“সিটি করপোরেশনে তালা, মেয়রের চেয়ারে বসা—সবই অপরাধ”

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, "সিটি করপোরেশনে তালা দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়া এবং মেয়রের চেয়ারে বসা—এই প্রতিটি ঘটনা আমাদের প্রচলিত আইনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।"
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এসব মন্তব্য করেন।
‘ব্যক্তিগত আক্রমণের অর্থ বুঝি না’আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমি ব্যক্তিকেন্দ্রিক কিছু বলতে চাই না। তবে যেহেতু ঘটনাগুলো এখন জনসাধারণের সামনে এসেছে এবং রাজনৈতিক ভারসাম্যকে প্রভাবিত করছে, তাই কিছু কথা বলা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ইশরাক হোসেন গণঅভ্যুত্থানের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন, সে কারণে আমরা তাঁর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণই প্রত্যাশা করেছিলাম—এখনো করি।"
তিনি আরও বলেন, “তাকে টার্গেট করে কোনো বক্তব্য আমি অতীতে দেইনি। কিন্তু সরকারি অফিসে তালা দেওয়া, অফিসারদের কাজ থেকে বিরত রাখা ও মেয়রের চেয়ারে বসা—এসব আচরণ আইনত অপরাধ।”
‘রাজনৈতিক চক্রান্ত ও প্ররোচনার শিকার’উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, ইশরাক হোসেনের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক নষ্ট করার কৌশল হতে পারে। "আমার নিজ জেলা থেকে বিএনপির একজন নেতা তাকে নানাভাবে উসকানি দিচ্ছেন ও লজিস্টিক সহায়তা করছেন। এটা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বরং রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "যখন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের কিছুটা টানাপড়েন চলছিল, তখন ইশরাককে একটি রাজনৈতিক টুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছিলেন, তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার সময় পাচ্ছেন না। তখনই এই ঘটনার মাধ্যমে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নেওয়া হয়েছে।"
‘দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক সংকট’আসিফ মাহমুদ বলেন, “যেটা হয়েছে, সেটা জাতীয় ঐক্যের জন্য একটা বড় ধাক্কা। এটি ৫ আগস্টের পর আমাদের দেখা দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক সংকট ছিল। যমুনার সামনে যে অবরোধ-বিক্ষোভ হয়েছে, সেটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যেখানে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের প্রসঙ্গও উঠে এসেছিল। আল্লাহর রহমতে আমরা সেটি অতিক্রম করতে পেরেছি।”
‘আমাকে প্রজেক্ট করার অপচেষ্টা চলছে’তিনি বলেন, "ইশরাক হোসেন কেন আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছেন, সেটা আমি বুঝতে পারছি না। এটি তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নয়, তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে—সেটার কিছু প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। বিষয়টিকে আমার একক সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রজেক্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, অথচ উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি দায়িত্ব পালন করি।"
‘মিসগাইড করা হয়েছে’উপদেষ্টার মতে, “ইশরাক একজন আদর্শবাদী সাহসী যুবক। তার অতীতের কার্যক্রম আমাদের মনে রেখাপাত করেছে। কিন্তু বর্তমানে সে রাজনৈতিকভাবে মিসগাইড এবং মিসলিড হয়েছে। এখনো তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
‘আইন ভঙ্গের অভিযোগ ভিত্তিহীন’স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালের রায়ে আমাদের কোনো কার্যক্রম নিয়ে সরাসরি নির্দেশনা ছিল না। গেজেটের মেয়াদ তখনো বিচারাধীন ছিল। সুতরাং স্থানীয় সরকার বিভাগ যদি শপথ না পড়ায়, সেটা আইন লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না।”
‘আলোচনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে’সবশেষে আসিফ মাহমুদ বলেন, “এই ইস্যুটি আলোচনার পর্যায়ে না আসার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই আমি মনে করি। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক সুন্দর রাখতে হলে সবাইকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ এই সরকার সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে।"
—আশিক নিউজ ডেস্ক
রিজভীর সমালোচনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শিবির সেক্রেটারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রুহুল কবির রিজভীসহ অন্য যারা রাজনীতিবিদ, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তারা রাজনীতিতে যে ধরনের আশা নিয়ে রাজনীতি করছেন, যে নির্বাচন হলে তারা রিজভীসহ ক্ষমতায় চলে যাবে।
‘ডাকসু নির্বাচনে তাদের আঁতে ঘা লেগেছে’
ডাকসু প্রসঙ্গ টেনে নুরুল ইসলাম বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের ফলে তাদের আঁতে ঘা লেগেছে। তাদের আসলেই অনেক বেশি মনে কষ্ট লেগেছে। এ জায়গা থেকে হয়তো তারা ভুল বকাবকি করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “তারা যে কথা বলছেন, তাদের ছাত্র সংগঠন (ছাত্রদল) বিভিন্ন জায়গায় পানির ফিল্টার, শিক্ষার্থীদের কলম, ফাইলসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়েছে। তারা এই চ্যারিটি কাজগুলো করেছে কেন? এখন তো আমার প্রশ্ন করা উচিত, এটা কি কোনো ছাত্রসংগঠনের কাজ? যেহেতু তারাই বলেছেন এসব ছাত্র সংগঠনের কাজ না। আর ছাত্রশিবির যে কাজগুলো করে, যেগুলো তাদের নিজস্ব ফান্ডে করেছে।”
‘সরকারের উচিত শিক্ষাকাঠামো দেওয়া’
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “বাংলাদেশের সরকারের উচিত হচ্ছে প্রাইমারি থেকে হায়ার এডুকেশন পর্যন্ত সবার শিক্ষাকাঠামো দেওয়া। ৬ লাখ শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসিতে ফেল করেছে, এরাও তো এ দেশের নাগরিক। তাদের নিয়ে কে কাজ করেছে? সরকার কি করেছে? এখন তাদের নিয়ে আমরা যদি কাজ করি আর রুহুল কবির এ দেশের যদি বলেন, ‘এ কাজ কি তোমার? এটা তো সরকার করবে।’ আসলে সরকার তো করছে না। এগুলোতে তাদের অ্যাপ্রোশিয়েট করা উচিত, গাত্রদাহ হওয়া উচিত না।”
এর আগে ডাকসুর ভিপির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
‘ডাকসু নির্বাচন সিনিয়র মাদ্রাসার ইলেকশন’
এদিকে ডাকসু নির্বাচনকে সিনিয়র মাদ্রাসার ইলেকশনের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বলেন, “এটা কোনো ডাকসু ইলেকশন না। হাটহাজারী মাদ্রাসায় যত ছাত্র আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কাছাকাছি ছাত্র আছে। এটা সিনিয়র মাদ্রাসার একটি ইলেকশন এবং এই সর্বনাশটা করে গেছেন শেখ হাসিনা নিজে। মাদ্রাসার ছেলেগুলো আলিম পাস করে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে। যে কারণে দলে দলে মাদ্রাসার ছাত্র সামনে এসে ভর্তি হচ্ছে।”
ইসলামপন্থী দলের লোকজনকে ডিসি-এসপি বানানো হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের লোকজনকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) বানানো হচ্ছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
‘ছাত্রদলের ছেলেদের ওএসডি করে রাখা হয়েছে’
রিজভী বলেন, “একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন সরকারি কর্মকর্তাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও ওএসডির মতো করে রাখা হয়েছে। ইসলামপন্থী দাবি করা একটি দলের লোকদের এসব জায়গায় বসানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বেগম জিয়ার আমলে যেসব ছাত্র মেরিটে (মেধায়) নিয়োগ পেয়েছে, হয়তো ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করেছে অথবা বাপ-চাচা-মামা কেউ করেছে, যারা বঞ্চিত ছিলেন তাদের হয়তো অনেককে প্রমোশন দিয়েছেন, কিন্তু একজনকেও ভালো পোস্টিং দেয়া হয়নি, অনেকটা ওএসডি করে রাখা হয়েছে।”
রিজভী আরও বলেন, “আমি জানি। আমি ছাত্রদলের (সাবেক) প্রেসিডেন্ট। আমি ওই ছেলেগুলোকে চিনি। প্রত্যেকে এসে আমার বাসায় প্রতিদিন কান্নাকাটি করে। প্রথমে কিছুদিন বসিয়ে রাখার পরেও এই মোখলেস উর রহমান (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সদ্য বদলি হওয়া সিনিয়র সচিব) মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদের সরিয়ে রেখেছে অনেকটা ওএসডির মতো গুরুত্বহীন জায়গায়। আরেকটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের লোকজনকে ডিসি-এসপি বানানো হচ্ছে। আমি গুনে গুনে বলে দিতে পারবো, ওই বিশেষ রাজনৈতিক দল যারা নিজেদের ইসলামপন্থী বলে দাবি করে, তাদের সমর্থিত, তাদের সমমনা লোকদের ওইসব জায়গা দেয়া হয়েছে।”
জনপ্রশাসন সচিবের সমালোচনা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় নতুন করে শেখ হাসিনার মতো বিভাজন তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছেন, প্রমোশন পেয়ে ডিসি-এসপি হয়েছেন, শেখ হাসিনার ১৫/১৬ বছরে যাদের প্রমোশন হয়নি তাদের অনেকের এখনো হয়নি, আবার অনেকের প্রমোশন হলেও এক বছরে তাদের গুরুত্বহীনভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সদ্য বদলি হওয়া সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, গত বছরের ২৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে মো. মোখলেস উর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। মোখলেস উর রহমান বিসিএস প্রশাসন ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি জনপ্রশাসন সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর পদায়ন ও পদোন্নতিতে বঞ্চিতদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ ওঠে। সচিব, সংস্থা প্রধান ও জেলা প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা হয়। বিভিন্ন পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি আমাদের দাবিতে সাড়া না দেয়, তাহলে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই। আগামী নির্বাচনে যদি বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে এবং আল্লাহ আমাদের সেই সুযোগ দেন, তাহলে সরকারে গিয়ে দ্রুততম সময়ে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে, ইনশাল্লাহ।”
‘অন্য কোনো নাম কুমিল্লার জনগণ মেনে নেবে না’
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ‘কুমিল্লা নামে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি ঢাকা ও নাগরিক পরিষদ কুমিল্লার যৌথ আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোশাররফ হোসেন বলেন, “কুমিল্লা তো বিভাগ করতেই হবে। প্রশাসনিক প্রয়োজনে করতে হবে। কুমিল্লা বাইরে অন্য কোনো নাম কুমিল্লার জনগণ মেনে নেবে না।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা
তিনি বলেন, “আমরা সকলে কুমিল্লার নাগরিক। কুমিল্লাবাসী ইতোমধ্যে অন্য কোনো নাম প্রত্যাখ্যান করেছে। কুমিল্লায় বিভাগ চাই। এই ইস্যু নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে দেখা করার জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিনিধি দল যাবে। সেই লক্ষ্যে আপনারা (আয়োজকরা) একটি কমিটি গঠন করুন। ব্যক্তিগতভাবে আমার সহযোগিতা থাকবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠন (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, কুমিল্লা সমিতির ঢাকা সভাপতি এবিএম শাহজাহান, নাগরিক পরিষদ কুমিল্লার সভাপতি ড. শাহ মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস প্রমুখ।
নির্বাচনে এনসিপি ১৫০ আসন পাবে, বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি নয়: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি ১৫০ আসন পাবে, আর বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি আসন পাবে না। এনসিপি দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা প্রতীক থেকে সরবে না বলেও তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জানান।
ইসির সঙ্গে বৈঠক ও প্রতীকের বিষয়ে অনড় অবস্থান
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। নিবন্ধন, প্রতীক ও প্রবাসী ভোটাধিকার নিয়ে কথা হয়েছে উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “কমিশন আমাদের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের জন্য একটি সুখবর আসছে, জুলাই পরবর্তী সময়ে। আমরা আজকেও বলেছি শাপলা, সাদা শাপলা, লাল শাপলা চেয়েছি। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরছি না। এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনটি প্রতীকের মাধ্যমেই নিবন্ধন হতে হবে। এর ব্যত্যয় হবে না। ইসি না মানলে কীভাবে আদায় করতে হয় তা আমরা জানি।”
এনসিপি’র প্রার্থিতা ও আলোচনা
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, জেলায় জেলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা, জুলাই অভ্যুত্থানে নারী, গণঅভ্যুত্থানে কৃষক, শ্রমিকসহ যারা ছিলেন, তাদের নিয়ে এনসিপির প্রার্থিতা থাকবে। তাদের আলোচনা চলছে।
চরমোনাই পীর ‘ভণ্ড’ ও জামায়াত ‘জাতীয় বেইমান’: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি চরমোনাই পীরকে ‘ভণ্ড’ এবং জামায়াতে ইসলামীকে ‘জাতীয় বেইমান’ বলে মন্তব্য করেছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। জেলা আউটার স্টেডিয়ামে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
‘চরমোনাই পীর হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল’
এ্যানি চৌধুরী বলেন, “১৭ বছর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল। এমন কোনো দালালি পাখা মার্কার ছিল না যে, তারা এ বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেনি। ২০১৪, ’১৮ ও ’২৪-র নির্বাচনে হাসিনাকে সহযোগিতা করে হাসিনার স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চরমোনাই পীর, এই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এই পাখা মার্কা ছিল দেশের মানুষের আরেকটি জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত। চরমোনাই পীর বলে, পীর নয় ভণ্ড।”
জামায়াতকে ‘আত্মস্বীকৃত বেইমান’ আখ্যা
জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, “পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াত ইসলামের ভূমিকা এবং তারা ’৮৬ ও ’৯৬ সালে বিভিন্নভাবে শুধু আমাদেরকে অসহযোগিতা করে নাই, পুরো জাতিকে অসহযোগিতা করেছে। হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তাদের সঙ্গে থেকে জাতীয় বেইমান হিসেবে, আত্মস্বীকৃত বেইমান হিসেবে তারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।”
সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাইল জবি উল্যাহ।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি প্রমুখ।
কিম জং উনের হুঁশিয়ারি: ‘নিরস্ত্রীকরণ নয়, চাই সহাবস্থান’
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন—তবে শর্ত থাকছে নিজের পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার অক্ষুণ্ন রাখার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্মরণ করে কিম বলেন, “আমি এখনো তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের মধুর স্মৃতি ধারণ করে আছি।”
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে তিন দফা উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে হ্যানয়ের আলোচনায় চুক্তি ভেস্তে যায়। মূল বিতর্ক ছিল—উত্তর কোরিয়া কতটুকু ছাড় দেবে তার পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
কিম জং উন তাঁর দেশের rubber-stamp সংসদে দেওয়া ভাষণে বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রান্ত ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ’ আসক্তি ত্যাগ করে বাস্তবতা মেনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে আমাদের আবার বসতে কোনো বাধা নেই।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্ব জানে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার পর কী করে থাকে। তাই আমরা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দেব না।”
উত্তর কোরিয়া ২০২২ সালে নিজেদের “অপরিবর্তনীয় পারমাণবিক রাষ্ট্র” হিসেবে ঘোষণা করে। কিমের মতে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়াকে দুর্বল না করে বরং আরও শক্তিশালী করেছে, “যা কোনো চাপেই ভাঙবে না।”
দক্ষিণ কোরিয়া প্রসঙ্গে কিম সোজাসাপ্টা বলেন, “তাদের সঙ্গে বসার কোনো কারণ নেই। আমরা স্পষ্ট করছি—কোনো ধরনের আলোচনায় যাব না।” গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণকে প্রধান শত্রু ঘোষণা করেছে, রেলপথ ও সড়ক সংযোগ ধ্বংস করেছে।
রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া ঘনিষ্ঠতা
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ কিমকে আরও সাহসী করে তুলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা ক্রমশ বাড়ছে। মস্কোকে সমর্থন জানাতে উত্তর কোরিয়া হাজার হাজার সৈন্য ও অস্ত্র পাঠিয়েছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়।
সিউল বারবার সতর্ক করেছে—রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, যা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
ট্রাম্পের সফরের আগে কৌশলগত বার্তা
ট্রাম্প আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন, যখন দেশটি এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (APEC) সম্মেলনের আয়োজন করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যুংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লিম উল-চুল বলেন, “ট্রাম্পের সফরের আগে কিমের এই মন্তব্য সময়োপযোগী। এটি একদিকে আকস্মিক শীর্ষ বৈঠকের ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা—যেমন নোবেল শান্তি পুরস্কারের বাসনা—কেও স্পর্শ করে।”
বিশ্লেষক ইয়াং মুজিনের মতে, কিমের ভাষণ ছিল একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী ও সতর্কতামূলক—যা যেমন আন্তর্জাতিক মহলকে বার্তা দিয়েছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে।
-এ এফ পি
সরকারি খরচে সিঙ্গাপুরে গেলেন নুরুল হক নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। তার সঙ্গে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল। নুর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিবেন এবং তার চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে।
হামলার পর উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ
গণঅধিকার পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৯ আগস্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন নুরুল হক নুর। দীর্ঘ ১৮ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরবর্তীতে বেসরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, নুরের অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিকিৎসক, পরিবার ও দলীয় সিদ্ধান্তে তাকে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। দল তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।
সরকারের পদক্ষেপ ও উদ্বেগ
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা দেরিতে হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বর্বরোচিত এই হামলার ২৪ দিন অতিক্রম হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং সরকারের গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের কোনো অগ্রগতি নেই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের সুপরিচিত একজন রাজনৈতিক নেতা ও দলীয় প্রধানের ওপর আক্রমণ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তথা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। তাই অনতিবিলম্বে এ বর্বরোচিত হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্যথায় দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
নুর ও নাহিদ: তরুণ নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ, একীভূত হচ্ছে গণঅধিকার ও এনসিপি?
দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে একীভূত হয়ে নতুন দল গঠনের আলোচনা নতুন গতি পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা আরেকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইউনাইটেড পিপল অব বাংলাদেশ’ (আপ বাংলাদেশ)-ও যুক্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তরুণদের এই একীভূত প্রক্রিয়া সফল হলে তা দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
একীভূতকরণের কারণ ও জটিলতা
গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি মূলত একই প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা দুটি শক্তি। উভয় দলই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জন্ম নিয়েছে, যেখানে সমান অধিকার, বৈষম্যহীন সমাজ এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন সামনে আসে। তাদের আদর্শিক ভিত্তি ও লক্ষ্য প্রায় একই হওয়ায় যৌথভাবে কাজ করলে রাজনৈতিক পরিসরে তাদের প্রভাব আরও বাড়তে পারে।
তবে গণঅধিকার-এনসিপি সংশ্লিষ্টদের মতে, এ একীভূত প্রক্রিয়া জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। উল্লেখযোগ্য ছাড় ও সমঝোতা ছাড়া একত্র হওয়া কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের অবস্থান কী হবে, দলের নাম কী হবে, নেতৃত্বের কাঠামো কীভাবে সাজানো হবে—এসব প্রশ্ন ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ইতিবাচক মনোভাব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম বলেন, “বিশ্বব্যাপী তরুণ নেতৃত্ব গড়ে ওঠার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তরুণদের শক্তিগুলো একীভূত হলে এটি তাদের জন্য ভালো। তারা যদি রাজনৈতিকভাবে গুছিয়ে উঠতে পারে, আদর্শ ঠিক করতে পারে, তাহলে দেশের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারবে। আমি তাদের ভবিষ্যৎ ভালো দেখছি।” তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন ও জাতীয় রাজনীতিতে তারুণ্যের জয়ের সম্ভাবনা ব্যাপক।
নেতৃত্বের কাঠামো ও দলের নাম
এনসিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নুরুল হক নুর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একীভূত হওয়ার আলোচনা নতুনভাবে গতি পায়। দুদলের নির্বাহী কমিটি পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে, যদিও এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
দল দুটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন, একীভূত হলে দলের নতুন নাম গঠনের সম্ভাবনা আপাতত কম। বরং ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’ নামেই থাকার আলোচনা বেশ এগিয়েছে। নেতৃত্বের প্রশ্নে এনসিপির প্রস্তাব—নাহিদ ইসলামকে প্রধান রেখে নুরুল হক নুরকে সম্মানজনক পদে রাখা। তবে গণঅধিকার পরিষদ চাইছে, নতুন কমিটি গঠন করে নাহিদ ইসলাম ও নুরুল হক নুর উভয়কেই দলের প্রধান হিসেবে রাখা। সে লক্ষ্যে সভাপতি ও নির্বাহী সভাপতির—দুটি পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও উঠেছে।
নেতারা আরও জানান, আগামী নির্বাচন একীভূত হওয়ার চিন্তার অন্যতম কারণ। একসঙ্গে থাকলে নির্বাচনের মাঠে শক্তিশালী বার্তা দেওয়া যাবে। এনসিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ না হলে গণঅধিকারের ব্যানারেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হতে পারে।
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
গণঅধিকার পরিষদের তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে নুরকে প্রধান করার শর্তে বিষয়টি ইতিবাচক দেখছেন, আবার কেউ কেউ নুরকে সভাপতি ও নাহিদ ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠনের পক্ষে। এনসিপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও একীভূত হওয়ার পক্ষে, তবে তারা নাহিদ ইসলামকেই শীর্ষ নেতা হিসেবে দেখতে চান।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে ভূমিকা রাখা তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের মানুষ আস্থা অর্জনের মতো একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম পাবে।” গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, আলাপ-আলোচনা চলছে এবং চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছানো আন্তরিকতা ও উদারতার ওপর নির্ভর করছে।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমও একীভূত হওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, এনসিপি বিলুপ্ত বা নাম পরিবর্তন হচ্ছে না, তবে তরুণদের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে।
আপ বাংলাদেশ-এর সংযুক্তি
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের বাইরে আপ বাংলাদেশও একীভূত হওয়ার আলোচনায় রয়েছে। এনসিপির সঙ্গে তাদের প্রাথমিক আলাপ আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালের আন্দোলন থেকে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে গণঅধিকার পরিষদ, যা ২০২১ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা তরুণরা গঠন করেন এনসিপি, যা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে।
ভিপির জরিমানা করা অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে: রিজভী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল সংসদের নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) এক দোকানিকে জরিমানা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, এই জরিমানার অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর প্রজন্ম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এই দাবি করেন।
‘ছাত্রনেতার জরিমানা করার ক্ষমতা নেই’
রিজভী বলেন, “ছাত্ররাজনীতিতে যা ঘটছে, আপনারা সব দেখছেন। একজন ভিপি হয়েছেন, কিন্তু তাকে কি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকান করছে কে মার্কেট করছে, এটা তো ইউনিভার্সিটির প্রশাসন আছে, তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। সেখানে ছাত্রনেতা শুধু অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু আপনি গিয়ে ফাইন করে দিচ্ছেন, সেই টাকা যাচ্ছে জামায়াতের বায়তুল মালে।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় দলের পক্ষ থেকে লোহার খাট দেওয়াকেও অদ্ভুত ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ বলে মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, “এটা তো এতিমখানা নাকি, যে আপনি সেখানে লোহার খাট দেবেন, খাওয়ার জন্য ডাইনিং টেবিল দেবেন? এই জিনিসগুলো খুব খারাপ লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে।”
গণমাধ্যমে পক্ষপাতমূলক প্রচারণার অভিযোগ
গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলকভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “আজকের এই বাস্তবতায় বলা হচ্ছে, অমুক খারাপ, আমরা ভালো। যখন ভালো-মন্দ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, বালুমহলের সঙ্গে বিএনপির লোক জড়িত, তখন জামায়াতের লোকও জড়িত আছে। সেটাও গণমাধ্যমে আসছে, তবে ফলাও করে প্রচার হচ্ছে না।” তিনি অভিযোগ করেন, সিলেটের পাথর উত্তোলনে জামায়াত নেতার নাম পাওয়া গেলেও, নারীঘটিত বিভিন্ন ঘটনায় নাম পাওয়া গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু বিএনপি বলে প্রচার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যে তাদের পদ স্থগিত করছি, বহিষ্কার করছি সেটা তো বলছেন না।” রিজভী সোমারসেট মমের বিখ্যাত উক্তি ‘এভরি ফ্যামিলি হ্যাজ অ্যা ব্ল্যাক শিপ’ উল্লেখ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোতে কিছু কুলাঙ্গার থাকতে পারে, কিন্তু সেই দল যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তবে সেই পরিবারই সবচেয়ে ভদ্র ও যথার্থ।
ভিপির জরিমানা ও প্রক্টরের আপত্তি
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ভিপি আজিজুল হক একটি দোকান থেকে টেস্টিং সল্ট (এমএসজি) পাওয়ায় দোকানিকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। যদিও দোকানদার প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে খাবারে টেস্টিং সল্ট মেশানোর কথা স্বীকার করেন। এ সময় ভিপির পক্ষ থেকে দোকানদারের সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়, যাতে তিন দিনের মধ্যে জরিমানা না দিলে দোকানের চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করার কথা উল্লেখ ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এ ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, জরিমানা করার এখতিয়ার ছাত্রনেতাদের নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই হল প্রশাসনের মাধ্যমে করতে হবে।
পাঠকের মতামত:
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ: স্বর্ণের দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতা
- ‘শত্রুদের অনুতপ্ত করবে’: ইরানের শীর্ষ জেনারেলের কড়া হুঁশিয়ারি
- সঞ্চয়পত্রকে ‘লেনদেনযোগ্য’ করার পথে সরকার? আসছে নতুন বাজার
- অমানবিক! পাকিস্তানে নিজেদের গ্রামেই বিমানবাহিনীর হামলা
- রিজভীর সমালোচনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শিবির সেক্রেটারি
- ওয়াজে রাশমিকাকে টেনে বিপাকে মুফতি আমির হামজা
- আসাদুজ্জামান নূরকে নিয়ে নতুন মোড়: কী নির্দেশ আদালতের?
- মধ্যপ্রাচ্যে নতুন মেরুকরণ: ‘মুসলিম ন্যাটো’ গঠনের পথে মুসলিম বিশ্ব?
- ইসলামপন্থী দলের লোকজনকে ডিসি-এসপি বানানো হচ্ছে: রিজভী
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- শসা খেলে কি সত্যিই পেটের চর্বি কমে? জেনে নিন এর কার্যকারিতা
- ময়লার ভাগাড়ে মিলল বস্তা ভর্তি এনআইডি কার্ড: চাঞ্চল্যে নারায়ণগঞ্জ
- টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন: ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাহসী প্রচেষ্টা
- চীনের চমকপ্রদ আবিষ্কার: চাঁদের পৃষ্ঠে তৈরি হবে ইট, নির্মাণ হবে সড়ক ও অবকাঠামো
- আজই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আরও ৫ দেশ
- সরকারি অফিসে ঢুকে হামলা: মানববন্ধনকারীদের পেটালেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
- নির্বাচনে এনসিপি ১৫০ আসন পাবে, বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি নয়: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের গান-নৃত্য ও উত্তেজনা বৃদ্ধি
- বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে, তবে কত?
- ১৯৬৭ সালের পর প্রথম: সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট শারার জাতিসংঘে আগমন
- চরমোনাই পীর ‘ভণ্ড’ ও জামায়াত ‘জাতীয় বেইমান’: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
- জুলাই আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া কণ্ঠে হাসিনার পরিচয় নিশ্চিত
- আপনার ফোন কি হ্যাক হয়েছে? ক্যামেরা-মাইক্রোফোন থেকে নজরদারির লক্ষণ ও সুরক্ষার উপায়
- মৃত্যুর মুখে ডেঙ্গু রোগী: হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেকের বেশি মৃত
- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপহার: ভারতে গেল সুগন্ধি চাল
- যুক্তরাজ্য সরকারের মানচিত্রে যুক্ত হলো ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন: শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা মুখোমুখি অবস্থানে
- বিসিবি নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ: তামিম-আসিফ মাহমুদের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- ‘ট্যাক্স দেয়, সেবা পায় না, লোকজন তো গোস্সা করবেই’: অর্থ উপদেষ্টা
- সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
- এবারের পূজা হবে উৎসবমুখর: সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- অ্যান্টিট্রাস্ট চাপে আবারও আদালতে গুগল
- ৬ নতুন রাজনৈতিক দল পাচ্ছে ইসি’র নিবন্ধন
- লা লিগায় বার্সার দাপট, আতলেতিকোর জয়হীন দুর্দশা চলছেই
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হুমকি: অ্যাঞ্জেলিনা জোলির খোলামেলা মন্তব্য
- হানিয়া আমিরের ঢাকা সফর শেষ: মুগ্ধতা নিয়ে বিদায় নিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী
- আইফোন ১৭ এখন বাংলাদেশে: কিনতে গেলে যে ঝুঁকিগুলো জেনে রাখা জরুরি
- মার্কিন নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলা
- কিম জং উনের হুঁশিয়ারি: ‘নিরস্ত্রীকরণ নয়, চাই সহাবস্থান’
- সরকারি খরচে সিঙ্গাপুরে গেলেন নুরুল হক নুর
- রাজধানীতে ৯ ঘণ্টায় ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি: জলমগ্ন পথঘাট, দুর্ভোগে নগরবাসী
- ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে উত্তাল নিউইয়র্ক: বিএনপি-আওয়ামী লীগের হাতাহাতি
- যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের নতুন হামলা: গাজায় মানবিক বিপর্যয়
- ‘৬-০’ ও বিমানের ইশারা: ভারতকে কী বোঝাতে চাইলেন হারিস রউফ?
- নুর ও নাহিদ: তরুণ নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ, একীভূত হচ্ছে গণঅধিকার ও এনসিপি?
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ