'নতুন ও উন্নত অস্ত্র' নিয়ে ইরানের ভয়াল হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৭ ১৪:১৩:২৮
'নতুন ও উন্নত অস্ত্র' নিয়ে ইরানের ভয়াল হামলা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন ও আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ (IRNA)-এর বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন এই হামলার ধারা আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত। সেনাবাহিনীর স্থলবাহিনী প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিওমারস হেইদারিকে উদ্ধৃত করে আইআরএনএ জানায়,

“সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর স্থলবাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন ও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে প্রচণ্ড আক্রমণের একটি নতুন তরঙ্গ শুরু হয়েছে, এবং তা আগামী ঘন্টাগুলোতে আরও তীব্র হবে।”

ইরান তাদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন এই হামলায় ফাতে-১১০, জুলফিকার, কিংবা আরও উন্নত গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের এই 'নতুন ও উন্নত অস্ত্র' হয়তো অধিকতর নির্ভুল নিশানা নির্ধারণ ও উচ্চমাত্রার ধ্বংসক্ষমতা বহন করতে সক্ষম।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সামরিক ও প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলার জবাব হিসেবেই এই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান এখন রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে সরে এসে অধিকতর আগ্রাসী ও কৌশলগত প্রতিশোধমূলক অবস্থান নিচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাব্যবস্থায় আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচিত গোষ্ঠীগুলো যেমন হিজবুল্লাহ, হুথি বা সিরিয়ার বাহিনী সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে তা এক বহুপাক্ষিক যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।

এই মুহূর্ত পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই নতুন আক্রমণের খবরে বিশ্ব সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা শক্তিগুলো, সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

এই পরিস্থিতি ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। উভয় পক্ষই শক্তির মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং আপাতত শান্তিপূর্ণ সমাধানের কোনো বাস্তব পথ সামনে আসছে না।

সূত্র: আল জাজিরা

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত