ইরান ইস্যুতে কঠোর হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প: ইঙ্গিত ভাইস প্রেসিডেন্টের

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ফের কঠোর হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহচর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক বিবৃতিতে ইরানের ঘরোয়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধের দাবিকে জোরালোভাবে সমর্থন জানিয়েছেন।
ভ্যান্স, যিনি অতীতে বারবার বিদেশে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছেন, এবার ট্রাম্পের অবস্থানকে "যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বাস্তববাদী ও সংযত কৌশল" বলে অভিহিত করেছেন।
“রাষ্ট্রপতি আমাদের সেনাদের এবং নাগরিকদের নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং সেই জন্যই তিনি বিদেশি জটিলতায় না জড়িয়ে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করছেন,” সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ভ্যান্স লিখেছেন।
তিনি আরও বলেন,“রাষ্ট্রপতির কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে যে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে আর কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। গত ২৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্র যে ভুলভাল বিদেশনীতি অনুসরণ করেছে, তাতে মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক।”
ভ্যান্সের এ মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে রিপাবলিকান শিবিরে এক নতুন ধরনের পররাষ্ট্রনীতির ইঙ্গিত দিচ্ছে যেখানে অযথা যুদ্ধ এড়িয়ে কূটনৈতিক চাপ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং প্রয়োজনে সীমিত সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবা হচ্ছে।
অতীতে ইরাক-আফগানিস্তান যুদ্ধসহ দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়া নিয়ে যেভাবে সমালোচনা হয়েছিল, বর্তমান ট্রাম্প-ভ্যান্স যুগে তা থেকে সরে এসে “শক্তি প্রয়োগে সংযম” নীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে যে, ইরান আবারও তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বাড়িয়েছে এবং এটি অস্ত্র নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসন আবারও ইরানের ঘরোয়া সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
জেডি ভ্যান্সের এই স্পষ্ট অবস্থান ট্রাম্পের কূটনৈতিক কৌশলকে আরও শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে। একদিকে যেমন যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি, অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির সমর্থন এই দ্বৈত অবস্থান রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
আগামী কয়েক সপ্তাহে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন পদক্ষেপ আসতে পারে, আর সেখানে ভ্যান্সের মতো নেতাদের ভূমিকা হতে পারে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: আল জাজিরা
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!
- নির্বাচিত নারী, অলঙ্কার নয়: গণতন্ত্রে নারীর শক্তির সন্ধান
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?