমুল সমালোচনা, তখন সমালোচনার শীর্ষে থাকা দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ এবং কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার। ইউএনও আজিজুন্নাহারকে ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

আইনবিদদের মতে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ মানেই জনগণের সম্পদ। এই সম্পদের সুরক্ষার জন্য ধাপে ধাপে বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা রয়েছেন। শত শত নৌকা ও ট্রাক ব্যবহার করে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর লুট করা হলেও দায়িত্বশীলরা কী করছিলেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

পাথর লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন আইনজ্ঞরা। তারা দাবি করছেন, এই মামলাতেও মূল অপরাধীদের কৌশলে আড়াল করা হয়েছে। আইনবিদ এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম বলেন, এত বড় বিপর্যয়ের দায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

অপর আইনজ্ঞ শহিদুজ্জামান বলেন, দুই হাজার জনকে আসামি করে মামলা হলে কী হবে, যখন আইনের দৃষ্টিতে মূল অভিযুক্তদের কৌশলে রেহাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের গ্রামপুলিশ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ, ইউনিয়ন তহশিল অফিস থেকে এসিল্যান্ড এবং ইউএনও থেকে জেলা প্রশাসন পর্যন্ত সবাই এই লুটের দায় এড়াতে পারেন না।

গত ১৫ আগস্ট খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আনোয়ারুল হাবীব এই ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-এর সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার বলেন, এই মামলার অভিযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম দেখানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের এই ঘটনায় প্রকৃত অভিযুক্ত দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সিলেট জেলা সদস্য সচিব আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, মেঘালয়ের খাসি হিল থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর উত্তাল ঢল সামলাত নদীর দুই তীরের পাথরের প্রাকৃতিক গাইড ওয়াল, যা এখন চোর ও লুটেরারা নিয়ে গেছে। এর দায় সংশ্লিষ্টরা কেন নেবেন না?

পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, সাদাপাথর লুটের ঘটনায় শুধু পাথরের ক্ষতি নয়, এর ফলে পরিবেশ, ভূ-প্রকৃতি এবং সিলেটের পর্যটনেরও বিরাট ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ ও ইউএনও আজিজুন্নাহারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠার পর তাদের দু'জনকেই বদলি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, ইউএনও আজিজুন্নাহার একজন পাথর লুটেরার সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন এবং মাসোহারা নিতেন। এর আগে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানও সাদাপাথর লুটে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশের অভিযোগ করেছিলেন।

সিলেটের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. সারওয়ার আলম। নতুন কোম্পানীগঞ্জ ইউএনও হিসেবে এসেছেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

/আশিক


১১ বগি রেখেই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করল মহানগর এক্সপ্রেস

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২১:৩৭:২২
১১ বগি রেখেই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করল মহানগর এক্সপ্রেস
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন পেছনের ১১টি বগি ছাড়াই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করেছে। আজ সোমবার আশুগঞ্জ স্টেশনের পূর্ব পাশে বৈকুণ্ঠপুর নামক এলাকায় ট্রেনটির বগিগুলো আলাদা হয়ে যায়। এরপর সামনের ৫টি বগি নিয়ে আশুগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাস্টার মো. শাকির জাহান, তালশহর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুর রাশেদ এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) কে এম শাহীনূর ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

রেলওয়ে ও যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর স্টেশন অতিক্রম করে। আশুগঞ্জ স্টেশনের পূর্ব পাশে বৈকুণ্ঠপুর এলাকা পার হওয়ার সময় ট্রেনটির ১১টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বগিগুলো রেখে ট্রেনটি মাত্র ৫টি বগি নিয়ে আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করে। এরপর ট্রেনটি দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুতে ওঠার সময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট রেলপথের আপলাইনে (ঢাকাগামী) ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, মহানগর গোধূলি আখাউড়ায় এবং কর্ণফুলী এক্সপ্রেস তালশহর স্টেশনে আটকা পড়ে।

এদিকে, আখাউড়া থেকে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী ট্রেনের ইঞ্জিন দিয়ে পড়ে থাকা ১১টি বগি আশুগঞ্জ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে।

/আশিক


পাঠ্যবইয়ের বদলে রাজনৈতিক বই: ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুড়িয়ে দিলেন ৩০০ গ্রন্থ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২১:২৭:৫১
পাঠ্যবইয়ের বদলে রাজনৈতিক বই: ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুড়িয়ে দিলেন ৩০০ গ্রন্থ
ছবি : কালের কণ্ঠ

বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসংক্রান্ত তিন শতাধিক বই পুড়িয়ে দিয়েছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী বইগুলো একত্র করে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে বইগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, পুড়িয়ে ফেলা বইগুলো ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা জীবনী, গবেষণা ও রাজনৈতিক ইতিহাসভিত্তিক।

শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সারা দেশ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনাসহ স্বৈরাচারী শাসনের সব স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার নির্দেশনা ছিল। তাদের শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন যে, লাইব্রেরি থেকে সব বই সরিয়ে ফেলা হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার্থীরা দেখেছে যে সেগুলো এখনো বিদ্যমান। তাই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি থেকে বইগুলো এনে পুড়িয়ে ফেলেছেন। তারা অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এবং লাইব্রেরিতে পাঠ্যবইয়ের সংকটের মধ্যেও রাজনৈতিক বই দিয়ে তাক ভরে রাখা হয়েছে, যা তাদের কোনো কাজে আসে না।

এ বিষয়ে বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিল চন্দ্র কির্তুনিয়া বলেন, ‘আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি, বই অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে সাবেক অধ্যক্ষ আমাকে জানিয়েছিলেন যে বইগুলো আলাদা করে বেঁধে লাইব্রেরির মধ্যে পরিত্যক্ত স্থানে রাখা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা আমাদের জানালে হয়তো কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সরিয়ে ফেলা যেত।’

/আশিক


ভাগ্য খুললো জেলের: ১.৮৮ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হলো রেকর্ড দামে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২০:১৯:১৫
ভাগ্য খুললো জেলের: ১.৮৮ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হলো রেকর্ড দামে
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এক জেলের জালে এক কেজি ৮৮০ গ্রাম ওজনের একটি বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছটি পাঁচ হাজার ৮৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে কুয়াকাটা মেয়র বাজারে এই মাছটি উন্মুক্ত ডাকে বিক্রি করেন বরগুনার পাথরঘাটা এলাকার জেলে বাবুল মাঝি।

বাবুল মাঝি জানান, সকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন গঙ্গামতি শেষ বয়া এলাকায় মাছটি তার জালে ধরা পড়ে। পরে মাছটি কুয়াকাটা মেয়র বাজারে নিয়ে এলে ‘রাসেল ফিশ’-এর মাধ্যমে নিলামে তোলা হয়। এক লাখ ২৫ হাজার টাকা মণ (প্রতি কেজি ৩,১৩৫ টাকা) দরে মাছটি কিনে নেন ‘সানজিদা ফিশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মৎস্য ব্যবসায়ী রফিক পাটোয়ারী।

রফিক পাটোয়ারী বলেন, ‘বিশেষ করে উপকূলের এই জেলেদের মাছগুলো গভীর সমুদ্রের নয়, তাই স্বাদ বেশি। এজন্য দামও একটু বেশি। গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি এমন বড় মাছ উঠেছে। বাজারে এগুলো বেশ ভালো দামে বিক্রি হয়েছে।’

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘বড় ইলিশ মূলত জেলেদের জন্য সুখবর বয়ে আনে। গভীর সমুদ্রের জেলেদের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও এখন বড় ইলিশ পাচ্ছেন। ইলিশের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে, তখন দামটা আরও কমে আসবে।’

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট একই এলাকায় সুনু গাজী নামের এক জেলের জালে এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ধরা পড়ে, যা পাঁচ হাজার ৬২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া, রোববার (১৭ আগস্ট) নাসির মাঝি নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছিল এক কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ।

/আশিক

পাঠকের মতামত: