ভারতের হামলা: শেখ জায়েদ বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১২ ০৮:০৮:২৩
ভারতের হামলা: শেখ জায়েদ বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত 

সত্য নিউজ: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে শনিবার ভোরে একটি অভূতপূর্ব ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতের আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম একটি ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হামলায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান জেলার শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিমানবন্দরটি শুধু একটি পরিবহন কেন্দ্রই নয়—এটি পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। এই হামলায় আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও রাজপরিবারের জন্য নির্মিত রাজকীয় লাউঞ্জ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রহিম ইয়ার খানের ডেপুটি কমিশনার খুররম জাভেদ।

তিনি জানান, “ভারতের এই আক্রমণ পূর্বপরিকল্পিত এবং বিমানবন্দরের কৌশলগত স্থাপনাকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় বিস্ফোরণের ফলে উড়োজাহাজ পার্কিং এলাকায় প্রায় ১০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।”

রাজকীয় ব্যবহার, রাজনীতি ও প্রতীকীগুরুত্ব

শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ১৯৯০-এর দশকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ানের অনুদানে নির্মিত হয়। শুধু পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান পরিবহনেই নয়, আরব বিশ্বে পাকিস্তানের অবস্থান ও প্রভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবেও এই বিমানবন্দর দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। যদিও ২০২৩ সাল থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থগিত রয়েছে, তবে আবুধাবির রাজপরিবারের সদস্যরা মাঝে মধ্যে ব্যক্তিগত সফরের সময় এটি ব্যবহার করতেন।

পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, বিমানবন্দরটি ১৯৭৩ ও ২০১০ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। এসব মানবিক ভূমিকা একে শুধু কৌশলগত নয়, বরং সামাজিক ও কূটনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ও প্রতিক্রিয়া

বিমানবন্দরের আশেপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে তাঁরা একাধিক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। “ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠি,” বলেন এক স্থানীয় কৃষক। “মনে হয়েছিল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা উদ্বেগ

হামলার ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে এবং উভয় দেশের মধ্যে আঞ্চলিক আধিপত্যের লড়াই নতুন মাত্রা পেয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ আঘাত শুধু পাকিস্তান নয়, আমিরাতকেও কৌশলগত বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকতে পারে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এমন হামলা দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত