ইরান- ইসরায়েল সংঘাত
হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি, বিশ্ব জ্বালানি বাজারে ঝড়!

ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার পর হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে ইরান। দেশটির সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য এসমাইল কোসারি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “প্রয়োজনে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ সৃষ্টি করাও কৌশলগত বিকল্প হিসেবে বিবেচনায় আছে।”
হরমুজ প্রণালীর গুরুত্ব কী?
হরমুজ প্রণালী ওমান ও ইরানের মধ্যবর্তী একটি সংকীর্ণ জলপথ, যেটির মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বিশ্ববাজারে সরবরাহ হয়। এতে সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব তেলনির্ভর দেশের রপ্তানি নির্ভর করে। এই প্রণালী সামান্য সময়ের জন্যও বন্ধ হলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহ চেইন ভয়াবহভাবে ব্যাহত হবে, এবং জ্বালানির দাম আকাশচুম্বী হতে পারে।
উত্তেজনার পটভূমি
গত সপ্তাহে ইসরায়েল একযোগে তেহরানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ১০০ জনের বেশি সাধারণ মানুষ, সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। পাল্টা জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও কামিকাজে ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলের ১৫০টির বেশি সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় হামলা চালায়। এই পাল্টাপাল্টি হামলার প্রেক্ষাপটেই হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি এসেছে।
ইরানের এই বিবৃতি বাজারে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম এক দিনে প্রায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, "ইরান যদি সত্যিই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তাহলে সেটা হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।"
আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক তৌফিক রাহিম বলেন, “ইসরায়েল এখনো ইরানের তেল অবকাঠামোতে বড় আকারে হামলা করেনি। কিন্তু যদি তা ঘটে, ইরান নিঃসন্দেহে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে। এতে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক দেশও তেলের ঘাটতিতে পড়বে।”
সামনের দিনগুলোতে কী হতে পারে?
বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম বহর হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি অবস্থান করছে। তারা ওই জলপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের ঘোষণা দিলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, “যদি ইরান কৌশলগতভাবে প্রণালীতে নৌমাইন বসানো বা সাময়িক নৌ অবরোধ করে, তাহলে মার্কিন-ইরান সংঘাতের আশঙ্কাও অস্বীকার করা যাবে না।” সূত্র:আল-জাজিরা
-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি, কসাই না পাওয়ায় আজ জবাই অনেকের
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- তারেক-ইউনূস বৈঠক: উত্তপ্ত রাজনীতিতে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট?
- উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষোভ কি ভারতের কেন্দ্রীয় কূটনীতি পাল্টাবে?
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- সাক্ষাৎ চাইলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, মুখ ফিরিয়ে নিলেন ড. ইউনূস
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা