ঢাবিতে গর্জে উঠলো মানবতার কণ্ঠ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১৭:২৪:২২
ঢাবিতে গর্জে উঠলো মানবতার কণ্ঠ

বুধবার (১৮ জুন) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অবস্থিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য এবং নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য একান্ত প্রয়োজন। বক্তাদের মতে, মুসলিম দেশগুলো যদি একসঙ্গে না থাকে, তবে ধীরে ধীরে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তারা অভিযোগ করেন, পশ্চিমা বিশ্ব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করলে তা বৈধ হলেও কোনো মুসলিম দেশ এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করলেই সেটিকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “ইসরায়েলের বর্তমান সামরিক কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়। তারা আত্মরক্ষার কথা বলে সাধারণ নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে, যা কোনোভাবেই মানবাধিকারের পরিপন্থী নয়।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনকে ইসরায়েলের আক্রমণের পেছনে মূল চালিকা শক্তি বলে উল্লেখ করেন।

তার ভাষায়, “আমেরিকার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া ইসরায়েল ইরানের ওপর হামলা চালানোর সামর্থ্য রাখে না।” তিনি আরও বলেন, “গোলান মালভূমি, গাজা উপত্যকা এবং ফিলিস্তিনের দখল ইসরায়েলের দখলদার মনোভাব ও ছলচাতুরীর প্রমাণ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি ইসরায়েলকে প্রশ্রয় না দিত, তবে তারা এতদূর এগোতে পারতো না।”

বক্তারা বলেন, নির্যাতিতের পক্ষে অবস্থান নিতে মুসলিম হওয়া জরুরি নয়। মানবিক মূল্যবোধ থাকলেই জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সম্ভব। আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “কোনো অমুসলিম দেশও যদি ইহুদি সন্ত্রাসে আক্রান্ত হয়, আমরা তাদের পাশেও দাঁড়াবো। এটি ধর্মের নয়, মানবতার প্রশ্ন।”

আন্দলিব নামের এক বক্তা বলেন, “আমরা আর কোনো যুদ্ধ চাই না, চাই শান্তি ও স্থিতিশীলতা। যুদ্ধ শুধু মানুষ হত্যা করে না, বিশ্ব অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়।” তিনি বলেন, “আমরা জুলাই চেতনায় বিশ্বাস করি যেখানে জাতীয় ঐক্য, আত্মনির্ভরতা ও স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো (যেমন মোসাদ) আর বাংলাদেশে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে এবং দেশের গোপন তথ্য পাচার করতে না পারে।”

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তারা কোনো বিশেষ রাষ্ট্র বা ধর্মের পক্ষ নয় তারা মানবতার পক্ষে। নিরীহ মানুষের রক্তপাত বন্ধে, যুদ্ধ থামাতে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরিতে বিশ্ব নেতৃত্বকে এখনই কার্যকর ও ন্যায্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ