আল-হাজ টেক্সটাইলসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:১৯:১০
আল-হাজ টেক্সটাইলসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান আল-হাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (AL-HAJTEX) চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ধারাবাহিক লোকসানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। কোম্পানিটির প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়, নগদ প্রবাহ এবং সম্পদের মূল্যে উল্লেখযোগ্য অবনতি দেখা গেছে।

প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৩)

অর্থবছরের শুরুতেই কোম্পানিটির আর্থিক দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে EPS ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা লোকসান, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ১৬ পয়সা মুনাফা হয়েছিল।

এ সময় NOCFPS দাঁড়ায় মাইনাস ১ টাকা ৫৭ পয়সা, যা আগের বছরের ইতিবাচক নগদ প্রবাহ থেকে বড় ধরনের অবনতি নির্দেশ করে। একই প্রান্তিকে NAV কমে দাঁড়ায় ৭ টাকা ২ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর–ডিসেম্বর ২০২৩)

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির EPS দাঁড়ায় ১ টাকা ৫৬ পয়সা লোকসানে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২১ পয়সা লোকসান। ছয় মাসে (জুলাই–ডিসেম্বর ২০২৩) সম্মিলিত লোকসান বেড়ে ২ টাকা ৯৯ পয়সা হয়েছে।

এই প্রান্তিকে NOCFPS দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১ টাকা ৯৯ পয়সা, যেখানে আগের বছর এটি ছিল ৫৩ পয়সা লোকসান। একই সময়ে NAV নেমে আসে ৫ টাকা ৪৬ পয়সায়, যা সম্পদের ওপর চাপের ইঙ্গিত দেয়।

তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি–মার্চ ২০২৪)

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (EPS) দাঁড়িয়েছে ৪১ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১০ পয়সা। নয় মাসে (জুলাই ২০২৩–মার্চ ২০২৪) সম্মিলিতভাবে EPS নেমে এসেছে ৩ টাকা ৩৯ পয়সা লোকসানে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১৫ পয়সা লোকসান।

এই সময়কালে শেয়ারপ্রতি কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ (NOCFPS) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য উন্নত হলেও এখনো ঋণাত্মক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি, নেট সম্পদ মূল্য (NAV) কমে ৫ টাকা ৫ পয়সায় নেমে এসেছে, যেখানে ২০২৩ সালের জুন শেষে তা ছিল ৮ টাকা ৪৫ পয়সা।

তিন প্রান্তিকের হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, লোকসান ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে, নগদ প্রবাহ দুর্বল এবং সম্পদের মূল্য দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, উৎপাদন ব্যয়, আর্থিক দায় এবং ব্যবস্থাপনাগত চাপে কোম্পানির পারফরম্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত উচ্চ হারে স্টক লভ্যাংশ ভবিষ্যৎ কৌশলগত পুনর্গঠনের ইঙ্গিতও দিতে পারে।

-রফিক


আল-হাজ টেক্সটাইলসের লভ্যাংশ ঘোষণা, জানুন রেকর্ড তারিখ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:১০:১৬
আল-হাজ টেক্সটাইলসের লভ্যাংশ ঘোষণা, জানুন রেকর্ড তারিখ
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আল-হাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (AL-HAJTEX) বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় অঙ্কের লভ্যাংশ ঘোষণার পর আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২৫) শেয়ারের দামে কোনো মূল্যসীমা (প্রাইস লিমিট) ছাড়া লেনদেন হচ্ছে। করপোরেট ঘোষণার কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ৩৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ (বোনাস শেয়ার) প্রদানের সুপারিশ করেছে। স্টক লভ্যাংশটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকর হবে।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণায় জানানো হয়, কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬, সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজন করা হবে, যেখানে শারীরিক ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা ক্লাবের সিনহা লাউঞ্জ। এ সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৬।

আর্থিক সূচকের দিক থেকে কোম্পানিটির পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে। ২০২৪ অর্থবছরে ইপিএস (EPS) দাঁড়িয়েছে ১০.০৭ টাকা, যেখানে আগের বছর ইপিএস ছিল ০.৭৮ টাকা লোকসান। একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (NAV) বেড়ে হয়েছে ১৮.৫২ টাকা, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮.৪৫ টাকা। তবে নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (NOCFPS) এখনো ঋণাত্মক অবস্থানে রয়েছে, যা দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২.৫৮ টাকা।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টক লভ্যাংশ ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্ত অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি এবং মূলধন কাঠামো শক্তিশালী করা। এই বোনাস শেয়ার সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত মুনাফা বা রিটেইন্ড আর্নিংস থেকে দেওয়া হবে। কোনোভাবেই এটি ক্যাপিটাল রিজার্ভ, পুনর্মূল্যায়ন তহবিল, অবাস্তবায়িত মুনাফা বা পরিশোধিত মূলধন হ্রাসের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়নি বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।

-রফিক


মিউচুয়াল ফান্ডে ডিসকাউন্ট, কোনগুলো এগিয়ে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:০৭:২৪
মিউচুয়াল ফান্ডে ডিসকাউন্ট, কোনগুলো এগিয়ে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড তাদের দৈনিক নিট সম্পদ মূল্য (NAV) প্রকাশ করেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, অধিকাংশ ফান্ডের বর্তমান বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি এখনো অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে অবস্থান করছে, যদিও ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি তুলনামূলকভাবে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।

রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড (RELIANCE1)–এর ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি দাঁড়িয়েছে ১০.৪০ টাকা, যা অভিহিত মূল্যের সামান্য ওপরে রয়েছে। ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি ছিল ১১.১৭ টাকা। ফান্ডটির মোট নিট সম্পদের পরিমাণ বাজারমূল্যে প্রায় ৬২.৯ কোটি টাকা।

অন্যদিকে গ্রামীণস টু মিউচুয়াল ফান্ড (GRAMEENS2) বাজারে অন্যতম শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে। এর ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ১৫.৩৫ টাকা, যা অভিহিত মূল্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ফান্ডটির মোট নিট সম্পদ বাজারমূল্যে প্রায় ২৮০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

তবে বেশিরভাগ ওপেন ও ক্লোজড-এন্ড ফান্ডে বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি এখনও উল্লেখযোগ্য ছাড়ে লেনদেন হচ্ছে। ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (TRUSTB1MF), পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড (POPULAR1MF) এবং পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (PHPMF1)–এর ইউনিটপ্রতি বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ৬ থেকে ৭ টাকার মধ্যে অবস্থান করছে, যদিও ব্যয়মূল্যে এসব ফান্ডের এনএভি ১১ টাকার ওপরে রয়েছে।

ব্যাংকভিত্তিক ফান্ডগুলোর মধ্যে আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (IFIC1STMF), ইবিএল ফার্স্ট ও এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, জানাতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (1JANATAMF)–এর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। বাজারমূল্যে এসব ফান্ডের এনএভি ৬ থেকে ৭.৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, অথচ ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি ১১ থেকে ১২ টাকার বেশি।

আইসিবি ও সেমল–পরিচালিত ফান্ডগুলো তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। ICBAGRANI1, ICBSONALI1, ICB3RDNRB, PRIME1ICBA, ICBAMCL2ND এবং 1STPRIMFMF–এর বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ৭ থেকে ৯ টাকার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে 1STPRIMFMF–এর ব্যয়মূল্যভিত্তিক এনএভি সর্বোচ্চ ১৬.৭৭ টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ারবাজারে সামগ্রিক অনিশ্চয়তা ও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাবের কারণে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোতে এখনো ডিসকাউন্ট বিদ্যমান। তবে শক্তিশালী সম্পদভিত্তি ও স্থিতিশীল ক্যাশ ফ্লো বিবেচনায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক ফান্ডেই ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

-রফিক


বছরের শেষ প্রান্তে শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:০৩:০৭
বছরের শেষ প্রান্তে শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেনে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রধান শেয়ার সূচকগুলোতে পতনের চাপ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) আগের দিনের তুলনায় ২২.৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৮৪৬.৫৭ পয়েন্টে, যা শতাংশের হিসাবে ০.৪৬ শতাংশ হ্রাস নির্দেশ করে। একই সময়ে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) কমেছে ৪.৭৮ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৯৯৮.১২ পয়েন্টে। পাশাপাশি ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস৩০ (DS30) কমেছে ১৩.৯১ পয়েন্ট, যা দাঁড়িয়েছে ১,৮৫৩.২২ পয়েন্টে। এই সূচকটির পতনের হার ছিল প্রায় ০.৭৫ শতাংশ।

লেনদেন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ সময় পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ১৪ হাজার ৮২৩টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। এসব লেনদেনে মোট ৩৫ কোটি ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫১টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়। আর্থিক হিসাবে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫,০৮৯.৭৬ কোটি টাকা।

বাজারের প্রস্থচিত্রে (market breadth) মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় ৬৫টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, বিপরীতে ২১৫টির দর কমেছে, আর ৯৭টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে করে বাজারে বিক্রির চাপ যে তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে।

-রাফসান


কোন মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ তৈরি হচ্ছে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১৬:১২:৫০
কোন মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ তৈরি হচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত বিপুলসংখ্যক মিউচুয়াল ফান্ড তাদের ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের দৈনিক নিট সম্পদ মূল্য (NAV) প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি অভিহিত মূল্য (১০ টাকা) এবং ক্রয়মূল্যভিত্তিক এনএভির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যা বর্তমান পুঁজিবাজারের বাস্তব চিত্র ও বিনিয়োগকারীদের মনস্তাত্ত্বিক চাপকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করছে।

ডিএসই সূত্র অনুযায়ী, TRUSTB1MF ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬ টাকা ৪০ পয়সা, যেখানে ক্রয়মূল্যে এনএভি রয়েছে ১১ টাকা ৪৮ পয়সা। এই ফান্ডের মোট নিট সম্পদ বাজারমূল্যে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা, অথচ ক্রয়মূল্যে তা ৩৪৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে POPULAR1MF, PHPMF1, IFIC1STMF, FBFIF, EXIM1STMF এবং EBL1STMF–এর মতো বড় আকারের ফান্ডগুলোর ক্ষেত্রেও, যেগুলোর বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ৬ থেকে ৭ টাকার ঘরে সীমাবদ্ধ।

অন্যদিকে কিছু ফান্ড তুলনামূলকভাবে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। উদাহরণ হিসেবে GRAMEENS2 ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে ১৫ টাকা ৩৮ পয়সা, যা ক্রয়মূল্যভিত্তিক এনএভি ১০ টাকা ৫৪ পয়সার তুলনায় অনেক বেশি। এতে বোঝা যায়, সংশ্লিষ্ট ফান্ডটির পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার ও সম্পদের বাজারমূল্যায়ন বর্তমানে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। একইভাবে CAPITECGBF, SEMLLECMF, SEMLIBBLSF এবং SEMLFBSLGF ফান্ডগুলোও বাজারমূল্যে তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।

তবে বেশিরভাগ ফান্ডের ক্ষেত্রে বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ক্রয়মূল্যের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম থাকায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য একদিকে যেমন ঝুঁকির ইঙ্গিত মিলছে, অন্যদিকে সম্ভাব্য ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ঘাটতি, উচ্চ সুদের হার এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার প্রভাব সরাসরি মিউচুয়াল ফান্ডের এনএভিতে পড়ছে।

বিশেষ করে ICB–পরিচালিত ফান্ডগুলো যেমন ICBAGRANI1, ICBSONALI1, ICB3RDNRB, ICBEPMF1S1, ICBAMCL2ND এবং PRIME1ICBA–এর বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভিও অভিহিত মূল্যের নিচে অবস্থান করছে, যদিও ক্রয়মূল্যভিত্তিক এনএভি এখনও ১২ থেকে ১৩ টাকার ঘরে রয়েছে। এতে বোঝা যায়, সম্পদের প্রকৃত মূল্য ও বাজারের মূল্যায়নের মধ্যে বড় ধরনের ব্যবধান তৈরি হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের অভিমত, বর্তমান পরিস্থিতিতে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগে শুধু দৈনিক এনএভি নয়, বরং ফান্ডের সম্পদ বণ্টন, শেয়ার নির্বাচন কৌশল, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা এবং দীর্ঘমেয়াদি রিটার্ন ইতিহাস গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি। স্বল্পমেয়াদি বাজারচাপের কারণে এনএভি কম থাকলেও, মৌলভিত্তি শক্ত ফান্ডগুলো ভবিষ্যতে বাজার ঘুরে দাঁড়ালে তুলনামূলক ভালো রিটার্ন দিতে পারে।

-রফিক


রেকর্ড ডেট শেষে চার ট্রেজারি বন্ডের লেনদেনের সময়সূচি প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১৬:০৪:০৯
রেকর্ড ডেট শেষে চার ট্রেজারি বন্ডের লেনদেনের সময়সূচি প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

রেকর্ড ডেট শেষে চারটি দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশ সরকার ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন পুনরায় শুরু হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে এসব সরকারি সিকিউরিটিজ আবারও শেয়ারবাজারে লেনদেনযোগ্য হবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট, কারণ রেকর্ড ডেটের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা ট্রেডিং কার্যক্রম নির্ধারিত তারিখে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, ২০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সরকার ট্রেজারি বন্ড (মেয়াদপূর্তি ২৯ জুন ২০৪২)–এর ট্রেডিং কোড TB20Y0642-এর লেনদেন ২৯ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় চালু হবে। একই দিনে ১৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড (মেয়াদপূর্তি ২৯ জুন ২০৩৭), যার ট্রেডিং কোড TB15Y0637, সেটির লেনদেনও আবার শুরু হবে।

এছাড়া, ২০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সরকার ট্রেজারি বন্ড (মেয়াদপূর্তি ২৯ জুন ২০৩১) ট্রেডিং কোড TB20Y0631 এবং ২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড (মেয়াদপূর্তি ২৯ ডিসেম্বর ২০৩০) ট্রেডিং কোড TB20Y1230–এর ক্ষেত্রেও একই তারিখে লেনদেন পুনরায় চালু করা হবে। এসব বন্ডের রেকর্ড ডেট সম্পন্ন হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আবারও সেকেন্ডারি মার্কেটে কেনাবেচায় অংশ নিতে পারবেন।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি সরকারি সিকিউরিটিজের ট্রেডিং পুনরায় শুরু হওয়ায় ট্রেজারি বন্ড সেগমেন্টে তারল্য বাড়তে পারে এবং ঝুঁকিহীন বিনিয়োগে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে। বিশেষ করে সুদহার ও মেয়াদভিত্তিক কৌশল গ্রহণে আগ্রহী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ।

-রাফসান


দুই ব্যাংকের সব শেয়ার বাতিল, কার্যকর রেজোলিউশন আদেশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১৬:০২:০১
দুই ব্যাংকের সব শেয়ার বাতিল, কার্যকর রেজোলিউশন আদেশ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর রেজোলিউশন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে Social Islami Bank PLC (এসআইবিএল) এবং Union Bank PLC–এর সম্পূর্ণ পরিশোধিত মূলধন শূন্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। ব্যাংক রেজোলিউশন অর্ডিন্যান্স, ২০২৫-এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক রেজোলিউশন ডিপার্টমেন্ট (বিআরডি) পৃথক ক্যাপিটাল রিডাকশন অর্ডারের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত দেয়, যা ৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর বলে গণ্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা আদেশ অনুযায়ী, এসআইবিএলের মোট ১ হাজার ১৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন সম্পূর্ণভাবে রাইট-ডাউন করে শূন্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংকটির ইস্যুকৃত সব শেয়ার বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে এবং শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাধিকার, লভ্যাংশ, দাবি বা আইনি প্রতিকারসহ সব ধরনের অধিকার বিলুপ্ত হয়েছে। আদেশ কার্যকরের জন্য শেয়ারহোল্ডার, ঋণদাতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, এই রেজোলিউশন আদেশের ফলে আমানতকারীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে না এবং ব্যাংকিং সেবার স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও রেজোলিউশনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্ণ ক্ষমতা সংরক্ষণ করছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এসআইবিএল তাদের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নথি হালনাগাদ করেছে এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধন অধিদপ্তর (আরজেএসসি), বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় দাখিল সম্পন্ন করেছে।

একই ধরনের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির প্রায় ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনও শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশ জারির সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাংকটির সব শেয়ার সম্পূর্ণভাবে রাইট-ডাউন ও বাতিল বলে গণ্য হয়েছে এবং শেয়ারহোল্ডারদের সংশ্লিষ্ট সব অধিকার বিলুপ্ত হয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া, আর্থিক বিবরণী সংশোধনসহ সব ধরনের আইনগত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, দুটি ব্যাংকের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত দেশের ব্যাংকিং খাতে একটি নজিরবিহীন রেজোলিউশন উদ্যোগ। দুর্বল আর্থিক কাঠামো ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শূন্য-সহনশীল নীতিরই প্রতিফলন এই পদক্ষেপ, যার লক্ষ্য আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

-রফিক


ইউনিয়ন ব্যাংক নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১৫:৫৬:৫৩
ইউনিয়ন ব্যাংক নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি নির্দেশনার ফলে Union Bank PLC-এর সম্পূর্ণ পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital) শূন্য (০) টাকায় নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যাংক রেজোলিউশন অর্ডিন্যান্স, ২০২৫-এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক রেজোলিউশন ডিপার্টমেন্ট (বিআরডি) থেকে জারি করা আদেশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানানো হয়েছে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের ক্যাপিটাল রিডাকশন অর্ডার এবং ২২ ডিসেম্বরের চিঠির আলোকে ইউনিয়ন ব্যাংকের মোট ১ হাজার ৩৬ কোটি ২৮ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ টাকা পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন সম্পূর্ণভাবে রাইট-ডাউন করে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। আদেশের ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে এবং তা ৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে প্রযোজ্য বলে গণ্য হবে।

এ আদেশ জারির ফলে ইউনিয়ন ব্যাংকের ইস্যুকৃত সব শেয়ার বাতিল বলে বিবেচিত হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শেয়ারহোল্ডারের ভোটাধিকার, লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার, ব্যাংকের ওপর কোনো দাবি বা আইনি প্রতিকারসহ সব ধরনের অধিকার চূড়ান্তভাবে বিলুপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করেছে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডার, ঋণদাতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ কিংবা অন্য কোনো পক্ষের অনুমোদন বা সম্মতির প্রয়োজন নেই।

ব্যাংক সূত্রে আরও জানানো হয়, পরিশোধিত মূলধন শূন্যে নামানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কার্যক্রম, আর্থিক বিবরণী সংশোধন এবং আইনগত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দেশের ব্যাংকিং খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দৃষ্টান্তমূলক রেজোলিউশন সিদ্ধান্ত, যা আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।

-রাফসান


ডিএসই ডেইলি টার্নওভার: আজকের বাজার চিত্র

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১৫:৫২:০৬
ডিএসই ডেইলি টার্নওভার: আজকের বাজার চিত্র
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান বোর্ডে আজকের লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। রোববার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রধান বোর্ডে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৯১৯টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আজকের লেনদেনে মোট ১২ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ২২৫টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর বিপরীতে বাজারে মোট লেনদেনের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৫০ কোটি ৮৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেনদেন বিনিয়োগকারীদের আস্থার ইঙ্গিত দেয়। দিনজুড়ে প্রধান বোর্ডে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খাদ্য ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারে তুলনামূলকভাবে বেশি লেনদেন দেখা গেছে।

-রফিক


২৮ ডিসেম্বরের শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১৫:০৩:৩৯
২৮ ডিসেম্বরের শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

রোববার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে নেতিবাচক ধারায়। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, যদিও কিছু শেয়ারে দর বৃদ্ধি ও ব্লক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য লেনদেন দেখা গেছে।

বাজার পরিস্থিতি (All Category)

দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানি ও ইউনিটের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে

দর বেড়েছে ১৩১টির,

দর কমেছে ২০০টির,

অপরিবর্তিত ছিল ৬২টির শেয়ার।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক চিত্র

এ ক্যাটাগরিএ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে ২১৩টি কোম্পানির শেয়ারে। এর মধ্যে

দর বেড়েছে ৭৩টির,

কমেছে ১১৬টির,

অপরিবর্তিত ছিল ২৪টি।

বি ক্যাটাগরিএ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে ৮৩টি শেয়ারে।

দর বেড়েছে ২২টির,

কমেছে ৪৮টির,

অপরিবর্তিত ১৩টি।

জেড ক্যাটাগরিএ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়েছে ৯৭টি শেয়ারে।

দর বেড়েছে ৩৬টির,

কমেছে ৩৬টির,

অপরিবর্তিত ২৫টি।

এন ক্যাটাগরিতে কোনো শেয়ারের লেনদেন হয়নি।

মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড

মিউচুয়াল ফান্ড (MF):লেনদেন হয়েছে ৩৪টি ইউনিটে।দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ১৭টির, অপরিবর্তিত ছিল ৯টি।

করপোরেট বন্ড (CB):লেনদেন হওয়া ২টি বন্ডের দরই কমেছে।

সরকারি সিকিউরিটিজ (G-Sec):লেনদেন হওয়া ৪টি সিকিউরিটিজের দর কমেছে।

লেনদেনের পরিসংখ্যান

দিন শেষে ডিএসইতে—

মোট লেনদেন (ট্রেড): ১,২৭,৯১৯টি,

মোট শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন: ১২ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ২২৫টি,

মোট লেনদেন মূল্য: ৩,৮৫০ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার ১৫০ টাকা।

বাজার মূলধন

লেনদেন শেষে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে—

ইক্যুইটি: ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা,

মিউচুয়াল ফান্ড: ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা,

ডেট সিকিউরিটিজ: ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা।

ব্লক মার্কেটের চিত্র

এদিন ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারে লেনদেন হয়েছে।মোট ৩৫টি ট্রেডে লেনদেন হয় ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৩২৩টি শেয়ার, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৫০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে ছিল—CITYBANK, PTL, CITYGENINS, GREENDELT, FINEFOODS, ACI, AL-HAJTEXসহ একাধিক কোম্পানি।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত