ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ: হেফাজত জানালো আসন্ন মহাযুদ্ধের হুঁশিয়ারি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২১ ১৯:৫৪:২৫
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ: হেফাজত জানালো আসন্ন মহাযুদ্ধের হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশের ইসলামিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম দেশের চলমান ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আজ শনিবার (২১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, “ইসরাইল একটি গণহত্যাকারী দখলদার এবং বিশ্বব্যাপী মানবতার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের ওপর তার নির্যাতন ও আগ্রাসন শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এর পেছনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলোর আর্থ-সামরিক সহায়তা রয়েছে।”

তারা আরো যুক্ত করেন, “বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও গোয়েন্দা সহায়তায় মার্কিন শাসকগোষ্ঠী ইসরাইলকে নিরন্তর সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জার্মানি ও ইউরোপের কয়েকটি শক্তিশালী রাষ্ট্রও এই সহিংসতায় জড়িত। ফলে আজ পৃথিবী একটি সম্ভাব্য মহাযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে।”

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসন্ন মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, “সাম্রাজ্যবাদের দাসত্ব, ভোগবাদিতা ও উদাসীনতাকে পরিহার করে আধুনিক সামরিক কৌশল ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে Muslim বিশ্বের এগিয়ে আসা জরুরি।”

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর চালানো গণহত্যার সময়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো নির্বিকার থাকে; অথচ ইসরাইলের প্রতিরোধে নেমে এরা কুৎসিত শব্দ ব্যবহার করে। “বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ও ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই শক্তিরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় কখনোই আন্তরিক হয়নি,” মন্তব্য করেন তারা।

হেফাজতে ইসলাম মনে করে, আমেরিকা ও ইসরাইল ইরানকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করেছে যাতে প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলো দুর্বল করা যায়। তারা আশাবাদী, ইসরাইলের ধ্বংসের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদীদের পতনও অনিবার্য হবে ইনশাআল্লাহ।

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত