ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ঐক্য: বিশ্ব কি প্রত্যাশা করবে?

সত্য নিউজ: গত কয়েক দিন ধরেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক সামরিক সংঘর্ষ চলছিল, যার ফলে উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ১১ মে, শনিবার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান যে, ভারত এবং পাকিস্তান তাদের চলমান সংঘর্ষ থামানোর জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এটি ছিল দুই দেশ জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংকটের সমাধান, যা আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় সম্ভব হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর, পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। এই হামলার পর পাকিস্তান দাবি করে যে, ভারত তাদের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে, তবে কিছু হামলায় ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছিল, যার ফলস্বরূপ প্রায় ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে।
পাল্টাপাল্টি হামলার পর, দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশই পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। তবে, একে বৃহত্তর যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে। ট্রাম্প তার ঘোষণা দেন যে, আলোচনার মাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে এবং এটির ফলস্বরূপ সামরিক কার্যক্রম স্থগিত করা হবে। তিনি বিশেষভাবে দুই দেশকে সাধারণ বুদ্ধিমত্তা এবং কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ব্যবহার করার জন্য অভিনন্দন জানান।
এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, কারণ এই সংঘর্ষটি আন্তর্জাতিক মহলে বেশ উদ্বেগ তৈরি করেছিল। উভয় দেশের মধ্যে শান্তির আশা সৃষ্টি হলেও, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে এখনও অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই বিষয়টিকে একটি সামরিক অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেছে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা না করায়, আন্তর্জাতিক আইনগতভাবে এটি ‘সশস্ত্র সংঘাত’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। যুদ্ধবিরতির জন্য নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ১১ মে সন্ধ্যা ৫টা থেকে দুই দেশের সীমান্ত, আকাশ এবং সমুদ্রের সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
অপরদিকে, দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ভারত এবং পাকিস্তান এর আগেও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু পূর্বে এ ধরনের উদ্যোগগুলো সফল হয়নি। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে, কারণ ভারতের বর্তমান সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে চায় না বলে জানিয়েছে।
এছাড়া, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ কেবল শক্তি প্রদর্শন এবং জনগণের কাছে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরার একটি কৌশল হতে পারে। তবে, এ ধরনের সংঘর্ষের ধারা অব্যাহত থাকলে, পরবর্তী সময়ে আরও বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকবে, যা সহজে থামানো সম্ভব হবে না।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশ্যই একটি আশার দিশা, কিন্তু এটি ভবিষ্যতে কতটুকু কার্যকর হবে, তা সময়ই বলবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা