শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি সম্ভব? যা আছে আইআরআইর আট দফার সুপারিশে

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে আটটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)। গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত তাদের প্রাক্-নির্বাচনী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ গতি-প্রকৃতি, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা, এবং নাগরিক অংশগ্রহণের মাত্রা বিশ্লেষণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই আসন্ন নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনকালীন আচরণবিধি প্রণয়ন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা, এবং ভোটকেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ। তবে এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও আইআরআই মনে করছে, বর্তমান প্রাক্-নির্বাচনী পরিবেশ এখনো ভঙ্গুর ও আস্থাহীনতার মধ্যে রয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার বিচ্ছিন্ন ঘটনা, স্থানীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থার ঘাটতি সব মিলিয়ে নির্বাচনী আস্থা পুনর্গঠনে প্রয়োজন আরও স্বচ্ছতা ও সংলাপ।
আইআরআইয়ের প্রাক্-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশনের কার্যক্রম
প্রাক্-নির্বাচনী এই মূল্যায়ন মিশনে অংশ নেন একদল আন্তর্জাতিক নীতি, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও গণতান্ত্রিক প্রশাসন বিশেষজ্ঞ। তাঁরা ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন এবং রাজধানী ঢাকাসহ একাধিক জেলায় মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সফরের সময় তাঁরা নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সদস্যদের সঙ্গে মোট ২১টি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ৫৯ জন অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।মিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু ইতিবাচক রূপান্তর দেখা যাচ্ছে। বিশেষত, তরুণ নেতৃত্বের উত্থান, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর আবির্ভাব, এবং বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। পাশাপাশি, প্রথমবারের মতো বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটারের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রজন্মগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের একটি নতুন অধ্যায় সূচিত করতে পারে।
তবে প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ঘাটতি, নারীর সীমিত অংশগ্রহণ, উগ্রপন্থী রাজনীতির পুনরুত্থান এবং অসহিষ্ণু রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রসার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করতে পারে। আইআরআই মনে করছে, এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নে আন্তরিক ও দায়বদ্ধ হতে হবে।
জুলাই সনদ: গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের নীলনকশা
আইআরআই প্রতিবেদনে জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের একটি “রূপরেখা দলিল” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এই সনদ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, দলীয় সংস্কারে অগ্রগতি, এবং সংসদীয় জবাবদিহি আরও জোরদার হবে। তবে এর সফলতা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও সংসদের কার্যকর ভূমিকার ওপর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সনদের সময়মতো বাস্তবায়ন, দলীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্তি, এবং সংলাপ-ভিত্তিক সংস্কার প্রক্রিয়াই নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের পথ খুলে দিতে পারে। আইআরআই উল্লেখ করে, গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয়, যখন প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের প্রতি সহিষ্ণু থাকে এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখে।
নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: এখনো সীমিত পরিসরে
আইআরআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কাঠামোগতভাবে সীমিত। সংরক্ষিত আসনের বাইরে নারীরা খুব কমই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান বা সিদ্ধান্তগ্রহণের পর্যায়ে আসতে পারেন। আইআরআই পরামর্শ দিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীর নেতৃত্ব বিকাশে প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচি চালু, মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় সমঅধিকার নিশ্চিত, এবং প্রচারণার সময় নিরাপত্তা সুরক্ষা জোরদার করতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নারী প্রার্থী ও প্রচারকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও সহিংসতার ঘটনা গণতন্ত্রের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্রকে ব্যাহত করে। তাই নারী রাজনীতিবিদদের জন্য নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে আইআরআই।
শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইআরআইয়ের আট দফা সুপারিশ
১. জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন:
রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ ও প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক সংস্কার ও বিতর্কিত বিষয়গুলোর সমাধানে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে।২. গণভোটের কাঠামো নির্ধারণ:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে যৌথভাবে গণভোটের জন্য আইনি ও প্রশাসনিক কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে। গণভোটের উদ্দেশ্য, প্রক্রিয়া এবং জনগণের অংশগ্রহণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
৩. নাগরিক সচেতনতা ও শিক্ষা কর্মসূচি:
জুলাই সনদ ও সাংবিধানিক সংস্কার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বোঝাপড়া বাড়াতে দেশব্যাপী নাগরিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৪. নারীর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা:
রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীদের নেতৃত্বে আনতে, মনোনয়নে অগ্রাধিকার দিতে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
৫. প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা:
দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া যেন গণতান্ত্রিক ও জবরদস্তিমুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রার্থী ও প্রচারকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. নিরাপত্তা সমন্বয় ও সহিংসতা প্রতিরোধ:
নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় নজরদারি চালাতে হবে।
৭. নাগরিক পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা:
নির্বাচন কমিশনকে নাগরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ এবং প্রত্যাখ্যানের কারণ লিখিতভাবে জানানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। অনুমোদিত সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত তথ্য বিনিময় করতে হবে।
৮. রাজনৈতিক অর্থায়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা:
রাজনৈতিক দলগুলোর তহবিল সংগ্রহ, ব্যয় ও দাতাদের তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। আর্থিক অনিয়ম বা ভুল তথ্য প্রদানে কঠোর শাস্তির বিধান রাখতে হবে এবং স্বাধীন নিরীক্ষা উৎসাহিত করতে হবে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের স্বচ্ছতা
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আইআরআই বলেছে, সাংবাদিকদের এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে যেখানে তারা রাজনৈতিক চাপ, ভয়ভীতি বা অর্থনৈতিক প্রভাব ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন ও নাগরিক সমাজের যৌথ প্রচেষ্টায় ভোটারদের ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা শনাক্ত করার সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আইআরআই সতর্ক করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য বা সংগঠিত অপপ্রচার নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য বড় হুমকি।
সর্বশেষে, আইআরআই বলেছে, বাংলাদেশ এখন এক সংবেদনশীল গণতান্ত্রিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। নির্বাচনের সাফল্য নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীলতা, সংলাপ, স্বচ্ছতা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ওপর। যদি এসব শর্ত পূরণ হয়, তবে ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে।
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা পাস, মোট ছুটি যতদিন
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন এই তালিকা অনুযায়ী আগামী বছর মোট সরকারি ছুটি থাকবে ২৮ দিন। তবে এর মধ্যে নয়টি ছুটি শুক্রবার ও শনিবারে পড়ায় কার্যদিবসে প্রকৃত ছুটি থাকবে ১৯ দিন। অর্থাৎ ছুটির দিন সংখ্যায় কিছুটা বৃদ্ধি হলেও বাস্তবে ছুটি কমে আসবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ২০২৬ সালের সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে ঘোষিত ছুটির তালিকা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়েছে। তালিকায় ধর্মীয়, জাতীয় ও বিশেষ দিবসগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে ছুটির দিনগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রেসসচিব আরও বলেন, মোট ছুটি ২৮ দিন হলেও নয়টি দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলেছে। ফলে সরকারি দপ্তরে কার্যকরভাবে ছুটি থাকবে ১৯ দিন। তিনি জানান, শিগগিরই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই অনুমোদিত তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করবে, যাতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আগাম ছুটির পরিকল্পনা নিতে পারে।
উল্লেখ করা যায়, ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল গত বছর ১৭ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। সেই অনুযায়ী, চলতি বছরে মোট ২৬ দিন সরকারি ছুটি নির্ধারিত ছিল এর মধ্যে সাধারণ ছুটি ১২ দিন এবং নির্বাহী আদেশের ছুটি ছিল ১৪ দিন। তবে তখনও নয়টি দিন শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলে যাওয়ায় কার্যকর ছুটি ছিল ১৭ দিন।
২০২৬ সালের ছুটির তালিকা তুলনামূলকভাবে দুই দিন বেড়েছে, যদিও বাস্তবিকভাবে কাজের দিন বাদে ছুটি বাড়েনি। প্রশাসনিক সূত্র বলছে, এভাবে ছুটির কাঠামো নির্ধারণের ফলে সরকারি দপ্তরের নিয়মিত কার্যক্রম বজায় থাকবে এবং একই সঙ্গে ধর্মীয় ও জাতীয় দিবসগুলোও যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হবে।
-রফিক
ঐতিহাসিক দৃশ্য: তিস্তা ব্যারেজ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে আবারও বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার মহিমান্বিত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ এবং শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে।
গত দু'দিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ এবং সানিয়াজান নদীর তীর থেকে পর্বতশৃঙ্গটি অত্যন্ত স্পষ্ট দেখা গেছে। টানা কয়েকদিনের মেঘলা আবহাওয়ার পর তিন দিন ধরে আকাশ পরিষ্কার থাকায় দর্শনার্থীরা ভোর থেকেই ব্যারেজ এলাকায় আসতে শুরু করেছেন।
ভোরের আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘার সাদা রূপালি চূড়া যেন নতুন দিনের সৌন্দর্যকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। স্থানীয়রা পরিবার-পরিজন নিয়ে এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করছেন।
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে বিনা পাসপোর্টে ভারত বা নেপালে না গিয়েই তিস্তা ব্যারেজ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাওয়ায় স্থানীয়রা বিশেষভাবে উচ্ছ্বসিত।
ভূগোলবিদরা জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। এর উচ্চতা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার (২৮,১৬৯ ফুট), যা মাউন্ট এভারেস্ট ও কে-টু'র পর বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
দেখতে আসা একজন দর্শনার্থী মামুন হোসেন বলেন, "১০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেয়েছি, মনে হয় যেন সাদা বরফে মোড়া কোনো স্বপ্নের পাহাড়। এমন দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত।"
প্রকৃতিপ্রেমী আরএম রিমন মনে করেন, "কাঞ্চনজঙ্ঘার এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য শীতের অল্প সময়ের জন্য হলেও, তিস্তাপাড়ের সৌন্দর্যকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।" তিনি মন্তব্য করেন, এই দৃশ্যকে কেন্দ্র করে তিস্তা ব্যারেজকে দ্রুতই একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।
ফোনে অশ্লীল বার্তা বা ছবি পাঠালে বিপদ; নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় কঠোর শাস্তির বিধান
ফোনে অশ্লীল বা অশোভন বার্তা পাঠানো এবং বারবার ফোন করে বিরক্ত করা—এই ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর হচ্ছে দেশের টেলিযোগাযোগ আইন। নতুন বিধান অনুযায়ী, ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড হতে পারে। এমনকি কাউকে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া বারবার ফোন করে বিরক্ত করলেও গুনতে হতে পারে এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড।
এই বিধানগুলো রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বুধবার এই খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে এবং অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত গ্রহণের জন্য এটি বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
অপরাধ ও শাস্তির বিধান
অশোভন বার্তা প্রেরণ (ধারা ৬৯)
টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে অশ্লীল, ভীতিকর, অপমানজনক বা অশোভন কোনো বার্তা, ছবি বা ভিডিও পাঠালে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে।
বিরক্ত করা (ধারা ৭০)
যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কাউকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।
আড়ি পাতা
বেআইনিভাবে আড়ি পাতলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা দেড় কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাগুলোও (OTT) এখন থেকে সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এর মধ্যে রয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং এবং ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপের মতো সেবাগুলো। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
এছাড়া, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার প্রয়োজনে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।
এই খাতে কাজের জন্য ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন’ নামে একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠিত হবে। এই কমিশনটি লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন এবং প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে। কমিশনটি পাঁচ সদস্যের হবে, যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।
অধ্যাদেশের এই খসড়ার বিষয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত জানানোর সুযোগ রয়েছে। মতামত [email protected]—এই ই-মেইল ঠিকানায়, অথবা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায় পাঠানো যাবে।
৫ বা ১২ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন? ইসি প্রস্তুত, অপেক্ষা শুধু সরকারের সবুজ সংকেতের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী বছরের ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের ৪ অথবা ৭ তারিখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। একইসঙ্গে, সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে সম্পন্ন করার চিন্তাভাবনা করছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের 'গ্রিন সিগন্যাল' বা সবুজ সংকেত পেলেই কমিশনের বৈঠকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
জুলাই সনদে মতভেদ ('নোট অব ডিসেন্ট'), গণভোটের বিষয়বস্তু এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে গত ৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
ওই দিন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে, নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে, সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। জুলাই সনদে গণভোটের বিষয়বস্তু, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং গণভোট কবে হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরই ছেড়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করা নিয়ে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "আমি কমিশনার হিসেবে বলছি না, দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যদি গণভোট করতেই হয়, তাহলে এক দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করলে কোটি কোটি টাকা বেঁচে যায়।"
নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, এত ব্যয়বহুল কাজ দুই দিনে করা কঠিন হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে একসঙ্গে দুই নির্বাচন করা সম্ভব। তিনি মনে করেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে সম্ভব হলেও ভোট কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ কিছু বাড়ানো লাগতে পারে।
গণভোট কখন কীভাবে হবে, তা নিয়ে এখনো রাজনৈতিক মহলে মতভেদ আছে। কোনো কোনো দল সংসদ নির্বাচন ও গণভোট এক দিনে করার প্রস্তাব দিয়েছে, আবার জাতীয় নির্বাচনের এক মাস আগেও গণভোট করার প্রস্তাব এসেছে।
নির্বাচন কমিশন জোর গতিতে তাদের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে ভোট কেন্দ্রের তালিকা। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখেরও বেশি।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, নতুনদের নিয়ে বর্তমানে দেশের ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। তিনি বলেন, মোট ৬৪টি জেলার ৩০০টি সংসদীয় আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মোট কক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে নিবন্ধনের চূড়ান্ত সনদ দেওয়া হবে। আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচনি আইনের সব ধরনের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। ইসি শীঘ্রই আরপিও সংশোধনের আলোকে দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা জারি করবে।
প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট নেওয়ার আয়োজন হচ্ছে ‘আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের’ মাধ্যমে। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার এই সংসদ নির্বাচনে ১০ লাখের বেশি লোকবল নিয়োজিত থাকবে। একসঙ্গে গণভোট ও সংসদ নির্বাচন হলে বড় ব্যয় সাশ্রয় হবে।
রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন হবে এবং তার আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি তফসিল ঘোষণা করবে।
ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ না থাকলেও, ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তরের সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ঠিকানা পরিবর্তন করে স্থানান্তর হতে চাইলে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে এই আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসি সচিবালয় থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
ভোটার এলাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চিঠিতে ইসি উল্লেখ করে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিলকৃত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ভোটারদের ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।
প্রবাসীদের ভোটার তালিকা চূড়ান্তের নির্দেশ
এদিকে, নির্বাচন কমিশন মাঠপর্যায়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পাঠিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদন আগামী বৃহস্পতিবারের (৬ নভেম্বর) মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে, তাদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা বা থানা বা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাকে এই আবেদনকৃত ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী নাগরিকেরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব আবেদন দাখিল করেছেন, সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরের আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকলে সেসব আবেদন রেখে প্রতিবেদন ছকে 'ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই' মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ছক মোতাবেক মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে।
ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে নতুন করে আর ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ না থাকলেও, ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তরের সুযোগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ঠিকানা পরিবর্তন করে স্থানান্তর হতে চাইলে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে এই আবেদনগুলো অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসি সচিবালয় থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
ভোটার এলাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চিঠিতে ইসি উল্লেখ করে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিলকৃত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ভোটারদের ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।
প্রবাসীদের ভোটার তালিকা চূড়ান্তের নির্দেশ
এদিকে, নির্বাচন কমিশন মাঠপর্যায়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পাঠিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে, প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের আবেদন আগামী বৃহস্পতিবারের (৬ নভেম্বর) মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে, তাদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা বা থানা বা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাকে এই আবেদনকৃত ভোটার ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী নাগরিকেরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য যেসব আবেদন দাখিল করেছেন, সেগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। তবে, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরের আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকলে সেসব আবেদন রেখে প্রতিবেদন ছকে 'ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই' মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তীতে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ছক মোতাবেক মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে।
মাইলস্টোন বিমান বিধ্বস্ত: দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি দায়ী, জানালেন প্রেস সচিব
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়। তদন্ত প্রতিবদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের বিমান বিধ্বস্ত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এরপর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। উড্ডয়ন ত্রুটির কারণেই মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
এখন থেকে বিমান বাহিনীর সকল ট্রেনিং ঢাকার বাইরে হবে বলেও জানান তিনি।
সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই স্থিতিশীল হবে দেশ: সেনাসদর থেকে বার্তা
দেশের জনগণের মতোই সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সেনাবাহিনী মনে করে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সেনাসদরে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দফতর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান এসব কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, "দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে রূপরেখার মধ্যে সময়সীমাও দেওয়া আছে।" তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, "আমরা আশা করি নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনী তখন সেনানিবাসে ফিরে যেতে পারবে। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি।"
তিনি আরও বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যেটুকু রূপরেখা প্রণয়ন করেছে, সেটার ওপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সীমিত আকারে চলছে, সেটার মধ্যেও নির্বাচনের সময় তাদের কী করণীয়, সেটাকে ফোকাসে রেখেই প্রশিক্ষণ করা হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান উল্লেখ করেন, শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং তারা এটিকে 'উই ট্রেইন এজ উই ফাইট' বলে থাকেন।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় নিয়োজিত আছে এবং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বাইরে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত বা তার কিছুটা পরেও যদি বাইরে থাকতে হয়, তাহলে আরও কিছুদিন বাইরে থাকতে হবে। এতে করে তাদের স্বাভাবিক প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, "এর পাশাপাশি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ১৫ মাস যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী; এটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেস করেনি।" এই কারণেই তাঁরাও চান একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং সেনাবাহিনী সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।
পদত্যাগ করে রাজনীতিতে: অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর আপিল শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তার পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)-এর কাছে মনোনয়ন চেয়েছেন এবং তিনি আশাবাদী যে মনোনয়ন পাবেন। উল্লেখ্য, মো. আসাদুজ্জামান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং এর আগে তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গত বছরের ৮ আগস্ট দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আসাদুজ্জামান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি মন্তব্য করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায় পরিবর্তন করে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, "কোনো একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেওয়া হয়েছিল।" তিনি রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে মনে করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ওই রায় দেওয়া হয়েছিল এবং এই রায় থাকা উচিত নয়।
পাঠকের মতামত:
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি সম্ভব? যা আছে আইআরআইর আট দফার সুপারিশে
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা পাস, মোট ছুটি যতদিন
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইতালি: সভ্যতার সূতিকাগার, শিল্পের রাজধানী ও আধুনিক ইউরোপের আত্মা
- ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা
- পাকিস্তানে টিটিপির পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ২ বাংলাদেশি
- সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জামিনে মুক্ত
- স্বাধীনতা ও সংহতি দিবস: জিয়াউর রহমানের মুক্তি নিয়ে তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- জুলাই সনদ জারি করুন, নয়তো মর্যাদা হারাবেন: প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত সেক্রেটারির হুঁশিয়ারি
- ঐতিহাসিক দৃশ্য: তিস্তা ব্যারেজ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া
- শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ বিএনপিতে: যোগদানের নেপথ্যের দুটি কারণ জানালেন
- ৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের পদযাত্রা
- শীতকালে সুস্থ থাকার ৫টি অপরিহার্য অভ্যাস
- ৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত
- গাজায় নিহত ২২ বন্দির লাশ হস্তান্তর সম্পন্ন করল হামাস
- বিসিবি পরিচালক রুবাবা দৌলাকে নিয়ে 'বেফাঁস’ মন্তব্যে' তোপের মুখে ইরফান সাজ্জাদ
- ফোনে অশ্লীল বার্তা বা ছবি পাঠালে বিপদ; নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় কঠোর শাস্তির বিধান
- বগুড়া-৬, দিনাজপুর-৩, ফেনী-১: খালেদা-তারেকের ত্রিমুখী চমক
- গ্যাং লিডার থেকে বিএনপির সমাবেশে: সরোয়ার বাবলার অজানা গল্প
- মির্জা ফখরুলের নিন্দা, এরশাদ উল্লাহ হামলার দ্রুত তদন্তের দাবি
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সাবেক অর্থমন্ত্রীর পুত্র রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে, যোগ দিয়ে জানালেন নির্বাচনী পরিকল্পনা
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ম্যানসিটির দাপট অব্যাহত: জোড়া গোল করে ডর্টমুন্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন ফোডেন
- এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম প্রান্তিকে আয় বৃদ্ধি
- অ্যাটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- পদ্মা অয়েল লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকে সুখবর!
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ধীরগতির ইন্টারনেটকে বিদায়; ওয়াই-ফাইয়ের স্পিড ও কভারেজ বাড়াতে ৭টি কার্যকর কৌশল
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম প্রান্তিকে আয়ে উল্লম্ফন
- অ্যাটলাস বাংলাদেশের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ৫০ লাখ আসক্ত: জুয়া-পর্নোগ্রাফি ঠেকাতে ফেসবুক-গুগলকে কঠোর বার্তা বিটিআরসি'র
- আল হারামাইন সিকিউরিটিজের ট্রেক বাতিল
- চট্টগ্রামের রাউজানে ফের হামলা: বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ
- ইস্টার্ন ব্যাংক এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম প্রান্তিকে দারুণ অগ্রগতি
- রকেটের গতিতে পেঁয়াজের দাম; সরকার কি হার মানবে সিন্ডিকেটের কাছে?
- পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু; মস্কো ও ওয়াশিংটনের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ
- ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আজকের নামাজের সময়সূচি
- ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও অনড় জোহরান মামদানি; প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই দিলেন কঠোর জবাব
- ৫ বা ১২ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন? ইসি প্রস্তুত, অপেক্ষা শুধু সরকারের সবুজ সংকেতের
- কেউ যেন ফাউল গেম খেলতে না পারে: চট্টগ্রাম হামলায় সতর্ক করলেন জামায়াত আমির
- ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন
- ইসি'র ঘোষণা: ভোটার এলাকা বদলাতে চাইলে হাতে আছে মাত্র ৫ দিন
- পাকিস্তানে মিলল বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার: মজুত ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি!
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৫ ও ৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে ২ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ড
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
- ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এক নজরে
- ইসরায়েলের নেতাদের জন্মনাম ও পরিচয় পরিবর্তনের যত কারণ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- রেকর্ড ডেট ঘিরে দুই দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে








