প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৪:০১:৪৪
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে উদ্ভূত ‘মবোক্রেসি’ বা উশৃঙ্খল জনতার শাসনকে কঠোর হাতে দমন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে গণমাধ্যম সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই কড়া মন্তব্য করেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন যে দেশে মবোক্রেসি তৈরি হওয়া সরকারের দুর্বলতারই একটি স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ এবং এই সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দিলে গণতন্ত্রের ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে এই বাংলাদেশে তিনি আর কোনোভাবেই উশৃঙ্খল জনতা কর্তৃক আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার দৃশ্য দেখতে চান না।

দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ‘জাতির জন্য লজ্জার’ বলে অভিহিত করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে কিছু গণমাধ্যমকে আগে থেকেই টার্গেট করা হলেও কেন সেই পরিস্থিতি আগে থেকে মোকাবিলা করা গেল না। সালাহউদ্দিন আহমদের মতে বিশ্ববাসীর সামনে এই ধরণের দৃশ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলেছে এবং কেবল দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে এই কলঙ্ক মোচন করা সম্ভব নয়। তিনি সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও দেশের স্বার্থে সবাইকে নিরপেক্ষ না থেকে সরাসরি দেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

গণতন্ত্র বিনির্মাণে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন যে জনগণের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি। দেশের মানুষ চায় সর্বক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে সেগুলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন যে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ ভবিষ্যতে বিএনপিকে দেয় তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সহযোগিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। অতীতের ভুলগুলো ভুলে সামনে এগোতে চাইলেও ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী সংবাদপত্রের ওপর যে নিপীড়ন চালিয়েছে তা স্মরণে রাখা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আসন্ন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন যে তার ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও মজবুত হবে। দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসিত ও কষ্টকর জীবনের অবসান ঘটিয়ে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। তিনি প্রত্যাশা করেন যে জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের এই যাত্রায় গণমাধ্যম দেশের হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মানুষ তাদের হারানো ভোটাধিকার এবং নাগরিক মর্যাদা ফিরে পাবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


তারেক রহমানের ফ্লাইটে বড় রদবদল: দুই কেবিন ক্রুকে অব্যাহতি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১১:১২:৪৪
তারেক রহমানের ফ্লাইটে বড় রদবদল: দুই কেবিন ক্রুকে অব্যাহতি
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরই অংশ হিসেবে তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে দুই কেবিন ক্রুকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে নিরাপত্তাজনিত কারণ এবং ভিআইপি যাত্রীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া দুই ক্রু হলেন জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম।

বিমান সূত্র জানায় যে তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকা নিয়ে আসার জন্য নির্ধারিত বিজি–২০২ ফ্লাইটে এই দুই ক্রুর নাম থাকলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে তাদের ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে যে তারা বিগত সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের সফরসঙ্গী হিসেবে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার এই তথ্য সামনে আসার পর ভিআইপি যাত্রীর সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে তাদের পরিবর্তে জুনিয়র পার্সার মোস্তফা এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে ওই ফ্লাইটে অন্তর্ভুক্ত করেছে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ।

আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানকে নিয়ে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতারও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এর আগে গত ২ মে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইটেও অনুরূপ গোয়েন্দা সতর্কতার ভিত্তিতে আল কুবরুন নাহার কসমিক এবং মো. কামরুল ইসলাম রিপন নামের দুই ক্রুকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারেক রহমানের সফরের ক্ষেত্রেও একই ধরনের কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করছে কর্তৃপক্ষ।

তারেক রহমানের আগমনের খবরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাপক সমন্বয়ের কাজ চলছে। বিমানের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে যে ফ্লাইটের প্রতিটি বিষয়ের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। বুধবার সন্ধ্যায় রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তারেক রহমান দেশের মাটিতে অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


হাদি কেন খুনের শিকার হলেন? রহস্য জানালেন জামায়াতে ইসলামী আমির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৯:৫৪:৩৩
হাদি কেন খুনের শিকার হলেন? রহস্য জানালেন জামায়াতে ইসলামী আমির
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ফজর নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা জানান। তিনি বলেন যে নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় এবং সেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটে তা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনে জামায়াতের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

কবর জিয়ারত শেষে আবেগঘন বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান শহীদ ওসমান হাদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে হাদির খুনিরা মূলত বাংলাদেশেরই দুশমন কারণ হাদি সবসময় দেশীয় সংস্কৃতি ও ইনসাফের পক্ষে কথা বলতেন। হাদি কারো ওপর জুলুম করেননি বরং শত্রুর প্রতিও ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন। জামায়াত আমির মনে করেন যে হাদির প্রতি সাধারণ মানুষের যে বিপুল ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল তা হয়তো কারো কারো জন্য সহ্য করা কঠিন ছিল এবং সেই কারণেই পরিকল্পিতভাবে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হাদি হত্যার বিচারে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন যে এখন পর্যন্ত সরকার যা করেছে তাতে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট নয়। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে না পারলে কারো জীবনেরই নিরাপত্তা থাকবে না। তিনি আরও যোগ করেন যে বিপ্লবীদের হত্যা করে তাদের চেতনাকে দমন করা যায় না বরং তা কোটি তরুণের প্রাণে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। ‘জীবন দিবো তবুও চব্বিশ দিবো না’—হাদির এই সাহসী স্লোগান কেন ছিল তা দেশের মানুষ এখন স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য যে গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে তাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়। আজ হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জামায়াত আমির এবং এসময় ইনকিলাব মঞ্চের অন্যান্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


জল্পনার অবসান, বাগেরহাটে কাকে কাকে মনোনয়ন দিল বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৮:৫০:২৭
জল্পনার অবসান, বাগেরহাটে কাকে কাকে মনোনয়ন দিল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের জল্পনা ও রাজনৈতিক কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা পৃথকভাবে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (চিতলমারী–মোল্লাহাট–ফকিরহাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মন্ডল। এই আসনে জোটগত সমন্বয়ের অংশ হিসেবেই তাকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

অন্যদিকে, বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আইন অঙ্গনে পরিচিত এই নেতাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে দলীয় তৎপরতা জোরদার হচ্ছে।

বাগেরহাট-৩ (মোংলা–রামপাল) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলামকে। শিল্প ও বন্দরনির্ভর এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে তাকে প্রার্থী করার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক শক্তি ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ–শরণখোলা) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। এই আসনেও জোটগত রাজনীতির প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

মনোনয়নপ্রাপ্ত চারজনই মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

-শরিফুল


ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া তারেক রহমান: ঢাকায় গোপন বৈঠক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৮:৪৮:৪৭
ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া তারেক রহমান: ঢাকায় গোপন বৈঠক
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে নিজেদের নির্বাচনী কার্যক্রম গুছিয়ে আনছে বিএনপি। ইতোমধ্যে ২৭৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। যে কোনো মূল্যে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জনসম্পৃক্ত আটটি অতিগুরুত্বপূর্ণ দফা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার জন্য প্রার্থীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড।

গতকাল শনিবার দিনব্যাপী রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯০ জন এমপি প্রার্থীর সঙ্গে তৃতীয় দফার রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মূলত আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফেরার আগেই নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চায় দলটি। বৈঠকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার সঠিক তথ্য প্রদান এবং মনোনয়ন ফরম পূরণে আইনজ্ঞদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

নির্বাচনী প্রচারণার কৌশলের অংশ হিসেবে বিএনপি তাদের প্রতিশ্রুত 'ফ্যামিলি কার্ড', 'ফারমার্স কার্ড' এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য মাসিক সম্মানী ভাতা প্রদানের মতো পরিকল্পনাগুলো ভোটারদের সামনে ব্যাপকভাবে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছে। বৈঠকে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার তাগিদ দেন। প্রার্থীদের দিকনির্দেশনা দিতে সাবেক সেনা ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সদস্য প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজল এই বৈঠককে মূলত একটি 'ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম' হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এদিকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন ও নতুনত্ব এনেছে বিএনপি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাগেরহাট-১ আসনে কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, বাগেরহাট-২ আসনে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বাগেরহাট-৩ আসনে ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম এবং বাগেরহাট-৪ আসনে সোমনাথ দে মনোনয়ন পেয়েছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রার্থীদের প্রস্তুত করার এই প্রক্রিয়াটি দলের ক্ষমতার মসনদে ফেরার লড়াইয়েরই একটি অংশ।


মার্কা যাই হোক আমি নির্বাচন করবই: রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৮:৩৩:৪৮
মার্কা যাই হোক আমি নির্বাচন করবই: রুমিন ফারহানা
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বাজারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন যে প্রতীক বা মার্কা যাই হোক না কেন এলাকার মানুষের সিদ্ধান্তই তার কাছে চূড়ান্ত। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে জনগণের সমর্থন থাকলে তিনি এই আসন থেকেই নির্বাচনে লড়াই করবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি তার এই রাজনৈতিক সংকল্পের কথা জানান।

রুমিন ফারহানা সরাইল ও আশুগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন যে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে তিনি এই এলাকার মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে দেশের বেশিরভাগ আসনে মনোনয়ন নিয়ে আনন্দ-উৎসব চললেও সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ এখনো জানেন না তাদের প্রার্থী কে। বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি এখনো ঝুলে থাকায় তিনি পরোক্ষভাবে দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে নিজের প্রচারণার ওপর জোর দিচ্ছেন। গত ১৭ বছর ধরে রাজপথে নিজের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন যে তার বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণেই তিনি রাজনীতি করছেন।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন যে গত ১৫ বছর এ দেশের মানুষ তাদের প্রকৃত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বর্তমান সরকার ২০২৬ সালে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি করছে তাতে বিএনপি আস্থা রাখতে চায় বলে তিনি জানান। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতে তিনি সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়ে বলেন যে নির্বাচনের আগে সারা দেশের সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসমূহ আইনের আওতায় এনে ভোটার এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। গত কয়েক মাস ধরেই তিনি এই এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ ও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছেন।


বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৫:৫৭:৩৪
বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান বীর সেনানী ও সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার বীর উত্তম আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

এ কে খন্দকারের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে জাতি একজন পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাহসী সামরিক নেতৃত্বকে হারাল।

শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছেন এবং এই অপূরণীয় ক্ষতিতে তিনি নিজেও গভীরভাবে ব্যথিত। তিনি উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধে এ কে খন্দকারের অবদান ছিল অসামান্য ও ঐতিহাসিক।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মরহুম এ কে খন্দকার মুক্তিবাহিনীর উপ-প্রধান তথা ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং একজন দক্ষ এয়ার ভাইস মার্শাল হিসেবে দেশগঠনে অবদান রাখেন।

শোকবার্তায় আরও বলা হয়, গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এ কে খন্দকার সাহসিকতা ও নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয় এবং ২০১১ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য এ কে খন্দকার যে ত্যাগ, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তার আজীবন নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, এ কে খন্দকারের চিরবিদায়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে মর্মাহত। এই বীর সেনানীর মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

শোকবার্তার শেষাংশে বিএনপি মহাসচিব মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন সেই দোয়া করেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।

-রফিক


নজরুল মাজার প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় ওসমান হাদি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৫:৪৮:০৮
নজরুল মাজার প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় ওসমান হাদি
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি–এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম–এর সমাধিসৌধের পাশেই তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এর আগে বিকেল ৩টায় হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স কবরস্থানে পৌঁছায়। দাফন উপলক্ষে পুরো এলাকা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কবরস্থানের আশপাশে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সোয়াট সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।

নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও শাহবাগ মোড় থেকে সমাধিসৌধ অভিমুখী সড়কে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পুরো কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হয়।

এর আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। শোকাবহ এই জানাজায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক **নাহিদ ইসলাম**সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। জানাজার আগে বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব জাবের এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

জানাজায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রিয় ওসমান হাদির কাছে একটি অঙ্গীকার জানাতে এসেছেন তিনি। হাদি যে আদর্শ ও মানবিক রাজনীতির কথা বলে গেছেন, তা যেন বাস্তবায়িত হয় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। ইউনূস আরও বলেন, হাদির মানবপ্রেম, মানুষের সঙ্গে তার সহজ সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দেশবাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, জানাজায় মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢেউয়ের মতো মানুষের স্রোত নেমেছিল রাজধানীতে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিদেশ থেকেও অনেকেই হাদির বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

জানাজার আগে বক্তব্যে হাদির বড় ভাই মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অপরাধীরা যদি পার পেয়ে যায়, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। সীমান্ত পার হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কীভাবে হত্যাকারীরা দেশ ছাড়তে পারলো, সেই প্রশ্ন জাতির সামনে রয়ে গেল।

তিনি আরও বলেন, তার ব্যক্তিগত কোনো দাবি নেই। তার ভাই শহীদ হয়েছেন এবং শহীদি মৃত্যুই ছিল তার আকাঙ্ক্ষা। আল্লাহ তাকে সেই মর্যাদা দান করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

-শরিফুল


বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়: মির্জা আব্বাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৫:৩৫:০৫
বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়: মির্জা আব্বাস
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে যে গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যেটিকে দীর্ঘদিন ধরে লালন করেছেন, সেই গণতন্ত্রকে পুনরায় দেশে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন মানেই দেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন, আর এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্বাগত জানাতে দেশের মানুষ প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, যারা দেশ ও জনগণের কল্যাণ চায় না, তারা মানুষের মতো দেখালেও প্রকৃতপক্ষে মানুষের শত্রু। ইতিহাস টেনে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৪৭ সালে যারা পাকিস্তানবিরোধী ছিল এবং ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে সক্রিয়।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, এই গোষ্ঠী সাময়িকভাবে নীরব থাকলেও সময় পেলেই তাদের নখ ও বিষদাঁত প্রকাশ করে দেয়। তাদের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গণতন্ত্রের সামনে অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো টিকে থাকতে পারে না উল্লেখ করে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি একাধিকবার সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সেই সহযোগিতা গ্রহণের পরিবর্তে সরকার দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে চলার পথ বেছে নিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস, মব সহিংসতা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তার অভিযোগ, গণতন্ত্রের নামে একটি মহল মব সৃষ্টি করে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে এবং সেই দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ধ্বংসকারী নয়। হত্যা, গুম কিংবা মব রাজনীতির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

তবে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনীতির অর্থ এই নয় যে বিএনপি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরব থাকবে। মানুষের অধিকার রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে এবং সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে। শহীদ জিয়ার বাকশাল ভেঙে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস স্মরণ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যেভাবে জনগণের পাশে ছিলেন, বিএনপিও আগামীতেও জনগণের পাশে থাকবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থী হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী **হাবিবুর রশিদ হাবিব**সহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

-রফিক


যেখানে হাদির কবর খনন করা হয়েছে 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৩:৫৩:০৭
যেখানে হাদির কবর খনন করা হয়েছে 
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সম্মুখসারির নেতা শরিফ ওসমান হাদি–এর দাফনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে তার কবর খননের কাজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কবর খননের শেষ পর্যায়ের কাজ চলাকালে সমাধি প্রাঙ্গণের আশপাশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে ভিড় করে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পুরো এলাকা জুড়ে একদিকে শোকের আবহ, অন্যদিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শরিফ ওসমান হাদির দাফনের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণকে নির্ধারিত স্থান হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার সমাহিতকরণের জন্য এই স্থান নির্বাচন করা হয়েছে।

এদিকে, শরিফ ওসমান হাদির দাফন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এতে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সাধারণ জনগণকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি এই অনুরোধ প্রযোজ্য। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসের একাধিক প্রবেশপথ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে স্বাভাবিক চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং দাফন কার্যক্রম শেষে ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাচল পুনরায় চালু করা হবে।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত