১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধে আইনি পদক্ষেপের আহ্বান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৮ ২২:৩২:৪০
১৪ দলীয় জোটের দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধে আইনি পদক্ষেপের আহ্বান

সত্য নিউজ:

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পাঠানো একটি আইনি নোটিশ। এই নোটিশে দাবি করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এর নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য দলগুলোর বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

রোববার (১৮ মে) প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

নোটিশে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ৩৬ দিনের একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের মুখে ‘পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়’ এবং পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দলের সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে নোটিশে যুক্তি দেওয়া হয়, যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়, তবে তার সহযোগী দলগুলোও একই দায়ে অভিযুক্ত।

নোটিশে সরাসরি দাবি করা হয়েছে, ১৪ দলীয় জোটের প্রতিটি দল আওয়ামী লীগের শাসনামলে পরিচালিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নানাভাবে জড়িত ছিল বলে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা ও বিচারিক প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হওয়া উচিত।

আইনি নোটিশে ১৪ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে যেসব দলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলো:

জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), ওয়ার্কার্স পার্টি (রাশেদ খান মেনন), গণতন্ত্রী পার্টি (নুরুর রহমান সেলিম), গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (রেজাউর রহমান), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি—ন্যাপ (মোজাফফর আহমদ), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ (হাসানুল হক ইনু), শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট কেন্দ্র

নোটিশে বলা হয়েছে, এসব দল আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে জনগণের অধিকার হরণে সহযোগিতা করেছে।

আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নোটিশের জবাব না পাওয়া গেলে, তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

“নোটিশটি আমরা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরণ করেছি। যদি যথাযথ জবাব না আসে, তাহলে আদালতের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

যদিও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকার বা জোটভুক্ত দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি স্পর্শকাতর ও বহুমাত্রিক বিষয়। একদিকে এটি একটি ব্যক্তি উদ্যোগে তোলা আইনি দাবি হলেও, অন্যদিকে তা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ট্যাগ: নিষিদ্ধ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত