দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় দুই সম্ভাব্য কারণ নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। একদিকে রয়েছে গাজীপুরের সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের বিরুদ্ধে ভিডিও ধারণের ঘটনা, অন্যদিকে পূর্বশত্রুতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার পর গত কয়েক দিনে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, আসাদুজ্জামানের হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেটি দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তিনটি পুলিশের টিম ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মিজান ও তার স্ত্রী, শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে স্বাধীন এবং রাজধানীর তুরাগ থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার পর আসাদুজ্জামানের বড় ভাই মো. সেলিম গাজীপুর বাসন থানায় মামলা করেছেন। আসাদুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা কুপিয়ে নিহত হন। তিনি দৈনিক ‘প্রতিদিনের কাগজ’ এর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার রবিউল হাসান জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ছিনতাইকারী দল ধারালো দেশি অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করছে। সেই সময় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ওই দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিও করার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের পশ্চিম পাশে, সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে একটি নারী ও পুরুষের ধস্তাধস্তির দৃশ্য। নারীকে টেনে ধরছে একজন পুরুষ, যিনি পরে তার উপর চড়াও হন। তখন পাশ থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে কিছু যুবক ওই ব্যক্তিকে কোপানোর চেষ্টা করেন। ওই ব্যক্তি পালাতে সক্ষম হন।
আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি এবং তাঁর সহকর্মী শামীম হোসেন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একসঙ্গে হাঁটছিলেন। শামীম বলেন, কয়েকজন ধারালো অস্ত্রধারী ওই পুরুষকে তাড়া করছিল। আসাদুজ্জামান মোবাইল ফোন বের করে তাদের ভিডিও করতে থাকেন। পরে চায়ের দোকানে ঢুকে পালানোর চেষ্টা করলেও তারা ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শামীম পরে পুলিশকে খবর দেন।
ধস্তাধস্তির সময় আহত ব্যক্তি বাদশা মিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন, তাদের একটি দল তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর বাসন, ভোগরা ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ছিনতাইকারী একটি চক্র সক্রিয়। ভিডিওতে ধরা পড়ে ছিনতাইকারীদের মধ্যে এক নারীও রয়েছে, যিনি ওই চক্রের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন গতকাল চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে কর্মসূচিতে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকরা হত্যার নিন্দা জানিয়ে বিচার ও নিরাপত্তা দাবি করেন।
এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণ অধিকার পরিষদ ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বাসন থানায় মিছিল করে থানা ঘেরাও করে।
আসাদুজ্জামানের জানাজা গতকাল চান্দনা মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা শোকাহত।
এদিকে গাজীপুরের সাহাপাড়া এলাকায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মো. ফরিদ নামের এক যুবককে। গত বুধবার চাঁদাবাজির সংবাদ সংগ্রহকালে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়। মামলার বাদী তার মা। গ্রেপ্তারকৃত ফরিদকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। পুলিশ অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
/আশিক
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের আপডেট
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সংস্থাটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিহতের বড় ভাই সেলিম মিয়া গাজীপুর সদর উপজেলার বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তুহিন অন্য এক যুবককে মারধরের ভিডিও ধারণ করছিলেন। সেই সময় ঘটনাস্থলে থাকা অস্ত্রধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ধাওয়া করে। জীবন বাঁচাতে তিনি পাশের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন, কিন্তু সেখানেই তাকে ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
৩২ বছর বয়সী আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. রবিউল হাসান জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। তার মতে, অভিযুক্তরা ধরা পড়লেই হত্যার পেছনের প্রকৃত উদ্দেশ্য উদঘাটিত হবে।
-রফিক
আদালতে দীপু মনিকে কঠোর ভাষায় দুষলেন কলিমউল্লাহ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক।
শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কলিমউল্লাহ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন। আদালতে উপস্থিত থাকাকালে তিনি জানান, ২০১৭ সালে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করেছেন; কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি করেননি।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী দেলোয়ার জাহান রুমী জানান, মামলায় মোট পাঁচজন আসামি রয়েছে, যারা যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত কাজ দিয়েছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদন করেন।
বিচারক মামলার জটিলতাসহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। কলিমউল্লাহ জানান, তাঁর ক্যাম্পাসে উপস্থিতি কম ছিল কারণ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তাঁর কাছে অন্যায় দাবি করতেন এবং এই কারণে ক্যাম্পাসে যেতেন কম। তিনি বলেন, “আমি সারাদিন কাজ করে রাতে টকশো করতাম।”
বিচারক আরও জানতে চান, তিনি কীভাবে একই সঙ্গে উপাচার্য, বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করতেন। কলিমউল্লাহ বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর নিয়ন্ত্রণে নয়।
বিচারক নকশা ও উন্নয়ন কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করলে কলিমউল্লাহ জানান, অনেক কাজ পূর্ববর্তী উপাচার্যের আমলের, নকশাও আগের। তিনি দাবি করেন, ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করেছেন, এজন্যই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় তদন্ত হবে জানিয়ে বিচারক বলেন, “আপনি জানেন কী করেছেন, কিছুদিন পর দুদক জানবে, তারপর বাকি মানুষও জানবে।”
গ্রেপ্তারের সময় তিনি অপ্রস্তুত ছিলেন এবং দুদক থেকে তলব না হওয়ার বিষয়েও আপত্তি জানান। তবে বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, যারা দুর্নীতি করেছেন, তাদেরকে জেলেই থাকতে হবে।
অবশেষে বিচারক কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং জানান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা জেল কর্তৃপক্ষ দেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। একই আদালত বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির মামলায় কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু, সাবেক উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী এবং এম এম হাবিবুর রহমান।
/আশিক
‘চাঁদাবাজি’র ভিডিও পোস্টের পর খুন হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন
গাজীপুরে চা দোকানে বসা অবস্থায় সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, দিনভর চাঁদাবাজির লাইভ করেছিলেন ফেসবুকে
গাজীপুরের ব্যস্ততম এলাকায় চাঞ্চল্যকর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় এ হামলার শিকার হন তিনি।
নিহত তুহিন (৩৮) দৈনিক ‘প্রতিদিনের কাগজ’-এর গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামে হলেও তিনি পরিবারসহ গাজীপুরেই বসবাস করতেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে চাঁদাবাজি নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করেন তুহিন। বিকেলেই চান্দনা চৌরাস্তার ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে সরাসরি সম্প্রচারে আসেন তিনি। এরপর সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য। গাজীপুর চৌরাস্তা।’
রাত ৮টার দিকে মসজিদ মার্কেটের সামনে চা পান করছিলেন তিনি। ঠিক তখনই হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা তাকে জবাই করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। হত্যার কারণ উদঘাটনে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
তুহিনের প্রকাশ্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখছে।
/আশিক
খুলনায় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার আসামির পালানো
খুলনায় পুলিশের হেফাজতে থাকা এক আসামি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় প্রিজন সেল থেকে পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম ইউসুফ (২৩)। তিনি নগরীর খালিশপুর থানার আলমনগর মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং মাদক মামলার আসামি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে আলমনগর মোড় এলাকা থেকে ইউসুফকে ২০টি ইয়াবাসহ আটক করে খালিশপুর থানার পুলিশ। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ইউসুফ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর শরীরে কোনো গুরুতর সমস্যা শনাক্ত করতে না পারলেও, বারবার ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গের কথা বলায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক জানান, প্রিজন সেলের বাইরে কারারক্ষীরা দায়িত্বে থাকেন এবং ভেতরের নিরাপত্তা দেখভাল করে পুলিশ। সেলটিতে ইউসুফ ছাড়াও এক বয়স্ক আসামি ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই বয়স্ক ব্যক্তি বাথরুমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে দায়িত্বরত কনস্টেবল দরজার তালা খুলে তাঁকে বাইরে নিয়ে যান। তবে ফিরে এসে তালা বন্ধ করতে ভুলে যান। এ সুযোগে ইউসুফ পালিয়ে যান। পরবর্তীতে দেখা যায়, প্রিজন সেলের বাইরের মূল ফটকের তালাও খোলা ছিল। এই গাফিলতির জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, 'পলাতক ব্যক্তি আমাদের হেফাজতে ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, সেটিও আমরা জানতাম না। যদি আমাদের হেফাজতে থাকতেন, তবে তাঁকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হতো। তবে প্রিজন সেলে পুলিশ ছাড়াও আমাদের লোকজনও থাকেন। যদি আমাদের কেউ গাফিলতি করে থাকে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
/আশিক
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো ট্রলার ও জেলের মরদেহ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের ডিসি পার্কসংলগ্ন সাগরে ভেসে এসেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার এবং এক জেলের মরদেহ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) স্থানীয়রা সাগরে এ দৃশ্য দেখে নৌপুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত জেলের নাম ইদ্রিস, তিনি কলাপাড়া উপজেলার মধুখালী এলাকার বাসিন্দা। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার পরনে ছিল একটি লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট। পরে তার ভাতিজা সাগর পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন। সাগর জানান, গত ২৬ জুলাই তিনি চাচা ইদ্রিসের সঙ্গে এফবি সাগরকন্যা নামের ট্রলারটিতে ছিলেন। ট্রলারটি সেদিনই সাগরে ডুবে যায়, সেই সময় চাচা ওই পোশাকেই ছিলেন।
ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা জানিয়েছেন, জাল ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ঝড় ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি। মুহূর্তেই ট্রলারটি ডুবে গেলে শুরুতেই এক জেলে নিখোঁজ হন। এরপর বাঁশ ও ফ্লুটের (ভেসে থাকার উপকরণ) সাহায্যে ১৪ জন জেলে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরপর আরও পাঁচজন ঢেউয়ের তোড়ে হারিয়ে যান। অবশেষে সাগরের শেষ বয়া এলাকা পর্যন্ত ভেসে যাওয়া জেলেদের মধ্যে ৯ জনকে সোমবার রাতে দুটি মাছ ধরার ট্রলার উদ্ধার করে মহিপুর মৎস্যবন্দরে নিয়ে আসে।
কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মন্ডল জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার ও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরনে ছিল লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট, যা দেখে তার ভাতিজা মরদেহটি ইদ্রিস বলে শনাক্ত করেছেন। সুরতহাল শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই সকাল ১০টার দিকে কুয়াকাটার শেষ বয়া থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীর সাগরে ট্রলারটি ১৫ জন জেলেসহ ডুবে যায়। চার দিন পর জীবিত উদ্ধার হন ৯ জন। নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে নজরুল ইসলামের লাশ ১ আগস্ট কুয়াকাটার মীরা বাড়ি সংলগ্ন সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়। এখনো আবদুর রশিদ, রফিক, হারুন ও কালাম নিখোঁজ রয়েছেন।
/আশিক
চট্টগ্রামে বায়েজিদ সড়কের সেতু ধসে যান চলাচল বন্ধ
চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে শীতল ঝর্ণা খালের ওপর নির্মিত একটি সেতুর একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র বিপরীত পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় সড়কটিতে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সেতুটি ধসে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ধসের ফলে সেতুটি দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী জানান, সেতুটি ইটের তৈরি এবং প্রায় ৪০ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৮০ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “সম্প্রতি জলাবদ্ধতা নিরসনে শীতল ঝর্ণা খাল সম্প্রসারণ করা হয়। ফলে খালের প্রস্থ বাড়লেও সেতুটি পূর্বের মাপে থেকেই যায়। অতিরিক্ত পানির স্রোতে সেতুর একাংশ ধসে পড়ে। এটি মেরামতের উপযোগী নয়, এখন পুনর্নির্মাণ করতেই হবে।”
সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে বায়েজিদ সড়কজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নাসিরাবাদ ও ষোলশহর শিল্পাঞ্চলের হাজারো শ্রমিক প্রতিদিন এই পথ ব্যবহার করেন। এছাড়া হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের যোগাযোগ এই সড়কের উপর নির্ভরশীল।
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের শিক্ষক মনসুর নবী জানান, সকালে কলেজে যাওয়ার সময় তিনি ধসে পড়া সেতুটি দেখতে পান। তিনি বলেন, “এরইমধ্যে জানানো হয়—অতি বৃষ্টির কারণে কলেজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে বাসায় ফিরে আসি। এখন গাড়ি একপাশ দিয়ে চলায় পুরো সড়ক জুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। সেতুর অপর পাশটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।”
এখনই দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণ না করা হলে, নাগরিক দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
/আশিক
বঙ্গোপসাগরে ইলিশের বাম্পার উপস্থিতি, উপকূলজুড়ে খুশির হাওয়া
বঙ্গোপসাগরে ইলিশের রমরমা: উপকূলজুড়ে ফিরে এলো প্রাণচাঞ্চল্য
বঙ্গোপসাগরে ইলিশের আশাব্যঞ্জক উপস্থিতি জেলেদের মুখে হাসি ফিরিয়ে এনেছে। কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরের মাছঘাটে প্রতিদিন ভিড়ছে ইলিশভর্তি ট্রলার। গত কয়েক দিনে এসব মোকামে শত শত মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে। এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে উপকূলের মৎস্য পল্লীগুলোতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঘাটে ঘাটে ভিড়ছে সারি সারি মাছভর্তি ট্রলার। জেলেরা মাছ নামাচ্ছেন, আড়তদাররা সেগুলো বিক্রি করছেন পাইকারদের কাছে। কেউ মাছের সাইজ অনুযায়ী বাছাই করছেন, কেউ বা ট্রাকে তোলার জন্য প্যাকেট করছেন। মোকামগুলো এখন কর্মচঞ্চল।
খুচরা বাজারেও ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। কুয়াকাটা-আলীপুর-মহিপুর মাছঘাট থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪৫-৫০ টন ইলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। তবে বড় আকারের ইলিশের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। বাজারে ছোট ইলিশের দাম প্রতি মণ ৩০ হাজার টাকার আশেপাশে রয়েছে।
মৎস্যঘাটে দেখা গেছে, মঙ্গলবার ও বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় ২০-২৫টি ট্রলার ঘাটে ফিরে আসে। প্রতিটি ট্রলারেই বিভিন্ন পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়েছে। যেমন—এফবি তামান্না ট্রলার ১০ মণ ইলিশ বিক্রি করেছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এফবি আব্দুল্লাহ বিক্রি করেছে প্রায় ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মাছ। এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার পেয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার টাকার ইলিশ। আর এফবি জামাল ট্রলার পেয়েছে ৮০ মণের বেশি ইলিশ, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৪-২৫ লাখ টাকা।
একজন জেলে হাসান জানান, সাগরে প্রচুর ইলিশ থাকলেও ঢেউয়ের কারণে জাল ফেলতে সমস্যা হচ্ছে। ঢেউয়ের তোড়ে জাল ছিঁড়ে যাচ্ছে। পূর্ণিমার জো কমলেই আবার মাছ ধরতে যাবেন বলে জানান তিনি।
আলীপুরের আড়তদার আ. জলিল বলেন, বর্তমানে মাছের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। বড় সাইজের (প্রতি কেজি) ইলিশের মণ ৬৫-৭০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের (৭০০-৮০০ গ্রাম) ৪৫-৫০ হাজার টাকা এবং ছোট ইলিশ ২৫-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জাটকা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ হাজার টাকায়।
ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তারা দুই দিন সাগরে ফিশিং করে ছোট আকারের ১০ হাজার ইলিশ পেয়েছেন, যার পরিমাণ আনুমানিক ৮০-৮৫ মণ। এর বাজারমূল্য হতে পারে ২৪-২৫ লাখ টাকা।
অপর একজন মাঝি ইউনুচ মিয়া বলেন, ‘আমরা বড় ফাঁসের (৩.৫-৪ ইঞ্চি) জাল ব্যবহার করি। এতে ৬৫০টি বড় ইলিশ পেয়েছি, যা বিক্রি করেছি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। ছোট ফাঁসের ট্রলিং জাল বন্ধ থাকলে আরও বেশি বড় মাছ ধরা যেত।’
আড়তদার ইউসুফ হাওলাদার বলেন, মাছের সরবরাহ ভালো থাকলেও জাটকা বেশি ধরা পড়ছে। জাটকা রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হলে বড় ইলিশ আরও বেশি পাওয়া যাবে।
কলাপাড়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগরে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিলেও এখন আবার বড় সংখ্যায় ধরা পড়ছে। বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকলে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
/আশিক
জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার পথে রূপপুরের প্রথম ইউনিট
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে বাষ্প সরবরাহকারী পাইপলাইনে ‘কোল্ড ও হট’ টেস্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষা ইউনিটের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এ পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হওয়ার বিষয়টি বুধবার (৬ আগস্ট) নিশ্চিত করেছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) এবং রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট।
এনপিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাসান জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পূর্বে এ ধরনের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এতে টার্বাইনের যন্ত্রপাতি ও পাইপলাইন সিস্টেমের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা হয়। পরীক্ষায় ২ মেগাপ্যাস্কেল চাপ ও ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বাষ্প ব্যবহার করে ‘ব্লো-ডাউন’ পদ্ধতিতে পাইপ পরিষ্কার করা হয়।
তিনি বলেন, “এই সময় বায়ুমণ্ডলে বাষ্প নিঃসরণের ফলে উচ্চ শব্দ হয়েছিল, যা আগেই স্থানীয়দের জানানো হয়েছিল যাতে তারা আতঙ্কিত না হন।” তিনি আরও জানান, পরবর্তী ধাপে আরও উচ্চমাত্রার বাষ্প ব্যবহার করে পুনরায় এই পরীক্ষা করা হবে।
রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি ডেইরী বলেন, “এই কমিশনিং ধাপ সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে আমরা প্রথম ইউনিট চালুর পথে বড় একটি অগ্রগতি অর্জন করেছি। এটি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রূপপুরে দুটি ইউনিটে মোট ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রতিটি ইউনিটে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর প্রযুক্তি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে রসাটমের প্রকৌশল শাখা এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট।
/আশিক
রাজধানীতে আজ যেসব কর্মসূচি রয়েছে
আজ বুধবার, ৬ আগস্ট, রাজধানী ঢাকা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে দিনব্যাপী ব্যস্ত থাকবে। সরকারি দফতর, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সংগঠনগুলোর নানা আয়োজনে দিনটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। নিচে এসব কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
অর্থ উপদেষ্টার দিনের কর্মতালিকা
দিনের শুরুতেই অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অংশ নিচ্ছেন পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে। সকাল সাড়ে ৯টায়, তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
এরপর বেলা ১১টায় অর্থ উপদেষ্টা অংশ নেবেন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায়, যা অনুষ্ঠিত হবে সচিবালয়ে।
পরবর্তী সময়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি যোগ দেবেন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায়। সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারণে তাঁর আজকের এই তিনটি কর্মসূচিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।
বিএনপির বিজয় র্যালি ও দোয়া মাহফিল
প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ বিকেলে পালন করছে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি। বিকেল ৩টায়, রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজয় র্যালি বের করা হবে। র্যালির উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে।
একইদিন, শহীদ রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান-এর শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মাহবুব আলী খান ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক নৌবাহিনী প্রধান ও মন্ত্রী।
১২ দলীয় জোটের একীভূত কর্মসূচি
বেলা ১১টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত হবে ১২ দলীয় জোটের আনুষ্ঠানিক যোগদান অনুষ্ঠান। এটি বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিরোধী শক্তির মধ্যে সমন্বয়ের বার্তা বহন করছে।
জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা
রাত ৮টায়, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে জামায়াতে ইসলামীর এক মতবিনিময় সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
এ অনুষ্ঠানটি দলীয় নীতিমালা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হতে চলেছে।
পাঠকের মতামত:
- আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায়
- দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত
- চীনে প্রথমবার হিউম্যানয়েড রোবট পিএইচডিতে ভর্তি
- হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণ করে জীবনে ফিরুন প্রাণবন্ততা
- ইসরায়েলি দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল ইরাক
- বেতন বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের ঘোষণা
- নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সম্পৃক্ততা নেই: আলী রীয়াজ
- ছয় বছর পর ড্যাবের ভোটযুদ্ধ আজ, চিকিৎসক মহলে উত্তেজনা
- ১৮ হল কমিটি গঠনের পর বিক্ষোভ, ঢাবি উপাচার্যের কড়া বার্তা
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- মোদিকে গোপন পরামর্শ দেবেন নেতানিয়াহু
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী পেলেন ছাত্রদলের পদ
- আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- সুরা আল-বাকারার উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও বিষয়বস্তু বিস্তারিত জানুন
- কিশমিশের পানির বহুমুখী উপকারিতা: স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সঙ্গী
- ভক্তদের উদ্দেশ্যে রহস্যময় বার্তা শাকিব খানের
- ক্রিকেটের তীর্থক্ষেত্রের স্মৃতি ঘরে তোলার বিরল সুযোগ
- চীনের রোবোটিক অঙ্গ পেলেন জুলাই বিপ্লবের আহতরা
- কানাডায় কপিল শর্মার রেস্তোরাঁয় ফের গুলিবর্ষণ
- যানবাহন পানিতে পড়লে বাঁচার উপায়: বিশেষজ্ঞের জরুরি পরামর্শ
- গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের আপডেট
- বয়স থেমে গেছে ৪০-এ! আর মাধবনের ২১ দিনের তারুণ্যের গোপন রহস্য
- নিজের আয়ের হিসাব দিলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ
- শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা এখনো সক্রিয়: জয়নুল আবদিন ফারুক
- ট্রাম্প বলেন, “খুব হতাশ”
- কলকাতায় গোপন কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.): ন্যায়, প্রজ্ঞা ও বিশ্বনেতৃত্বের এক স্বর্ণযুগ
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- ‘সাইয়ারা’কে ছাড়িয়ে অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘মহাবতার নরসিংহ’র বক্স অফিস ঝড়
- আদালতে দীপু মনিকে কঠোর ভাষায় দুষলেন কলিমউল্লাহ
- ‘চাঁদাবাজি’র ভিডিও পোস্টের পর খুন হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন
- ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ‘শুল্ক হামলা’! কাঁপছে ভারতীয় অর্থনীতি
- প্রথমবারের মতো বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরাও দিতে পারবেন ভোট
- খুলনায় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মাদক মামলার আসামির পালানো
- দেশে আসছেন তারেক রহমান, জানালেন হুমায়ুন কবির
- “ঐক্যের বদলে গোষ্ঠীকেন্দ্রিকতা”—জুলাই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণ জানালেন হাসনাত আবদুল্লাহ
- শরিয়তবিরোধী আইন প্রণয়ন হবে না: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ
- ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচনী তফসিল, ফেব্রুয়ারির আগেই ভোট
- সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি বাণিজ্য উপদেষ্টার
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- পুঁজিবাজারে লেনদেনের হটস্পট: আলোচনায় শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ৭ আগস্ট ২০২৫, শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৭ আগস্ট ২০২৫, শেয়ারবাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৭ আগস্ট ২০২৫, শেয়ারবাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রধান লক্ষ্য যা থাকছে
- ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ কার্যকর হচ্ছে যখন থেকে
- কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো ট্রলার ও জেলের মরদেহ
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: মুক্তির স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
- ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের মনোবিশ্লেষণমূলক পাঠ: একটি প্রজন্মের অবচেতনের বিস্ফোরণ
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা: কোন কোন সেবা পাবেন, কোনগুলো বন্ধ থাকবে
- হুয়াংহে নদীর তীরে এক মহাজাতির উত্থান: চীনা সভ্যতার আদিগন্ত ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টা: "জুলাই শহীদদের স্বপ্নই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তি"
- যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর সময় কাটানো নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- তালেবানের আফগানিস্তান: ধ্বংসস্তূপ থেকে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ
- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ‘জুলাই জাগরণ’-এ জনতার ঢল
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়