ইরান-ইসরাইল সংঘাত

ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা: আমান ও মোসাদের ঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষতি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৭ ১৮:২৮:১০
ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা: আমান ও মোসাদের ঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষতি

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) কর্তৃক চালানো ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলায় ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ‘আমান’-এর গ্লিলট অবস্থিত লজিস্টিক কমপ্লেক্স এবং হেরজলিয়ায় অবস্থিত মোসাদের প্রধান কার্যালয় ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ছোঁড়া এই হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শুরুতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে। একটি বাস টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—এই বিবৃতি দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রাথমিক ভিডিওচিত্রে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, গ্লিলট এলাকায় অবস্থিত আমান কমপ্লেক্সে আগুন জ্বলছে এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলি আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে।

হিব্রু গণমাধ্যমের খবরে আরও জানা গেছে, গোপন সামরিক গোয়েন্দা স্থাপনাগুলোর একটি, বিশেষ করে ইসরায়েলের ইলেকট্রনিক নজরদারি ও সাইবার গোয়েন্দা শাখা Unit 8200-এর কয়েকটি ব্যাকআপ সাইট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো—হেরজলিয়ায় অবস্থিত মোসাদের একটি ঘাঁটি সরাসরি এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রীয় মিডিয়া প্রথমে এই তথ্য চেপে রাখতে চাইলেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং বিস্ফোরণের ব্যাপ্তি সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা ইরানের কৌশলগত সক্ষমতার একটি স্পষ্ট প্রদর্শনী। প্রতিপক্ষের গোয়েন্দা কাঠামোর ভেতরে ঢুকে আঘাত হানার মাধ্যমে তারা শুধু প্রতিশোধ নিতেই চায়নি, বরং একধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরির কৌশলও গ্রহণ করেছে।

এই হামলার ফলে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অখণ্ডতা এবং গোয়েন্দা তৎপরতার গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি, মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত