শুধুই গ্যাস নয়, বিদ্যুৎ খাতে আরও ৭ মারাত্মক সংকট!

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আটটি কাঠামোগত ও নীতিগত সংকটের কথা তুলে ধরেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে, এসব সংকটের মধ্যে রয়েছে—নিয়ন্ত্রক সংস্থার আর্থিক দুর্বলতা, গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থতা, ভুলভাবে জ্বালানির মূল্য সমন্বয় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরে গতি হ্রাস—যা সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংলাপে সিপিডির পক্ষ থেকে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সংলাপের মূল প্রতিপাদ্য ছিল—‘২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত’।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বক্তব্য দেন বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম, এবং সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা সহযোগী হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তি।
মূল প্রবন্ধে হেলেন মাশিয়াত বলেন, “তেল ও গ্যাসের মূল্য সমন্বয় যেভাবে করা হচ্ছে, তা প্রক্রিয়াগতভাবে ভুল। এতে দেশের আর্থিক খাতে নতুন চাপ তৈরি হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আটটি প্রধান সংকট আছে, যা কার্যকর নীতিমালার অভাব, সুশাসনের ঘাটতি এবং বাজেট কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় আরও জটিল হয়ে উঠেছে।”
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “বিগত সরকার বিপুল বিনিয়োগ করলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির গুণমানগত উন্নয়ন হয়নি। বরং সেবার পরিবর্তে লুটপাট, অপচয় ও সুশাসনের বড় ঘাটতি দেখা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা, এই দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “নীতিনির্ধারণে ভারসাম্য আনতে হবে, এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই রূপান্তরের পথে এগোতে হবে।”
প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ছিল—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ। কিন্তু বাজেটে তার প্রতিফলন নেই।
হেলেন মাশিয়াত বলেন, “আমরা এখনো প্রো-ফসিল ফুয়েল বাজেট বাস্তবায়ন করছি। এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট ছাড় থাকলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রণোদনা নেই। বরং বরাদ্দ কমেছে। এবারের বাজেটে মাত্র সাতটি প্রকল্পে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উল্লেখ রয়েছে, যা অগ্রগতির ইঙ্গিত দিলেও বরাদ্দ অপ্রতুল। ঘোষিত ৭০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলও পর্যাপ্ত নয়।”
খাদের কিনারা থেকে এইচডিইউ: অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা জানালেন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, গত এক বছরে দেশের অর্থনীতি ‘খাদের কিনারা’ থেকে ‘আইসিইউ’ হয়ে বর্তমানে ‘হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)’ অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারের এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশের অর্থনীতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে—এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি এখনো ‘কেবিনে’ ফেরার পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তার ভাষায়, “গরিব দেশের অর্থনীতি কেবিনে ফিরবে না; পেয়িং বেড বা সাধারণ ওয়ার্ডে ফিরবে, তারপর বাড়ি যাবে।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যে অর্থনীতি ‘ওয়ার্ডে’ ফেরার মতো সুস্থ অবস্থায় পৌঁছাবে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থনীতিতে কিছু মৌলিক সংস্কার করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংস্কার কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনীতিবিদদের বলেছি, এসব সংস্কার কার্যক্রমে যদি তোমরা বাধা দাও, তাহলে এর দায় তোমাদের সরকারের ওপর পড়বে।”
/আশিক
বাণিজ্য উপদেষ্টার আশা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমবে দ্রুতই
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার জন্য সরকারের সব পক্ষ থেকে যৌথ প্রচেষ্টা চলছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার আগে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল এ মাসের শেষে চুক্তির খসড়া তৈরি করবে বলে জানা গেছে।
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই আমদানি উন্মুক্ত করা হবে। যে দেশে সস্তায় পেঁয়াজ পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই আমদানি আনা হবে বলে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান।
পাটপণ্য রপ্তানিতে ভারতের নতুন বিধিনিষেধের প্রভাব লক্ষ্যণীয় হবে না বলেও তিনি জানান। যদিও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ঘাটতির বিষয়টি বিদ্যমান, ব্যবসায়ীরা তা মোকাবিলা করছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়নের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে, তবে এখনো সাড়া মেলেনি।
এসব কথা তিনি মঙ্গলবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান।
/আশিক
পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শিগগিরই আমদানি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং বিশ্বের যে কোনও দেশ থেকে সস্তায় পেঁয়াজ আনা হবে।
পাটপণ্য রপ্তানিতে ভারতের নতুন বিধিনিষেধের বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা দেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে কিছু ঘাটতি থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মোকাবিলা করছে এবং বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগের প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হলেও এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
/আশিক
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নতুন জাহাজ
সরকার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি থেকে ৫৫-৬৬ হাজার ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ধারণক্ষমতার দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাহাজ দুটি কিনতে ব্যয় হবে ৯৩৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, যা রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে প্রদান করা হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘দুটি জাহাজের প্রতিটি ৫৫-৬৬ হাজার ডিডব্লিউটি সম্পন্ন বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ অর্জন’ প্রকল্পের আওতায় এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক দর আহ্বান করা হয়। এতে তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব জমা দেয়। কারিগরি মূল্যায়নে দুটি প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। মূল্যায়ন শেষে টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটির (টিইসি) সুপারিশে যুক্তরাষ্ট্রের হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়। চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী ৭৬.৬৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৩৫ কোটি টাকা) এই জাহাজ দুটি কেনা হবে।
এছাড়া অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিআইডব্লিউটিএ’র বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১’–এর (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনাল ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণ) অবশিষ্ট কাজ সরকারি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়া প্যাকেজগুলোর মধ্যে রয়েছে বিআরডব্লিউটিপি-ডব্লিউ২-০১, বিআরডব্লিউটিপি-ডব্লিউ৩-০১ এবং বিআরডব্লিউটিপি-ডব্লিউ১-০২।
/আশিক
আসছে বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত নতুন ১০০ টাকার নোট
আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে বাজারে নতুন নকশার ১০০ টাকার নোট চালু হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই নোটে দশটি বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে, যা জানা থাকলে সহজেই আসল ও নকলের পার্থক্য বোঝা যাবে।
নতুন নোটের সামনের ডান কোনায় মুদ্রিত ‘১০০’ সংখ্যাটি রঙ পরিবর্তনশীল, অর্থাৎ নাড়াচাড়া করলে এটি সোনালি থেকে সবুজ রঙে বদলে যাবে। বাম দিকে লাল ও উজ্জ্বল রূপালি রঙের নিরাপত্তা সুতা রয়েছে, যা নাড়ালে লাল থেকে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হবে। এছাড়াও নোটটিতে তিনটি ছোট বৃত্ত রয়েছে, যা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে অসমতল অনুভূত হবে। গভর্নরের স্বাক্ষরের ডান পাশে আছে অদৃশ্য ‘১০০’ লেখা, যা শুধুমাত্র আলোর বিপরীতে থাকলে চোখে পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক নুরুন্নাহার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন এই নোট ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নকশা ও সিরিজের অংশ। এই সিরিজের মধ্যে নতুনভাবে ৫০০, ২০০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোট বাজারে আসবে। এর আগে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে।
নোটটির ডিজাইনেও বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সামনের দিকের বামে ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি স্থান পেয়েছে। মাঝখানে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত শাপলার চিত্র ও পেছনে সুন্দরবনের মনোরম দৃশ্য ফুটে উঠেছে। জলছাপে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখের ছাপ যুক্ত রয়েছে, যা নোটটিতে সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা দুইই যোগ করেছে।
/আশিক
আজকের স্বর্ণের দাম তালিকা এক নজরে
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে গেলেও দেশের বাজারে এখনো সেই প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কর্তৃক নির্ধারিত সর্বশেষ দামে আজ সোমবারও (১১ আগস্ট) দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। বাজুস জানিয়েছে, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিয়মিত দাম সমন্বয় করা হলেও বর্তমানে স্থিতিশীল দাম বজায় রাখা হয়েছে, যাতে ক্রেতারা হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির চাপ অনুভব না করেন।
বর্তমান স্বর্ণের দাম (প্রতি ভরি, ১১.৬৬৪ গ্রাম)
২২ ক্যারেট: ১,৭১,৬০১ টাকা
২১ ক্যারেট: ১,৬৩,৭৯৮ টাকা
১৮ ক্যারেট: ১,৪০,৪০০ টাকা
সনাতন পদ্ধতি: ১,১৬,১২৭ টাকা
স্বর্ণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫% ভ্যাট এবং বাজুসের নির্ধারিত ন্যূনতম ৬% মজুরি যোগ হবে। তবে গহনার মান, ডিজাইন, ও কারিগরি জটিলতার ওপর ভিত্তি করে মজুরির হার পরিবর্তিত হতে পারে।
বাজুস সর্বশেষ ২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে। তখন ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরি দাম ছিল ১,৭৩,১৭৫ টাকা। বর্তমান দামে তা সামান্য কমে এসেছে এবং তারপর থেকে আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেলেও স্থানীয় বাজারে তা প্রতিফলিত হয়নি, যা মূলত ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে।
রুপার বর্তমান দাম (প্রতি ভরি)২২ ক্যারেট: ২,৮১১ টাকা
২১ ক্যারেট: ২,৬৮৩ টাকা
১৮ ক্যারেট: ২,২৯৮ টাকা
সনাতন পদ্ধতি: ১,৭২৬ টাকা
রুপার মূল্যও অপরিবর্তিত রয়েছে, যা অলংকার ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য স্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ক্রেতাদের জন্য নির্দেশনা
বাজুস ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর উভয়েই পরামর্শ দিয়েছে, স্বর্ণ বা রুপা কেনার সময় অবশ্যই বিক্রয় রসিদ নিতে হবে এবং মান পরীক্ষার মাধ্যমে খাঁটি পণ্য কিনতে হবে। এতে ক্রেতারা প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত থাকবেন এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে দাবি-দাওয়ার ক্ষেত্রে প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারবেন।
টাকা ছাপানো ও বণ্টনে বিপুল খরচ, ক্যাশলেস লেনদেন বাড়াতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, প্রতিবার টাকা ছাপানো, পরিবহন ও বণ্টনে দেশ ব্যাপক অর্থ ব্যয় করে। তিনি জানান, প্রতিবছর এই কাজে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার খরচ হয়। তাই নগদ অর্থের ব্যবহার কমিয়ে ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, টাকা ছাপানো, সংরক্ষণ ও বণ্টনে যে বিপুল খরচ হয় তা কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন জনপ্রিয় করতে নীতিগত সহায়তা ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামো গড়ে তুলছে।
রোববার রাজধানীর গুলশানে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কিউআর কোড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে, যা ব্যবসায়ী ও গ্রাহক উভয়ের জন্য লেনদেনকে দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছ করবে। এর ফলে নগদ অর্থের ব্যবহার কমে রাষ্ট্রের খরচও কমে যাবে।
গভর্নর স্মার্টফোনের গুরুত্বেও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য সবার স্মার্টফোন থাকা জরুরি। এজন্য দাম কমিয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের স্মার্টফোন বাজারে আনার চেষ্টা চলছে, যাতে সবাই স্মার্টফোনের আওতায় আসতে পারে। এছাড়া ইন্টারনেটের দাম কমানো এবং সেবার মান উন্নত করাও প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংলাপে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংক খাতে সংস্কারসহ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা রপ্তানি খাতকে শক্তিশালী করেছে এবং বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করেছে। তবে বিদেশি বিনিয়োগ না আসা, কর্মসংস্থানের অভাব এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি না হওয়া উদ্বেগজনক বিষয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অনেকে।
/আশিক
তেলের বাজারে জুনের পর সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক পতন
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম শুক্রবার (৮ আগস্ট) তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও, পুরো সপ্তাহে জুনের পর সবচেয়ে বড় পতন রেকর্ড হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, শুল্ক বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ এই পতনের প্রধান কারণ। খবর রয়টার্স।
শুক্রবার লেনদেন শেষে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৬ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ দশমিক ৫৯ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম অপরিবর্তিত থেকে ৬৩ দশমিক ৮৮ ডলারে স্থির থাকে। তবে সাপ্তাহিক হিসেবে ব্রেন্টের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৫ দশমিক ১ শতাংশ।
দিনের শুরুর দিকে মার্কিন তেলের দাম ১ শতাংশের বেশি হ্রাস পায় ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনের পর। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানের পথে এগোচ্ছে এবং একটি প্রস্তাবিত চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া কিছু দখলকৃত অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এই সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে এবং রাশিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে। তবে একই সঙ্গে রাশিয়ান তেলের ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবিষয়ক বিরোধও তীব্র হচ্ছে। ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকলে তাদের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে। একই ধরনের পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে চীনের ক্ষেত্রেও।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার একাধিক দেশের আমদানি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতি ও তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার নতুন আশঙ্কা তৈরি করেছে।
এদিকে, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক ৫ লাখ ৪৭ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বাড়ানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রেও সক্রিয় তেল রিগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১১-এ।
এফজিই নেক্সান্টইসিএর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ওপেক প্লাসের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কার্যকর হওয়ার ফলে বাজারে আবারও নেতিবাচক মনোভাব ফিরে এসেছে।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান স্টিফেন মিরানকে ফেডারেল রিজার্ভের শূন্য পদে মনোনীত করেছেন। এতে সুদের হার কমার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও তেলের চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
শুক্রবার ডলারের মান কিছুটা বেড়েছে, যদিও সপ্তাহজুড়ে তা নিম্নমুখী ছিল। ডলারের মান বৃদ্ধি পেলে বিদেশি ক্রেতাদের জন্য ডলারে নির্ধারিত তেলের দাম বেড়ে যায়, ফলে চাহিদা কমতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা তেলের ফিউচার ও অপশন বাজারে তাদের নেট লং পজিশন হ্রাস করেছেন।
/আশিক
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছুঁলো নতুন উচ্চতা
রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহে দীর্ঘমেয়াদি চাপ ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ইতিবাচক পথে ফিরছে। এই অগ্রগতি অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করছে এবং মুদ্রাবাজারের স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (BPM-6) অনুযায়ী নিট রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে ২০২৪ সালের আগস্টের শুরুতে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং নিট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে যা গত দশ বছরের মধ্যে অন্যতম নিম্নতম অবস্থান ছিল এবং আমদানিতে তীব্র চাপ সৃষ্টি করেছিল।
রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল কারণ
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবৃদ্ধি মূলত দুই খাতের ইতিবাচক প্রভাবের ফল—
রেমিট্যান্স প্রবাহ: মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরা নিয়মিতভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডি কার্যক্রম হ্রাস পাওয়ায় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আরও বেড়েছে।
পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি: তৈরি পোশাক (RMG) খাতের সঙ্গে কৃষিপণ্য, চামড়া এবং হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানিতে স্থায়ী প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন বাজারে প্রবেশ এবং ইউরোপে পোশাকের চাহিদা এ খাতকে আরও শক্তিশালী করছে।
বর্তমানে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার, যা মাসিক গড় সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরে তিন মাসেরও বেশি সময়ের জন্য যথেষ্ট। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে— সেই হিসেবে বাংলাদেশ এখন তুলনামূলকভাবে স্বস্তিকর অবস্থানে আছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রিজার্ভ বৃদ্ধির ফলে টাকার মানের ওপর চাপ কমবে, ডলার বাজারে স্থিতি ফিরে আসবে এবং ব্যবসায়ী মহলে আস্থা বাড়বে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছেন, কেবল রিজার্ভ বৃদ্ধি নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য রপ্তানি খাতকে বহুমুখী করা, প্রবাসী আয়ের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। ডলার সরবরাহ বাড়ায় আমদানি ব্যয় নির্বিঘ্নে মেটানো যাচ্ছে এবং বাজারে অস্থিরতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।”
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর
- বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে: মির্জা ফখরুল
- অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই মানহানি মামলা: সারজিস
- বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশের ৩৩১টি সংগঠন নিবন্ধিত
- আগামীকাল জানাজার ঘোষণা দিলেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম
- আইপিএলে দল কেনার ব্যাপারে মুখ খুললেন সালমান খান
- মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া দায় স্বীকার করলেন
- মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিশন ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাবে
- নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কড়া মন্তব্য
- ‘জনগণের মন জয় করতে পারলেই সফলতা’ — মির্জা ফখরুল
- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ভিপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা
- ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে মুখ খুললেন দেব, রাজ-রুক্মিণীর কাছে ক্ষমা চাইলেন
- খাদের কিনারা থেকে এইচডিইউ: অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা জানালেন উপদেষ্টা
- আন্দোলনের ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, তারপর যা ঘটল…
- কিশোরগঞ্জের নিকলীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষ
- কুষ্টিয়ায় বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানদারের কান কামড়ে ছিঁড়ে দিলো যুবক
- মাত্র ৭ বছরে ৮৮ দিনে কোরআন হিফজ করলো নবীনগরের ফাহিম
- আদালতে আবেগঘন কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর
- বাণিজ্য উপদেষ্টার আশা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমবে দ্রুতই
- খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
- মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
- গাজায় তুরস্কের সর্বাত্মক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান
- সম্মতি ছাড়া ৫ মিনিট ধরে চুমু, শুটিং সেটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা
- তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ
- ড. ইউনূস সরকার চালাচ্ছেন শেখ হাসিনার পরামর্শে: রাশেদ খাঁন
- গোপন চুক্তিতে ২২শ কোটি টাকার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছিল আ.লীগ সরকার
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ
- মাইলস্টোনে কোচিং বন্ধ ও বিধ্বস্ত দিনের সিসি ফুটেজ দেখার দাবিতে মানববন্ধন
- পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে দরপতন হওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নতুন জাহাজ
- আরাফাত রহমান কোকো ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ’ দাবি রিজভীর
- ‘ট্রেন ছাড়ার পর ওঠা সম্ভব নয়’—শেখ হাসিনা মামলা প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল
- খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে ঢাকায় আইনজীবীদের মিছিল
- সারজিস আলমের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
- ৫০% শুল্কে বিপর্যস্ত ভারতীয় চিংড়ি শিল্প
- ভারতের ওপর ৫০% শুল্ক, মস্কোর জন্য ‘বড় আঘাত’ যেভাবে
- দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন জামায়াত প্রধান
- প্রথমবার বাংলাদেশে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
- আমির খানের বিরুদ্ধে ভাই ফয়সালের বিস্ফোরক অভিযোগ
- ৪৬ বছরের পুরনো বিরোধে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বড় জয়
- চিটাগং কিংস মালিকের বিরুদ্ধে বিসিবির লিগ্যাল নোটিশ
- দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নওগাঁ বিএনপির শীর্ষে নতুন নেতৃত্ব
- ড. ইউনূস–আনোয়ার বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া নতুন চুক্তি
- সাদা পাথর লুটের অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ বিএনপি সভাপতির পদ স্থগিত
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- ১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়
- ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়
- ৪৭২ কোটি আয়ের ‘সাইয়ারা’ সিনেমার নায়ক-নায়িকার পারিশ্রমিক যত
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- যশোরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ