প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সুখবর!

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয়ের জন্য ১৩২ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ বরাদ্দের তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের চিঠিতে বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়। তবে, কোনো অব্যয়িত অর্থ থাকলে তা ২০২৬ সালের ৩১ মে’র মধ্যে ফেরত দিতে হবে।
চিঠিতে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট, ফ্যাক্স ও টেলেক্স খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক এক হাজার টাকা হারে ইন্টারনেট বিল বহন করতে হবে। একইভাবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হবে।
যেসব শিক্ষক মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারি কাজে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন, তাদের সরকারি বিধি মোতাবেক ভ্রমণ ব্যয় প্রদানের সুযোগ থাকবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিচালন বাজেটের আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও বরাবর বরাদ্দ ও মঞ্জুরি প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও-এর আয়ন-ব্যয়ন কর্তকর্তাকে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যয় করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ শুধুমাত্র সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে, এবং কোনো প্রকার অনিয়মিত ব্যয়ের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন সংশ্লিষ্ট আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা।
এই বরাদ্দের মাধ্যমে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক কার্যক্রমের ব্যয় পূরণ করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছ ও নিয়মমাফিক অর্থ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
-রফিক
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, জুলাই সনদের কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের অন্যতম জরুরি দাবী। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সতর্কবার্তা দেন, যদি এটি বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ ফের ফিরে যাবে ‘শেখ হাসিনার আমলের পুরনো রাজনৈতিক ব্যবস্থায়’, যা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করবে।
ড. গালিব বলেন, “জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আমাদের জন্য অপরিহার্য। যদি আমরা এটিকে স্থগিত রাখি, তাহলে হাসিনার আমলের সিস্টেম আবার কার্যকর হবে। এই সিস্টেমে তিনি দাবি করতে পারবেন যে, তিনি নিজে কোনোভাবে অবৈধ ছিলেন না; বরং তার বিপক্ষে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেটিই অবৈধ ছিল।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এটি হতে হবে জনগণের সামষ্টিক ইচ্ছার প্রতিফলন, যা অর্জনের একমাত্র কার্যকর উপায় হলো গণভোট।
ড. গালিব আরও বলেন, গণভোটের ফলাফলের রায় পরবর্তী সংসদকে বাধ্যবাধক বা বাইন্ডিং করতে হবে। নতুন সংসদকে অবশ্যই জনগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি গণভোটের সময়সূচি নিয়ে বলেন, “এটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে হবে, নাকি জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসাথে হবে—এটি মূল বিষয় নয়। প্রধান বিষয় হলো, গণভোটের মাধ্যমে সনদকে আইনি বাধ্যবাধকতায় আনা।”
তিনি আরও প্রস্তাব করেন, সনদের যেসব বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত, সেগুলো একক প্যাকেজে গণভোটের মধ্যে আনা হোক। এবং যেসব বিষয়ে মতবিরোধ আছে, সেগুলো আলাদা প্যাকেজে গণভোটের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে। দুইটি পৃথক প্রশ্নে জনগণ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে পারবে, এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ড. মির্জা গালিব বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করেই আমাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে। এখানে কোনো কমপ্রোমাইজ গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি মনে করান, দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্থায়িত্বের জন্য সনদের বাস্তবায়ন অপরিহার্য এবং এটি জনগণের ঐকান্তিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে।
সিনিয়র প্রভাষকের কাছে নারী শিক্ষার্থীর গোপন ছবি পাঠানোর অভিযোগে তোলপাড় বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে অসদাচরণের অভিযোগের কারণে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নিয়মিতভাবে সহপাঠী মেয়েদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে তা এক সিনিয়র সহপাঠীর কাছে পাঠাতেন।
ঘটনার তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর, সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিভাগের শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা বিভাগীয় শিক্ষক ও অনুষদের ডিন ড. মো. আবদুল মজিদ-কে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে, ডিন তদন্তের দায়িত্ব দেন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে।
পরদিন মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর), শিক্ষার্থীরা ডিনের সঙ্গে বৈঠক করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সম্প্রতি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের স্নাতক শেষ করেছেন। ছবিগুলো গ্রহণকারী ব্যক্তি একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ নিশ্চিত করেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ আনার পর অভিযুক্তের মোবাইল পরীক্ষা করা হয় এবং ছবির আদান-প্রদানের প্রমাণ পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিক্ষার্থী স্বীকার করেছেন যে, তিনি সহপাঠী মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলে তা সিনিয়র সহপাঠীর কাছে পাঠিয়েছেন। এই মোবাইল ফোন বর্তমানে সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত, এবং বিষয়টি যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটি-র কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অভিযুক্ত প্রভাষকও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ছবিগুলো সংরক্ষণ করিনি, কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।”
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, ইন্টার্নশিপ চলাকালে তার সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করেছিলেন। পরে তারা নিশ্চিত হন যে, তিনি সহপাঠী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলছেন। প্রমাণ পাওয়ার পর বিষয়টি তারা বিভাগীয় শিক্ষকদের জানান এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত ও প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি, বিষয়টি যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটি-র মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে অনুসন্ধান করা হবে।
প্রশাসন আরও সতর্ক করেছে, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। অনুরূপ ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্বশীল আচরণের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-রাফসান
ঢাবি ভর্তি যোগ্যতা ও কেন্দ্রসমূহ প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া আজ (২৯ অক্টোবর) থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছে। আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত স্থির করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বছরও ভর্তি পরীক্ষা পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে, যা হল—কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, চারুকলা ইউনিট এবং আইবিএ ইউনিট।
ঢাবির সাধারণ ভর্তি কমিটির ১৪ অক্টোবরের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সুবিধা ২৪ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হবে। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২৮ নভেম্বর আইবিএ ইউনিট দিয়ে এবং শেষ হবে ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ইউনিটের মাধ্যমে।
পরীক্ষার সময়সূচি
ইউনিটভিত্তিক পরীক্ষার দিন ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে নিম্নরূপ—
- আইবিএ ইউনিট: ২৮ নভেম্বর
- চারুকলা ইউনিট: ২৯ নভেম্বর
- ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: ৬ ডিসেম্বর
- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: ১৩ ডিসেম্বর
- বিজ্ঞান ইউনিট: ২০ ডিসেম্বর
আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার কেন্দ্রসমূহ
চারুকলা ইউনিট ও আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হলো—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার ধরন ও নম্বর বণ্টন
ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর পরীক্ষা এবং ২০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।
পরীক্ষার ধরন ইউনিট অনুযায়ী আলাদা করা হয়েছে—
চারুকলা ইউনিট: ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা। এমসিকিউতে ৩০ মিনিট এবং অঙ্কন পরীক্ষায় ৬০ মিনিট সময় নির্ধারিত।
অন্যান্য ইউনিট: ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রত্যেকের জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ।
ভর্তিচ্ছুদের যোগ্যতা
ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের অবশ্যই ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ইউনিট অনুযায়ী ন্যূনতম যোগ্যতার মানদণ্ড হলো—
বিজ্ঞান ইউনিট:
- এসএসসি ও এইচএসসি/সমমানের মোট জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০, পৃথকভাবে অন্তত ৩.৫০।
- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
- ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
- চারুকলা ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৬.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
- আইবিএ ইউনিটের জন্য বিশেষ যোগ্যতা ও দক্ষতা যেমন ইংরেজি ভাষা, যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও সাধারণ জ্ঞান যাচাই করা হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার বিশেষ দিক
ঢাবি সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষা এবারও বিভাগীয় শহরে কেন্দ্রীভূতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খরচ কমাবে। ভর্তি পরীক্ষা আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। বিশেষভাবে ডিজিটাল স্ক্যানিং ও ফলাফল যাচাই ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা, কিন্তু কবে হবে জানেন কি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। সারা দেশে বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান সোমবার মিরপুরে অধিদপ্তরের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) একান্ত সাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহাপরিচালক জানান, “শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা হাতে পেলেই আমরা শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। আশা করি, আগামী নভেম্বর মাসে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।” তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষকদের জন্য ইতোমধ্যেই ১০ম গ্রেডের পদ ঘোষণা করা হয়েছে এবং দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, বর্তমানে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে এবং এটি পে কমিশনে আলোচনার বিষয় হয়েছে।
মহাপরিচালক শামসুজ্জামান উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশের ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক চলতি দায়িত্বে অথবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শূন্য পদ থাকলেও একটি চলমান মামলার কারণে তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মামলার রায় শীঘ্রই আসার ফলে এই প্রধান শিক্ষকদের পদ পূরণ করা সম্ভব হবে এবং এরপর ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদে নতুন নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা মান উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেও জোর দেওয়া হচ্ছে। মহাপরিচালক জানান, “শিক্ষকদের লিডারশিপ ট্রেনিংসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া আরও ইনক্লুসিভ করার জন্য আমরা কাজ করছি।” এছাড়া প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করাও চলমান উদ্যোগের অংশ। আগে ক্ষুদ্র মেরামত বা স্লিপের জন্য প্রধান শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা খরচ করতে পারতেন, যা সম্প্রতি তিন লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে নির্মাণ ও মেরামতের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন, “আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে জরাজীর্ণ কোনো স্কুল থাকবে না। আমরা নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”
এভাবে, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, নতুন শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি একসাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
-শরিফুল
বিদেশিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কৌশল: এসওপি কী, কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তির আবেদনের জন্য ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ (এসওপি) বা অভীষ্ট লক্ষ্যের বিবৃতি লেখা অপরিহার্য। এসওপি-তে আপনি কেন পড়তে চান, কী গবেষণা করবেন এবং কীভাবে সেই গবেষণার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন—এসবের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয়। এসওপি-র মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর আগ্রহ, অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে পারেন।
কার্যকর এসওপিতে যা যা থাকবে
দারুণ একটি এসওপি উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে এসওপি কখনোই হুবহু অনুকরণ করে লেখা ঠিক নয়, কারণ এতে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়।
পরিষ্কার উদ্দেশ্য: একটি কার্যকর এসওপিতে পরিষ্কারভাবে আপনি কোন বিষয়ে পড়বেন এবং এই শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আপনার প্রত্যাশা কী, তা লিখতে হবে।
সুনির্দিষ্ট আগ্রহ: আপনাকে অবশ্যই সুনির্দিষ্টভাবে কোন কোন বিষয় আপনার আগ্রহ তৈরি করে, তা লিখতে হবে। আপনার আগ্রহের চিত্র অস্পষ্ট হলে ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।
গবেষণার অভিজ্ঞতা: থিসিস গবেষণা, বিভিন্ন প্রকল্প, প্রকাশিত নিবন্ধ, প্রেজেন্টেশন এবং যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কিন্তু সংক্ষিপ্ত ধারণা গল্পের মতো করে লিখতে হবে।
যোগাযোগের সূত্র: এসওপির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, আপনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন গবেষণা বা বিভাগের জন্য উপযুক্ত, তা স্পষ্টভাবে লিখতে হবে।
এসওপি তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ও সতর্কতাভুল পরিহার: ইংরেজিতে দুর্বলতা থাকলে সতর্কতার সঙ্গে লিখতে হবে। অস্পষ্ট শব্দ, মিথ্যা বা বানিয়ে লেখা এবং কঠিন বা অপ্রচলিত ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করা পরিহার করতে হবে।
পরিমার্জন: এসওপি লেখা শেষে কয়েকবার রিভিশন দিন। অভিজ্ঞ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেকদের এসওপি দেখে নির্দেশনা নেওয়া যেতে পারে।
এআইয়ের ব্যবহার: চ্যাটজিপিটি বা জেমিনির মতো এআই প্ল্যাটফর্মগুলোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, তবে হুবহু কপি–পেস্ট করা ঠিক হবে না।
বাড়ির কাজ (প্রস্তুতি): এসওপি লেখার আগে দুটি পৃষ্ঠায় আপনার যোগ্যতা, আগ্রহ, গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্যতা লিখে ফেলুন। এই দুটি পৃষ্ঠার মধ্যে সংযোগ করে একটি চিত্র তৈরির চেষ্টা করুন, যা আপনার অভিজ্ঞতা ও পথনির্দেশনা তুলে ধরবে।
ন্যায় ব্যর্থ হলে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে: প্রধান বিচারপতি
“ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, ন্যায় ব্যর্থ হলে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে।”—এই মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেন, “আইন কেবল নিয়মের সমষ্টি নয়, এটি জাতির নৈতিক বিবেকের প্রতিফলন। যখন রাষ্ট্র নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাদের কণ্ঠরোধ করে, তখন ন্যায়ের জন্য লড়াই করা নৈতিকভাবে অপরিহার্য।”
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আইন বিভাগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
জুলাই বিপ্লব ও বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক আন্দোলনগুলো স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষার জন্য ছিল না; এটি ছিল ন্যায়, মর্যাদা ও অধিকারের সংগ্রাম।
সংস্কারের রোডম্যাপ: তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী নতুন বাস্তবতার আমরা এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে প্রশাসনিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, নৈতিকভাবে সাহসী ও সাংবিধানিকভাবে শক্তিশালী বিচার বিভাগ বিনির্মাণ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়: তিনি উল্লেখ করেন, তার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মূল অংশ হলো একটি পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, যা বিচার প্রশাসনের কেন্দ্রীয় কাঠামো হিসেবে কাজ করবে। মাত্র দুই দিন পূর্বে, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
অংশীজনদের প্রতি আহ্বান
প্রধান বিচারপতি সকল অংশীজনকে পারস্পরিক সহযোগিতা, যুক্তিবোধ ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করেন, কোনো ধরনের অবিশ্বাস বা একতরফা আচরণ গত ১৫ মাসের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা স্বাধীনতাকে দুর্বল করতে পারে।
আইনের সাধনা: তিনি আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও নবীন আইনস্নাতকদের উদ্দেশে বলেন, “আইনের অধ্যয়ন কেবল পেশাগত প্রশিক্ষণ নয়, এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সাধনা।”
আধুনিকীকরণ: তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমরা এখনো ঔপনিবেশিক কাঠামোর উত্তরাধিকার বহন করছি। তাই ডেটা-নির্ভর ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল সংযোগ ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে বিচারব্যবস্থা সময়োপযোগী হতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী সহ অন্যান্য বিচারপতি, শিক্ষকবৃন্দ ও আইনজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজি এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। আগামীকাল থেকেই ক্লাসে ফিরব।”
বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা:
১ নভেম্বর থেকে: মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে দেওয়া হবে।
আগামী বাজেটে: তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হবে।
এর আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। কিন্তু শিক্ষকরা ওই হার প্রত্যাখ্যান করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যান। ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সম্মতির পরই শিক্ষকরা ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন।
জরুরি সতর্কতা: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশি’র বিশেষ নির্দেশনা জারি
সারা দেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মাঠপর্যায়ের শিক্ষা অফিসগুলোতে অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
অফিস ছাড়ার আগে করণীয়
রোববার (১৯ অক্টোবর) অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়:
১. বৈদ্যুতিক ডিভাইস বন্ধ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব অধিদপ্তর, দপ্তর, অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়ার আগে নিজ নিজ রুমের সব বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান ও কম্পিউটার বন্ধ করতে হবে।
২. প্লাগ খুলে রাখা: এসি’র প্লাগ খুলে রাখা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
নোটিশে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস ত্যাগের আগে এসব বিষয় যাচাই করে সতর্কতামূলক ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এটি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাউশির সব আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষাপট
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর অধিদপ্তর এই উদ্যোগ নিয়েছে।
মিরপুর: সম্প্রতি মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিকের গুদামে আগুনে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায় লাগা আগুন প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিমানবন্দর: সবশেষে গত ১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা’র দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল, ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি
জাতীয় নির্বাচনের আগেই ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার দাবিতে এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও মশাল মিছিল করেছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল শুরু হয়ে জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
দাবি ও হুঁশিয়ারি
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা যত দিন বাস্তবায়ন না হবে, তত দিন উত্তরবঙ্গের মানুষের দুঃখ শেষ হবে না’—স্লোগান তোলেন। তাদের স্লোগানে ভারতীয় আগ্রাসন, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ এবং ‘সবার প্রাপ্য সবাই পায়, আমার বেলায় বাজেট নাই’-এর মতো স্লোগান ছিল।
এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন:
“আপনারা যদি আমাদের পানির হিস্যা না দেন, আমরা আপনাদের এই সেভেন সিস্টার খেয়ে দেব। আমরা যে সেভেন সিস্টার স্বাধীনতা চাই, তাদের আমরা সহযোগিতা করব।”
তিনি আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র্যের কারণে একটি মহল রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে।
চাকসু’র দাবি: চাকসু’র কেন্দ্রীয় সংসদের জিএস সাঈদ বিন হাবিব অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান, নভেম্বরের মধ্যেই যেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সমাবেশে অংশগ্রহণ
সমাবেশে বিজয় চব্বিশ হলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সাদিয়া মাহসীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাকসু’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব, এনসিপি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদসহ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা।
মশাল মিছিল ও সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জেলা কল্যাণ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ সব ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
পাঠকের মতামত:
- শেষ হলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ
- অনন্য মামুনের পোস্টে ঢালিউডে তামান্না ভাটিয়ার সম্ভাব্য আগমন
- নিজ দেশে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ
- ডা. জাকির নায়েক ঢাকায় আসছেন, ভারতের দাবি হস্তান্তরের
- রক্তদান শুধু মানবসেবা নয়, এটি এক মহৎ ইবাদত
- জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
- পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ফের উত্তেজনায় ট্রাম্প ও ইরান
- জান্নাত-জাহান্নামের রহস্য উন্মোচন কুরআনের আলোকে
- তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে নতুন শান্তির বার্তা
- দেশের ২১ জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
- স্বাক্ষরের পরে বিপক্ষে অবস্থান জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপিকে কঠোর বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর
- দীর্ঘ বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে সম্মত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
- সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর নতুন নিয়ম
- সামরিক শাসন থেকে সংসদীয় ব্যবস্থা বাংলাদেশে গণভোটের অতীত জানা-অজানা
- শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচুন রাতে ঘুমানোর আগে যে দোয়া পড়তেন নবীজি (সা.)
- ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার
- ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সামরিক প্রস্তুতি লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের কঠোর নির্দেশ
- শাপলা কলি দিয়ে ইসি বুঝিয়েছে আমরা শিশুদের দল: সামান্তা
- রেকর্ড বৃদ্ধি পরদিনই দরপতন শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে নতুন স্বর্ণের মূল্য
- অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুমোদন পেল নতুন মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ
- আমরা কীভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না: আসিফ নজরুল
- ৩০ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ৩০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৩০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এনসিপি সমন্বয়কের হুঁশিয়ারি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হলে দায়ভার প্রধান উপদেষ্টার
- উন্মোচিত হল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সত্যতা
- এক শতাব্দী পর সৈকতে ভেসে এলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বোতলবন্দি চিঠি
- ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ একপাক্ষিক ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা: মির্জা ফখরুল
- বিটিআরসি'র নতুন নিয়ম ১৬ ডিসেম্বর থেকে: আপনার ফোন বৈধ কিনা, জেনে নিন প্রক্রিয়া
- কর্মসংস্থানকে কেন্দ্রে রেখে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্য তারেক রহমানের
- গণভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে ৮ দলের ৫ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ
- বাংলাদেশি টাকার আজকের বিনিময় হার প্রকাশিত
- ওয়ান ব্যাংক পিএলসি-এর Q3 ২০২৫ আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
- ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
- RELIANCINS-এর Q3 ২০২৫ আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- উচ্চ রক্তচাপই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: জীবন রক্ষায় প্রতিরোধের উপায়গুলি জেনে নিন
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে কি বিশ্ব? ট্রাম্পের নির্দেশে বাড়ছে উদ্বেগ
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ট্রাম্প-শি আলোচনা সম্পন্ন: বৈঠকের পর কী বড় সিদ্ধান্ত এলো?
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এশিয়া সফরের মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন বাহিনীর নতুন হামলা
- বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ঐতিহাসিক চুক্তি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সুখবর!
- ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালায় ক্ষুব্ধ বিএনপি: দেখছে জামায়াত ও এনসিপির মতের প্রতিফলন
- মতিঝিল অফিসে সঞ্চয়পত্র ফ্রড, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ছবি, ভিডিও আর ভয়ের ব্যবসা: অনলাইনে হানিট্র্যাপের অন্ধকার দুনিয়া
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- রাসুল (সা.) কেন অন্যের পাপকাজ প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন?
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ২৭ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ








