Banner

৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১১:২০:৩৯
৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার
ছবি: সংগৃহীত

বহু প্রতীক্ষা, নীতিগত প্রস্তুতি ও কয়েক দফা সময় পরিবর্তনের পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো দেশের সবচেয়ে বড় স্কুল–ভিত্তিক পুষ্টিকর্মসূচি ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। শনিবার নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা এই কর্মসূচিটি দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা ও পুষ্টির সমন্বয়ে এটি হবে সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী।

কর্মসূচির আওতায় ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য পাবে। এ খাদ্যের তালিকায় রয়েছে ফর্টিফায়েড বিস্কুট, মৌসুমি ফল বা কলা, বনরুটি, সেদ্ধ ডিম ও ইউএইচটি দুধ। প্রতিটি খাদ্য উপাদান শিশুর দৈনিক পুষ্টিচাহিদার নির্দিষ্ট অংশ পূরণে সহায়তা করবে। বিশেষ করে ফর্টিফায়েড বিস্কুট ও দুধ শিশুদের শক্তি, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত করতে হলে পুষ্টিহীনতা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। ক্লাস চলাকালে ক্ষুধা শিশুদের মনোযোগ নষ্ট করে এবং শেখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এই ফিডিং কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের শারীরিক–মানসিক বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়াবে। তিনি বলেন, শিশুদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার পাওয়ার নিশ্চয়তা দিলে বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।

সরকার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশের বেশি থাকবে। পাশাপাশি ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, বিদ্যালয়ে প্রকৃত ভর্তির হার প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং শিশুদের স্কুলে ধরে রাখার হার ৯৯ শতাংশে উন্নীত হবে। একই সঙ্গে, শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধনের পর উপদেষ্টা নাটোর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সরকারি নীতিমালার প্রয়োগ, মাঠপর্যায়ের চ্যালেঞ্জ এবং শিক্ষার বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে এই মতবিনিময় সভাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ফিডিং কর্মসূচির ব্যয় বিবেচনায় প্রকল্পটিকে অত্যন্ত বৃহৎ আকারের বলা হচ্ছে। মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি, যার ৯৭ শতাংশ ব্যয় হবে খাদ্য সংগ্রহ ও সরবরাহে। ২০২৫–২৬ অর্থবছরেই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি। দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে সহায়তা করা এবং অপুষ্টি রোধে এটি দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় বিনিয়োগ।

তবে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে শুরুতেই কিছু জটিলতা দেখা দেয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কর্মসূচি উদ্বোধনের পরিকল্পনা থাকলেও প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে তা কয়েক দফা পিছিয়ে যায়। এরপর সেপ্টেম্বরেও কর্মসূচি শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু টেন্ডারজনিত সমস্যার কারণে আবারও তা স্থগিত হয়। সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত শনিবার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আরিফ হোসেন এবং জাতিসংঘের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম–ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্কালপেলি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য স্কুল–ফিডিং কর্মসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ–সবল করতে অত্যন্ত কার্যকর। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

-শরিফুল


জাতি এক মহান অভিভাবককে হারাল: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১১:৩০:৩৪
জাতি এক মহান অভিভাবককে হারাল: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে দেশবাসীর উদ্দেশে আবেগঘন ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে দেওয়া এই ভাষণে তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ এক মহান অভিভাবককে হারাল। তাঁর এই শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।” প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বেগম জিয়াকে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের এক অম্লান প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন।

ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে বেগম জিয়ার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, ১৯৮২ সালে এক কঠিন সময়ে রাজনীতির মাঠে এসে তিনি ৯ বছরের স্বৈরশাসনের পতন ঘটাতে যে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তা বিশ্বরাজনীতির ইতিহাসে বিরল। তিনি উল্লেখ করেন যে, খালেদা জিয়া শুধুমাত্র একটি দলের নেত্রী ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির এক মহিমান্বিত ব্যক্তিত্ব ও ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা এবং প্রিয় মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিচল ভূমিকা জাতি চিরকাল পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শোকাতুর এই সময়ে দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বিশেষভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, জাতির এই কঠিন সময়ে কেউ যেন কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ না পায়। তিনি জানাজাসহ সব ধরণের শোক পালনের আনুষ্ঠানিকতা অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্য ও লক্ষ লক্ষ কর্মীর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি মহান আল্লাহর কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি প্রার্থনা করেন।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রাম এবং দেশের প্রতি তাঁর অনন্য অবদানকে সম্মান জানিয়ে বর্তমান সরকার তাঁকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উঠে আসা এই গভীর শ্রদ্ধা ও মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ছাপিয়ে এক জাতীয় সংহতির আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।


জনসমুদ্রে পরিণত সংসদ ভবন,চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১০:০৪:১৪
জনসমুদ্রে পরিণত সংসদ ভবন,চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
ছবি : সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে রাজধানী ঢাকায় এক আবেগঘন ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে যে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার বদলে এবার মরদেহবাহী কফিনটি রাখা হবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে। সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে মুসল্লিদের জন্য জানাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে বেগম জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। দাফন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে জিয়া উদ্যানে নির্ধারিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জানাজা ও দাফন চলাকালীন নিরাপত্তার খাতিরে এভারকেয়ার হাসপাতাল, সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরণের আতশবাজি, ফানুস ও ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজিডিসিএল এবং ট্রাফিক পুলিশের দেওয়া রুট ম্যাপ অনুযায়ী, এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেগম জিয়ার মরদেহ গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা' হয়ে বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ ক্রসিং দিয়ে সংসদ ভবনের ৬ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আজ বিশেষ মেট্রো ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে ডিএমটিসিএল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো বা জন-উপদ্রব সৃষ্টিকারী কোনো কাজ না করার জন্য কঠোর বার্তা দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোকের এই দিনে সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।


জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিশেষ ঘোষণা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ০৯:৪৪:০৪
জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিশেষ ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা ও পৃথক ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে বিএনপি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান যে, সর্বস্তরের মানুষের আবেগ ও শ্রদ্ধার কথা বিবেচনায় রেখে নারীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ও নিরাপদ জোন তৈরি করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য এই পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মহিলারা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে তাঁদের প্রিয় নেত্রীর শেষ জানাজায় অংশ নিতে পারবেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বিশেষ উদ্যোগের বিষয়টি বিএনপিকে জানানো হয়েছে। বেগম জিয়ার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে নারী অধিকার ও উন্নয়নে তাঁর ভূমিকার প্রতি সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানাজা উপলক্ষে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দুপুর ২টায় জানাজা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় অংশগ্রহণকারী কোনো নারী বা পুরুষকেই কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য কঠোর অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এছাড়া জানাজায় আগতদের মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকার দিকে মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে। এই প্রথম দেশের কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণের জন্য এমন পরিকল্পিত ও পৃথক ব্যবস্থার উদ্যোগ দেখা গেল। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নারীদের জানাজা স্থলে পৌঁছাতে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।


খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকায় আসছেন যেসব দেশের মন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ০৮:৫৪:৪০
খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকায় আসছেন যেসব দেশের মন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসছেন ভারত ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিতব্য জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিদের এই উপস্থিতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য কূটনৈতিক নজির তৈরি করতে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর এই অংশগ্রহণ বেগম জিয়ার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অবস্থান এবং তাঁর রাষ্ট্রীয় ভূমিকার প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতিফলন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বেগম জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিকও আজই সরাসরি জানাজায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে, বেগম জিয়ার প্রয়াণে পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের এই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের জনগণের শোকের সাথে সংহতি প্রকাশ করবে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দা শর্মা, শ্রীলঙ্কার ভিজিতা হেরাথ, ভুটানের ডি এন ধুংগিয়েল এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত আলী হায়দার আহমেদও জানাজায় উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাঁর আজীবন সংগ্রামের কারণে বিদেশের মাটিতেও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল অপরিসীম। বিভিন্ন দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের এই উপস্থিতি মূলত তাঁর সেই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।

এদিকে বিদেশি মেহমান ও দেশীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্যের পাশাপাশি বিশেষায়িত ইউনিটগুলো জানাজা স্থল ও বিদেশি অতিথিদের যাতায়াতের পথে বিশেষ নজরদারি রাখছে। বেগম জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে পুরো দেশে এখন এক গভীর শোক ও শ্রদ্ধার আবহ বিরাজ করছে। বিকেলেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে জিয়া উদ্যানে সমাহিত করা হবে।


বাদ জোহর স্বামীর কবরের পাশেই শায়িত হচ্ছেন খালেদা জিয়া 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ০৮:৪০:২৫
বাদ জোহর স্বামীর কবরের পাশেই শায়িত হচ্ছেন খালেদা জিয়া 

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন আজ বুধবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর দুপুর ২টায় তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর জিয়া উদ্যানে তাঁর স্বামী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে। জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে যে, এই জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করবেন। রাষ্ট্রীয় এই আনুষ্ঠানিকতা উপলক্ষে রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজিরবিহীনভাবে জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য এই নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। পুরো জানাজা প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করবে।

নিরাপত্তার স্বার্থে দাফন অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা হওয়ায় দাফনের সময় কেবল আমন্ত্রিত ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্টরাই উপস্থিত থাকতে পারবেন। এছাড়া জানাজা ও দাফনস্থলে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ দক্ষিণ প্লাজায় আনার সময় সড়কের দুই পাশে বিশেষ প্রটোকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন যে, পুরো জানাজা কার্যক্রমের সঞ্চালনা করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে জানাজায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে বেগম জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাস এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৃথক শোক বই খোলা হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামসুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে মরদেহ আনার সময় পথে পথে সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয় নেত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন।


খালেদা জিয়া শুধু দলের নয় বরং পুরো দেশের নেতা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ২১:২০:৫৪
খালেদা জিয়া শুধু দলের নয় বরং পুরো দেশের নেতা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘পুরো দেশের নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে আয়োজিত ‘এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশন-২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন এই দেশের নেতা। গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

বক্তব্যের শুরুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে, রাজনৈতিক জীবনের নানা প্রতিকূলতা এবং ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও খালেদা জিয়া তাঁর আদর্শ থেকে এক চুলও বিচ্যুত হননি। তাঁর এই আপোষহীন চরিত্র ও নেতৃত্বের গুণাবলি দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছে তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে এই মহীয়সী নেত্রীর প্রয়াণ ঘটে।

এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনের চূড়ান্ত সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান যে, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দেশনেত্রীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালিক এই জানাজায় ইমামতি করবেন। জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে সমাহিত করা হবে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে সরকার বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। জানাজা ও দাফন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বুধবার বিশেষ সার্ভিস পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।


একঝাঁক বিশ্বনেতারা কাল ঢাকায় আসছেন খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১৮:৫০:০২
একঝাঁক বিশ্বনেতারা কাল ঢাকায় আসছেন খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা আগামীকাল ঢাকায় আসছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলো থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, ড. এস জয়শঙ্কর ভারত সরকার ও সেদেশের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বরেণ্য এই নেত্রীর জানাজায় অংশ নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসাক দার, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টান্ডি দর্জি এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধিও বেগম জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগামীকাল ঢাকা পৌঁছাবেন। এছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা এই শোকযাত্রায় শামিল হতে পারেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা ইতোমধ্যে বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন এবং তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।

বিএনপি এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে যে, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে শেরে বাংলা নগরে তাঁর স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বেগম জিয়ার প্রয়াণে সরকার ইতোমধ্যে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বিএনপি সারা দেশে সাত দিনের দলীয় শোক কর্মসূচি পালন করছে।

বিশ্বনেতারা বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এক অগ্রপথিক হিসেবে স্মরণ করছেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা এই নেত্রীর মৃত্যুকে দলমত নির্বিশেষে ‘একটি যুগের অবসান’ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। জয়শঙ্কর ও ইসাক দারের মতো শীর্ষ নেতাদের এই সফর বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার হিসেবে গণ্য হচ্ছে।


২০২৬ সালের বার্ষিক বৃত্তিসহ সব পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১৮:৩৫:০৪
২০২৬ সালের বার্ষিক বৃত্তিসহ সব পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
ছবি : সংগৃহীত

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন শিক্ষাপঞ্জি বা একাডেমিক ক্যালেন্ডার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে অধিদপ্তরের উপসচিব রওশন আরা পলি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বছরের তিনটি প্রান্তিক পরীক্ষা এবং বহুল প্রতীক্ষিত পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন এই ক্যালেন্ডার প্রকাশের ফলে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই তাদের পাঠদান ও পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেল।

অধিদপ্তরের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের প্রথম প্রান্তিক পরীক্ষা শুরু হবে ৫ মে থেকে এবং তা চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ১৭ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্টের মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর শিক্ষাবর্ষের সর্বশেষ বা বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রতিটি পরীক্ষার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের বিষয়টিও এই বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে এবারের শিক্ষাপঞ্জির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, আগামী বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে দেশজুড়ে বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং এটি শেষ হবে ২৩ ডিসেম্বর। বৃত্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতেই বছরের শেষ ভাগে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, সময়মতো এই শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশের ফলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও শৃঙ্খলা ফিরবে এবং শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে।


সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১২:১৪:২৮
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে এই শোক চলবে আগামী শুক্রবার (২ জানুয়ারি) পর্যন্ত। একই সাথে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার অত্যন্ত শোকাতুর। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন এবং দেশের উন্নয়নে তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সরকার আগামীকাল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও নিশ্চিত করেছেন যে, শোক পালনের প্রথম দিন অর্থাৎ বুধবার সারাদেশে সাধারণ ছুটি কার্যকর থাকবে। এই ছুটির ফলে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবাসমূহ এই ছুটির আওতামুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া।

সরকারের এই ঘোষণার পর দেশের সকল সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একজন সাবেক সরকার প্রধানের প্রয়াণে সরকারের এই দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং সম্মান প্রদর্শন ইতিবাচক রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বহিঃপ্রকাশ। সাধারণ ছুটির কারণে ব্যাংক-বীমাসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানও বুধবার বন্ধ থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত