ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ

যুক্তরাষ্ট্র এগোলে আগুন জ্বলবে চারদিকে—ইরানপন্থী মিলিশিয়ার হুঁশিয়ারি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২০ ১২:১০:০৭
যুক্তরাষ্ট্র এগোলে আগুন জ্বলবে চারদিকে—ইরানপন্থী মিলিশিয়ার হুঁশিয়ারি

ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নিলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে—এমনই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান-সমর্থিত ইরাকি শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতায়েব হিজবুল্লাহ।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সংগঠনটির নিরাপত্তা প্রধান আবু আলী আল-আস্কারি বলেন, “আমরা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি—যদি যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে জড়ায়, তাহলে ট্রাম্প তার ‘ট্রিলিয়ন ডলার আদায়ের স্বপ্ন’ চিরতরে হারাবেন।”

আল-আস্কারির ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অপারেশনাল পরিকল্পনা’ ইতোমধ্যেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, “মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব সামরিক ঘাঁটি শিকারির লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠবে। আকাশপথেও তাদের জন্য অপেক্ষা করছে অপ্রত্যাশিত চমক।”

তিনি বলেন, যুদ্ধ জিইয়ে থাকলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি ও বাব-আল-মানদেব পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, লোহিত সাগরের তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ তেলবন্দরগুলোও অচল হয়ে পড়বে বলে দাবি করেন তিনি।

এই হুমকি এমন এক সময় এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন—যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সামরিকভাবে সরাসরি অংশ নেবে কি না।

এদিকে সাম্প্রতিক ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতায়েব হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনার নজিরও রয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জর্দান-সিরিয়া সীমান্তবর্তী মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ‘টাওয়ার ২২’-এ চালানো ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করে ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক’ নামের একটি ছাতার নিচে থাকা একাধিক ইরানপন্থী গোষ্ঠী।

এছাড়া, টাওয়ার ২২-এর নিকটবর্তী আল-রুকবান শরণার্থীশিবিরও হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়। এসব হামলার পেছনে ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সামরিক সমন্বয় এবং ‘প্রতিরোধ’ নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন যুদ্ধকৌশল ব্যবহারের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই যুদ্ধে জড়ালে শুধু ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কাতায়েব হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীগুলো তেহরানের সমর্থনে অঞ্চলজুড়ে অস্থিরতা বাড়ানোর জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে, যার প্রভাব পড়বে সাগরপথ, জ্বালানি বাজার ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও।

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত