নৌকার সমর্থকরা হতাশ হবেন না,ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক থাকছে না। তিনি বলেন, 'নৌকার যে মূল মাঝি, তিনি সবাইকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছেন, ইন্ডিয়া চলে গেছেন।' তবে তিনি নৌকার সমর্থক ও ভোটারদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধানের শীষ তাদের পাশেই আছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদরের বড়দ্বেশ্বরী মাঠে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌকার সমর্থক ও ভোটারদের আশ্বস্ত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "ধানের শীষ আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা বেঁচে থাকতে আপনাদের গায়ে কেউ ফুলের টোকাও দিতে পারবে না।" তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ ও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, কিন্তু এবার নৌকা নেই।
বিএনপি মহাসচিব আটটি সমমনা দলের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, দেশের জনগণ পিআর বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি না বুঝলেও, তা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ওই আট দল। তিনি অভিযোগ করেন, গণভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পেছাতে তারা ঝামেলা সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, "আগে ভোটে জেতেন, তারপর পিআর বাস্তবায়ন কইরেন। জোর করে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিলে সেটা আমরা মানবো না।"
৭ শব্দের নায়ক আসিফ মাহমুদ: রাশেদ খান সমর্থন জানালেন তরুণ এই নেতার সিদ্ধান্তে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন এবং নির্বাচনের আগে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তবে ঢাকায় নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও কোন আসনে লড়বেন, তা এখনও নির্দিষ্ট করে জানাননি আসিফ মাহমুদ। রোববার ৯ নভেম্বর তিনি এই তথ্যগুলো জানান।
এদিকে, আসিফ মাহমুদের নির্বাচনী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
আসিফ মাহমুদের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ
সোমবার ১০ নভেম্বর নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান বলেন, "উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের জন্য শুভকামনা রইল।" তিনি মনে করেন, তিনি বা সরকারের যারা উপদেষ্টা হিসেবে আছেন এবং ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে চান, তারা পদত্যাগ করলেই সরকারের নিরপেক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। রাশেদ খান বলেন, এক্ষেত্রে তিনি আসিফ মাহমুদের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান। তিনি মন্তব্য করেন, পদত্যাগ আরও আগে করলে আসিফ মাহমুদের নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ হতো।
রাশেদ খান বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে সরকারের যাওয়ার কারণে আসিফ মাহমুদের অনেক সমালোচনা আছে। তবে তার সব দোষ তিনি তাঁকে দেবেন না। তিনি মনে করেন, সরকারে থাকা সিনিয়র উপদেষ্টারা আসিফ মাহমুদদের উপযুক্ত গাইডলাইন দিতে ও আসিফদের বিপ্লবের শক্তি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যে কারণে আসিফরা হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
ইতিহাস পরিবর্তনকারী ৭ শব্দের নায়ক
রাশেদ খান বলেন, আসিফ মাহমুদের অনেক ভুল থাকতে পারে, কারণ তরুণ বয়সে ভুল করা স্বাভাবিক। তবে তিনি আসিফ মাহমুদের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আসিফ মাহমুদের ৭ শব্দের লাইন ইতিহাস বদলে দেয়, "পরশু নয়, কালকেই লংমার্চ টু ঢাকা!" রাশেদ খান বলেন, ৬ আগস্টের লংমার্চ পরিবর্তন করে ৫ আগস্টে নিয়ে আসার নায়ক আসিফ মাহমুদ।
রাশেদ খাঁন আশাবাদী, আসিফ মাহমুদ তাঁর ভুলভ্রান্তি শুধরে বাকি জীবন সচেতনভাবে রাজনীতি করবেন এবং জনগণের নেতা নয়, সেবক হিসেবে কাজ করবেন।
নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ: মির্জা ফখরুল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটি গভীর চক্রান্ত চলছে।
সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ষড়যন্ত্র ও একাত্তরের চেতনা
বিএনপি মহাসচিব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, "অতি দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। এটাই আমাদের চাওয়া।"
তিনি বলেন, "আজকে একটা ধারণা দেয়া হচ্ছে ২০২৪ সালের আন্দোলনেই সব হয়েছে। আপনারা ভুলে যাবেন না, একাত্তর হয়েছে বলেই আমরা দেশ পেয়েছি। আমাদের জন্মটাকে আমরা ভুলতে পারি না, এটা মাথায় রাখিয়েন।"
মির্জা ফখরুল বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র একাত্তরকে ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, "একটি চক্র যারা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজস করে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, তাদের সাথে এ দেশের মানুষ আপস করতে পারে না। এরা আজকে দেশটাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করছে।"
তিনি বলেন, "আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধের যে চেতনা, সেটাকে সামনে আনতে হবে। আমরা একাত্তর সালে লড়াই করেই দেশকে স্বাধীন করেছি, এটা মাথায় রাখতে হবে।"
এ সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব সাদেক আহম্মদ খান এবং জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন।
তফসিলের আগে গণভোটের বাস্তবতা নেই: ভিপি নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মন্তব্য করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা হবে এবং সেই তফসিলের আগে গণভোটের কোনো বাস্তবতা নেই। তবে তিনি মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গেই একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে, কিন্তু অবশ্যই সেই গণভোটের মাধ্যমেই জুলাই সনদকে গণভিত্তি ও আইনী ভিত্তি দিতে হবে।
রোববার (৯ নভেম্বর) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণঅধিকার পরিষদের সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার আয়োজিত জনসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
৩০০ আসনে প্রস্তুতি ও জোটের বিবেচনা
নুরুল হক নুর জানান, গণঅধিকার পরিষদ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সারাদেশে ৩০০টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তিনি বলেন, এখনকার এই রাজনৈতিক দলগুলো সবাই মিলেমিশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আজকের এই পরিবর্তন এনেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও বিবেচনা করা হবে। তবে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তফসিল ঘোষণার পরই নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি তাঁর বক্তব্য প্রদানের এক পর্যায়ে গাইবান্ধা-০৩ সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী আসনের গণঅধিকার পরিষদের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মো. সরুজ্জামান সরকার-এর নাম ঘোষণা করে উপস্থিত সবার সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন।
১২৩ ঘণ্টা অনশন শেষে আম জনতার দলের তারেক রহমান হাসপাতালে
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে আমরণ অনশনরত আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় অবশেষে তাঁর অনশন ভঙ্গ হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে তিনি অনশন ভেঙেছেন এবং তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ১২৩ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফটকের সামনে অনশনে ছিলেন মো. তারেক রহমান।
সালাহউদ্দিন আহমদের মধ্যস্থতা ও আবেদন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকে জানান, আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তারেকও অনেকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং রিমান্ডে ছিলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, একটি দল যেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনের দিনে ভূমিকা রাখতে পারে, সে জন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ বিচার-বিবেচনার পর তাকে জানানো হয় যে তার দলকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও জানান, তিনি আজ তারেক রহমানের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য ইসিতে কথা বলেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার দল ন্যায়বিচার পাবে। তারেক রহমানকে অনুরোধ করে অনশন ভাঙতে বলা হলে তিনি সেই অনুরোধ রেখেছেন এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমান সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নির্বাচন কমিশন তাঁর দলের আপিল পুনর্বিবেচনা করবে।
ঢাকা-১০ আসন হটস্পট: ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘিরে ভোটের হিসাব নিকাশ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে একটি ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ তৈরি হতে পারে। এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখনও তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও, জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দিয়েছে। এবার এই আসনে স্বতন্ত্র বা এনসিপি'র সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, যা ভোটের সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলছে।
এনসিপি'র কৌশল ও হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি তার দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীক 'শাপলা কলি' পাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। এখন তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্র
ঢাকা-১০ আসনটি ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান এবং হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত। এটি ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন।
সমঝোতার ইঙ্গিত
এনসিপি'র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আগেই ঘোষণা করেছেন যে, তারা কারও সঙ্গে জোট না করলেও, আসনভিত্তিক সমঝোতা করবেন। এনসিপি এই আসনটিতে হাসনাত আব্দুল্লাহকে সমর্থন দিলে বিএনপি বা অন্য শরিক দলগুলো এই আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আসনটির গুরুত্ব
ঢাকা-১০ আসনে জামায়াতের প্রার্থী জসীম উদ্দিন সরকার এবং এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর উপস্থিতি প্রমাণ করে, বিএনপি'র প্রার্থীর জন্য এই আসনে জয় সহজ হবে না। বিশেষ করে, যুবশক্তি এবং নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি প্রভাব রয়েছে, যা তাকে ভোটের ময়দানে একটি নতুন মাত্রা দিতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি যদি এই আসনে কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী না দেয়, তবে আসনটি অন্য দলের দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। দ্রুতই এই আসনটির বিষয়ে বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা রয়েছে।
ঢাকা-১০ আসনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা: কঠিন সমীকরণে দুই ইসলামপন্থী দল ও বিএনপি
লাশ দাফনেও জায়গা দেয়নি আওয়ামী লীগ: মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ অভিযোগ করেছেন, তাঁর ভাই যখন শহীদ হন, তখন লাশ দাফনের জন্য আওয়ামী লীগ কোনো কবরস্থানে তাঁদের জায়গা দেয়নি। তিনি বলেন, বাধ্য হয়ে প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে গিয়ে, যেখানে পুলিশের নজর থাকবে না—সেখানেই তাঁর ভাইয়ের লাশ দাফন করতে হয়েছিল।
রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে শিবগঞ্জের শহীদ মীর মুগ্ধ স্কয়ার চত্বরে অনুষ্ঠিত ছাত্র–জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি বিএনপিতে যোগদান করা মীর স্নিগ্ধ বলেন, খুনি হাসিনার মন্ত্রীসহ বহু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাঁদের বাসায় ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে এসেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁরা বাসায় থাকতে না পেরে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন এবং ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তাঁরা মুক্তি পান।
তিনি বলেন, "আমি বিশ্ববাসীকে দেখানোর চেষ্টা করেছি খুনি হাসিনা কীভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা বলেছি খুনি হাসিনার সঙ্গে আমরা কোনো আপোষ করব না।"
স্নিগ্ধ আরও অভিযোগ করেন, হাসিনা শুধু ২০২৪ সালের অভ্যুস্থানেই নয়, সরকার গঠন করে বিভিন্নভাবে বিএনপির ওপর নির্যাতন করেছে। গুম, খুন এবং ভয় দেখিয়ে নেতাকর্মীদের আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, "ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। সেই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই খুনি হাসিনার তৈরীকৃত সরকার ব্যবস্থাকে চিরতরে কবর দিব।"
সাধারণ মানুষ ভোট চায়, চাপানো গণভোট বা সনদ নয়: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন যে, গণভোট ও সনদ-এর মতো বিষয়গুলো দেশের সাধারণ জনগণ বোঝে না। তাঁর মতে, এসব বিষয় বোঝেন কিছু শিক্ষিত ওপরতলার লোক, "যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে এসব আমাদের ঘাড়ের ওপর চাপাচ্ছেন।" তিনি বলেন, বিএনপি সব সংস্কারে রাজি আছে, তবে নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণভোট ও সংকটের রাজনীতি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "কয়েকটা দল বলছে, নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। আর আমরা বলছি, নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে।" তিনি উপস্থিত লোকজনকে প্রশ্ন করেন, "আপনারা কি গণভোট, সনদ এসব বোঝেন? এসব বোঝেন শিক্ষিত কিছু ওপরতলার লোক। যাঁরা আমেরিকা থেকে এসে এসব আমাদের ঘাড়ের ওপর চাপাচ্ছেন।"
তবে তিনি জানান, বিএনপি সব সংস্কার প্রস্তাবে রাজি আছে। তিনি বলেন, "যেটাতে রাজি হব, সেটা বাস্তবায়িত হবে। যেটাতে রাজি হব না, সেটা পার্লামেন্টে যাবে। সেখানে তর্ক-বিতর্ক হবে, এরপর তা পাস হবে।"
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, দেশে এখন যত সংকট দেখা যাচ্ছে, তার সবই তৈরি করা এবং নাটক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এত কিছু বোঝেন না, তাঁরা শুধু ভোট দিতে চান। তিনি বলেন, "গত ১৫ বছর আমরা কোনো নির্বাচন করতে পারিনি। এবার আমরা সবাই ভোট দিতে চাই।"
শেখ হাসিনা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, হাসিনা পালিয়ে গিয়ে নিজের দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অসহায় অবস্থায় ফেলে গেছেন। এতে বোঝা যায়, কর্মী ও জনগণের ওপর শেখ হাসিনার কোনো দরদ নেই। মির্জা ফখরুল বলেন, "আমাদের এই মাটিতেই জন্ম। মারা গেলে এখানেই মারা যাব, কিন্তু দেশের মাটি ছেড়ে কখনো যাব না।"
তিনি বর্তমান সরকারের প্রতিও বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকার ভোট করে আসেনি, আমরা সবাই মিলে এই সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছি। সরকারের পেছনে তো কোনো লোক নেই। এ কারণে মানুষের কষ্ট এই সরকার বোঝে না। কৃষকের কষ্ট কোথায়, সমস্যা কোথায়, এই সরকার বোঝে না।"
শেষ নির্বাচন ও ভোটের আবেদন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নির্বাচনকে তাঁর জীবনের শেষ নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি তেমন ভালো নয়।
তিনি আবেগঘন আবেদন জানিয়ে বলেন, "আমি আপনাদের মানুষ। আমার অনেক বয়স হয়ে গেছে। কত দিন বাঁচব, জানি না। আমি এই আসন থেকে নির্বাচন করি। কখনো হেরেছি, কখনো জিতেছি। কিন্তু আপনাদের ছেড়ে যাইনি। আমি বলেছি, এটা আমার জীবনের শেষ নির্বাচন।" তিনি বলেন, "আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, আমার শেষ নির্বাচনে, আমাকে সাহায্য করবেন, সহযোগিতা করবেন। আমাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আপনাদের কাজ করার সুযোগ করে দেবেন।"
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের ন্যায্য দামে ধান বিক্রির ব্যবস্থা এবং ফ্যামিলি কার্ড চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় তিনি উপস্থিত লোকজনকে মনে করিয়ে দেন, "দাঁড়িপাল্লাও এখানে নির্বাচন করছে। ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে।"
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার: রাশেদ খান
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মন্তব্য করেছেন যে, সরকার এখনো দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি, যা জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি করেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সাংঘর্ষিক নির্বাচন।
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর যেভাবে কাজ করার দরকার ছিল, তারা সেভাবে কাজ করতে পারছে না এবং পুলিশের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তিনি বলেন, "কোনো জায়গায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তারা।"
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বাধাহীনভাবে সভা-সমাবেশ করতে বা গণসংযোগ করতে পারে—এই দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পরেও তাঁর কাছে মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক সংস্কৃতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং দেশে হানাহানি, মারামারি ও বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে।
সেরা নির্বাচন ও সংলাপের আহ্বান
গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, "আপনারা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করুন।" তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন। তবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সেই পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না।
তিনি সরকারকে আহ্বান জানান, "সব দলকে ডেকে আলোচনা করে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো করার উদ্যোগ নিন। তবেই আগামী নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন।" তিনি অভিযোগ করেন, সরকার কেবল সেরা নির্বাচন করার জন্য মুখের বুলিই শোনাচ্ছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সান্ত্বনার বাণী শোনানো হচ্ছে।
এ সময় জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রকিবুল হাসান রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিহান হোসেন রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
এটা আমার শেষ নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট চেয়ে আবেগঘন আবেদন মির্জা ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন্ন নির্বাচনকে তাঁর জীবনের 'শেষ নির্বাচন' হিসেবে উল্লেখ করে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, 'এটা আমার শেষ নির্বাচন। পরে আর নির্বাচন করার শক্তি থাকবে না। আমার শেষ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করবেন।'
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ গণভোট বা সনদ বোঝে না। এসব বোঝেন মূলত শিক্ষিত মানুষরা। তিনি অঙ্গীকার করেন, দলের সব সংস্কারে তাঁরা রাজি আছেন, যা রাজি হবেন না, তা সংসদে গিয়ে পাস করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন যত সংকট দেখা যাচ্ছে, তার সবই তৈরি করা এবং এক-একটি নাটক। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণ এসব বোঝে না; তারা শুধু ভোট দিতে চায়। তাঁর কথায়, 'আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। এ সরকার জনগণের সরকার নয়। জনগণের কষ্ট বোঝে না।'
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'দাঁড়িপাল্লা আপনারা চেনেন। দাঁড়িপাল্লাও এখানে নির্বাচন করছে। ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে।'
বিএনপি মহাসচিব জানান, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ন্যায্য দামে ধান বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে এবং জনগণের জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত:
- নৌকার সমর্থকরা হতাশ হবেন না,ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে: মির্জা ফখরুল
- ফুটবল উন্মাদনা: ৬ মিনিটে সব টিকিট বিক্রি, তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- ১০ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১০ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১০ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লুকানোর চেষ্টা: মরদেহ পুড়িয়ে ফেলছে আরএসএফ
- ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খুন: পুরান ঢাকায় দিনেদুপুরে গুলি করে হত্যা
- জিয়াউর রহমানের অর্ধাঙ্গিনী জননেত্রী শেখ হাসিনা: ভুল মন্তব্যে বিতর্কে কুমিল্লার বিএনপি নেতা
- ৭ শব্দের নায়ক আসিফ মাহমুদ: রাশেদ খান সমর্থন জানালেন তরুণ এই নেতার সিদ্ধান্তে
- মোহাম্মদপুরে আতঙ্ক: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে ককটেল হামলা
- নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ: মির্জা ফখরুল
- ভ্যাট রিফান্ড এখন এক ক্লিকেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে, জানুন বিস্তারিত
- জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে আসছে যেসব বড় পরিবর্তন
- ঢাবির এক আবাসিক হলে ধূমপান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
- আগেভাগে জানুন আগামী বছরের ছুটির দিন
- বিদ্যুৎ খাতে বড় সিদ্ধান্ত, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
- মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর
- সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করল ওরিয়ন ইনফিউশন
- মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- বিদ্যুৎ গ্রিড কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- জেনে নিন আজ কোথায় কী কর্মসূচি
- টিভিতে আজকের খেলা: কোন ম্যাচ কখন ও কোথায় দেখবেন
- মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নাম বদলে হচ্ছে যে নাম
- সোমবার ঢাকায় কোন কোন মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে জানুন
- বার্ষিক পরীক্ষার মুখে স্থবির শিক্ষা: শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে ক্লাস বন্ধ, শঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকরা
- ১০ নভেম্বর ২০২৫: আজকের নামাজের পূর্ণ সময়সূচি প্রকাশ!
- দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ল
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর সর্বশেষ আপডেট , ১০ নভেম্বর ২০২৫
- তফসিলের আগে গণভোটের বাস্তবতা নেই: ভিপি নুর
- ১২৩ ঘণ্টা অনশন শেষে আম জনতার দলের তারেক রহমান হাসপাতালে
- ঢাকা-১০ আসন হটস্পট: ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘিরে ভোটের হিসাব নিকাশ
- মশলা কিনতে এসে দেশ দখল: যেভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হয়ে উঠেছিল পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাইভেট আর্মি!
- রংপুরে চার হত্যার দায় স্বীকার পুলিশের, জবানবন্দিতে এল শীর্ষ কর্তাদের নাম
- পদ্মার চরাঞ্চলে অপারেশন ফার্স্ট লাইট: উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র
- গভীর ঘুমের রহস্য: গ্লিমফ্যাটিক সিস্টেম কীভাবে মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে?
- লাশ দাফনেও জায়গা দেয়নি আওয়ামী লীগ: মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধ
- ১৭ জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামার পূর্বাভাস
- মাঠ থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়ার গুজব নিয়ে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- ইসলামী ব্যাংক লুটপাট: ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বৃহত্তম মামলা দায়ের
- নেপাল-ভারত ম্যাচের আগে উৎসব: দেশে ফিরছেন হামজা, শিরোপা জিতে ফিরছেন কি সৌমিত?
- ঢাকায় একরাতে চার্চে চার বিস্ফোরণ: আতঙ্কে খ্রিস্টান সম্প্রদায়!
- অ্যান্ড্রয়েড ১৫-ভিত্তিক HyperOS 3 নিয়ে চুপিসারে বড় আপডেট আনছে শাওমি!
- শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান জারি করা হল সুনামি সতর্কতা
- সাধারণ মানুষ ভোট চায়, চাপানো গণভোট বা সনদ নয়: মির্জা ফখরুল
- বেতন বাড়বে না আন্দোলন চলবে? শিক্ষকদের দাবিতে নতুন মোড়
- নির্বাচন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন উপদেষ্টা আসিফ: দিলেন পদত্যাগের ইঙ্গিতও
- নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার: রাশেদ খান
- ক্ষত সারাতে লাগবে না অস্ত্রোপচার: শরীর নিজেই গজাবে নতুন টিস্যু, যুগান্তকারী আবিষ্কার
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
- ৫ ও ৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে ২ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ড
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
- রপ্তানি আয়ে বড় ধস; যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চাপে পোশাক শিল্প
- দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- রেকর্ড ডেট ঘিরে দুই দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে
- রিয়াল বনাম লিভারপুল: চ্যাম্পিয়নস লিগে হাইভোল্টেজ লড়াই আজ যখন
- বোনের কোরআন পাঠে হার মানল দম্ভ; হজরত ওমর (রা.) এর ইসলাম গ্রহণের বিস্তারিত ঘটনা
- ০৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ








