ইরান- ইসরায়েল সংঘাত

তেলআবিবে ইরানের মিসাইল হামলা!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ০৯:১৯:৪৯
তেলআবিবে ইরানের মিসাইল হামলা!

ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় তিন ধাপে কয়েকশ ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায়। হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব। ইরানের ছোড়া মিসাইলগুলোর কয়েকটি সরাসরি তেলআবিবে আঘাত হানে, যার ফলে একজন ইসরায়েলি নারী নিহত হন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৮ জন, যাদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আহত হন ৪১ জন এবং তৃতীয় দফায় আহত হন আরও ৭ জন। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, নিহত নারী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইরানের ছোড়া কিছু মিসাইল আকাশে ভূপাতিত করে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। তবে এই ঘটনায় ইরান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যেসব দেশ ইরানের হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে, তাদের আঞ্চলিক অবকাঠামোও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। এই ঘোষণার মাধ্যমে ইরান ইঙ্গিত দিয়েছে, যুদ্ধ শুধু ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না-ও থাকতে পারে।

রাতভর ইরানের হামলার পর শনিবার সকালে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল তেহরানের মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিসাইল বা ড্রোন হামলা চালায়। ওই হামলায় বিমানবন্দরের দুটি স্থাপনায় সরাসরি আঘাত হানে, যার ফলে সেখানে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছিল। এই হামলা ইরানের গুরুত্বপূর্ণ বিমান চলাচল কার্যক্রমে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘাত যদি বাড়তে থাকে, তবে তা শুধু এই দুই দেশ নয় পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং কূটনৈতিক ভারসাম্যে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে এবং নিরাপত্তা পর্যবেক্ষকরা সম্ভাব্য যুদ্ধের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করছেন।

এই সংকটের মুহূর্তে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ না ঘটলে সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সংলাপ এবং উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ দরকার বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত