মি‘রাজ রজনীতে নবী (সা.)-এর বাহন বুরাকের বিস্ময়কর কাহিনি

বুরাক (আরবি: البُراق) শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ “বারক” (برق) থেকে। এর অর্থ বিদ্যুৎ বা বিজলী। বিদ্যুতের মতোই বুরাকের গতি ছিল অতুলনীয় দ্রুত। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, এই স্বর্গীয় প্রাণীটিই ছিল সেই বাহন, যার ওপর আরোহন করেছিলেন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মি‘রাজের রজনীতে।
এই রাতে নবী (সা.) পৃথিবী থেকে আকাশে যাত্রা করেছিলেন, মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম), এবং সেখান থেকে ঊর্ধ্বাকাশে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছেছিলেন। এই অলৌকিক যাত্রার বাহন হিসেবেই বুরাকের নাম ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
‘বুরাক’ শব্দের তাৎপর্য ও কুরআনিক ইঙ্গিত
“বারক” শব্দটি আল-কুরআনে পাঁচবার উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতগুলো পাওয়া যায় সূরা বাকারাহ (১৯ ও ২০ আয়াত), সূরা রা‘দ (১২ আয়াত), সূরা রূম (২৪ আয়াত) এবং সূরা নূর (৪৩ আয়াতে)। প্রতিটি জায়গায় “বারক” শব্দটি আলোর ঝলক বা বিদ্যুতের গতির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
অনেকে মনে করেন, মহানবী (সা.)-এর নাম “মুহাম্মদ”-এ যেমন পাঁচটি বর্ণ আছে, তেমনি “বারক” শব্দটিও পাঁচবার এসেছে এ যেন এক আধ্যাত্মিক ইঙ্গিত। সূরা ইনশিরাহে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন: “আর আমি তোমার যিকিরকে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছি” (সূরা ইনশিরাহ: ৪)।
এ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবীর সম্মানকে এমনভাবে বর্ধিত করেছেন যে, এমনকি বুরাকের নামের সঙ্গেও রয়েছে সেই ঐশ্বরিক সাদৃশ্য।
বুরাকের আকার-আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য
হাদীস শরীফে বুরাকের চেহারা ও গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত- “আমার নিকট বুরাক নিয়ে আসা হলো। বুরাক এক সাদা চতুষ্পদ প্রাণী, গাধার চেয়ে বড় এবং খচ্চর থেকে ছোট। তার দৃষ্টির শেষ সীমায় সে তার পা রাখে।” এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, বুরাকের গতি বিদ্যুতের মতোই দ্রুত। সে যতদূর দেখতে পারে, ততদূর পর্যন্ত এক পদক্ষেপেই পৌঁছে যায়।
বুরাকের গতি ও চলার ধরন
ইসলামী বর্ণনায় বুরাককে বর্ণনা করা হয়েছে এমন এক প্রাণী হিসেবে, যার গতি আলোর গতির কাছাকাছি। অর্থাৎ, তার এক পদক্ষেপ পৃথিবী থেকে আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই বর্ণনা আধুনিক কালের আলোচনায়ও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, কারণ “বারক” বা বিদ্যুৎ-শব্দটি বুরাকের গতির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। বুরাকের নামের মধ্যেই আছে সেই গতি ও শক্তির ধারণা যা আল্লাহর সৃষ্টি ক্ষমতারই প্রকাশ।
বুরাকের সৃষ্টি ও অস্তিত্ব সম্পর্কে আলেমদের মত
অনেক ইসলামি পণ্ডিতের মতে, বুরাক কোনো সাধারণ প্রাণী নয়। এটি এক বিশেষ সৃষ্ট প্রাণী, যাকে শুধুমাত্র মি‘রাজের রাতে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই মত অনুসারে, বুরাকের অস্তিত্ব কেবল সেই অলৌকিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত, এবং অন্য কোনো নবী বা রাসূলের জীবনে এর কোনো উল্লেখ নেই। অর্থাৎ, এটি নবী (সা.)-এর জন্যই বিশেষভাবে নির্ধারিত এক ঐশ্বরিক বাহন।
ইমাম সুহাইলীর ব্যাখ্যা ও বুরাকের লজ্জা
ইমাম সুহাইলী (রহ.) তাঁর ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন, যখন নবী (সা.) বুরাকে আরোহণ করতে চাইলেন, তখন বুরাক লজ্জায় সামান্য ইতস্তত করেছিল। তখন ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ) বুরাককে উদ্দেশ্য করে বলেন, “হে বুরাক, তুমি কি জানো, আজ তোমার পিঠে যিনি আরোহণ করবেন, আল্লাহর কাছে তাঁর চেয়ে মর্যাদাবান আর কেউ নেই?”
এই কথা শুনে বুরাক ঘর্মাক্ত হয়ে শান্ত হয়ে যায়। এতে বোঝা যায়, বুরাক কোনো নির্জীব বস্তু নয় বরং এক অনুভূতিশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত সত্তা, যা আল্লাহর নির্দেশে নিয়ন্ত্রিত।
মি‘রাজের যাত্রা ও বুরাকের ভূমিকা
নবী করিম (সা.) বুরাকের পিঠে চড়ে প্রথমে মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে যান। সেখানে নবীগণের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন, এরপর ঊর্ধ্বলোকে যাত্রা করেন। বায়তুল মুকাদ্দাসে পৌঁছে তিনি বুরাককে সেই খুঁটির সঙ্গে বেঁধেছিলেন, যেখানে পূর্ববর্তী নবীরাও তাঁদের বাহন বেঁধেছিলেন। এটি নবুওতের ঐক্য ও ধারাবাহিকতার প্রতীক হিসেবে ইসলামী ঐতিহ্যে অমর হয়ে আছে।
বুরাকের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা ও রুহানী প্রতীক
অনেক সুফি ও ইসলামী পণ্ডিত বুরাককে এক ধরনের “আলোর বাহন” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের মতে, বুরাক ছিল সেই নূরের মাধ্যম, যার দ্বারা নবী (সা.)-এর আত্মা ও দেহ উভয়ই আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছেছিল। এ ধারণা অনুযায়ী, বুরাক কেবল এক বাস্তব প্রাণী নয় বরং আত্মার ঊর্ধ্বগতির প্রতীক। এটি মানুষের আধ্যাত্মিক উত্থান ও আল্লাহর নিকটে পৌঁছার প্রতীকী বাহন হিসেবেও দেখা হয়।
‘পাঁচ’ সংখ্যার রহস্য ও মি‘রাজের প্রতীকী তাৎপর্য
মি‘রাজ ও বুরাকের ঘটনাবলিতে “পাঁচ” সংখ্যার এক রহস্যময় সাদৃশ্য রয়েছে। “বারক” শব্দটি কুরআনে পাঁচবার এসেছে। নবী (সা.)-এর নাম “মুহাম্মদ”-এ রয়েছে পাঁচটি বর্ণ। “মি‘রাজ” শব্দেও রয়েছে পাঁচটি অক্ষর।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই মি‘রাজের রাতেই মুসলমানদের ওপর ফরজ করা হয় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। যেন প্রতিটি নামাজই মানুষের জন্য এক এক মি‘রাজ আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগের এক পবিত্র মাধ্যম।
বুরাক ও মি‘রাজ: নবুওতের মহিমা
মি‘রাজ ছিল এমন এক ঘটনা, যা কোনো নবী বা রাসূলের জীবনে আগে কখনও ঘটেনি। তাই বুরাকের উপস্থিতি নবী (সা.)-এর মর্যাদারই প্রতীক। এই যাত্রা ছিল দেহ ও আত্মা উভয়ের মিলিত উত্থান। বুরাক ছিল সেই মাধ্যম, যা নবীকে দুনিয়ার সীমা ছাড়িয়ে আকাশের সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল।
বুরাক ইসলামী ইতিহাসে এক অলৌকিক নাম। এটি কেবল এক প্রাণী নয়, বরং বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতা এবং নবুওতের গৌরবের প্রতীক। যেমন বিদ্যুৎ মুহূর্তে আকাশ চিরে আলোর রেখা ফেলে, তেমনি বুরাকও সেই “আলোর বাহন” যা মাটির সীমা ভেঙে আকাশের সীমানা ছুঁয়েছিল।
তাই মুসলমানদের কাছে বুরাক শুধু ইতিহাস নয়, বরং ঈমানের অংশ—যা মনে করিয়ে দেয়, আল্লাহর ইচ্ছা হলে অসম্ভবও সম্ভব।
আজ ২৭ ডিসেম্বরের নামাজের সময়সূচি
পবিত্র ইমানের পর ইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আজ শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি (১২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা ও ৬ রজব ১৪৪৭ হিজরি)—এই দিনের জন্য ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করা কেবল ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নয়, বরং এটি আত্মিক প্রশান্তিরও মূল উৎস।
আজকের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, ঢাকা ও এর আশেপাশে জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১২টা ০১ মিনিটে। আসরের নামাজ আদায়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট। সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ৫টা ২০ মিনিটে মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হবে এবং এশার নামাজের সময় হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিট। যারা আগামীকালের ফজরের নামাজের প্রস্তুতি নেবেন, তাদের জন্য জানিয়ে রাখা ভালো যে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঢাকার সময়ের সাথে বিভিন্ন বিভাগের সময়ের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। ঢাকার সময়ের সাথে চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের ৫ মিনিট এবং সিলেটের বাসিন্দাদের ৬ মিনিট বিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে, যারা দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বসবাস করছেন, তাদের ক্ষেত্রে সময় যোগ করতে হবে। খুলনার জন্য ৩ মিনিট, রাজশাহীর জন্য ৭ মিনিট, রংপুরের জন্য ৮ মিনিট এবং বরিশালের জন্য ১ মিনিট যোগ করে নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হবে।
ইসলামিক স্কলারদের মতে, কিয়ামতের কঠিন দিনে মানুষের আমলনামার মধ্যে নামাজের হিসাবই সবার আগে নেওয়া হবে। তাই দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও সময়মতো মসজিদে উপস্থিত হয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের আবশ্যিক কর্তব্য। নামাজের এই সময়সূচি মূলত ওয়াক্ত শুরুর সময়কে নির্দেশ করে, তাই স্থানীয় মসজিদের জামাতের সময়ের সাথে সমন্বয় করে নামাজ আদায় করাই উত্তম।
নারীরা কি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন?
ঘর বা বাসা থেকে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করলে সাওয়াব অধিক হয় এ কথা ইসলামে সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন, সুস্থ ও নিরাপদ পুরুষের জন্য জামাতের সঙ্গে মসজিদে নামাজ আদায় করা বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। তবে একটি প্রশ্ন প্রায়ই উঠে আসে নারীরা কি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারবেন?
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের নামাজ আদায় কখনোই নিষিদ্ধ নয়। বরং নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই নামাজ ফরজ ইবাদত। তবে নারীদের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে শরিয়ত কিছু বাস্তবসম্মত শর্ত ও সতর্কতার কথা উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মসজিদে আসা-যাওয়ার পথ নিরাপদ হওয়া, পর্দা রক্ষার নিশ্চয়তা থাকা এবং মসজিদে নারীদের জন্য আলাদা ও সুশৃঙ্খল নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকা।
নারীদের মসজিদে নামাজ আদায় নিয়ে বিভিন্ন সমাজে মতভেদ ও আলোচনা থাকলেও ইসলামের মৌলিক অবস্থান স্পষ্ট। ইসলাম নারীদের মসজিদে যেতে বাধা দেয় না। তবে যদি মসজিদে যাওয়ার কারণে বেপর্দা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, বা নিরাপত্তা ও শালীনতা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে ঘরে নামাজ আদায় করাই নারীদের জন্য অধিক উত্তম বলে বিবেচিত হয়।
এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যখন নারীরা তোমাদের কাছে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার অনুমতি চায়, তখন তাদের সে অনুমতি দেবে।” (বুখারি ও মুসলিম)। এই হাদিস প্রমাণ করে যে, নীতিগতভাবে নারীদের মসজিদে নামাজ আদায় করার অধিকার ইসলাম স্বীকার করেছে।
বর্তমান বাস্তবতায় দেখা যায়, আরব দেশগুলো ছাড়া মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ দেশে নারীদের জন্য মসজিদে নামাজ আদায়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। খুব অল্পসংখ্যক মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক ও নিরাপদ স্থান রাখা হয়। তবে যেখানে এমন সুব্যবস্থা বিদ্যমান এবং যাতায়াতের পথ নিরাপদ, সেখানে নারীদের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ে শরিয়তের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
এই ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা জরুরি। যে মসজিদে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ নিরাপদ কি না, পুরুষ ও নারীর মধ্যে ফেতনার সম্ভাবনা আছে কি না—এসব বিষয় বিবেচনা করা অপরিহার্য। যদি আশঙ্কা থাকে যে মসজিদে যাওয়ার ফলে শালীনতা বা সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, তবে নারীদের জন্য ঘরে নামাজ আদায় করাই অধিক নিরাপদ ও উত্তম পন্থা।
প্রকৃতপক্ষে, নারীদের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় পুরোপুরি নির্ভর করে সমাজ ও রাষ্ট্র কতটা নিরাপদ, শালীন ও ফেতনামুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে তার ওপর। যদি পূর্ণ পর্দা বজায় রেখে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ের সুযোগ তৈরি করা যায়, তবে নারীরা মসজিদে গিয়ে ইবাদত করতে পারবে এটাই ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।
সর্বোপরি, প্রতিটি মহল্লা বা এলাকায় মসজিদ নির্মাণের সময় নারীদের নামাজ আদায়ের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আলাদা প্রবেশপথ, নিরিবিলি নামাজের স্থান এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে নারীরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মসজিদে গিয়ে ইবাদত করতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এমন একটি নিরাপদ, শালীন ও ফেতনামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন, যেখানে নারী-পুরুষ উভয়েই পর্দা ও সম্মানের সঙ্গে ইবাদত আদায় করতে পারবে। আমিন।
ইসলাম কী বলে থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে
আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মানুষ যে জীবন উপহার হিসেবে পেয়েছে, তা নিঃসন্দেহে অমূল্য এক নিয়ামত। যে সম্পদ যত বেশি দামী, তার ব্যবহার তত বেশি সচেতনতা, পরিকল্পনা ও জবাবদিহিতার দাবি রাখে। সময় ঠিক তেমনি এক অদৃশ্য অথচ প্রবল শক্তি, যা নদীর স্রোতের মতো অবিরাম বয়ে চলে এবং কখনোই থামিয়ে রাখা যায় না। ফলে জীবনের এই সীমিত সময়কে অবহেলা কিংবা অর্থহীন কাজে নষ্ট করা কোনো বিবেচক মানুষের কাজ হতে পারে না।
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে মানুষের জীবন ও সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথেই ব্যয় হওয়া উচিত। অথচ বাস্তবতা হলো, আমরা এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো এমনসব আচার-অনুষ্ঠান ও বিজাতীয় উৎসবে ব্যয় করছি, যেগুলোর মধ্যে না আছে পার্থিব কল্যাণ, না আছে পরকালের মুক্তির কোনো আশা। এরই একটি প্রকট উদাহরণ হলো তথাকথিত ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’, যা শরিয়তের আলোকে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, থার্টি ফার্স্ট নাইটের সঙ্গে ইসলামি আদর্শের কোনো সম্পর্ক তো নেইই, বরং এর শিকড় প্রোথিত রয়েছে পৌত্তলিক বিশ্বাস ও কুসংস্কারে। খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে পারস্যের সম্রাট জামশিদ এবং পরে খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার নববর্ষ উদযাপনের যে ধারা চালু করেন, সেটিই পরবর্তীতে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির অংশ হয়ে ওঠে। এটি আদতে ইংরেজি নয়, বরং খ্রিস্টীয় নববর্ষ, যা পোপ গ্রেগরির নামানুসারে প্রচলিত।
প্রাচীন পারস্যে প্রকৃতি পূজারিদের বিশ্বাস ছিল, বছরের প্রথম দিন যদি আনন্দ-উল্লাসে কাটানো যায়, তবে পুরো বছর ভালো যাবে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, সেই ভিত্তিহীন বিশ্বাস আজও আধুনিক সমাজের তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের আচরণে প্রতিফলিত হয়। অথচ বছরের একটি রাত উল্লাসে কাটালেই সারা বছর সুখ নিশ্চিত হবে এর চেয়ে অবাস্তব ও যুক্তিহীন ধারণা আর কী হতে পারে!
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, কোনো উৎসব বা আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য কোরআন, সুন্নাহ কিংবা সাহাবায়ে কেরামের আমলের সুস্পষ্ট দলিল থাকা আবশ্যক। কিন্তু নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর নামে কোনো উৎসব পালনের পক্ষে ইসলামে বিন্দুমাত্র প্রমাণ নেই। বরং রসুলুল্লাহ (সা.) কঠোরভাবে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সুনানে আবু দাউদ)। কোনো জাগতিক কাজ তখনই বৈধ হয়, যখন তা শরিয়তের সীমা লঙ্ঘন করে না এবং মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে না। অথচ থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে এই দুই শর্তই ভয়াবহভাবে লঙ্ঘিত হয়।
এই উৎসবের সামাজিক ও নৈতিক ক্ষতি অত্যন্ত গভীর ও সুদূরপ্রসারী। প্রথমত, এতে ঘটে চরম অর্থের অপচয়। একদিকে শীতের রাতে লাখো মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কাঁপছে, অন্যদিকে একই রাতে আতশবাজি, ফানুস আর ডিজে পার্টির নামে কোটি কোটি টাকা পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোরআনে অপচয়কারীদের শয়তানের ভাই হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এ বাস্তবতা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
দ্বিতীয়ত, বিকট শব্দের পটকা ও উচ্চ শব্দমাত্রার সাউন্ড সিস্টেম জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। শহরের ফ্ল্যাটে থাকা বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ মানুষদের জন্য এই রাত হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়। প্রতিবছর পটকার শব্দে শিশুর মৃত্যু, ফানুসের আগুনে দগ্ধ হওয়া কিংবা অগ্নিকাণ্ডের মতো মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের বিবেককে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, এই বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের তরুণ সমাজকে ধীরে ধীরে ভোগবাদ, মাদকাসক্তি ও নৈতিক অবক্ষয়ের পথে ঠেলে দিচ্ছে। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, অশ্লীলতা ও লাগামহীন বিনোদনের মাধ্যমে ইসলামের মৌলিক মূল্যবোধকে পদদলিত করা হচ্ছে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে ত্যাগের দর্শন যেখানে নিজের আনন্দের চেয়ে অপরের কল্যাণ ও গরিবের হক অগ্রাধিকার পায়। অথচ থার্টি ফার্স্ট নাইটের দর্শন সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে আত্মকেন্দ্রিক ভোগই মুখ্য।
বাস্তবে নতুন বছরের আগমন মানে জীবনের একটি বছর কমে যাওয়া। প্রতিটি নতুন দিন আমাদের কবরের আরও কাছে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কি একবারও ভেবে দেখি, সময়ের এই ক্ষয় আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? ঠিক যেমন ফাঁসির আসামির কাছে প্রতিটি সূর্যোদয় মৃত্যুর ঘনিয়ে আসার বার্তা বহন করে, আমাদের জীবনও তেমনি নিঃশেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। সুতরাং এই রাত নেশা ও উন্মাদনায় কাটানোর পরিবর্তে অতীতের ভুলের জন্য তওবা করা এবং ভবিষ্যতের জন্য নেক আমলের পরিকল্পনা করাই হবে প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা।
পরিবার, সন্তান ও সমাজকে এই ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করা আমাদের ইমানি দায়িত্বের পাশাপাশি নাগরিক কর্তব্যও বটে। আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের বিজাতীয় অনুকরণ থেকে মুক্ত থেকে ইসলামি জীবনাদর্শ অনুযায়ী চলার তৌফিক দান করেন এই কামনাই হোক আমাদের নতুন বছরের অঙ্গীকার।
ইমামের কাছাকাছি বসার সওয়াব এবং জুমার দিনের বিশেষ আদবসমূহ
সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমাবার মুসলমানদের জন্য শ্রেষ্ঠ এবং সর্বাপেক্ষা বরকতময় দিন। রাসুলে কারিম (সা.) এই দিনটিকে সূর্য উদিত হওয়া দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা জুমআতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন যে জুমার আজান হওয়া মাত্রই যেন মুমিনরা দুনিয়াবি সব ব্যস্ততা ও ব্যবসা-বাণিজ্য ফেলে আল্লাহর স্মরণে অর্থাৎ মসজিদের দিকে দ্রুত ধাবিত হয়। এটি কেবল একটি ধর্মীয় বিধান নয়, বরং আত্মিক প্রশান্তি ও পরকালীন মুক্তির এক বিশাল সুযোগ।
হাদিস শরিফে জুমার দিনে আগেভাগে মসজিদে যাওয়ার এক চমৎকার পুরস্কারের কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে যারা প্রথম প্রহরে মসজিদে পৌঁছান, তারা একটি উট কোরবানি করার সমান সওয়াব পান। ক্রমান্বয়ে দেরি করে আসা মুসল্লিদের সওয়াব গরু, ভেড়া, মুরগি এমনকি ডিম কোরবানির সওয়াবের সমান হয়ে যায়। তবে যখন ইমাম সাহেব খুতবা দেওয়ার জন্য মিম্বারে ওঠেন, তখন দায়িত্বরত ফেরেশতারা আমলনামা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে মশগুল হয়ে যান। অর্থাৎ এরপর যারা আসেন, তারা জামাতের সওয়াব পেলেও আগে আসার বিশেষ মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হন।
বর্তমানে দেশের অনেক মসজিদে প্রভাবশালীদের জন্য আগে থেকে জায়গা দখল করে রাখার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই বিষয়ে প্রখ্যাত আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহ তাঁর এক আলোচনায় কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে ইবাদতের জায়গায় সবাই সমান। মসজিদে প্রভাবশালী বা মুতওয়াল্লি পরিচয় দিয়ে সামনের কাতারে আগে থেকে জায়নামাজ পেতে রাখা বা জায়গা দখল করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং ইসলামি সংস্কৃতির পরিপন্থী। তিনি একে ‘জাহেলি বর্বরতা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন যে দেরিতে এসে মানুষকে কষ্ট দিয়ে কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া জাহান্নামের ব্রিজের ওপর দিয়ে চলার মতো ভয়ংকর গোনাহ।
ইসলামি বিধান অনুযায়ী মসজিদে যে আগে আসবেন, তিনিই সামনের কাতারে বসার অধিকার রাখেন। কাউকে কষ্ট দিয়ে বা ঠেলে সামনে যাওয়া সুন্নাহসম্মত নয়। মহানবী (সা.) একবার খুতবা চলাকালীন এক ব্যক্তিকে মানুষের কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে আসতে দেখে সরাসরি থামিয়ে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে সে দেরি করে এসে অন্যদের কষ্ট দিচ্ছে। সুতরাং জুমার সওয়াব পূর্ণমাত্রায় পেতে হলে দ্রুত মসজিদে আসা, সুগন্ধি মাখা, গোসল করা এবং কাউকে কষ্ট না দিয়ে যে জায়গায় খালি পাওয়া যায় সেখানেই বসে পড়া আবশ্যক। ইমামের কাছাকাছি বসার প্রবল ইচ্ছা থাকলে দেরিতে না এসে আগেভাগেই আল্লাহর ঘরে হাজির হতে হবে।
আজ পবিত্র জুমার দিন, জেনে নিন নামাজের সঠিক সময়সূচি
ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম নামাজ প্রতিটি মুসলিমের ওপর ফরজ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা সময়মতো নামাজ আদায়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। আজ শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি; বাংলা ১১ পৌষ ১৪৩২ এবং হিজরি ৫ রজব ১৪৪৭। জুমার দিন হওয়ার কারণে আজ নামাজের গুরুত্ব আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, কিয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সবার আগে নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। তাই যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা অত্যন্ত জরুরি।
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্ধারিত আজকের নামাজের সময়সূচি অনুযায়ী, জুমার আজান ও জামাত শুরু হবে দুপুর ১২টা ১ মিনিটে। এছাড়া আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের সাথে সাথে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে মাগরিবের ওয়াক্ত হবে। রাতের প্রধান ইবাদত এশার নামাজ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে। যারা আগামীকাল শনিবারের ফজরের নামাজের সময় জানতে চান, তাদের জন্য ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় নামাজের সময়ের কিছুটা তারতম্য ঘটে। ঢাকার সময়ের সাথে চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের ৫ মিনিট এবং সিলেটের বাসিন্দাদের ৬ মিনিট সময় বিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে, ঢাকার সময়ের সাথে খুলনার জন্য ৩ মিনিট, রাজশাহীর জন্য ৭ মিনিট, রংপুরের জন্য ৮ মিনিট এবং বরিশালের জন্য ১ মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ করে নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে হবে।
নামাজ কেবল একটি ইবাদত নয়, বরং এটি মানুষের মন ও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। বিশেষ করে জুমার দিনটি মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যেখানে জামাতের সাথে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় হয়। সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনাই হোক আজকের দিনের মূল লক্ষ্য।
যাত্রাপথে নিরাপদ থাকার সুন্নাহ দোয়া
মানুষের জীবনে যাতায়াত ও ভ্রমণ একটি অবিচ্ছেদ্য বাস্তবতা। কর্মজীবন, শিক্ষা, চিকিৎসা কিংবা পারিবারিক প্রয়োজনে প্রতিনিয়তই মানুষকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। সময়, সামর্থ্য ও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ব্যবহৃত হলেও ভ্রমণের সঙ্গে সবসময়ই কিছু না কিছু ঝুঁকি জড়িত থাকে। তাই সফরকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেমন বাস্তবিক প্রয়োজন, তেমনি তা ঈমানি দায়িত্বও।
ইসলাম মানুষের প্রতিটি কাজকে আল্লাহর ওপর নির্ভরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে শিক্ষা দেয়। সফর বা বাহনে আরোহণের সময়ও রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দিষ্ট কিছু দোয়া পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে মানুষ শারীরিক ও অদৃশ্য বিপদ থেকে নিরাপদ থাকে। এসব দোয়ার মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর হেফাজতে নিজেকে সোপর্দ করে দেয় এবং শয়তানি অনিষ্ট থেকেও সুরক্ষা লাভ করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় একটি সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর অর্থবহ দোয়া পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলে,
“বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”,
তাকে বলা হয়, আল্লাহ তোমার জন্য যথেষ্ট, তুমি নিরাপত্তার আওতায় এসেছ। ফলে শয়তান তার কাছ থেকে দূরে সরে যায়। এই দোয়া পড়লে সারাদিন আল্লাহর বিশেষ তত্ত্বাবধানে থাকার সৌভাগ্য অর্জিত হয়।
যানবাহনে আরোহণের সময় মহানবী (সা.) আল্লাহর নিয়ামতের স্মরণ করতেন এবং বাহনকে মানুষের অধীন করে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন। তিনি পাঠ করতেন
“সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হাযা ওয়া মা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন কালিবুন।”এই দোয়ায় মানুষ স্বীকার করে নেয়, বাহন ব্যবহারের সক্ষমতা আল্লাহরই দান এবং শেষ পর্যন্ত সবাইকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।
সফরের শুরুতে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরেকটি দীর্ঘ দোয়া পাঠ করতেন, যেখানে সফরের কল্যাণ, তাকওয়া, সহজতা ও নিরাপত্তা কামনা করা হয়। এই দোয়ায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয় যেন তিনি সফরকে সহজ করে দেন, পথের কষ্ট কমিয়ে দেন এবং পরিবার ও সম্পদের হেফাজতকারী হন। একই সঙ্গে সফরের ক্লান্তি, ভয়াবহ দৃশ্য এবং অকল্যাণকর প্রত্যাবর্তন থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়।
নৌকা কিংবা জাহাজে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও কোরআনে উল্লেখিত একটি দোয়া পাঠের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে—“বিসমিল্লাহি মাজরিহা ওয়া মুরসাহা, ইন্না রাব্বি লা গাফুরুর রহিম।”
এই দোয়ায় আল্লাহর নামেই যাত্রা ও অবস্থানের কথা বলা হয়, যা সমুদ্রযাত্রায় মানসিক দৃঢ়তা ও আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা তৈরি করে।
ভ্রমণের মাঝপথে কোথাও অবস্থান করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই দোয়া পাঠ করলে সেই স্থান ত্যাগ করা পর্যন্ত কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি হলো-
“আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।”
এর মাধ্যমে সৃষ্ট প্রতিটি অনিষ্ট থেকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ বাণীর আশ্রয় চাওয়া হয়।
সফরকালীন এসব দোয়া শুধু মুখস্থ পাঠের বিষয় নয়; বরং এগুলো মানুষের মনে আল্লাহভীতি, নির্ভরতা ও আত্মিক প্রশান্তি সৃষ্টি করে। আজকের ব্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনে এসব সুন্নাহ অনুসরণ করলে সফর যেমন নিরাপদ হয়, তেমনি তা ইবাদতে পরিণত হয়।
আজ ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য নামাজের নির্ধারিত সময়গুলো নিচে দেওয়া হলো। এই সময়গুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত।
| নামাজের নাম | সময় (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা) |
| জোহর | দুপুর ১২টা ০১ মিনিট |
| আসর | বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট |
| মাগরিব | সন্ধ্যা ৫টা ২০ মিনিট |
| এশা | সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিট |
| ফজর (আগামীকাল) | ভোর ৫টা ১৭ মিনিট |
বিভিন্ন বিভাগের সময় পরিবর্তন
ঢাকার সময়ের সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সময়ের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নিচের জেলাগুলোতে সময় যোগ বা বিয়োগ করতে হবে।
সময় বিয়োগ করতে হবে
চট্টগ্রাম : ০৫ মিনিট
সিলেট : ০৬ মিনিট
সময় যোগ করতে হবে
খুলনা : ০৩ মিনিট
বরিশাল : ০১ মিনিট
রাজশাহী : ০৭ মিনিট
রংপুর : ০৮ মিনিট
আজ ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং ৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ইসলামের রুকনগুলোর মধ্যে নামাজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা মানুষকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। তাই কর্মব্যস্ততার মাঝেও সময়মতো নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।
আজ ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
ইসলামের পাঁচটি রুকন বা পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম এবং এটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী কিয়ামতের দিন মানুষের কাছ থেকে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি ইসলামে ওয়াজিব, সুন্নত এবং নফল নামাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পার্থিব জীবনে যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন সঠিক সময়ে বা ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি এবং ঈমানি দায়িত্ব।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি (৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা এবং ৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি)। ঢাকা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত নামাজের সময়সূচি অনুযায়ী আজকের জোহর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১২টা ১ মিনিটে। আসর নামাজের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। মাগরিব বা সূর্যাস্তের পরবর্তী নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বিকেল ৫টা ২০ মিনিট এবং এশা নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে। এছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ফজর নামাজের সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঢাকার সময়ের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিভাগের সময়ের কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। ঢাকার সময়ের সঙ্গে যে সকল বিভাগের সময় বিয়োগ করতে হবে তার মধ্যে চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে ৫ মিনিট এবং সিলেটের ক্ষেত্রে ৬ মিনিট বিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ ঢাকার চেয়ে এই এলাকাগুলোতে ৫ থেকে ৬ মিনিট আগেই নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে।
অন্যদিকে ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগের সময় যোগ করে নামাজ আদায় করতে হবে। যার মধ্যে খুলনার জন্য ৩ মিনিট, রাজশাহীর জন্য ৭ মিনিট, রংপুরের জন্য ৮ মিনিট এবং বরিশালের জন্য ১ মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ করতে হবে। অর্থাৎ ঢাকার চেয়ে এই বিভাগগুলোতে ১ থেকে ৮ মিনিট পরে নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে। মুসল্লিদের নিজ নিজ এলাকার সঠিক সময় অনুযায়ী যথাযথভাবে ইবাদত পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫: আজকের ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে ইমান বা বিশ্বাসের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। পরকালে হাশরের ময়দানে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে বলে ধর্মীয় বিধানে উল্লেখ রয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল নামাজের গুরুত্বও অপরিসীম। মুসলিম উম্মাহর জন্য ব্যস্ততার মাঝেও নির্দিষ্ট ওয়াক্ত অনুযায়ী ফরজ নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক। আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা এবং ২ রজব ১৪৪৭ হিজরির জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের একটি নির্ভুল সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকার কেন্দ্রীয় সময়ের ওপর ভিত্তি করে আজকের জোহর নামাজের সময় শুরু হবে দুপুর ১২টা ০১ মিনিটে। আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে এবং মাগরিবের আজান হবে সন্ধ্যা ৫টা ২০ মিনিটে। এরপর এশা নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে। আগামীকাল বুধবার পবিত্র ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। এই সময়সূচি মূলত ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দেশের বিভিন্ন বিভাগে এই সময়ের কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
ঢাকার সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে সময় যোগ অথবা বিয়োগ করে নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের ক্ষেত্রে ঢাকার সময় থেকে ৫ মিনিট এবং সিলেট বিভাগের ক্ষেত্রে ৬ মিনিট বিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দাদের ঢাকার সময়ের সাথে ৭ মিনিট এবং রংপুর বিভাগের ক্ষেত্রে ৮ মিনিট যোগ করে নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হবে। খুলনা বিভাগে ৩ মিনিট এবং বরিশাল বিভাগে ১ মিনিট যোগ করে স্থানীয় সময় অনুযায়ী নামাজ আদায় করতে হবে।
নামাজের এই সময়সূচি পরিবর্তনের বিষয়টি মূলত সূর্যের অবস্থানের ওপর নির্ভরশীল। তাই নির্ভুলভাবে ইবাদত সম্পন্ন করতে নিজ নিজ এলাকার নির্ধারিত সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। বিউবো বা আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যের মতো নামাজের এই সময়সূচিও প্রতিদিন সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরজ নামাজ আদায় করা কেবল ধর্মীয় দায়িত্বই নয় বরং এটি একজন মুমিনের জীবনের শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
পাঠকের মতামত:
- অত্যন্ত জটিল ও সংকটময় মুহূর্তে খালেদা জিয়া
- ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি
- ৯ কোটির মুস্তাফিজকে নিয়ে বিপাকে শাহরুখের দল: উত্তপ্ত মধ্যপ্রদেশ
- স্ট্রেস থেকে উচ্চ রক্তচাপ: হার্ট অ্যাটাক রুখতে মেনে চলুন ৫ নিয়ম
- বিদেশের মাটিতে বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা: ২০২৬ সালের জন্য সেরা স্কলারশিপ
- এনসিপি কি দুই ভাগ হচ্ছে: জামায়াত জোট ঠেকাতে ৩০ নেতার কঠোর বার্তা
- গোপালগঞ্জের নৌকার ১৭ মাঝি এখন ধানের শীষের সারথি
- ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা: আজই দেখে নিন রুটিন
- কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন তাসনিম জারা: নিজেই জানালেন নেপথ্য কারণ
- চট্টগ্রামের ৩ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত চমক
- গণমাধ্যমে যারা আগুন দেয় তারা সরকারেরও প্রতিপক্ষ: তথ্য উপদেষ্টা
- ৬ মাসের পরিকল্পনা ও এক মিনিটের অপারেশন: হাদি হত্যার নতুন রহস্য
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য বড় সুখবর
- এনআইডি পেতে তারেক রহমানের হাতে সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা
- গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে বিএনপিতে রাশেদ খাঁনের নাটকীয় যোগদান
- আবহাওয়া অফিসের স্বস্তির বার্তা: সন্ধ্যার পূর্বাভাসে মিলল নতুন সংকেত
- সংসদ নির্বাচনে লড়তে আর বাধা নেই তারেক রহমানের
- বিপিএলের মাঠেই ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচের মৃত্যু
- অজান্তেই পিত্তথলিতে পাথর জমাচ্ছে আপনার এই ৫টি ভুল অভ্যাস
- শীতে বাড়ছে মাইগ্রেনের তীব্র যন্ত্রণা: বাঁচার উপায় জানালেন চিকিৎসকরা
- জোটের গলার কাঁটা দুই সাবেক উপদেষ্টা: জামায়াত-এনসিপি দরকষাকষিতে নতুন মোড়
- হাদির কবর জিয়ারতে তারেক রহমান
- ঢাকার আকাশ যেন কুয়াশার গোলকধাঁধা: দিক হারিয়ে ৩ দেশে নামল ৮ বিমান
- আন্তর্জাতিক বাজারেও ধুরন্ধর ম্যাজিক: ভারতীয় সিনেমার নতুন ইতিহাস আজ
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১৪৪ ধারা: কেন্দ্রে প্রবেশের নতুন নিয়ম
- টাকার স্তূপে ঢাকা পড়েছে মেঝে: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে অলৌকিক সাড়া
- বিপিএলসহ টিভিতে আজ যত খেলা: জেনে নিন দেখার সময়সূচি
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজ ২৭ ডিসেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- রাজধানীতে আজ কোথায় কী: জেনে নিন আজকের ব্যস্ত সূচি
- কক্সবাজারে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ভয়াবহ আগুন
- উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দেশ: আসছে আরও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
- জামায়াত-চরমোনাই দ্বিমুখী লড়াই: সংকটে ইসলামী জোট
- ১৭ বছর পর স্বদেশে তারেক, নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে বিএনপির নতুন ছক
- ঢাবি ও এমআইএসটি পরীক্ষা একই দিনে: পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আজ
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকাই
- গুলিস্তানের খদ্দর বাজারে আগুন, গোডাউন জ্বলছে
- শিবিরে ক্ষমতার হস্তান্তর, নেতৃত্বে সাদ্দাম–সিবগা
- বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে নীরবে কেঁদেছেন তারেক রহমান
- গাছ কাটলে গাছের কি সত্যিই ব্যথা লাগে? বিজ্ঞান কী বলে
- নারীরা কি মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন?
- গিলগামেশ থেকে মিস্ত্রাল: সাহিত্যের হাজার বছরের যাত্রা
- ইসলাম কী বলে থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে
- এবার ‘হাঁস’ প্রতীক নিয়ে ভোটের ময়দানে রুমিন ফারহানা
- ইমামের কাছাকাছি বসার সওয়াব এবং জুমার দিনের বিশেষ আদবসমূহ
- ফোনের স্ক্রিনে বন্দি শৈশব: ১০ হাজার শিশুর ওপর গবেষণায় ভয়ংকর তথ্য
- নাইজেরিয়ায় ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বিমান হামলা
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- ফ্যামিলি কার্ড থেকে বেকার ভাতা: তারেক রহমানের রূপরেখায় যা আছে
- আজ ঢাবির ভর্তি যুদ্ধ: আছে এমআইএসটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খবর
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে নীরবে কেঁদেছেন তারেক রহমান
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- আজ থেকে শুরু বিপিএলের দ্বাদশ আসর, জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- জামায়াত-চরমোনাই দ্বিমুখী লড়াই: সংকটে ইসলামী জোট
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকাই
- নির্বাচন ও রমজানের কবলে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা: নতুন তারিখ কবে?
- ডলারের দামে ফের পরিবর্তন: জেনে নিন আজকের সর্বশেষ টাকার রেট
- আজ কোন খেলা কখন? জেনে নিন সময়সূচি








