চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ধরা পড়ল ‘ধোঁয়ার ব্যাগ’!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২২ ১৬:০৩:২৯
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ধরা পড়ল ‘ধোঁয়ার ব্যাগ’!

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট এক্সেসরিজ জব্দ করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (NSI) সদস্যরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (২২ জুন) ভোরে আবুধাবি থেকে আগত একটি ফ্লাইটের এক যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে এসব সামগ্রী জব্দ করা হয়।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে—২০টি ইলেকট্রিক সিগারেট ডিভাইস, ৪৯০টি রিফিল লিকুইড, ২৮০টি কার্টিজ এবং ৩০টি কয়েল। আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যার মধ্যে শুধু রিফিল লিকুইডের মূল্য প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকার মতো।

জানা গেছে, যাত্রীটি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এ বিষয়ে প্রকৌশলী খলিল বলেন, “গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন যাত্রীকে চিহ্নিত করে ব্যাগ তল্লাশি চালানো হয় এবং বিপুল পরিমাণ ই-সিগারেট সামগ্রী জব্দ করা হয়। এটি আমাদের নিয়মিত নজরদারির একটি সফল উদাহরণ।”

প্রথমবারের মতো এমন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় প্রাথমিকভাবে যাত্রীকে আইন অনুযায়ী সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং জব্দকৃত সামগ্রী ‘ডিপার্টমেন্টাল ম্যাটার’ (DM) হিসেবে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে ই-সিগারেট আমদানি, বিপণন ও বিক্রয় নিয়ে একাধিকবার নীতিমালার আলোচনায় আসলেও এখনো তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত নয়। এ ধরনের পণ্য জব্দের ঘটনা দেশীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারির বিষয়টিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।


দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২২:০৫:৫৭
দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও
ছবি: সংগৃহীত

কোটি কোটি টাকার পাথর লুটের পর সিলেটের দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর এখন প্রায় কংকালসারে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা বহাল তবিয়তে থাকলেও সেখানে শুধু নেই পাথর। এমন ঘটনার পর স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তীব্র জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনা স্থানীয় ইস্যুকে ছাড়িয়ে সবার মুখে মুখে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং জনরোষের পরিপ্রেক্ষিতে লুট হওয়া কিছু পাথর কুড়িয়ে এনে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা চলছে। তবে সর্বস্তরের সিলেটবাসী এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছেন—এত বড় রাষ্ট্রীয় সম্পদ জঘন্যভাবে খেয়ানতের দায় কার?

আইনবিদরা একবাক্যে বলছেন, এ সংক্রান্ত দায়ের করা মামলাতেই মূল অপরাধীদের আড়াল করা হয়েছে। সাদাপাথরের ঘটনাকে ঘিরে যখন তুমুল সমালোচনা, তখন সমালোচনার শীর্ষে থাকা দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ এবং কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার। ইউএনও আজিজুন্নাহারকে ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

আইনবিদদের মতে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ মানেই জনগণের সম্পদ। এই সম্পদের সুরক্ষার জন্য ধাপে ধাপে বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা রয়েছেন। শত শত নৌকা ও ট্রাক ব্যবহার করে কয়েকশ কোটি টাকার পাথর লুট করা হলেও দায়িত্বশীলরা কী করছিলেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

পাথর লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন আইনজ্ঞরা। তারা দাবি করছেন, এই মামলাতেও মূল অপরাধীদের কৌশলে আড়াল করা হয়েছে। আইনবিদ এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম বলেন, এত বড় বিপর্যয়ের দায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

অপর আইনজ্ঞ শহিদুজ্জামান বলেন, দুই হাজার জনকে আসামি করে মামলা হলে কী হবে, যখন আইনের দৃষ্টিতে মূল অভিযুক্তদের কৌশলে রেহাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের গ্রামপুলিশ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ, ইউনিয়ন তহশিল অফিস থেকে এসিল্যান্ড এবং ইউএনও থেকে জেলা প্রশাসন পর্যন্ত সবাই এই লুটের দায় এড়াতে পারেন না।

গত ১৫ আগস্ট খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আনোয়ারুল হাবীব এই ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-এর সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার বলেন, এই মামলার অভিযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম দেখানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের এই ঘটনায় প্রকৃত অভিযুক্ত দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সিলেট জেলা সদস্য সচিব আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, মেঘালয়ের খাসি হিল থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর উত্তাল ঢল সামলাত নদীর দুই তীরের পাথরের প্রাকৃতিক গাইড ওয়াল, যা এখন চোর ও লুটেরারা নিয়ে গেছে। এর দায় সংশ্লিষ্টরা কেন নেবেন না?

পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, সাদাপাথর লুটের ঘটনায় শুধু পাথরের ক্ষতি নয়, এর ফলে পরিবেশ, ভূ-প্রকৃতি এবং সিলেটের পর্যটনেরও বিরাট ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ ও ইউএনও আজিজুন্নাহারের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠার পর তাদের দু'জনকেই বদলি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, ইউএনও আজিজুন্নাহার একজন পাথর লুটেরার সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন এবং মাসোহারা নিতেন। এর আগে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানও সাদাপাথর লুটে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশের অভিযোগ করেছিলেন।

সিলেটের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. সারওয়ার আলম। নতুন কোম্পানীগঞ্জ ইউএনও হিসেবে এসেছেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

/আশিক


১১ বগি রেখেই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করল মহানগর এক্সপ্রেস

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২১:৩৭:২২
১১ বগি রেখেই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করল মহানগর এক্সপ্রেস
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন পেছনের ১১টি বগি ছাড়াই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করেছে। আজ সোমবার আশুগঞ্জ স্টেশনের পূর্ব পাশে বৈকুণ্ঠপুর নামক এলাকায় ট্রেনটির বগিগুলো আলাদা হয়ে যায়। এরপর সামনের ৫টি বগি নিয়ে আশুগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাস্টার মো. শাকির জাহান, তালশহর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুর রাশেদ এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) কে এম শাহীনূর ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

রেলওয়ে ও যাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর স্টেশন অতিক্রম করে। আশুগঞ্জ স্টেশনের পূর্ব পাশে বৈকুণ্ঠপুর এলাকা পার হওয়ার সময় ট্রেনটির ১১টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বগিগুলো রেখে ট্রেনটি মাত্র ৫টি বগি নিয়ে আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করে। এরপর ট্রেনটি দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুতে ওঠার সময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট রেলপথের আপলাইনে (ঢাকাগামী) ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, মহানগর গোধূলি আখাউড়ায় এবং কর্ণফুলী এক্সপ্রেস তালশহর স্টেশনে আটকা পড়ে।

এদিকে, আখাউড়া থেকে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী ট্রেনের ইঞ্জিন দিয়ে পড়ে থাকা ১১টি বগি আশুগঞ্জ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে।

/আশিক


পাঠ্যবইয়ের বদলে রাজনৈতিক বই: ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুড়িয়ে দিলেন ৩০০ গ্রন্থ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২১:২৭:৫১
পাঠ্যবইয়ের বদলে রাজনৈতিক বই: ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুড়িয়ে দিলেন ৩০০ গ্রন্থ
ছবি : কালের কণ্ঠ

বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসংক্রান্ত তিন শতাধিক বই পুড়িয়ে দিয়েছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী বইগুলো একত্র করে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে মুহূর্তের মধ্যে বইগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, পুড়িয়ে ফেলা বইগুলো ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা জীবনী, গবেষণা ও রাজনৈতিক ইতিহাসভিত্তিক।

শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সারা দেশ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনাসহ স্বৈরাচারী শাসনের সব স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার নির্দেশনা ছিল। তাদের শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন যে, লাইব্রেরি থেকে সব বই সরিয়ে ফেলা হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার্থীরা দেখেছে যে সেগুলো এখনো বিদ্যমান। তাই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি থেকে বইগুলো এনে পুড়িয়ে ফেলেছেন। তারা অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এবং লাইব্রেরিতে পাঠ্যবইয়ের সংকটের মধ্যেও রাজনৈতিক বই দিয়ে তাক ভরে রাখা হয়েছে, যা তাদের কোনো কাজে আসে না।

এ বিষয়ে বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিল চন্দ্র কির্তুনিয়া বলেন, ‘আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি, বই অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে সাবেক অধ্যক্ষ আমাকে জানিয়েছিলেন যে বইগুলো আলাদা করে বেঁধে লাইব্রেরির মধ্যে পরিত্যক্ত স্থানে রাখা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা আমাদের জানালে হয়তো কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সরিয়ে ফেলা যেত।’

/আশিক


ভাগ্য খুললো জেলের: ১.৮৮ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হলো রেকর্ড দামে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২০:১৯:১৫
ভাগ্য খুললো জেলের: ১.৮৮ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হলো রেকর্ড দামে
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এক জেলের জালে এক কেজি ৮৮০ গ্রাম ওজনের একটি বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছটি পাঁচ হাজার ৮৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে কুয়াকাটা মেয়র বাজারে এই মাছটি উন্মুক্ত ডাকে বিক্রি করেন বরগুনার পাথরঘাটা এলাকার জেলে বাবুল মাঝি।

বাবুল মাঝি জানান, সকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন গঙ্গামতি শেষ বয়া এলাকায় মাছটি তার জালে ধরা পড়ে। পরে মাছটি কুয়াকাটা মেয়র বাজারে নিয়ে এলে ‘রাসেল ফিশ’-এর মাধ্যমে নিলামে তোলা হয়। এক লাখ ২৫ হাজার টাকা মণ (প্রতি কেজি ৩,১৩৫ টাকা) দরে মাছটি কিনে নেন ‘সানজিদা ফিশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মৎস্য ব্যবসায়ী রফিক পাটোয়ারী।

রফিক পাটোয়ারী বলেন, ‘বিশেষ করে উপকূলের এই জেলেদের মাছগুলো গভীর সমুদ্রের নয়, তাই স্বাদ বেশি। এজন্য দামও একটু বেশি। গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি এমন বড় মাছ উঠেছে। বাজারে এগুলো বেশ ভালো দামে বিক্রি হয়েছে।’

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘বড় ইলিশ মূলত জেলেদের জন্য সুখবর বয়ে আনে। গভীর সমুদ্রের জেলেদের পাশাপাশি উপকূলের জেলেরাও এখন বড় ইলিশ পাচ্ছেন। ইলিশের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে, তখন দামটা আরও কমে আসবে।’

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট একই এলাকায় সুনু গাজী নামের এক জেলের জালে এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ধরা পড়ে, যা পাঁচ হাজার ৬২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া, রোববার (১৭ আগস্ট) নাসির মাঝি নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছিল এক কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ।

/আশিক


জাতির পিতা’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কৃত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১৯:৩৩:০৩
জাতির পিতা’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কৃত
ছাত্রদল নেতা জামিউল ইসলাম রাকিব। ছবি : কালবেলা

নেত্রকোণায় এক ছাত্রদল নেতাকে তার ফেসবুক পোস্টে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ দাবি করায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ইসহাক আহমেদ অন্তর মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১৭ আগস্ট) জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান পাঠান (প্রান্ত) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা শামীম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। একই সঙ্গে ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অন্তরের সাথে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট ইসহাক আহমেদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা দাবি করে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জন্ম অথবা মৃত্যুর কোনো বিশেষত্ব নেই, মুখ্য হলো মানুষের হৃদয় জয় করা...। শুভ জন্মদিন দেশ মাতা, বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির পিতা...।’

এই পোস্টটি নজরে এলে ১৭ আগস্ট জেলা ছাত্রদল তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর কারণ দর্শাতে বলা হয়। তবে ইসহাক আহমেদ দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উল্টো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে স্বেচ্ছায় দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা জানান। এর পরপরই তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে বহিষ্কৃত ইসহাক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার ব্যক্তিদর্শন, মুক্তচিন্তা, অহিংসা, ভিন্নমত পোষণ করার মানসিক ভাবনাটা যদি হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অর্পিত দায়িত্বের অবহেলা তবে আমি আমার সব রাজনৈতিক পদ পদদি ও দায়িত্বের জায়গা হতে সেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। যাদের আত্মত্যাগ, সুযোগ্য নেতৃত্ব ও পাহাড়সম নিরলস প্রচেষ্টায় আজকের বাংলাদেশ। তারা যে কোনো দলের, ধর্মের, বর্ণের,জাতির, শ্রেণির, অঞ্চলের তাদের সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা বহমান... আমি আমার অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পাশে, দলের পাশে, নির্যাতিত মানুষের পাশে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও থাকব... ইনশাআল্লাহ্।’

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামিউল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এমন পোস্ট সে করতে পারে না। এটি দলের আদর্শ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করার পর বিনয়ের সাথে জবাব দেওয়ার দরকার ছিল। জবাব না দিয়ে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে। ফলে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত।’

/আশিক


পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে: ৭ মাসে ৩৬৩ ঘটনা, স্বামীর হাতেই ১৩৩ নারী খুন!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১৮:০১:৫৫
পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে: ৭ মাসে ৩৬৩ ঘটনা, স্বামীর হাতেই ১৩৩ নারী খুন!
সৈয়দা ফাহমিদা তাহসিন (কেয়া) ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ভালোবেসে এক যুগ সংসার করার পর চার সন্তানের জননী সৈয়দা ফাহমিদা তাহসিনের (কেয়া) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ফাহমিদার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী সিফাত আলী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন এবং পরে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনায় ফাহমিদার মা নাজমা বেগম সিফাতসহ ১০ জনকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে দেশে ৩৬৩টি পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০৮ জন নারী ও শিশু হত্যার শিকার হয়েছে এবং ১১৪ জন আত্মহত্যা করেছেন। আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারী হত্যার ঘটনা ঘটেছে স্বামীর হাতে—১৩৩ জন। এছাড়া স্বামীর পরিবারের সদস্যদের হাতে ৪২ জন এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের হাতে ৩৩ জন হত্যার শিকার হয়েছেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নারী সুরক্ষা হেল্পলাইন ‘১০৯’-এর তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার ৪৮ হাজার ৭৪৫ জন নারী সহায়তা চেয়ে কল করেছেন। একই ধরনের তথ্য দিয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’। তাদের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত নারী নির্যাতনের বিষয়ে ১৭ হাজার ৩৪১টি কল এসেছে, যার মধ্যে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে ৯ হাজার ৭৪৬টি। এসব কলের মধ্যে ৯ হাজার ৩৯৪টি অভিযোগ ছিল শুধু স্বামীর বিরুদ্ধে।

‘চুলায় ছিল রান্নার আয়োজন’

নিহত ফাহমিদার ফুফা মো. শামসুদ্দোহা খান প্রথম আলোকে জানান, ফাহমিদা তার চার সন্তানের কথা ভেবে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা হলো। ফাহমিদার বড় সন্তানের কাছ থেকে তারা জানতে পেরেছেন, ১৩ আগস্ট মধ্যরাতে রান্না করার সময় সিফাত বাইরে থেকে ফিরে এসে ফাহমিদাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে রাত প্রায় ২টার দিকে সিফাত ফাহমিদার পরিবারকে ফোন করে জানান যে, ফাহমিদা অসুস্থ। হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ফাহমিদা আর বেঁচে নেই। সিফাত তখন দাবি করেন, ফাহমিদা আত্মহত্যা করেছেন। এরপর তিনি সন্তানদের বোনের বাসায় রেখে নিজেদের বাসা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান।

শামসুদ্দোহা খান বলেন, পরে পুলিশ নিয়ে তারা তালা ভেঙে শেওড়াপাড়ার বাসায় ঢুকে দেখেন, রান্নাঘরে রান্নার আয়োজন করা ছিল, এমনকি চুলায় হাঁড়িতে মাংসও বসানো ছিল। চার সন্তানকে রেখে রান্না চলা অবস্থায় আত্মহত্যা করাটা তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তিনি আরও জানান, মামলা দায়ের করতে তাদের বেগ পেতে হয়েছে এবং তারা ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সন্দিহান। তাদের জানা মতে, এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ এই মামলা নিয়ে কাজ করছে এবং তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। খুব শিগগির রহস্য উন্মোচন হবে এবং প্রধান আসামি সিফাতকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে মামলা দায়ের করতে বেগ পাওয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

প্রতিবেদনে আরও দুটি পারিবারিক সহিংসতার ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে:

সিলেটে স্ত্রীর লাশ পুকুরে: গত ১৮ জুন সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্বামী আনু মিয়া তার স্ত্রী সাবিনা বেগমকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেন।

নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী ও সন্তানসহ তিনজনকে হত্যা: গত এপ্রিলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াছিন আলী পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী, সন্তান ও স্ত্রীর বড় বোনকে গলা কেটে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

‘নির্যাতনমূলক সম্পর্ক থেকে বের হতে হবে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল আই খান মনে করেন, পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি এবং আইন প্রয়োগে দুর্বলতার কারণে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, নারীদের অবশ্যই নির্যাতনমূলক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া জরুরি। শাস্তির ভয় থাকলে নির্যাতন কম হয়।


রামেকের ‘ভূতুড়ে শিক্ষক’: ক্লাস না করেও ১০ বছর ধরে বেতন তুলছেন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১৭:৫৩:৫৫
রামেকের ‘ভূতুড়ে শিক্ষক’: ক্লাস না করেও ১০ বছর ধরে বেতন তুলছেন
অভিযুক্ত ডা. মাহফুজুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ডেন্টাল ইউনিটের প্রভাষক ডা. মাহফুজুর রহমান। শিক্ষার্থীরা শুনেছেন—তাদের বিভাগে একজন প্রভাষক আছেন। কিন্তু সেই শিক্ষককে কেউ কখনো ক্লাসরুমে দেখেননি, লেকচারও শোনেননি। অথচ সরকারি রেকর্ডে তিনি নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন, আর প্রতি মাসেই তুলছেন বেতন-ভাতা।

জানা গেছে, পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট বিভাগের প্রভাষক ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলেজে অনুপস্থিত থেকেও সরকারি ভাতা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি প্রতিদিন সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারে আঙুল রাখেন। এরপর তিনি আর ক্লাসে না গিয়ে সরাসরি চলে যান রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ের পাশে তার ব্যক্তিগত চেম্বার ‘ডেন্টাল এইড’-এ। সন্ধ্যা নামার আগে আবার কলেজে ফিরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ‘অফিস ত্যাগ’ দেখান। ফলে সরকারি উপস্থিতি খাতায় প্রতিদিনই তার নাম পাওয়া গেলেও বাস্তবে ক্লাসরুমে তার উপস্থিতি নেই।

এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ডা. মাহফুজুর রহমান নামে একজন স্যার আমাদের এখানে আছেন শুনেছি। কিন্তু কোনোদিন চোখে দেখিনি। তিনি আমাদের একটিও ক্লাস নেননি, পরীক্ষা নেননি। আমরা তাকে চিনিই না।’

রামেক ডেন্টাল ইউনিট প্রধান ডা. আবুল হোসেন জানান, ‘তিনি অসুস্থ মানুষ। লিভারে সিরোসিস, হার্টে বাইপাস হয়েছে। তিনি নিয়মিত ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন। তবে পরে কোথায় যান, সেটা বিভাগ বলতে পারবে।’

অধ্যক্ষ ডা. খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, ‘তিনি এভাবে ক্লাস না নিয়ে বেতন নিচ্ছেন—এটা আমি আপনার কাছ থেকেই জানলাম! যদি আগে জানতাম, মেডিকেল বোর্ড করে তাকে অবসরে পাঠাতাম। তবে তার চাকরির বয়স এখন শেষ হয়ে এসেছে, তাই আমরা আর বিষয়টি টেনে নিতে চাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দশ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন না—এটা তো অজানা ছিল। ডেন্টাল ইউনিট থেকেও আমাদের জানানো হয়নি। অকাজের লোক রেখে তো আমাদের কোনো লাভ নেই।’

ডা. মাহফুজুর রহমান নিজে দাবি করেন—তিনি অসুস্থ। তাই প্রতিদিন হাজিরা দিয়ে তিনি বাড়ি যান। তবে তিনি চেম্বারে রোগী দেখেন না বলেও দাবি করেন। এমন ছুটি নেওয়া যায় কিনা, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে নিয়মে তো যায় না। তবে অসুস্থ বলে চলে যাই।’

/আশিক


মারধরের শিকার ইতালিপ্রবাসী: নেপথ্যে বিএনপি নেতার ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১৭:৪০:১২
মারধরের শিকার ইতালিপ্রবাসী: নেপথ্যে বিএনপি নেতার ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি
ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে চাঁদা না পেয়ে এক ইতালিপ্রবাসীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাসুম শেখের স্ত্রী পলি আক্তার বাদী হয়ে রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বালিয়াকান্দি আমলি আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মশিউল আযম চুন্নুসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বালিয়াকান্দি থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, অন্য আসামিরা হলেন—খন্দকার মশিউল আযম চুন্নুর ছেলে ছাত্রদল নেতা খন্দকার শফিউল আজম শিবলু, খন্দকার শোভন আরেফিন, নাজমুল হাসান বিপু, শ্রমিক দল নেতা সহেল শেখ, মো. নান্নু বিশ্বাস, বালিয়াকান্দি ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. মহসীন খান এবং রায়পুর গ্রামের উজ্জ্বল দাস।

মামলার বাদী পলি আক্তার একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্বামী মাসুম শেখ ২০০৭ সালে জীবিকার তাগিদে ইতালি যান। পলি যখন বালিয়াকান্দি কৃষি অফিসে কর্মরত ছিলেন, তখন ছাত্রদল নেতা খন্দকার শফিউল আজম শিবলু তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। এ বিষয়ে তিনি থানায় মামলাও করেছিলেন এবং পরে বদলি হয়ে ফরিদপুরে চলে যান। সম্প্রতি মাসুম শেখ ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন।

বাদীপক্ষের অভিযোগ, গত ১৫ আগস্ট মাসুম শেখ বালিয়াকান্দিতে জুমার নামাজ পড়ে বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে চুন্নু ও তার ছেলে শিবলুর নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মাসুমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে, সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে খন্দকার মশিউল আযম চুন্নুসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। বালিয়াকান্দির সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে মাসুম শেখ, তার স্ত্রী পলি আক্তার এবং জিএম মোর্শেদসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আসামিরা এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি ও বালু মহাল দখলের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছেন। তারা অসহায় মানুষের ওপর অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করছেন। যৌথবাহিনী একবার তাদের গ্রেপ্তার করলেও কারামুক্ত হয়ে তারা আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন।

তবে বিএনপি নেতা মশিউল আযম চুন্নু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে মাসুম শেখ আমার কাছ থেকে আট লাখ টাকা নিয়েছিল। তখন আমার নামে মিথ্যা মামলা করেছিল। এছাড়া অনেক অপরাধ করেছে। এসব কারণে আমার লোকজন তাকে (মাসুম শেখ) মেরেছে।’ মামলার বাদীর সঙ্গে তার গত তিন বছর ধরে কোনো দেখা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু জানান, ইতালিপ্রবাসী মাসুম শেখের স্ত্রী আদালতে মামলা করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে দলীয় পদ না থাকায় ওই নেতার বিরুদ্ধে দল থেকে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাবেন।

/আশিক


সাড়ে ৫ মাস পর বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ: আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে ক্রেতারা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ২১:৪৬:১২
সাড়ে ৫ মাস পর বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ: আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে ক্রেতারা
হিলি স্থলবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক। ছবি: সমকাল

প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুটি ভারতীয় পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হিলির মেসার্স সততা বাণিজ্যালয় ও নওগাঁর জগদীশ চন্দ্র বসু ট্রেডার্স নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৫৯ টন ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আমদানিকারকরা জানান, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়েছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা এবং তারা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ইউসুফ আলী জানান, হিলি বন্দরের ৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। পূর্বের আইপি (আমদানির অনুমতি) মেয়াদ চলতি বছরের ৩ মার্চ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমদানি বন্ধ ছিল।

পাঠকের মতামত: