কিডনি সমস্যা: প্রাথমিক পাঁচটি লক্ষণ ও সতর্কতার প্রয়োজন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৫ ১২:২২:০৯
কিডনি সমস্যা: প্রাথমিক পাঁচটি লক্ষণ ও সতর্কতার প্রয়োজন

কিডনি কেবল একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নয়, এটি শরীরের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন, তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং লাল রক্তকণিকা উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। তবে কিডনি রোগ হঠাৎ নয়, ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণগুলো প্রায়শই অদৃশ্য বা অন্য কোনো রোগের সঙ্গে মিলতে পারে।

ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD) প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে তার অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব। নিচে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো, যা অনেক সময় উপেক্ষিত হলেও কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে:

১. দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ব্যর্থ হলে শরীরে টক্সিন জমা হয়, ফলে শক্তি কমে যায়। এরিথ্রোপয়েটিন হরমোনের অভাবে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, যা ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে।

২. প্রস্রাবে পরিবর্তন: প্রস্রাবের পরিমাণ, রঙ বা ঘনত্বে পরিবর্তন, রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ফেনিল বা রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব কিডনি সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

৩. পা, গোড়ালি ও মুখে ফোলা: কিডনি অতিরিক্ত তরল ও সোডিয়াম বের করতে না পারলে শরীরে ফোলাভাব দেখা দেয়। বিশেষ করে পা ও চোখের চারপাশে এটি স্পষ্ট হয়।

৪. ত্বকে চুলকানি বা পরিবর্তন: কিডনির সমস্যা থাকলে রক্তে বর্জ্য জমা হয়, যা ত্বকে চুলকানি বা রঙ পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৫. খাবারের ইচ্ছা কমে যাওয়া, মুখে ধাতব স্বাদ, বমিভাব: ইউরেমিক টক্সিন জমে মুখে অস্বস্তি, খাওয়া কমে যাওয়া এবং বমিভাব সৃষ্টি করতে পারে, যা প্রায়শই অন্য সমস্যার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হয়।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?

উপরোক্ত লক্ষণগুলোর মধ্যে একাধিক দেখা গেলে, বিশেষত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা পারিবারিক ইতিহাস থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রক্তে ক্রিয়াটিনিন, eGFR এবং প্রস্রাবে অ্যালবুমিন পরীক্ষা কিডনির কার্যক্ষমতা নির্ণয়ে সাহায্য করে।

কিডনি সুস্থ রাখার জন্য পরামর্শ

ডা. মোহিত খিরবত, কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজিস্ট, সি কে বীরলা হাসপাতাল, গুরগাঁও বলেন, “নিয়মিত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন ফল, শাকসবজি, কম সোডিয়াম ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত ব্যায়াম কিডনি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এসব অভ্যাস অপরিহার্য।”

সতর্কতা ও সঠিক পদক্ষেপে কিডনি রোগের জটিলতা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ