সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

২০২৫ জুলাই ৩০ ২১:৩৩:৩৬
সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট
ছবি: মেজর সিনহা।

সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রধান দুই আসামি—পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছয়জনের যাবজ্জীবন সাজাও বহাল রাখা হয়েছে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে র‌্যাবের তথ্যচিত্র নির্মাণে যাওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার আদালত প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।

গত ২ জুন হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের এই রায় বহাল রাখে। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ, জবানবন্দি ও পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল খারিজ করা হলো। তাদের ফাঁসির রায় ও অর্থদণ্ড বহাল রাখা হলো। একই সঙ্গে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের আপিলও খারিজ করা হয়েছে।’

যাদের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখা হয়েছে, তারা হলেন—বরখাস্ত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

তবে মামলায় খালাস পেয়েছেন বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত এএসআই লিটন মিয়া, বরখাস্ত এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আব্দুল্লাহ। তবে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড তাদের ক্ষেত্রে বহাল রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার ও মো. আসাদ উদ্দিন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, মো. মনসুরুল হক চৌধুরী, মো. শফিকুল ইসলাম রিপন, সারওয়ার আহমেদ, শুভ্রজিৎ ব্যানার্জি ও অন্যরা।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর সেটি পর্যালোচনা করে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরই মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায়ের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তাঁরা।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে র‌্যাব ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা হাইকোর্টেও বহাল রইল।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ