“উচ্চ আদালতের রায় জনগণের বিজয়”—মির্জা ফখরুলের প্রতিক্রিয়া

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচিত মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে বাধা নেই বলে জানালেন আইনজীবীরা। কারণ, তাকে শপথ নিতে না দেওয়ার দাবিতে করা রিট আবেদনটি হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তকে “জনগণের বিজয়” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২২ মে), থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন,
“উচ্চ আদালত আইনের প্রতি সম্মান রেখেই ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটা শুধু ইশরাক হোসেন নয়, গোটা জনগণের বিজয়। এ রায়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও একধাপ এগিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা জানি, যখন নির্বাচন হয়েছিল, তখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। অথচ রাজধানীবাসী ইশরাককেই তাদের মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছিল।”
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান
মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করে বলেন,
“এখন আর দেরি না করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ইশরাক হোসেনের শপথগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। যেন পরিস্থিতি সহজ ও শান্তিপূর্ণ থাকে।”
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দ্রুত রোডম্যাপ চাইল বিএনপি
চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে একটি দ্রুত নির্বাচন ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন ফখরুল।
“বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে টানাপোড়েন নয়, যেখানে ঐকমত্য রয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।”
তিনি প্রস্তাব রাখেন যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য রয়েছে, তা অবিলম্বে প্রকাশ করা হোক। আর যেখানে মতপার্থক্য আছে, তা চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে রাখা যেতে পারে।
“জনগণের স্বস্তির জন্য নেতাকর্মীরা রাস্তা থেকে ফিরে আসবেন”
আন্দোলনে থাকা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন,
“আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা ইশরাকের শপথ কার্যকর করবেন। নেতাকর্মীরা জনগণের স্বস্তির কথা চিন্তা করে শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে ফিরে যাবেন।”
উল্লেখ্য, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বর্তমানে ব্যাংককের রুটনিন আই হসপিটালে চোখের অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কাবুলের পথে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ত্রাণবাহী বিমান
আফগানিস্তানে সম্প্রতি সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ সরকার জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান কাবুলের উদ্দেশে রওনা হয়। এতে ১১ দশমিক ২২৭ টন ত্রাণসামগ্রী ছিল। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সরকারি এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, শীতবস্ত্র, কাপড়, শুকনো খাবার, বিস্কুট, মিল্ক পাউডার, নুডলস, বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং ওষুধপত্র। আইএসপিআর জানিয়েছে, এসব সামগ্রী আফগানিস্তানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের পর বিমানটি একই দিনে দেশে ফিরে আসবে। জরুরি সহায়তার এই চালান ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ৩১ আগস্ট স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২ হাজার ২০৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ৩ হাজার ৬৪০ জন আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছে আট হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। ফলে খাদ্য, পানি, চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলীমুল আমীন। বিমান যাত্রার আগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো এই মানবিক সহায়তা আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বিমানটি ছাড়ার আগে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমান বাহিনী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ভবিষ্যতেও সরকারের নির্দেশনায় বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
-রফিক
মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণেই ইহকাল ও পরকালের মুক্তি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমনের মধ্য দিয়ে মানবজাতি নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির পথ খুঁজে পেয়েছে। তাঁর আগমনের ফলে জগতের সব অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন ও বৈষম্যের অন্ধকার দূর হয়েছে। তাই তিনিই মানবতার মুক্তির দিশারী।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানের বাণী
তারেক রহমান বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী হলো মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমন এবং তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করা। তিনি মানবজাতিকে পরিশুদ্ধ করেছেন এবং তাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল-কোরআন ও সঠিক পথের শিক্ষা দিয়েছেন। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন দিবস মর্যাদা ও আনন্দের। আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং মানবতার পথপ্রদর্শক এই মহামানবের পৃথিবীতে আবির্ভাবের দিন আজ।
তিনি সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। আল্লাহ তাঁকে মহিমান্বিত মর্যাদা দান করেছেন। তাঁর আগমনের ফলেই মানুষ ইহকাল ও পরকালের মুক্তির সন্ধান পেয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল এক আলোকিত বিস্ময়।
তারেক রহমান বলেন, মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথে। তিনি নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তাঁর ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী অর্থাৎ তাওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে যে অনাচার ও অরাজকতা বিরাজমান ছিল, তা দূর করতে তিনি 'রহমাতুল্লিল আলামিন' হিসেবে আবির্ভূত হন।
তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া, ক্ষমা, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অতুলনীয়। তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত। তারেক রহমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, যেন সবাই মহানবীর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করতে পারে।
মির্জা ফখরুলের বাণী
এদিকে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একটি বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী, বিশ্বজগতের এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আবির্ভাবের দিন। এই শিশুর শুভাগমন সারা দুনিয়াকে আলোড়িত করেছিল। এই দিনটি নবীজির জীবনের সততা, নম্রতা, উদারতা ও ন্যায়বিচারের মতো মূল্যবোধগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তাঁর দেখানো পথে চলার অনুপ্রেরণা লাভের এক মহিমান্বিত মুহূর্ত। তিনি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নতুন সীমানা মেনেই অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইসি সচিব জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা খুব শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
নতুন এই সীমানায় কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে, আর বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে তিনটি নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২৬১টি আসনের সীমানা অপরিবর্তিত রেখে বাকি ৩৯টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন এনে নতুন সীমানার খসড়া গত ৩০ জুলাই প্রকাশ করেছিল ইসি।
খসড়া প্রকাশের পর সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে বিভিন্ন দাবি ও আপত্তি জানানোর জন্য ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে মোট ১ হাজার ৮৯৩টি আপত্তি এবং সুপারিশ জমা পড়ে। এর মধ্যে ৩৩ জেলার ৮৪টি আসন সম্পর্কিত ১ হাজার ১৮৫টি আপত্তি এবং ৭০৮টি পরামর্শ ছিল। উভয় পক্ষ থেকেই মতামত এসেছিল, যার ওপর ভিত্তি করে ইসি আপত্তিগুলো প্রথমে শোনেন।
গত ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত টানা চার দিন ধরে প্রস্তাবিত নির্বাচনী এলাকার সীমানা নিয়ে উত্থাপিত দাবি, আপত্তি ও আবেদনের ওপর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। তখন ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবকিছু পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ীই এবার চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
দেশে ফিরতে চাইলে তারেক রহমানকে সহায়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি দেশে ফিরতে চান, তবে সরকার তাকে সব ধরনের সহায়তা দেবে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়। তার ভ্রমণ সংক্রান্ত নথিপত্র বা ট্রাভেল ডকুমেন্টস নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে, সরকার তা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তৌহিদ হোসেন জানান, তারেক রহমান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন কি না, সে বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। তিনি যখন দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন, তখন তার জন্য প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট বা অন্য যেকোনো ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র সরবরাহ করা হবে।
সরকার নিজে থেকে তাকে ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আমার মনে হয় সেটার প্রয়োজন নেই। তিনি যখনই দেশে ফিরতে চাইবেন, আমাদের যতটুকু সহযোগিতা করার দরকার, আমরা অবশ্যই করব।"
এছাড়াও, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, এ নিয়ে ভারতকে নতুন করে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। একটি চিঠি একবারই দেওয়া হয়েছে এবং এরপর এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হলে তা সবাইকে জানানো হবে।
পোস্টারবিহীন নির্বাচন, প্রচারে নতুন বিধান যুক্ত করল ইসি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে নতুন আচরণবিধি যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন বিধান অনুযায়ী, একজন প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য প্রণীত এই নতুন আচরণবিধিমালায় আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এই বিধিমালা সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইসি।
নতুন আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে:
প্রচারণায় নতুন নিয়ম: নির্বাচনের দিন ও প্রচারের সময় কোনো ধরনের ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
বিলবোর্ডের ব্যবহার: প্রতিটি বিলবোর্ডের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হবে ১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৯ ফুট। একজন প্রার্থী তার সংসদীয় আসনে সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
সাইবার নিরাপত্তা: নারীদের সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার ছড়ালে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বিদেশে প্রচারণা: কোনো প্রার্থী সশরীরে বিদেশে গিয়ে তার পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির বিধানও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ইসি। এক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। জরিমানার পরিমাণ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা করা হয়েছে এবং ছয় মাসের কারাদণ্ডের আগের বিধানটি বহাল রাখা হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তৈরি করা এই বিধিমালা কার্যকর হলে এটি নির্বাচনের প্রচারণার পদ্ধতিকে পুরোপুরি বদলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এবং তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম এই নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এই অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে চলে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত বা দীর্ঘায়িত হতে পারে।
আদেশে আরও বলা হয়, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। আদালত ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
ব্যয় সাশ্রয়ের পরিপত্র উপেক্ষা: মন্ত্রীদের জন্য ৬০টিসহ ২৮০ গাড়ি কিনছে সরকার
আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য ৬০টিসহ মোট ২৮০টি গাড়ি কেনার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য জারি করা পরিপত্র লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২১ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়, যেখানে আগামী নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পরবর্তী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার কথা বলা হয়। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, মিতসুবিশি পাজেরো কিউএক্স-২৪২৭ সিসি মডেলের ৬০টি গাড়ি মন্ত্রীদের জন্য কেনা হবে, যার প্রতিটির দাম প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এছাড়াও নির্বাচনকালীন সময়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য ১৯৫টি জিপ ও ২৫টি মাইক্রোবাসসহ মোট ২২০টি গাড়ি কেনা হবে।
সব মিলিয়ে ২৮০টি গাড়ি কিনতে সরকারের মোট খরচ হবে প্রায় ৪৪৫ কোটি টাকা। প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় এসব গাড়ি কেনা হবে।
এদিকে, এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারেরই জারি করা ব্যয় সাশ্রয়ের পরিপত্র উপেক্ষিত হচ্ছে। গত ৮ জুলাই জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়েছিল, নতুন যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে, তবে ১০ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ির প্রতিস্থাপক হিসেবে নতুন গাড়ি কেনা যেতে পারে। কিন্তু পরিবহণ পুলের তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রীদের জন্য কেনা গাড়িগুলো ৯ বছরের পুরোনো। ফলে এই শর্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, “পরবর্তী সরকার বা মন্ত্রীরা কী গাড়ি ব্যবহার করবেন, সেই সিদ্ধান্ত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া উচিত নয়। এটি তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।” তিনি আরও বলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ের পদক্ষেপের পরিপন্থী। তিনি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানান।
এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৬ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সভায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনকালীন গাড়িগুলোর মধ্যে ১৯৫টি মিতসুবিশি পাজেরো কিউএক্স-২৪২৭ সিসি মডেলের জিপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য এবং ২৫টি মাইক্রোবাস জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জন্য কেনা হবে। প্রতিটি জিপের দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং প্রতিটি মাইক্রোবাসের দাম পড়বে ৫২ লাখ টাকা। এসব গাড়ি কিনতে মোট খরচ হবে প্রায় ৩৪৩ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত ২৮০টি গাড়ির জন্য মোট ব্যয় ৪৪৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দকৃত ৩২৮ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকার চেয়ে প্রায় ৯৬ কোটি টাকা বেশি। অতিরিক্ত এই ব্যয়ের অনুমোদনও দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
জুলাই সনদে আসছে বড় পরিবর্তন
জুলাই সনদে আসছে পরিবর্তন, সংবিধানের ওপর প্রাধান্য থাকছে না
‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর চূড়ান্ত খসড়ায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। সংবিধান ও আইনের ওপর এই সনদের প্রাধান্য দেওয়া হবে না এবং সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রহিত করার অঙ্গীকারেও বদল আসবে। এছাড়া, সনদের ব্যাখ্যার ক্ষমতা আপিল বিভাগকে দেওয়ার অঙ্গীকার বাতিল করা হতে পারে। সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতিও এতে থাকবে না, বরং তা সুপারিশ আকারে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ সরকারকে দেবে। এরপর সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, কোন পদ্ধতিতে সনদ বাস্তবায়িত হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
অঙ্গীকারনামায় পরিবর্তন ও রাজনৈতিক মতভেদ
গত ১৬ আগস্ট, কমিশন সনদের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া তৈরি করে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটকে মতামত দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল। ২৮টি দল মতামত দিয়েছে এবং এক সপ্তাহ ধরে তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছে কমিশন। চূড়ান্ত খসড়ার আট দফা অঙ্গীকারনামার মধ্যে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।
খসড়ার দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছিল, বিদ্যমান সংবিধান ও আইনের ওপর সনদ প্রাধান্য পাবে। কিন্তু বিএনপি এই অঙ্গীকারে রাজি নয়, যদিও জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি এতে একমত। এই আপত্তির কারণে অঙ্গীকারে ভাষাগত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবে বলা হতে পারে, যেসব সংস্কার বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সনদের সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। যেমন—এক ব্যক্তি জীবনে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে যেন সব দল রাজি থাকে এবং রাজনৈতিক বিতর্ক এড়ানো যায়।
খসড়ার তৃতীয় দফায় বলা হয়েছিল, সনদের ব্যাখ্যা দেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের থাকবে। কিন্তু বিএনপি-সহ আটটি দল এতে রাজি নয়। তাদের যুক্তি, সনদ একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল, তাই এটি আদালতের হাতে তুলে দেওয়া ঠিক হবে না।
বাস্তবায়ন পদ্ধতির সমাধান ও চূড়ান্ত খসড়া
সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পরেও কোনো সুরাহা হয়নি। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও এবি পার্টি গণভোটের মাধ্যমে সংস্কার চায়, আর বিএনপি-সহ ছয়টি দল মনে করে সংবিধান সংশোধন শুধুমাত্র সংসদের মাধ্যমে হওয়া উচিত। এই মতবিরোধের কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাস্তবায়ন পদ্ধতি সনদের অংশ হবে না।
তবে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করে সুপারিশ আকারে সরকারকে দেওয়া হবে। চূড়ান্ত খসড়া দুটি খণ্ডে বিভক্ত হবে—প্রথম খণ্ডে থাকবে প্রশাসনিক আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে অবিলম্বে কার্যকর করা যায় এমন সুপারিশগুলো। দ্বিতীয় খণ্ডে থাকবে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হয় এমন সুপারিশগুলো।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সনদটি চূড়ান্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হবে। যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবেই বিএনপির আপত্তি রয়েছে।
মাদকের ভয়াবহ পরিণতি: অকালে ঝরে যাচ্ছে জীবন, পঙ্গু হচ্ছে তরুণ সমাজ
রাজধানীসহ সারা দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই কিশোর থেকে তরুণ (১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ ভাগই ইয়াবায় আসক্ত, যাদের মধ্যে শিক্ষিত তরুণের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ প্রায় সব পেশার লোক এই আসক্তির শিকার।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, মাদকাসক্তদের মধ্যে কিডনি, লিভার, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এর ফলে তাদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। মাদকের এই আগ্রাসন প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং অভিভাবকদের নিয়ে একটি সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভয়াবহ রোগ ও পঙ্গুত্বের ঝুঁকি
কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, মাদকাসক্তদের মধ্যে নেফ্রাইটিস, কিডনি ফেইলর এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। মাদকাসক্ত তরুণদের মধ্যে কিডনি রোগীর সংখ্যাই বেশি। তিনি মনে করেন, মাদক কারবারি ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তরুণ সমাজকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, তরুণদের একটি বড় অংশ মাদকাসক্ত হয়ে অকালে মারা যাচ্ছে। লিভার ও প্যানক্রিয়াসে ক্যানসারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মাদকাসক্তদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।
নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম জানান, দীর্ঘদিন মাদক সেবনের ফলে অনেকের নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনিদ্রা ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। এছাড়া নিউরোপ্যাথি, পঙ্গুত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের কারণে অকালে তাদের মৃত্যু হচ্ছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, মাদকাসক্তরা একপর্যায়ে দানবে পরিণত হয় এবং তাদের মধ্যে কোনো মানবতাবোধ থাকে না। মাদক কেনার টাকা জোগাড় করতে তারা খুন, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ করতেও দ্বিধা করে না।
চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এন হুদা বলেন, মাদকাসক্তরা স্থায়ীভাবে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নোংরা পরিবেশে থাকার কারণে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগও বেশি হয়।
সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে মাদক, প্রয়োজন সমন্বিত প্রতিরোধ
২০১৭ সালে সরকারি জরিপ অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ছিল ৮৩ লাখ, যাদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই সর্বাধিক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি মো. এ কে এম শাহিদুর রহমান বলেন, র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। তবে বড় ধরনের সামাজিক আন্দোলন ছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র এবং সাধারণ জনগণ সমন্বিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেই মাদকের আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব।
পাঠকের মতামত:
- চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার
- স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বিল্লাল বহিষ্কার, মালিবাগ হামলায় মামলা
- দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করলেন জামায়াতের আমির
- হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ইনস্টাগ্রাম ধাঁচের ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’ ফিচার
- দান করার যত ফজিলত
- কাবুলের পথে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ত্রাণবাহী বিমান
- বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হারে অস্থিরতা
- নেপালের কঠোর পদক্ষেপ ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে সরকারের নতুন উদ্যোগ
- কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির কোন্দল, হাসনাত আবদুল্লাহ কি চমক দেখাবেন?
- “মামার বাড়ির আবদার নয়”-রাকসু নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ উপাচার্যের
- তারাকান্দায় বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- অনূর্ধ্ব-১৭ দল গঠনে চলছে বাছাই প্রক্রিয়া
- উদ্যোক্তাদের জন্য ৫৪ লাখ টাকার পুরস্কার
- ৭ সেপ্টেম্বর আকাশে চোখ রাখুন: দেখা মিলবে দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণের
- মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণেই ইহকাল ও পরকালের মুক্তি: তারেক রহমান
- নূর শুরু, নুর দিয়ে শেষ হবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
- জনগণ না চাইলে পিআর থেকে সরে আসবে জামায়াত: মিয়া গোলাম পরওয়ার
- ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামে লাগাম টানতে নতুন সুপারিশ
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ
- দেশে ফিরতে চাইলে তারেক রহমানকে সহায়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সামরিক শক্তির মহাপ্রদর্শনী:বেইজিং থেকে বিশ্বকে চীনের কৌশলগত বার্তা
- পোস্টারবিহীন নির্বাচন, প্রচারে নতুন বিধান যুক্ত করল ইসি
- গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে ফ্রান্সের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই
- টিকিট বিক্রির তিন ধাপ, ফিফা জানাল বিস্তারিত পরিকল্পনা
- ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব বিমানবন্দর বন্ধ
- নাচই বদলে দিল ধনশ্রীর জীবন
- জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি
- বিএনপির হাতেই বাংলাদেশ ও দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত: আবু নাসের
- মা-কন্যার অনন্য বন্ধন: সুস্মিতা সেনের পোস্টে মুগ্ধ ভক্তরা
- মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে না, আসমানে হয়: নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুললেন ওসমান হাদি
- অ্যাশেজে খেলতে ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত প্যাট কামিন্স
- বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অর্থ কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, হোয়াইট হাউসের রহস্যজনক পদক্ষেপ
- আওয়ামী লীগের পদ ছাড়লেন ইউপি সদস্য, জানালেন তিনি সব সময় বিএনপির ‘একনিষ্ঠ কর্মী’
- দুইবারের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়নের স্বপ্নযাত্রা আবার শুরু
- ফজলুর রহমানকে ঘিরে নতুন বিতর্ক, ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারের দাবি
- অতিরিক্ত যাত্রীতে ট্র্যাজেডি:নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ২৯
- ব্যয় সাশ্রয়ের পরিপত্র উপেক্ষা: মন্ত্রীদের জন্য ৬০টিসহ ২৮০ গাড়ি কিনছে সরকার
- ইকুয়েডরে আবারও মার্কিন উপস্থিতির সম্ভাবনা
- একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক ও বাবরের খালাসের রায় বহাল
- হঠাৎ স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন! মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর?
- কোরআনের আলোকে পরকাল: অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতি
- জুলাই সনদে আসছে বড় পরিবর্তন
- পুতিন জানালেন, কেন তিনি এখনো ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করেননি
- অভিষেক রাঙাতে পারলেন না কিউবা: এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুরুতেই হোঁচট খেলো বাংলাদেশ
- মাদকের ভয়াবহ পরিণতি: অকালে ঝরে যাচ্ছে জীবন, পঙ্গু হচ্ছে তরুণ সমাজ
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- জ্ঞান ফিরেছে নুরুল হক নুরের
- "জাতীয় নাগরিক পার্টি আসলে ইউনূসের দল, জামায়াতই দেশ চালাচ্ছে"
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের
- ১ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- সংসদ ভবনে আগুন দিল বিক্ষোভকারীরা
- নিহত গাজা সাংবাদিকের চিঠি পড়ে কেঁদে ফেললেন জাতিসংঘে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- ডা. তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্যে চিকিৎসক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে কঠোর আইন: অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দিলেই কারাদণ্ড