জেনে নিন ৩রা অক্টোবরের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ২২:৩৮:৪০
জেনে নিন ৩রা অক্টোবরের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামী শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৫-এর সেহরি, ইফতার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী নিচে প্রদান করা হলো। দিনটি শুক্রবার হওয়ায় যোহরের সময় জুম'আর নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা: ৩রা অক্টোবর, ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

সেহরির শেষ সময়: ভোর ৪:৩১ AM

ফজর: ভোর ৪:৩৭ AM

যোহর (জুম'আ): দুপুর ১১:৫১ AM

আসর: বিকাল ৪:০৬ PM

ইফতার ও মাগরিব: সন্ধ্যা ৫:৪৯ PM

ইশা: সন্ধ্যা ৭:০২ PM

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

যেহেতু দিনটি শুক্রবার, যোহরের নামাজের সময় মসজিদে জুম'আর নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

আপনার স্থানীয় মসজিদের আজানের সময়ের সাথে এক বা দুই মিনিটের সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে। সবচেয়ে সঠিক সময়ের জন্য স্থানীয় মসজিদের সময়সূচী অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ২১:৫২:৫৬
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিনের ইবাদতের জন্য নামাজের সময়সূচী একটি অপরিহার্য বিষয়। সূর্যের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এই সময় পরিবর্তিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক গণনাসূত্র অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকাল, ২রা অক্টোবর, ২০২৫ (বৃহস্পতিবার)-এর তাহাজ্জুদ, সেহরি, ইফতার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সম্ভাব্য সময়সূচী নিচে তুলে ধরা হলো।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা: ২রা অক্টোবর, ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

তাহাজ্জুদ: রাত ১:০০ AM থেকে ফজরের আজানের পূর্ব পর্যন্ত।(ইসলামিক রীতি অনুযায়ী, রাতের শেষ তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য সর্বোত্তম সময় হিসেবে গণ্য হয়।)

সেহরির শেষ সময়: ভোর ৪:৩৭ AM(রোজা রাখার জন্য এই সময়ের পূর্বেই পানাহার শেষ করতে হবে।)

ফজর: ভোর ৪:৩৭ AM

সূর্যোদয়: সকাল ৫:৫০ AM

যোহর: দুপুর ১১:৪৯ AM

আসর: বিকাল ৩:০৯ PM

ইফতার ও মাগরিব: সন্ধ্যা ৫:৪৬ PM(সারাদিনের রোজা শেষে এই সময়ে ইফতার করতে হবে।)

ইশা: সন্ধ্যা ৭:০১ PM

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

সেহরির শেষ সময় হলো ফজরের ওয়াক্ত শুরুর মুহূর্ত এবং ইফতারের সময় হলো মাগরিবের ওয়াক্ত শুরুর মুহূর্ত।

ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর (যেমন: গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার) সময় ঢাকার সময়ের সাথে এক বা দুই মিনিটের সামান্য পার্থক্য হতে পারে। সর্বাধিক নির্ভুলতার জন্য আপনার স্থানীয় মসজিদের সময়সূচী অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


বিবাহিত ব্যক্তির নামাজ অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে ৭০ গুণ উত্তম—কথাটা কি সত্যি?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ২১:০৩:১৪
বিবাহিত ব্যক্তির নামাজ অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে ৭০ গুণ উত্তম—কথাটা কি সত্যি?
ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে মানুষকে শালীন, পবিত্র ও পরিপূর্ণ জীবনযাপনের পথে নিয়ে যায়। ইসলামে বিয়েকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। নবী কারিম (সা.) বলেছেন, “হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যার বিয়ের সামর্থ্য আছে, তার বিয়ে করা উচিত... আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে।” (বোখারি : ৫০৬৫, মুসলিম : ১৪০০) এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, সামর্থ্য হলে দেরি না করে বিয়ে করা উত্তম।

বিয়ের কথা সামনে এলেই আমাদের সমাজে একটি বহুল প্রচলিত কথা শোনা যায়—‘বিবাহিত ব্যক্তির নামাজ অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে ৭০ গুণ উত্তম।’ অনেক ওয়াজ মাহফিলেও কিছু বক্তা এমনটা বলে থাকেন। কিন্তু এই কথাটি কি আসলেই হাদিস-সম্মত? চলুন, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আলেমদের বক্তব্য জেনে নিই।

বিশেষজ্ঞ আলেমদের বক্তব্য

ফুকাহায়ে কেরাম (ইসলামী আইনজ্ঞরা) বলেন, নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ এবং ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ। তবে, ‘বিবাহিত ব্যক্তির ২ রাকাত নামাজ অবিবাহিত ব্যক্তির ৭০ রাকাত নামাজের চেয়েও উত্তম’—এই কথাটি সঠিক নয়। হাদিসে এর কোনো ভিত্তি নেই।

জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার মুফতি রেজাউল করীম আবরার বলেন, সমাজে প্রচলিত এই কথাটি ‘চরম আপত্তিকর’ এবং এটি সম্পূর্ণ জাল হাদিস (বিশুদ্ধ নয়)।

আলেমদের মত: তিনি বলেন, “হাদিসে বিয়ের অনেক ফজিলতের কথা বলেছেন রাসুল (সা.)। কিন্তু কোনো জিনিসের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে কখনোই কোনো জাল বর্ণনা দিয়ে দলিল দেওয়া যাবে না।” ইমাম উকাইলি (রাহি.), ইমাম ইবনুল জাওজি, ইমাম তাহের পাটনি এবং ইমাম আল্লামা শাওকানিসহ সব উলামায়ে কেরাম এই বর্ণনাকে জাল হাদিস বলে আখ্যায়িত করেছেন।

অতএব, বিয়ে করা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলেও, এর ফজিলত ব্যাখ্যা করতে জাল হাদিস দিয়ে দলিল দেওয়া উচিত নয়।


আগামীকালের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়সূচী

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২২:০৫:১১
আগামীকালের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়সূচী
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং অন্যান্য নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে, বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড সময় অনুযায়ী আগামী ১ অক্টোবর, ২০২৫ (বুধবার)-এর সেহরি, ইফতার, তাহাজ্জুদ এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সম্ভাব্য সময়সূচী নিচে দেওয়া হলো।

বিস্তারিত সময়সূচী (ঢাকা):

তাহাজ্জুদ: রাত ১:০০ AM থেকে ফজরের আজানের পূর্ব পর্যন্ত।(ইসলামিক রীতি অনুযায়ী, রাতের শেষ তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য সর্বোত্তম সময় হিসেবে গণ্য হয়।)

সেহরির শেষ সময়: ভোর ৪:৩৬ AM(রোজা রাখার জন্য এই সময়ের পূর্বেই পানাহার শেষ করতে হবে।)

ফজর: ভোর ৪:৩৬ AM

সূর্যোদয়: সকাল ৫:৪৯ AM

যোহর: দুপুর ১১:৪৮ AM

আসর: বিকাল ৩:০৮ PM

ইফতার ও মাগরিব: সন্ধ্যা ৫:৪৫ PM(সারাদিনের রোজা শেষে এই সময়ে ইফতার করতে হবে।)

ইশা: সন্ধ্যা ৭:০০ PM

গুরুত্বপূর্ণ নোট:

এই সময়সূচীটি রাজধানী ঢাকার জন্য প্রযোজ্য। চট্টগ্রাম বা সিলেট বিভাগের সময় ঢাকার চেয়ে ৫-৭ মিনিট আগে এবং রাজশাহী বা খুলনা বিভাগের সময় ঢাকার চেয়ে ৫-১০ মিনিট পরে হতে পারে।

সবচেয়ে সঠিক সময়ের জন্য আপনার স্থানীয় মসজিদের সময়সূচী অনুসরণ করা উত্তম।


যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২০:৪২:৪১
যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
মৃত সাগর/ছবি: সংগৃহীত

ভূগোলের এক অপার বিস্ময় মৃত সাগর, যা পৃথিবীর সর্বনিম্ন বিন্দুতে অবস্থিত এক লবণাক্ত হ্রদ। কিন্তু এর পরিচয় শুধু ভূগোলের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি এক ঐতিহাসিক নিদর্শন, যা প্রায় চার হাজার বছর আগে ঘটে যাওয়া এক ঐশ্বরিক আযাবের নীরব সাক্ষী। এই সাগর সেই কওমে লুত বা লুতের জাতির ধ্বংসের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়, যাদেরকে তাদের সীমালঙ্ঘনের জন্য এক ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল।

যেসব পাপে লিপ্ত ছিল কওমে লুত:

ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর ভাতিজা হযরত লুত (আঃ)-কে সদোম জাতির প্রতি নবী হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। এই জাতি ইতিপূর্বে মানব ইতিহাসে দেখা যায়নি এমন সব পাপে লিপ্ত ছিল।

তাদের প্রধান তিনটি পাপ ছিল:

১. প্রকাশ্যে অশ্লীল কর্মকাণ্ড ও বেহায়াপনা।

২. ডাকাতি ও রাহাজানি, যা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।

৩. সমকামিতা, যা ছিল তাদের সবচেয়ে বড় সীমালঙ্ঘন।

হযরত লুত (আঃ) তাদের এই পথ থেকে সরে আসার জন্য বারবার আহ্বান জানান, কিন্তু তারা তার কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো তাকেই শহর থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।

ঐশ্বরিক আযাব এবং ধ্বংসের বিবরণ:

যখন তাদের অবাধ্যতা চরমে পৌঁছায়, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব চূড়ান্ত হয়। ফেরেশতারা মানুষের রূপ ধরে হযরত লুত (আঃ)-এর কাছে আসেন এবং তাকে রাতের আঁধারে তার অনুসারীদের নিয়ে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেন। তাকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, "চলার পথে কেউ যেন পেছনে ফিরে না তাকায়।"

ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত জিবরাইল (আঃ) তার ডানা দিয়ে পুরো শহরটিকে শূন্যে তুলে ফেলেন, এরপর সেটিকে উল্টে জমিনে নিক্ষেপ করেন এবং আকাশ থেকে তাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করা হয়। এই মহাধ্বংসে লুত (আঃ)-এর স্ত্রীও ধ্বংস হয়েছিলেন, কারণ তিনি আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে পেছনে ফিরে তাকিয়েছিলেন।

শেষ নবীর নির্দেশনা:

সহীহ বুখারী শরীফের হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এই ধরনের আযাবের স্থান অতিক্রম করার সময় অনুশোচনার সাথে, ক্রন্দনরত অবস্থায় প্রবেশ করতে বলেছেন। কারণ, এই স্থানগুলো অহংকার প্রদর্শনের জায়গা নয়, বরং শিক্ষা গ্রহণের স্থান।

আজও মৃত সাগর কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছাড়াই এক নীরব সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যা মানুষকে তার সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতার ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।


ইসলামী ব্যাংকিংয়ের লভ্যাংশ হালাল নাকি সুদ? জানুন প্রকৃত সত্য

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ০৮:০১:১৫
ইসলামী ব্যাংকিংয়ের লভ্যাংশ হালাল নাকি সুদ? জানুন প্রকৃত সত্য

বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। কিন্তু একটি প্রশ্ন প্রায়ই সামনে আসে—ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে আমরা লভ্যাংশ বা মুনাফা খেতে পারব কিনা। এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ওলামায়ে কেরামের পর্যবেক্ষণ রয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ

আমাদের দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে অন্যান্য সব ব্যাংকের মতোই দেশের ব্যাংকিং আইন, বিধি-বিধান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা মেনে চলতে হয়। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই একটি সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, তাই ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম শতভাগ সুদমুক্ত রাখা বাস্তবে কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে অনেকে মনে করেন, ইসলামী ব্যাংককে পুরোপুরি শরিয়াহ–সম্মত বলা যায় না।

শরিয়াহ বোর্ডের ভূমিকা

তবে প্রতিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি স্বতন্ত্র শরিয়াহ বোর্ড থাকে। এই বোর্ডের দায়িত্ব হলো ব্যাংকের সব কার্যক্রম ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী হচ্ছে কি না তা তদারকি করা, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া এবং শরিয়াহভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন করা।সহজভাবে বললে, শরিয়াহ বোর্ডের মূল দায়িত্ব হলো—

  • ব্যাংকের বিনিয়োগ ও লেনদেন সুদমুক্ত রাখা
  • শরিয়াহসম্মত বিনিয়োগপদ্ধতি অনুসরণ নিশ্চিত করা
  • প্রয়োজনে গ্রাহকদের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা

যেহেতু শরিয়াহ বোর্ডে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেমগণ থাকেন, তাই সাধারণ মানুষ তাদের নির্দেশনা অনুসারে ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ গ্রহণকে বৈধ মনে করতে পারেন।

টাকা রাখা বনাম লভ্যাংশ গ্রহণ

ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রাখা এবং সেখান থেকে মুনাফা গ্রহণ করা দুটি ভিন্ন বিষয়। টাকা জমা রাখা শুধু বৈধ নয়, বরং জরুরি। কারণ, যদি কেউ সুদী ব্যাংকে টাকা রাখে তবে তার অর্থ দিয়ে ব্যাংক সুদভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যা পরোক্ষভাবে সুদের কারবারকে সমর্থন করার সমান অপরদিকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখলে অন্তত নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আপনার অর্থ সুদভিত্তিক লেনদেনে ব্যবহার করা হবে না।

লভ্যাংশ বা মুনাফা গ্রহণের বৈধতা

শরিয়াহ বোর্ড অনুমোদিত ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা গ্রহণ করা বৈধ, তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে।

  • শরিয়াহ–সম্মত বিনিয়োগ পদ্ধতি:ইসলামী ব্যাংকগুলো সাধারণত মুদারাবা (লাভ-লোকসানের অংশীদারিত্ব) ও মুশারাকা (অংশীদারিত্ব) ভিত্তিক বিনিয়োগ করে থাকে। এ পদ্ধতিগুলো সুদমুক্ত এবং শরিয়াহ–সম্মত।
  • সুদ নয়, বরং লাভ:প্রচলিত ব্যাংকের মতো নির্দিষ্ট সুদের হার এখানে নেই। বরং ব্যাংক যে ব্যবসা বা বিনিয়োগ থেকে লাভ করবে, সেই লাভের একটি অংশ গ্রাহককে প্রদান করবে। ফলে এটিকে সুদ বলা যাবে না।
  • শরিয়াহ বোর্ডের তদারকি:ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি বিনিয়োগ ও লেনদেন শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এতে গ্রাহক নিশ্চিত হতে পারবেন যে প্রাপ্ত মুনাফা সুদের আওতাভুক্ত নয়।

গ্রাহকের করণীয়

  • ব্যাংক যাচাই করুন: নিশ্চিত করুন যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা ব্যাংকিং উইন্ডো একটি পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
  • বিনিয়োগ পদ্ধতি জানুন: ব্যাংক কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে তা জানার চেষ্টা করুন এবং শরিয়াহ অনুমোদিত কিনা তা খোঁজ নিন।
  • সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ করুন: যদি সন্দেহ থাকে তবে সরাসরি ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ড বা কোনো ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

সারকথা হলো, ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রাখা এবং লভ্যাংশ গ্রহণ করা বৈধ, যদি সেই ব্যাংকটি সত্যিকার অর্থে শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত হয় এবং তাদের বিনিয়োগ ও লেনদেন শরিয়াহসম্মত পথে পরিচালিত হয়। ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ আসলে সুদ নয়, বরং লাভ-লোকসানভিত্তিক অংশীদারিত্বের ফলাফল। তবে গ্রাহকের সচেতন থাকা জরুরি, যাতে তারা নিশ্চিত হতে পারেন যে তাদের অর্থ সত্যিকার অর্থেই শরিয়াহ–সম্মত উপায়ে ব্যবহার হচ্ছে।


মৃত্যু কেন মুমিনের কাছে প্রিয়? হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১১:৪৬:২৬
মৃত্যু কেন মুমিনের কাছে প্রিয়? হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা
ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যু মানবজীবনের এক অবশ্যম্ভাবী সত্য, যা নিয়ে মানুষের মনে ভয়, আশা ও আকাঙ্ক্ষার দোলাচল থাকে। কেউ মৃত্যুকে জীবনের শেষ মনে করে আতঙ্কিত হয়, আবার মুমিনের কাছে এটি হয় আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের এক মহাসুযোগ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে মৃত্যুর মুহূর্তে মানুষের আসল চেহারা প্রকাশ পায়।

হাদিসের শিক্ষা

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللهِ أَحَبَّ اللهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللهِ كَرِهَ اللهُ لِقَاءَهُ قَالَتْ عَائِشَةُ أَوْ بَعْضُ أَزْوَاجِهِ إِنَّا لَنَكْرَهُ الْمَوْتَ قَالَ لَيْسَ ذَاكِ وَلَكِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا حَضَرَهُ الْمَوْتُ بُشِّرَ بِرِضْوَانِ اللهِ وَكَرَامَتِهِ فَلَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا أَمَامَهُ فَأَحَبَّ لِقَاءَ اللهِ وَأَحَبَّ اللهُ لِقَاءَهُ وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا حُضِرَ بُشِّرَ بِعَذَابِ اللهِ وَعُقُوبَتِهِ فَلَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَهَ إِلَيْهِ مِمَّا أَمَامَهُ كَرِهَ لِقَاءَ اللهِ وَكَرِهَ اللهُ لِقَاءَهُ

উবাদাহ ইবনু সামিত (রা.) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

"যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ পছন্দ করে না, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন।"

এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আয়িশাহ (রা.) অথবা তাঁর অন্য কোনো স্ত্রী যখন মৃত্যুকে অপছন্দ করার কথা বলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট করে দেন যে, স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুকে ভয় পাওয়া বা কষ্টকর মনে করা আল্লাহর সাক্ষাৎ অপছন্দ করা এক বিষয় নয়।

মুমিনের ক্ষেত্রে যখন মুমিনের মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন ফেরেশতারা তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতের সুসংবাদ দেন। এই সময় পৃথিবীর কষ্ট ও মৃত্যুর যন্ত্রণা তার কাছে গৌণ হয়ে যায়। তার হৃদয় আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ হয়। এ কারণেই সে মৃত্যুকে পছন্দ করতে শুরু করে, কারণ তার সামনে জান্নাত ও আল্লাহর সাক্ষাতের সুখবর থাকে।

কাফিরের ক্ষেত্রে কাফিরের যখন মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন তাকে আল্লাহর গজব, শাস্তি ও অভিশাপের কথা জানানো হয়। আখিরাতের ভয়ংকর আজাব তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সে তখন মৃত্যু ও পরবর্তী জীবনের সাক্ষাৎ ভীষণ ঘৃণা করতে থাকে। ফলে আল্লাহও তার সাক্ষাৎকে অপছন্দ করেন, অর্থাৎ আল্লাহ তার জন্য আখিরাতে সুখ বা সন্তুষ্টি নয়, বরং গজব নির্ধারণ করে রেখেছেন।

এই হাদিস থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা হলো:

আল্লাহর সাক্ষাৎ পছন্দ করতে হলে আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক জীবনযাপন করতে হবে।

পাপাচার, কুফর ও বিদআতের জীবন আল্লাহর সাক্ষাৎকে ভীতিকর করে তুলবে।

আখিরাতের জন্য প্রস্তুত থাকা মানেই মৃত্যুকে ভয় না পাওয়া।

মৃত্যু আসলে মুমিনের জন্য প্রিয় আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে মিলনের সেতু, আর কাফিরের জন্য এটি ভয়ংকর আজাবের দরজা।


জুমার দিনে মসজিদে কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া কেন নিষিদ্ধ?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১১:০০:১৫
জুমার দিনে মসজিদে কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া কেন নিষিদ্ধ?

সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমা মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা এই দিনটিকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন এবং রাসুল (সা.) একে সূর্য উদিত হওয়া দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় দিন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এ দিনে মুসলিম উম্মাহর জন্য কিছু বিশেষ করণীয় রয়েছে, যা পালন করলে অপার সওয়াব লাভ করা যায়।

জুমার নামাজে আগে যাওয়ার গুরুত্ব

জুমার দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো আজানের সঙ্গে সঙ্গে আগেভাগে মসজিদে গমন করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে চলো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম—যদি তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা জুমআ: ৯)

হাদিসেও আগেভাগে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে বিশাল প্রতিদান ও সওয়াবের কথা বলা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল। দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লেখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন।’ (বোখারি: ৮৮১)

কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়ার বিষয়ে শরিয়তের বিধান

অভিযোগ আছে, আমাদের দেশে অনেক মুতাওয়াল্লি বা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জুমার দিন আগে থেকেই মসজিদের সামনের কাতারে নিজেদের জন্য জায়গা দখল করে রাখেন। পরে তারা দেরিতে আসলেও অন্যদের কাঁধ ডিঙিয়ে সেই জায়গায় গিয়ে বসেন।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, এই ধরনের কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মানুষকে কষ্ট দিয়ে সামনে যাওয়াকে নবী করিম (সা.) জাহান্নামের ব্রিজ অতিক্রম করে জাহান্নামে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, “মসজিদ ইবাদতের জায়গা। এখানে সবাই সমান। কে মুতওয়াল্লি আর কে সাধারণ মুসল্লি, কোনো পার্থক্য নেই। মানুষকে কষ্ট দিয়ে ইমামের পেছনে সামনের কাতারে জায়নামাজ দিয়ে জায়গা জুড়ে রাখা জাহেলি বর্বরতা। এটা কোনো সভ্যতা নয়।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, মসজিদে যে আগে আসবে সে আগে বসবে। আগে থেকে জায়গা দখল করে রাখা বা কাউকে ডিঙিয়ে সামনে বসা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ। হাদিস শরিফে এসেছে, একবার রাসুল (সা.) জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি এক ব্যক্তিকে অন্যদের কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যেতে দেখে বললেন, ‘বসে পড়, তুমি দেরি করে এসেছ, মানুষকে কষ্টও দিচ্ছো।’ (আবু দাউদ: ১১১৮)

সুতরাং ইমামের কাছাকাছি বসার জন্য মসজিদে দ্রুত উপস্থিত হতে হবে। যদি কোনো কারণে দেরি হয়ে যায়, তাহলে যেখানে খালি জায়গা পাওয়া যায়, সেখানেই বসে পড়া উচিত। অন্যদের কষ্ট দিয়ে সামনে গেলে সওয়াবের বদলে গুনাহের ভাগিদার হতে হবে।


ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময়সূচি প্রকাশিত

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১০:২৭:৪২
ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময়সূচি প্রকাশিত
ছবি: সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

  • ফজর: ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে আদায় করা যাবে।
  • জোহর: দুপুর ১১টা ৫৭ মিনিটে শুরু হবে।
  • আসর: বিকেল ৪টা ১৯ মিনিটে পড়তে হবে।
  • মাগরিব: আজ সূর্যাস্তের পর ৬টা ০৬ মিনিটে মাগরিবের নামাজের সময় হবে।
  • ইশা: রাত ৭টা ২০ মিনিট থেকে ইশার নামাজ আদায় করা যাবে।

এছাড়া, আজকের সূর্যোদয়ের সময় সকাল ৫টা ৪৫ মিনিট, আর সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৬টা ০১ মিনিট।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময় পরিবর্তন

ঢাকার প্রকাশিত নামাজের সময়সূচির সঙ্গে দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের জন্য কিছুটা সময় যোগ বা বিয়োগ করতে হবে।

বিয়োগ করতে হবে:

  • চট্টগ্রাম: ৫ মিনিট
  • সিলেট: ৬ মিনিট
  • যোগ করতে হবে:
  • খুলনা: ৩ মিনিট
  • রাজশাহী: ৭ মিনিট
  • রংপুর: ৮ মিনিট
  • বরিশাল: ১ মিনিট

অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় শহরের মুসল্লিদের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসারে কয়েক মিনিটের তারতম্য ঘটবে।


ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় ঘোষণা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ ০৮:২০:৪৯
ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

আজ শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বাংলা এবং ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আজকের নামাজ ও সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকায় আজ ফজরের নামাজের সময় ভোর ৪টা ২৯ মিনিটে, জোহরের নামাজ দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে, আসরের নামাজ বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে, মাগরিবের নামাজ সন্ধ্যা ৬টা ৮ মিনিটে এবং ইশার নামাজ রাত ৭টা ২৩ মিনিটে আদায় করা হবে। আজ সূর্যোদয়ের সময় নির্ধারিত হয়েছে সকাল ৫টা ৪৩ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরগুলোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচিতে কিছুটা যোগ-বিয়োগ করতে হবে। চট্টগ্রামের নামাজের সময় থেকে ৫ মিনিট এবং সিলেটের সময় থেকে ৬ মিনিট কমাতে হবে। অপরদিকে খুলনায় নামাজের সময় ৩ মিনিট, রাজশাহীতে ৭ মিনিট, রংপুরে ৮ মিনিট এবং বরিশালে ১ মিনিট যোগ করতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিদিন নামাজের সময়সূচি পরিবর্তিত হয় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। তাই মুসল্লিদের উচিত সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের জন্য সরকারি ঘোষিত সময়সূচি অনুসরণ করা।

তথ্যসূত্র: ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পাঠকের মতামত: