ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ, ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেটের সামনে আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা, মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর না মিললেও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

ঘটনার পরপরই “জুলাই আন্দোলনের” অন্যতম সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ তার ভেরিফায়েড সামাজিকমাধ্যম অ্যাকাউন্টে একটি স্টেটমেন্ট পোস্ট করেন। এতে তিনি বিস্ফোরণ ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন,

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে আজ অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার হওয়া প্রমাণ করে যে, 'ক্যাম্পাস এখনো নিরাপদ নয়' এই বয়ান প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে।”

তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দ্রুত বিশ্লেষণ করে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

এসএম ফরহাদ আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের একমাত্র টেকসই সমাধান হলো ডাকসু নির্বাচন। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে প্রতিটি সম্ভাব্য দিক বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।”

তিনি অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন থাকা সত্ত্বেও ডাকসু নির্বাচন বিলম্বিত করার মাধ্যমে একটি ‘ভবিষ্যত নেতৃত্ব শূন্যতা’ তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে। “যদি এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না যায়, তবে প্রশাসনের উচিত দায়িত্বের ব্যর্থতা স্বীকার করে সম্মানজনকভাবে পদত্যাগ করা,” বলেন ফরহাদ।

এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনিক একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঘটনা তদন্তে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুধু নিরাপত্তা ঝুঁকিই বাড়াচ্ছে না, শিক্ষার্থীদের মনে একটি দীর্ঘস্থায়ী অনাস্থা ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্বাভাবিকতা ও গঠনমূলক রাজনৈতিক চর্চাকে ব্যাহত করছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক