ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

ভারত-পাকিস্তান ৭২ ঘন্টার যুদ্ধ ও এর ফলাফল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১২ ০২:০৭:০২
ভারত-পাকিস্তান ৭২ ঘন্টার যুদ্ধ ও এর ফলাফল

সত্য নিউজ:গত ২২ এপ্রিল বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। এই হামলার পরবর্তী সময়ে, ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের নয়টি অবস্থান লক্ষ্য করে ২৩ মিনিটব্যাপী একটি হামলা চালায়, যা “অপারেশন সিঁদুর” নামে পরিচিত। এই অভিযানে ভারতের ড্যাসল্ট রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হয়, যা আধুনিক আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও গ্লাইড বোমা বহন করার ক্ষমতা রাখে এবং প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানতে সক্ষম।

ভারতের আক্রমণ: প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পূর্ব প্রস্তুতি

এই ২৩ মিনিটের হামলায় ভারত শুধু বিমান বাহিনীর মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরখ করতে তারা কয়েকটি মনুষ্যবিহীন আকাশযান ব্যবহার করে। এর মধ্যে ছিল ইন্দো-ইসরায়েলি স্কাইস্ট্রাইকার এবং ইসরায়েলের তৈরি হারোপ ড্রোন। এসব ড্রোন শুধুমাত্র লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানতে সক্ষম নয়, বরং মাটিতে থাকা রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থানও শনাক্ত করতে পারে, যা পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা বের করতে সহায়ক ছিল।

পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণ: ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানও তাদের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট নিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। ৭ মে থেকে ১০ মে, পাকিস্তান তাদের বহুমাত্রিক চেংডু জে-১০ সি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের আকাশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধবিমানগুলি দৃষ্টিসীমার বাইরে আকাশ থেকে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম, এবং এতে রয়েছে পাল্টা আঘাত করার ইলেকট্রনিক যুদ্ধাস্ত্রও।

৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পাকিস্তান ভারতীয় ড্যাসল্ট রাফাল যুদ্ধবিমানের তিনটি বিমান ধ্বংস করে এবং ভারতীয় ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে। এটি ছিল ড্যাসল্ট রাফাল যুদ্ধবিমান হারানোর প্রথম ঘটনা, যা আকাশপথের যুদ্ধে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং পুঁজিবাজারের ধস

এই ৮৭ ঘণ্টার লড়াই শুধুমাত্র সামরিক ক্ষেত্রে ক্ষতি করেছে তা নয়, বরং অর্থনীতিতেও বড় ধরনের ধাক্কা এসেছে। ভারতীয় পুঁজিবাজারে ভারতীয় এনআইএফটিওয়াই-৫০ এবং বিএসই সেনসেক্স সূচক প্রায় ৮২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান চলাচল খাতের প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে এবং আইপিএল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় সামরিক খরচ এবং যুদ্ধবিমান হারানোর কারণে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। বাণিজ্যিক খাতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে মোট ৮৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে ভারতের।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের পুঁজিবাজারেও ক্ষতি হয়েছে। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪.১ শতাংশ পতন ঘটেছে, যার ফলে শেয়ারমার্কেট থেকে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার পুঁজি হারিয়েছে। পাকিস্তানও এ সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, কারণ পিএসএল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় এবং বিমান পরিবহণ খাতে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের সামরিক খরচ এবং ড্রোন অপারেশনসহ মোট ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।

এখন পর্যন্ত সংঘাতের প্রভাব

এই ৮৭ ঘণ্টার সংঘাত শুধুমাত্র আকাশপথেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এর ফলে পুঁজিবাজারে ধস, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন এবং বাণিজ্যিক বিমান চলাচলে লোকসানও হয়েছিল। দুটি দেশ তাদের সামরিক শক্তি দিয়ে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করলেও, এর ফলে বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি, পুঁজিবাজারের ধস এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিমান পরিবহণের উপর প্রভাব পড়েছে। এর মধ্য দিয়ে একবার আরও প্রমাণিত হয়েছে যে, আধুনিক যুদ্ধে শুধু সামরিক অস্ত্রই নয়, অর্থনৈতিক শক্তি ও প্রযুক্তির ব্যবহারও অপরিহার্য। এটি বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর জন্য একটি শিক্ষামূলক বিষয়, যেখানে সামরিক ক্ষমতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক শক্তি এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত