খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই': রায় ঘোষণাকে ঘিরে টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১৪:২২:৪৬
খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই': রায় ঘোষণাকে ঘিরে টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়
ছবিঃ সংগৃহীত

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু)।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে একটি বড় জায়ান্ট স্ক্রিনে এই রায় দেখানো শুরু হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সরাসরি সম্প্রচার দেখার সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। তারা ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনাকে ফাঁসি দে’ এবং ‘লীগ ধর, জেলে ভর’ সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন।

এ সময় উবায়দুর রহমান হাসিব নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, "জুলাইয়ে আমাদের ভাইকে যারা খুন করেছে সেই খুনের মাস্টারমাইন্ড খুনি হাসিনা। হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি, তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হবে সেই প্রত্যাশা নিয়ে আছি। একই সাথে আমাদের এই জেনারেশনেই খুনি হাসিনার ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।"

সাইদুজ্জামান নূর আলভী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, "আওয়ামী লীগ ও খুনি হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে। ১৭ বছরে গুম, খুনসহ নানা অপরাধ করেছে। তারপর জুলাইতে যে তারা গণহত্যা চালিয়েছে। তার দায়ের খুনি হাসিনার রায়ের জন্য আমরা এখানে অপেক্ষা করছি। আমরা তার ফাঁসির রায় দেখার জন্যই অপেক্ষা করে আছি।"

এর আগে, রোববার রাতে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিএসসিতে রায় দেখানোর এই কর্মসূচির কথা জানান। তিনি তার পোস্টে লেখেন, "জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুনি হাসিনার রায় ঘোষণা হবে। হাসিনার অপরাধের সাক্ষী পুরো জুলাই প্রজন্ম। রক্তপিপাসু হাসিনাকে তার ন্যায্য পাওনা যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতীক্ষায় গোটা জাতি।"

সাদিক কায়েম আরও লেখেন, "ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আমরা তার রায় কার্যকরও করবো।"


৮ হাজার পৃষ্ঠার প্রমাণ, হাজারো নিহত–আহত: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে রায়ে কী ঘটতে যাচ্ছে? সরাসরি দেখুন!

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১২:৪৪:৫২
৮ হাজার পৃষ্ঠার প্রমাণ, হাজারো নিহত–আহত: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে রায়ে কী ঘটতে যাচ্ছে? সরাসরি দেখুন!

জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময়কার দমন–পীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় পড়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় পাঠ শুরু করেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ প্রসিকিউশন টিমের অন্যান্য সদস্যরা।

মামলাটিতে প্রসিকিউশন মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করেছে, যেখানে ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠার জব্দতালিকা ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণ এবং ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, এসব নথি প্রমাণ করে যে ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে দেশজুড়ে গণবিক্ষোভ দমনে অভিযুক্ত তিনজন পরিকল্পিত, পদ্ধতিগত এবং ব্যাপক মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন—বিশেষত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদেরও বিক্ষোভ দমনে ব্যবহারের জন্য সরাসরি নির্দেশ দেন। এসব নির্দেশের ফলেই দেশব্যাপী দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন এবং ২৫ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত, অঙ্গহানি বা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তদন্তে এসব ঘটনাকে গণহত্যা, পরিকল্পিত হত্যা এবং অমানবিক নির্যাতনের শামিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ৫ আগস্টের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে আশুলিয়ায় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা। অভিযোগ অনুযায়ী, সেদিন ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হয়, এরপর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়; এমনকি অন্তত একজনকে জীবন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়। প্রসিকিউশনের দাবি, এই ঘটনার নির্দেশও এসেছে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপির কাছ থেকেই, যা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের স্পষ্ট উদাহরণ।

রায় পড়া শুরুর পর ট্রাইব্যুনাল চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মামলার সংবেদনশীলতা, অভিযুক্তদের সাবেক রাষ্ট্রক্ষমতার অবস্থান এবং নথিপত্রের বিশাল পরিমাণের কারণে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে। মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরাও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে উপস্থিত ছিলেন। আদালত–সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নথিপত্রের বিশালতা বিবেচনায় রায় সম্পূর্ণ পড়তে সময় লাগবে এবং রায়টির রাজনৈতিক ও আইনি গুরুত্ব বাংলাদেশের সমসাময়িক ইতিহাসে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

সরাসরি দেখুন:


পাঁচ পরিষেবা স্থায়ীভাবে বন্ধ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১০:৪৮:১৮
পাঁচ পরিষেবা স্থায়ীভাবে বন্ধ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণ মানুষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি যে রিটেইল ব্যাংকিং সেবাগুলো দিয়ে আসছিল, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রয়, প্রাইজবন্ড লেনদেন, ছেঁড়া নোট বিনিময়সহ পাঁচটি পরিষেবা আর পাওয়া যাবে না বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও অন্যান্য আঞ্চলিক অফিস থেকে। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। মূলত নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভবনের কার্যক্রম আধুনিকায়ন এবং উন্নত ভল্ট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নীতিগত পরিবর্তন এনেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি সরকারের পক্ষ হয়ে সাধারণ মানুষকে মোট ১০ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। মতিঝিল অফিসের ২৮টি কাউন্টারের মধ্যে ১২টি কাউন্টার দিয়ে সঞ্চয়পত্র আদান, প্রাইজবন্ড বিক্রয়, ত্রুটিযুক্ত নোট বিনিময়, চালান সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এবং ধাতব মুদ্রা লেনদেনসহ পাঁচটি সেবা দেওয়া হতো। এখন এই পাঁচটি সেবা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক প্রয়োজন বিবেচনায় সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড সংক্রান্ত আদান–প্রদান পরিচালনার জন্য একটি কাউন্টার সীমিত পরিসরে চালু থাকবে।

বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গত কয়েক মাস ধরে একাধিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় গঠিত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ জুন গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের ক্যাশ বিভাগ ও ব্যাংকিং হল পরিদর্শন করেন। তাকে সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি গভর্নর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরিদর্শনে তিনি ভবনের নিরাপত্তা, জনসমাগম এবং আধুনিকায়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করেন এবং ক্যাশ বিভাগে যুগোপযোগী পরিবর্তনের নির্দেশ দেন। যৌথ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনটি কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালার আওতাভুক্ত। এখানে মুদ্রা ইস্যু, ভল্ট পরিচালনা, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণের মতো অত্যন্ত সংবেদনশীল কার্যক্রম চলে। ফলে ভবনের ভেতরে সাধারণ মানুষের অপ্রয়োজনীয় উপস্থিতি নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিজার্ভ হ্যাক, পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে সঞ্চয়পত্র গ্রহণ, ভবনের ভেতরে ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিতর্কের মতো ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রিটেইল লেনদেন বন্ধ করাকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি করার মতো সরাসরি সেবাগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে সহজেই দেওয়া যায়। দেশে ৬০টির বেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক এই সেবা দিতে সক্ষম। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জনগণের সরাসরি ভিড় করার প্রয়োজন নেই এবং জনসাধারণও উল্লেখযোগ্য কোনো ভোগান্তিতে পড়বে না।

যদিও সঞ্চয়পত্র বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ করা হবে, তবে আগে ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত তার সব সেবা চালু থাকবে। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন, মোবাইল নম্বর পরিবর্তন, নমিনি সংশোধন, ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনির পরিচালনা, মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন এবং আইনগত প্রক্রিয়া সবই বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চলমান থাকবে। তবে পুনঃবিনিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান নিশ্চিত করেছেন যে ৩০ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিলসহ অন্যান্য অফিসে এই সেবা বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনসাধারণকে জানানো হবে।

-শরিফুল


বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারও ঢাকা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ০৯:৫৯:০৫
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারও ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়তে থাকা বায়ুদূষণের প্রবল প্রভাব বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার জনবহুল মহানগরগুলোতে। এর ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। দীর্ঘদিন ধরেই দূষণ–অসুস্থতার মারাত্মক চক্রে আটকে থাকা এই মেগাসিটির বায়ুমানে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা উন্নতির ইঙ্গিত মিললেও আজ আবারও রাজধানীর বায়ুগুণ ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে নেমে এসেছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার–এর প্রকাশিত সূচকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) স্কোর দাঁড়িয়েছে ১৫৫। এই স্কোর আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়। একইসঙ্গে দূষিত শহরগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় ঢাকা ১৩তম অবস্থানে রয়েছে।

শীত মৌসুম ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুদূষণ দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোর জন্য বড় সংকটে পরিণত হয়। এরই প্রতিফলন দেখা গেছে আজকের তালিকায়। দূষণের শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। তাদের AQI স্কোর দাঁড়িয়েছে ৪৯৮, যা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থাকেও ছাড়িয়ে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষণও দেখা গেছে দক্ষিণ এশিয়াতেই। পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৯৬, যা অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা, স্কোর ১৯৩। চতুর্থ অবস্থানে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে বায়ুমণ্ডলে বাতাসের গতি কমে যায়, ফলে ধুলা, ধোঁয়া ও বর্জ্য পোড়ানোর মতো মানবসৃষ্ট দূষক কণাগুলো বাতাসে স্থির হয়ে থাকে। এতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই AQI দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। ঢাকার AQI আবারও খারাপ হওয়াকে তারা মৌসুমি চক্রের স্বাভাবিক ফলাফল বললেও নিয়ন্ত্রণহীন নগরায়ণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল আইন প্রয়োগকে বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন।

বায়ুমান সূচক (AQI) মূলত বায়ুতে ভাসমান ক্ষুদ্র কণা, ধুলা, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, ওজোন এবং কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা বিবেচনায় তৈরি করা হয়। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ভালো, ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু ১৫১ থেকে ২০০ স্কোর সরাসরি ‘অস্বাস্থ্যকর’ আজ ঢাকার ঠিক সেই পর্যায়েই অবস্থান।

ঢাকার আজকের AQI অনুযায়ী, বায়ুর এই গুণমান সাধারণ মানুষের জন্যও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং হাঁপানি বা শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে ভোগা মানুষদের জন্য এটি আরও বিপজ্জনক। বায়ুর মান খারাপ হলে মাথাব্যথা, কাশি, চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা এবং দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে।

-রফিক


সোমবার সকাল ১১টায় হাসিনার রায়: দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ২১:৩৯:৪৫
সোমবার সকাল ১১টায় হাসিনার রায়: দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামীকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণা করা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করবেন। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টার অফিস থেকে জানানো হয়েছে, রায় ঘোষণার জন্য কাল সকাল ১১টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে।

এদিকে, এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ সেনা সদরে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

মামলার গুরুত্ব বিবেচনায়, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া এই রায় আগামীকাল বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করবে বলে জানা গেছে।

গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যিনি এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় দেবেন।

মামলার বিচার চলাকালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধেই মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ বা প্রসিকিউশন এই মামলায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়েছেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী তাদের বেকসুর খালাস চান। এছাড়া, রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আইনজীবীও তার মক্কেলের খালাস চেয়ে আবেদন করেছেন।


পুলিশ প্রশাসনে ‘বড় নাড়া’: ডিআইজি-এসপিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের রদবদল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৯:১৪:০২
পুলিশ প্রশাসনে ‘বড় নাড়া’: ডিআইজি-এসপিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের রদবদল
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে একটি বড় ধরনের রদবদল করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে মোট ১৫ জন কর্মকর্তাকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত দুটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জারি করা আদেশ অনুযায়ী, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. ইসরাইল হাওলাদার। তিনি এর আগে শিল্পাঞ্চল পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এছাড়াও পুলিশ সুপার (এসপি) পর্যায়েও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন এসেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলমকে গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দিনাজপুরের বর্তমান পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইনকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার পদে বদলি করা হয়েছে। তার শূন্য পদে, অর্থাৎ দিনাজপুরের নতুন এসপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ, এন, এম, সাজেদুর রহমানকে পাবনায় বদলি করা হয়েছে। আর হবিগঞ্জের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার গৌতম কুমার বিশ্বাস। ডিএমপির আরেক উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনকে নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ডিআইজি পদের আরও কয়েকটি বদলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ অধিদপ্তরের ডিআইজি কাজী মো. ফজলুল করিমকে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর করা হয়েছে। পুলিশ টেলিকমের ডিআইজি মো. রফিকুল হাসান গনিকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি পদে এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ডিআইজি মো. নজরুল ইসলামকে এপিবিএন সদর দপ্তরের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এই রদবদলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরে সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিলকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার পদে, পাবনার পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খানকে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার পদে এবং নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার আবুল ফজল মোহাম্মদ তারিক হাসান খানকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার পদে বদলি করা হয়েছে।


দেশের পরিস্থিতি খুব ভালো নয়, খারাপও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৭:৫৫:৩৮
দেশের পরিস্থিতি খুব ভালো নয়, খারাপও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছবিঃ সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে চলমান মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে রায়ই প্রদান করুক না কেন, সেই রায় কার্যকর করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই রায়কে কেন্দ্র করে দেশে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বরিশালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু (ফ্রি ফেয়ার) এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসনকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী এবং একটি সফল নির্বাচন আয়োজনে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, পরিস্থিতি 'খুবই ভালো নয়, আবার খারাপও নয়'। তিনি এটিকে 'মোটামুটি সন্তোষজনক' পরিস্থিতি বলে দাবি করেন।


অতীতে কেউ হাত দেয়নি, প্রবাসীদের ভোট নিয়ে যা বললেন সিইসি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৫:৪৩:৫১
অতীতে কেউ হাত দেয়নি, প্রবাসীদের ভোট নিয়ে যা বললেন সিইসি
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যা অতীতে 'অত্যন্ত জটিল বিষয়' বলে কেউ এই উদ্যোগে হাত দেয়নি। তিনি জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণের দিন যে প্রায় দশ লাখ লোক বিভিন্ন দায়িত্বে থাকেন, যারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না, তাদের জন্যও এবার ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সেমিনার কক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সংলাপে সিইসি এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, "এ বছর আমরা অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নিয়েছি, বিশেষ করে প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থার বিষয়টি তার মধ্যে অন্যতম।" তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের অনেক দেশই বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে এই কাজটি সফলভাবে করতে পারেনি। "তবে আমরা বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শুরু করতে যাচ্ছি," বলেন তিনি।

সিইসি আরও জানান, নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে প্রিজাইডিং অফিসার পর্যন্ত প্রায় দশ লাখ লোক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন, যারা প্রায়শই নিজেদের ভোটটি দিতে পারেন না। এই বছর তাদের জন্য ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবী এবং যারা কারাগারে আছেন, তাদের জন্যও ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, "পোস্টাল ভোটিংয়ের মতো নানা জটিল ও নতুন বিষয় আগামী নির্বাচনে দেখা যাবে। এজন্যই এবারের নির্বাচনটি হবে বিশেষ।"

নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এর বাইরেও আমাদের অনেকগুলো বড় কাজে হাত দিতে হয়েছে। বিশেষ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিশাল কাজ করতে হয়েছে। এসব কাজে ৭৭ হাজার কর্মী মাঠে ছিল। তাদের সবাইকে প্রশিক্ষণও দিতে হয়েছে।"

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষাপট নিয়ে সিইসি বলেন, "এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিল যে নির্বাচন সংস্কার কমিশন আমাদের পক্ষে অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।" তিনি ব্যাখ্যা করেন, সংস্কার কমিশন ইসির কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই বিভিন্ন পক্ষ, অংশীদার ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ অন্যান্যদের সঙ্গে ৮০টিরও বেশি সংলাপ করেছে। সেই সঙ্গে নিজেদের কমিশনেও ঐকমত্যের জন্য অনেকগুলো বৈঠক করেছে। সিইসি মনে করেন, "এতে আমাদের কাজ অনেকখানি এগিয়ে গেছে।"

একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এই কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।"

তিনি আরও বলেন, ভোটারদের ওপর রাজনৈতিক ও জাতীয় নেতাদের সরাসরি প্রভাব রয়েছে, তাই তাদের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য কী করণীয়, সে বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পরামর্শ চান সিইসি। বক্তব্যের শেষে তিনি সবাইকে যথাযথভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

সংলাপে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.), তাহমিদা আহমেদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। রবিবারের সকালের বৈঠকে গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি অংশ নেয়।

সূত্র : বিএসএস।


৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১১:২০:৩৯
৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার
ছবি: সংগৃহীত

বহু প্রতীক্ষা, নীতিগত প্রস্তুতি ও কয়েক দফা সময় পরিবর্তনের পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো দেশের সবচেয়ে বড় স্কুল–ভিত্তিক পুষ্টিকর্মসূচি ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। শনিবার নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা এই কর্মসূচিটি দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা ও পুষ্টির সমন্বয়ে এটি হবে সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী।

কর্মসূচির আওতায় ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য পাবে। এ খাদ্যের তালিকায় রয়েছে ফর্টিফায়েড বিস্কুট, মৌসুমি ফল বা কলা, বনরুটি, সেদ্ধ ডিম ও ইউএইচটি দুধ। প্রতিটি খাদ্য উপাদান শিশুর দৈনিক পুষ্টিচাহিদার নির্দিষ্ট অংশ পূরণে সহায়তা করবে। বিশেষ করে ফর্টিফায়েড বিস্কুট ও দুধ শিশুদের শক্তি, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত করতে হলে পুষ্টিহীনতা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। ক্লাস চলাকালে ক্ষুধা শিশুদের মনোযোগ নষ্ট করে এবং শেখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এই ফিডিং কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের শারীরিক–মানসিক বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়াবে। তিনি বলেন, শিশুদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার পাওয়ার নিশ্চয়তা দিলে বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।

সরকার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশের বেশি থাকবে। পাশাপাশি ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, বিদ্যালয়ে প্রকৃত ভর্তির হার প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং শিশুদের স্কুলে ধরে রাখার হার ৯৯ শতাংশে উন্নীত হবে। একই সঙ্গে, শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধনের পর উপদেষ্টা নাটোর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সরকারি নীতিমালার প্রয়োগ, মাঠপর্যায়ের চ্যালেঞ্জ এবং শিক্ষার বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে এই মতবিনিময় সভাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ফিডিং কর্মসূচির ব্যয় বিবেচনায় প্রকল্পটিকে অত্যন্ত বৃহৎ আকারের বলা হচ্ছে। মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি, যার ৯৭ শতাংশ ব্যয় হবে খাদ্য সংগ্রহ ও সরবরাহে। ২০২৫–২৬ অর্থবছরেই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি। দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে সহায়তা করা এবং অপুষ্টি রোধে এটি দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় বিনিয়োগ।

তবে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে শুরুতেই কিছু জটিলতা দেখা দেয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কর্মসূচি উদ্বোধনের পরিকল্পনা থাকলেও প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে তা কয়েক দফা পিছিয়ে যায়। এরপর সেপ্টেম্বরেও কর্মসূচি শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু টেন্ডারজনিত সমস্যার কারণে আবারও তা স্থগিত হয়। সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত শনিবার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আরিফ হোসেন এবং জাতিসংঘের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম–ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্কালপেলি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য স্কুল–ফিডিং কর্মসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ–সবল করতে অত্যন্ত কার্যকর। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

-শরিফুল


নির্বাচনের আগে সংলাপ ম্যারাথন- সকালে ৬ দল, বিকেলে আরও ৬ দল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১১:১৪:৩১
নির্বাচনের আগে সংলাপ ম্যারাথন- সকালে ৬ দল, বিকেলে আরও ৬ দল
ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন ধাপে ধাপে যে ধারাবাহিক সংলাপ আয়োজন করছে, তার দ্বিতীয় দিনের বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূলত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহণ, নির্বাচনব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, নির্বাচনী পরিবেশ স্থিতিশীল রাখা এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই এই সংলাপের উদ্দেশ্য। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, বিস্তৃত পরিসরের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবং সম্ভাব্য সংকটগুলো আগেভাগেই শনাক্ত ও সমাধানের পথ সুস্পষ্ট হবে।

রোববার সকালেই নির্বাচন ভবনে প্রথম পর্বের সংলাপ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয়টি রাজনৈতিক দল ইসির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। এ সময় গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসব দল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন ভিন্ন আদর্শ, তাত্ত্বিক অবস্থান ও সংগঠনগত কাঠামো নিয়ে কাজ করলেও নির্বাচন প্রসঙ্গে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ও দৃষ্টিভঙ্গি ইসির বিবেচনায় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিকেলের দ্বিতীয় অংশে, বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আরও ছয়টি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এসব দলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এদের মধ্যে কেউ কেউ জাতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে, আবার কেউ অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও মাঠ পর্যায়ে তাদের জনপ্রিয়তা বিবেচ্য।

রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, প্রত্যাশা, দাবি, নির্বাচনী পরিবেশ, পর্যবেক্ষকের উপস্থিতি, প্রবাসী ভোট, প্রশাসনের ভূমিকা, ইভিএম ব্যবহারের অনিশ্চয়তা, ভোটের নিরাপত্তা ও আস্থা পুনরুদ্ধার—এসবই এই সংলাপের আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিছু দল আগেই জানিয়েছে যে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিরোধী প্রার্থীদের সমান সুযোগ তৈরি করা, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা ও নিরাপত্তা বলয়ের জবাবদিহিতা বাড়ানো জরুরি।

আগামীকাল সোমবারও নির্বাচন কমিশন আরও ১২টি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)। এসব দল যদিও আকারে ছোট, তবুও তারা জাতীয় নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে।

এদিন বিকেলে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে উপস্থিত হবে আরও ছয়টি দল। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আলোচনা হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বিশেষ করে জামায়াত ও এবি পার্টির মতো বিতর্কিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

নির্বাচন কমিশন বলছে, এই সংলাপের মাধ্যমেই তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবে এবং সব রাজনৈতিক দলের মতামত পর্যালোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করবে। কমিশনের মতে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বিভিন্ন দলের দাবি যদি গঠনমূলক হয়, তাহলে সেগুলো নির্বাচনী রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

মনোস্পুলের ইপিএসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি

মনোস্পুলের ইপিএসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি

তালিকাভুক্ত কোম্পানি মনোস্পুল প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানির... বিস্তারিত