পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ৯ ভারতীয় গ্রেপ্তার

সত্য নিউজ: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং সেনা তথ্য পাচারের অভিযোগে ভারতে একযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯ জন। পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের গোয়েন্দা নজরদারিতে ধরা পড়ে এই সন্দেহভাজনেরা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বা হাইকমিশনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ভারতীয় সামরিক তথ্য পাচার করছিলেন।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজন হরিয়ানার, তিনজন পাঞ্জাব এবং একজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের পেশা ছিল নানা রকম—কেউ ট্রাভেল ভ্লগার, কেউ নৈশ প্রহরী, কেউ শিক্ষার্থী আবার কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
সবচেয়ে আলোচিত নাম জ্যোতি মালহোত্রা, যিনি একজন ট্রাভেল ভ্লগার। তদন্তে উঠে এসেছে, তিনি নিয়মিতভাবে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং ভারতের সামরিক বাহিনীর স্পর্শকাতর তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতেন।
আরেক অভিযুক্ত দেবেন্দ্র সিং, পাঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলার খালসা কলেজের শিক্ষার্থী। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি হোয়াটসঅ্যাপে সেনানিবাসের ছবি পাঠিয়েছেন আইএসআইকে। একইভাবে হরিয়ানার পানিপথের নৈশ প্রহরী নোমান ইলাহির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার শ্যালক আইএসআইয়ের নিয়মিত তথ্যদাতা ছিলেন এবং সেই সূত্রে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হতো।
বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধেও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় গোটা ভারতজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে বৈসরন উপত্যকায় একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। নিহতদের সবাই পুরুষ এবং বেশিরভাগই হিন্দু। এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি জঙ্গি সংগঠন, যাদের সঙ্গে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।
এ হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেয়—পানি চুক্তি পর্যালোচনা, ভিসা বাতিল ও সীমান্ত নজরদারি বৃদ্ধি করে। জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয়দের জন্য আকাশসীমা ও ভিসা বন্ধসহ পাল্টা পদক্ষেপ নেয়।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের অভিযান চালায় ভারত। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, এতে তাদের ১৩ সেনাসদস্যসহ মোট ৫১ জন নিহত হন। তিন দিন পর পাকিস্তান শুরু করে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’, যেখানে ভারতীয় সেনা ও বেসামরিকসহ মোট ২১ জন প্রাণ হারান।
পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মধ্যস্থতায় দুই দেশ ১০ মে থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যদিও দু’দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ও গোয়েন্দা যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- “ভারতের দালালরা ঘাপটি মেরে বসে আছে”: মুফতি রেজাউল করিম
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪০৫ কোটি টাকার লোকসান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে