‘প্রমাণ দিন নইলে মামলা!’—বহিষ্কৃত মুখপাত্র লিজার চ্যালেঞ্জ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৮ ১২:৪৫:১৩
‘প্রমাণ দিন নইলে মামলা!’—বহিষ্কৃত মুখপাত্র লিজার চ্যালেঞ্জ

সত্য নিউজ:মাদকের অপবাদ ও অসামাজিক জীবনযাপনের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা-কে বহিষ্কার করেছে সংগঠন। তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন লিজা—বিপরীতে তিনি দিয়েছেন দুই ঘণ্টার চরম আল্টিমেটাম।

শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফ মঈন উদ্দীন ও সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “সম্প্রতি লিজার বিরুদ্ধে মাদক সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের আচরণ সংগঠনের ভাবমূর্তি ও নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তাই তাকে মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।”

কিন্তু বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। বহিষ্কারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা জবাব দেন লিজা। এক ভিডিও বার্তায় তিনি অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে বলেন,“আমার বিরুদ্ধে যেসব অ্যালিগেশন (অভিযোগ) আনা হয়েছে—বিশেষ করে মাদক সেবনের অভিযোগ—তা প্রমাণ করতে পারলে থাকছি, না পারলে আইনের আশ্রয় নেব।”

তিনি সরাসরি বলেন,“আমি আহ্বায়ক আরিফ মঈন এবং সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিনকে দুই ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি প্রমাণ দিতে না পারে, তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”

লিজার ভাষ্য অনুযায়ী, তাকে ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে টার্গেট করা হয়েছে এবং পুরো অভিযোগ একটি পরিকল্পিত প্রচারণা। “অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন” অভিযোগকেও তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “কোনো ভিত্তি নেই, শুধুই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।”

এখন প্রশ্ন হলো—প্রমাণ আসবে, না মামলা হবে?চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতির এই দ্বন্দ্ব এখন সামাজিক মাধ্যমেও সরব। নজর রয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত