বিকৃত নামে ডাকা: ইসলামের দৃষ্টিতে কি এটি গুনাহ?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১২ ০৯:৪৬:৫৩
বিকৃত নামে ডাকা: ইসলামের দৃষ্টিতে কি এটি গুনাহ?

প্রশ্ন:ইদানীং দেখা যায়, অনেকে একে অপরকে বিকৃত নামে ডাকে, বিশেষ করে কোনো মানুষের মতাদর্শের সঙ্গে নিজের মত না মিললে তাকে বিকৃত নামে ডেকে অপমানের চেষ্টা করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি কেমন কাজ?— মাহফুজ, ঢাকা

উত্তর:ইসলামের দৃষ্টিতে কাউকে বিকৃত নামে ডাকা কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এটি শুধু অপমানজনকই নয়, বরং গুনাহর কাজ হিসেবেই বিবেচিত। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন:

“হে মুমিনগণ! তোমাদের কোনো জাতি যেন অন্য জাতিকে উপহাস না করে— হতে পারে, উপহাসের পাত্ররাই উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম। নারীরাও যেন অন্য নারীদের উপহাস না করে— হতে পারে, উপহাসিত নারীরাই তাদের চেয়ে উত্তম। তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং অপবাদসূচক নামে ডেকো না। ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা বড়ই গর্হিত কাজ। যারা এ থেকে তওবা করে না, তারাই হচ্ছে জালিম।”(সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১১)

এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন কাউকে বিদ্রূপাত্মক বা বিকৃত নামে ডাকা। এমনকি দুষ্টুমি বা মজা করেও এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকা জরুরি। কোনো মুসলমানের সম্মানহানিকর নামে ডাকলে তা তার আত্মমর্যাদায় আঘাত করে, যা ইসলামে স্পষ্টরূপে নিষিদ্ধ।

এমন আচরণ অতীতে হয়ে থাকলে, পরস্পরের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকা আবশ্যক। ইসলামের শিক্ষা হলো— পারস্পরিক সম্মান, ভদ্রতা এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা। মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, বরং সম্মানজনক ভাষায় এবং আচরণে মানুষকে মূল্যায়ন করা।

নাম বিকৃত করে কাউকে ডাকা ইসলামে নিন্দনীয় ও গুনাহের কাজ। এই আচরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং পরস্পরের প্রতি ক্ষমাশীল হওয়া উচিত।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত