ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ

যুদ্ধবিরতির পরও উত্তেজনা, নেতানিয়াহুর জয় ঘোষণায় খেপেছেন ট্রাম্প?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৫ ১২:৪২:২১
যুদ্ধবিরতির পরও উত্তেজনা, নেতানিয়াহুর জয় ঘোষণায় খেপেছেন ট্রাম্প?

ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, ইসরায়েল এমন এক "ইতিহাস গড়া বিজয়" অর্জন করেছে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বুধবার (২৫ জুন) টাইমস অব ইসরায়েল-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল দুটি বড় অস্তিত্ব সংকটের হুমকি দূর করেছে—একটি ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মাধ্যমে ধ্বংসের সম্ভাবনা, অন্যটি ২০ হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি। তাঁর ভাষায়, “যদি এখনই পদক্ষেপ না নিতাম, ইসরায়েলের ধ্বংস অনিবার্য ছিল।”

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক হামলা ছিল ইসরায়েলি কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই ফল, যার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি ও কৌশল বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার। এই হামলায় ইরানের ফোর্ডো ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ধ্বংস হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করে নেতানিয়াহু বলেন, “ইসরায়েলের ইতিহাসে হোয়াইট হাউজে কখনও এমন বন্ধু ছিল না।”

এছাড়া, নেতানিয়াহু জানান, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কর্মসূচি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এবং এই হামলা ইসলামি শাসনব্যবস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আঘাত। তাঁর বক্তব্য, “আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নালায় পাঠিয়ে দিয়েছি। ইরান যদি আবার তা শুরু করে, তবে আগের চেয়েও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, এখন ইরানের পতিত অক্ষ ভেঙে ফেলে শান্তি ও সমৃদ্ধির নতুন অক্ষ তৈরি করবে ইসরায়েল।

তবে নেতানিয়াহুর এই আত্মপ্রশংসামূলক বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি খুশি নই যে ইসরায়েল এই ধরনের কাজ করছে। এই লোকদের একটু শান্ত হওয়া উচিত। এটা হাস্যকর।” তিনি ইরানের একটি ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, “তাদের প্রতিক্রিয়া এত তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত হয়নি।”

সূত্র জানায়, এরপর একটি ফোনালাপে ট্রাম্প কঠোর ভাষায় নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেন যেন যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ না হয়—even যদি ইরান তা করে। একইদিন ইসরায়েল ভোরবেলা যুদ্ধবিরতির আগে তেহরানের কেন্দ্রে বড় ধরনের হামলা চালায়। এতে শতাধিক ইরানি নিরাপত্তা সদস্য নিহত হয়।

এর আগে ইরান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে—একটি বেয়ারশেভায় চারজন ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যা করে। সকাল ৭টা ৬ মিনিট ও ১০টা ২৫ মিনিটে আরও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যার মধ্যে কিছু বাধাগ্রস্ত হয়, আবার কিছু খোলা জায়গায় পড়ে। জবাবে ইসরায়েল তেহরানের নিকটে একটি রাডার ঘাঁটি ধ্বংস করে।

তবে ট্রাম্প নিহত ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রসঙ্গ তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেননি। এ সময় তিনি ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশ্যে হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করেন।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

আমেরযত কাহিনি

আমেরযত কাহিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ‘আম’ শুধু একটি ফল নয়, বরং এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত এক... বিস্তারিত