লা লিগায় বার্সার দাপট, আতলেতিকোর জয়হীন দুর্দশা চলছেই

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১২:২৯:৪৮
লা লিগায় বার্সার দাপট, আতলেতিকোর জয়হীন দুর্দশা চলছেই
ছবিঃ সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা লা লিগায় দারুণ ছন্দে ফিরেছে। রবিবার তারা গেটাফেকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। দলের নায়ক ফেরান তোরেস জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক হন, আরেকটি গোল করেন দানি অলমো। এই জয়ের ফলে তারা শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পেছনে মাত্র দুই পয়েন্ট ব্যবধানে থাকল। একদিন আগেই জাবি আলোনসোর মাদ্রিদ এস্পানিওলকে হারিয়ে টানা জয়ের ধারা ধরে রেখেছিল।

বার্সেলোনা এখনো নিজেদের ঐতিহাসিক ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামে ফিরতে পারেনি। তাই দলের প্রশিক্ষণ মাঠের পাশে ৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে খেলতে হচ্ছে। তবে ছোট স্টেডিয়ামেও খেলার ধারা পাল্টায়নি—হানসি ফ্লিকের দল শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। গেটাফে বরাবরের মতোই শারীরিক ফুটবল খেলতে থাকে এবং একাধিক ফাউল করে বার্সা খেলোয়াড়দের উত্তেজিত করে তোলে।

দলের কিশোর প্রতিভা লামিনে ইয়ামাল চোটের কারণে অনুপস্থিত থাকায় তাঁর জায়গায় সুযোগ পান ফেরান তোরেস। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি তিনি। প্রথম গোলটি আসে এক দারুণ দলীয় আক্রমণ থেকে—দানি অলমোর ব্যাকহিল পাস ধরে জোরালো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তোরেস। দ্বিতীয় গোলটি ছিল আরও সুন্দর—রাফিনহার থ্রু পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তোরেস, তবে তাঁর একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে।

ম্যাচে রাফিনহার আচরণ কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠায় ফ্লিক তাঁকে বিরতির পর তুলে নেন এবং বদলি হিসেবে নামান মার্কাস র‍্যাশফোর্ডকে। র‍্যাশফোর্ড খেলায় নেমে দ্রুত প্রভাব ফেলেন। ডান দিক দিয়ে দারুণ গতিতে ঢুকে তিনি অলমোকে বল বাড়িয়ে দেন, যেখান থেকে তৃতীয় গোলটি করেন অলমো। র‍্যাশফোর্ডের নিজেও দুটি শট সেভ করেন গেটাফে গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া।

ম্যাচের একমাত্র খারাপ খবর ছিল শেষ মুহূর্তে বদলি খেলোয়াড় ফার্মিন লোপেজের চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হওয়া।

আতলেতিকোর হতাশা

এর আগে আতলেতিকো মাদ্রিদের দুর্দশা চলছেই। মায়োর্কার মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে মৌসুমের প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেল তারা। প্রথমার্ধে হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি পেলেও হুলিয়ান আলভারেজ তা মিস করেন। পরে আলেক্সান্ডার সরলোথ লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আতলেতিকো। তারপরও তারা কনার গ্যালাঘারের গোলে এগিয়ে যায়, কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ভেদাত মুরিকির হেডে সমতা ফেরায় মায়োর্কা।

আতলেতিকো অধিনায়ক কোক বলেন, “আমরা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করছিলাম কিন্তু শেষ মুহূর্তে এক খেলোয়াড় বেশি পেয়ে তারা চাপ বাড়ায় এবং গোল পেয়ে যায়। গোলই সব কিছু নির্ধারণ করে।”

এই ড্রয়ের ফলে আতলেতিকো শীর্ষস্থান থেকে এখন ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে, আর বার্সেলোনা থেকে পিছিয়ে ৭ পয়েন্টে। কোচ দিয়েগো সিমেওনে বলেন, “আমরা এখনো দল গঠনের পথে আছি। উন্নতি করতে হবে, তবে আমি মনে করি আমরা সঠিক পথে আছি।”

- খালিদ আহামেদ


 ‘৬-০’ ও বিমানের ইশারা: ভারতকে কী বোঝাতে চাইলেন হারিস রউফ?

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১১:১৮:২৮
 ‘৬-০’ ও বিমানের ইশারা: ভারতকে কী বোঝাতে চাইলেন হারিস রউফ?
হারিস রউফ। ‍ছবি : সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ কেবল ব্যাট-বলের লড়াইয়েই সীমাবদ্ধ থাকে না, এর সঙ্গে যোগ হয় মাঠের বাইরের নানা বিতর্ক। এশিয়া কাপের সুপার ফোর ম্যাচেও পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার হারিস রউফের একটি অঙ্গভঙ্গি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।

‘রাফাল দুঃস্বপ্নের’ ইঙ্গিত

ভারতের ইনিংস চলাকালে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করার সময় কিছু ভারতীয় সমর্থক গ্যালারি থেকে হারিস রউফকে উসকানি দিচ্ছিল। সেই উসকানির জবাবে রউফ আঙুল তুলে ‘৬-০’ দেখান এবং হাত নেড়ে এমন ভঙ্গি করেন যেন একটি বিমান উড়ছে এবং পরে ভেঙে পড়ছে। বিষয়টি যে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর মে মাসের ‘অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস’ সম্পর্কিত, তা বোঝাই যাচ্ছিল। সেই অভিযানে ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছিল পাকিস্তান, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল ফরাসি রাফাল।

হারিস রউফের এমন কাণ্ডের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানি সমর্থকরা একে সাহসী, মজার এবং গৌরবের ইঙ্গিত হিসেবে দেখলেও পাক বোলারের এমন ভঙ্গিমায় ভারতীয় সমর্থকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মাঠের লড়াইয়ে ভারতের দাপট

মাঠের লড়াইয়ে অবশ্য দাপটের সঙ্গেই জয় পেয়েছে ভারত। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রান (১৭১) গড়লেও শেষ পর্যন্ত তা রইল হারের রেকর্ড ছাড়া আর কিছু নয়। অভিষেক শর্মার ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের ওপর ভর করে ভারত সহজেই ৬ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়, হাতে থাকল সাত বল।


ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১১:০৫:৩৭
ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

খেলার রং হারিয়েছে অনেক দিন আগেই। মাঠে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ মানেই একসময় উত্তেজনা, রোমাঞ্চ আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এখন সেই দৃশ্য ইতিহাসে ঠাঁই নিয়েছে। বাইরের গল্পগাথাই যত নাটকীয়তা তৈরি করে, মাঠের খেলায় আর নেই আগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দীর্ঘদিন ধরে বোঝা যাচ্ছিল—ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ কেবল নামেই রইল, বাস্তবে নেই। তবে মুখ ফুটে কেউ বলতে পারছিলেন না।

অবশেষে সেই কথাটাই বলার সাহস দেখালেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এশিয়া কাপ সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের দাপুটে জয়ের পর তিনি স্পষ্ট ঘোষণা দেন—“এখন আর এটাকে দ্বৈরথ বলা যায় না।” যুক্তিও দিলেন তিনি।

গত ৮ ম্যাচে পাকিস্তান ৭ বার ভারতের কাছে হেরেছে। সর্বশেষ জয় পেয়েছিল তিন বছর আগে, ২০২১ সালের দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এরপর টানা ৬ ম্যাচে পরাজয়—যা ভারত-পাকিস্তান ৭৪ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে নজিরবিহীন। সাংবাদিকরা যখন পাকিস্তানের খেলার মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, সূর্যকুমার সোজাসাপ্টা উত্তর দেন, “আমার মনে হয় আপনাদের রাইভালরি নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করা উচিত। ১৫-২০ ম্যাচের মধ্যে যদি স্কোরলাইন ৭-৭ বা ৮-৭ হয়, তবে সেটা দ্বৈরথ। কিন্তু ১৩-০, ১০-১ হলে এটা আর রাইভালরি নয়।”

পাকিস্তানের ভালো শুরু, তারপর ভাঙা স্বপ্ন

কাল দুবাইয়ে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরুটা ঝড়ো করেছিল। ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৯১ রান। মনে হচ্ছিল, আজ হয়তো ভিন্ন কিছু হতে যাচ্ছে। কিন্তু মাঝপথেই ছন্দপতন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৭১ রানের বেশি যেতে পারেনি বাবরবাহিনী। জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি এই রান। সূর্যকুমার বলেন, “ম্যাচের মোড় ঘুরেছে প্রথম ইনিংসের মাঝবিরতিতে। আমাদের বোলাররা তখনই বুঝে গিয়েছিল, কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।”

ভারতীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তানি বোলিং

১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে ছিঁড়ে ফেললেন ভারতের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা। ১০৫ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে ম্যাচকে একতরফা করে দেন তারা। শুভমান ২৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হলেও অভিষেক খেলেন ঝড়ো ৭৪ রানের ইনিংস, মাত্র ৩৯ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো।

পরে সূর্যকুমার যাদব দ্রুত আউট হলেও তিলক ভার্মা (১৯ বলে অপরাজিত ৩০) আর হার্দিক পান্ডিয়া (অপরাজিত ৭) ভারতকে সহজেই জিতিয়ে দেন। সাঞ্জু স্যামসন করেন ১৩ রান। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ২ উইকেট নিলেও সেটি ভারতের জয়ের পথে কোনো বাধাই তৈরি করতে পারেনি।

পাকিস্তানি বোলিংয়ের ধার খুঁজে পাওয়া যায়নি

পাকিস্তানের বোলিং একসময় ছিল আতঙ্কের নাম—ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতারদের মতো কিংবদন্তিদের কারণে। অথচ বর্তমান দল সেই ছায়ারও প্রতিফলন নয়। শাহিন আফ্রিদি বল হাতে ছিলেন সম্পূর্ণ ফিকে, হারিস রউফ চেষ্টা করলেও একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট ছিল না। বাকি বোলাররা ছিলেন অনুজ্জ্বল।

পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ছাপ রেখেছিলেন কেবল ফারহান

পাকিস্তানের ইনিংসে একমাত্র উজ্জ্বলতা সাহিবজাদা ফারহানের ব্যাট থেকে আসা ৫৮ রান। সাইম আইয়ুব ও মোহাম্মদ নওয়াজ করেন ২১ করে। ফাহিম আশরাফ অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। কিন্তু তা ভারতের ব্যাটিং শক্তির সামনে নগণ্য হয়ে যায়।

ভারত-পাকিস্তান লড়াই একসময় বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল। এখন সেটা শুধু ইতিহাসের পাতায়। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের আরেকটি দাপুটে জয় আবারও প্রমাণ করল—দ্বৈরথের উত্তাপ নেই, মাঠে চলছে ভারতের একচেটিয়া আধিপত্য। সূর্যকুমার যাদবের কথাই যেন এই বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি—“এটা আর কোনো রাইভালরি নয়।”


শাহিবজাদা ফারহানের ঝলকে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের উড়ন্ত সূচনা

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ২১:৪২:০৬
শাহিবজাদা ফারহানের ঝলকে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের উড়ন্ত সূচনা
ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছে পাকিস্তান। ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামানের ভালো শুরুর পর ব্যাট হাতে ছন্দ পেয়েছেন সাঈম আইয়ূবও।

পাকিস্তানের ইনিংসের হালচাল

পাকিস্তান ১৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান সংগ্রহ করেছে। শাহিবজাদা ফারহান ৪৪ বলে ৫৮ রানে ব্যাট করছেন। হুসাইন ১০ বলে ১০ রানে খেলছেন।

উভয় দলের একাদশ

ভারত গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে জাসপ্রিত বুমরাহ ও বরুণ চক্রবর্তীকে বিশ্রাম দিয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই দুজন একাদশে ফিরেছেন, যার ফলে হার্শিত রানা ও অর্শদীপ সিং বাদ পড়েছেন।

পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনিও শুরুতে বোলিং নিতেন। পাকিস্তানও একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে; হাসান নওয়াজ ও খুশদীল শাহকে বাদ দিয়ে দুই পেস অলরাউন্ডার হুসেইন তালাত ও ফাহিম আশরাফকে একাদশে নিয়েছে।

ভারতের একাদশ: অভিষেক শর্মা, শুভমন গিল, সানজু স্যামসন, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, শিভাম দুবে, হার্ডিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী।

পাকিস্তানের একাদশ: সাঈম আইয়ূব, শাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সালমান আগা (অধিনায়ক), হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।


বিসিবি ঘেরাও করা হবে: নির্বাচন ঘিরে ইশরাক হোসেনের কড়া বার্তা

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৯:২৭:১৪
বিসিবি ঘেরাও করা হবে: নির্বাচন ঘিরে ইশরাক হোসেনের কড়া বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনকে ঘিরে ক্রিকেট অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ হলে বিসিবি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। অন্যদিকে, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন।

‘সরকারি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়’

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেট সংগঠক এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের অভিযোগ, সাংগঠনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে বিসিবি সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জেলা ও বিভাগে নিজেদের পছন্দমতো কাউন্সিলর মনোনীত করতে চাইছেন। মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবির পক্ষ থেকে জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেটের সংশ্লিষ্টদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তামিম বলেন, “বিসিবির সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এখানে সরকারি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে পরিবর্তন মেনে নেওয়া হবে না।”

‘আইনি ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে’

ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে বিসিবির কাউন্সিলর পদ পাওয়া ইশরাক হোসেন বলেন, “বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিসিবি ঘেরাও করা হবে ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।”

আগামী ৪ অক্টোবর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনে আরও আছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব)।


রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৯:০২:০৭
রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!
ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেট বিশ্ব মেয়েদের ক্রিকেটে একটি দুর্দান্ত ও রেকর্ড ভাঙা ম্যাচ দেখেছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এই ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল ভারতের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪১২ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে তোলে, যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে ভারতও বেশ লড়াই করে, তবে শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হারমানপ্রীত কৌরের দলকে।

রেকর্ড ভাঙা সংগ্রহ অস্ট্রেলিয়ার

আগে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি, ৪৭ ওভার ৫ বলেই স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৪১২ রান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বেথ মুনি সর্বোচ্চ ৭৫ বলে ১৩৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। এছাড়া জর্জিয়া ভোল ৮১ ও এলিস পেরি ৬৮ রান করেন।

ভারতেরও রেকর্ড গড়া লড়াই

৪১৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্মৃতি মান্ধানার ব্যাটে বেশ ভালো লড়াই করে ভারত। ৬৩ বলে ১২৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। তবে ৪৭ ওভারে ৩৬৯ রানে অলআউট হয় ভারত। নারী ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ইনিংসে আর কোনো দলই এত রান করতে পারেনি। এর আগে এই ভারতের বিপক্ষেই দক্ষিণ আফ্রিকা সর্বোচ্চ ৩২১ রান করেছিল।

দুই দলের রেকর্ড: রানের বন্যা ও বাউন্ডারির উৎসব

এই ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে মোট রান হয়েছে ৭৮১, যা নারী ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। এর আগে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৭৮ রান হয়েছিল।

এছাড়াও, নারী ওয়ানডেতে এই প্রথমবার কোনো ইনিংসে ৪০০ বা তার বেশি রান হজম করল ভারত। ভারতের বিপক্ষে আগে সর্বোচ্চ ৩৭১ রান ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের।

এই ম্যাচে মোট ৯৯টি চার ও ১২টি ছক্কা হয়েছে, যা নারী ওয়ানডেতে দুটিই রেকর্ড। চার-ছক্কা মিলিয়ে মোট ১১১টি বাউন্ডারি হয়েছে, যা নারী ওয়ানডেতে এক ম্যাচে প্রথমবারের মতো ১০০ বাউন্ডারি স্পর্শ করার রেকর্ড। এর আগে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ চার ছিল ৮৩টি এবং সবচেয়ে বেশি ছক্কা ছিল ৮টি।


তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৭:৫৯:০৮
তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনকে ঘিরে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেট সংগঠক ও কাউন্সিলর। অভিযোগের তীর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়াঁ, বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালকের দিকে।

‘সরকারি হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না’

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তামিমসহ অন্যান্য ক্রিকেট সংগঠকরা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের অভিযোগের সারসংক্ষেপ হলো: সাংগঠনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে বিসিবি সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জেলা ও বিভাগে নিজেদের পছন্দমতো কাউন্সিলর মনোনীত করতে চাইছেন। মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবির পক্ষ থেকে জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেটের সংশ্লিষ্টদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তামিম বলেন, “বিসিবির সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এখানে সরকারি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে পরিবর্তন মেনে নেওয়া হবে না।”

‘রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে’

ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে বিসিবির কাউন্সিলর পদ পাওয়া বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, “বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ হলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।”

আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন, যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। এছাড়া, কমিশনে আছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব)।


এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা: মাশরাফি ও হাবিবুল বাশার সুমনের বিশ্লেষণ

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৪:৪৬:২৯
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা: মাশরাফি ও হাবিবুল বাশার সুমনের বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ, যা তাদের সামনে ফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বিশ্বাস করেন, এই ফাইনালে খেলাটা খুবই সম্ভব। তবে তিনি দলকে সঠিক পথে রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও দিয়েছেন।

পাঁচ বোলার অপরিহার্য

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৪ বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। সেই ম্যাচে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও সাইফ হোসেনের মতো অনিয়মিত বোলাররা ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে গিয়েছিলেন, যা বোলারদের ঘাটতিকে স্পষ্ট করে তুলেছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোর ম্যাচে বাংলাদেশ পাঁচ বোলার নিয়ে খেললেও নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান শেষ দিকে প্রচুর রান দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, “আমাদের পাঁচ বোলার অবশ্যই খেলাতে হবে। যেটা আজ শ্রীলঙ্কা মিস করেছে।”

বাংলাদেশের আরেক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনও একই সুরে কথা বলেন, “টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ বোলার অপরিহার্য। আমরা প্রায়ই চার বা সাড়ে চারজন বোলার নিয়ে খেলি, ঝুঁকিটা তখন থেকেই থাকে। ম্যানেজমেন্টই ভালো জানে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।”

‘ফাইনাল খুবই সম্ভব’

মাশরাফি বিশ্বাস করেন, এখান থেকে ফাইনাল খেলা খুবই সম্ভব। তিনি বলেন, “হৃদয়, সাইফ, মোস্তাফিজ, মেহেদী তোমাদের ধন্যবাদ। লিটনের জুটি, জাকেরের দুইটা চার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অভিনন্দন গোটা দলকে। এখান থেকে ফাইনালে যাওয়া অবশ্যই সম্ভব।”

বুধবার ভারতের বিপক্ষে এবং পরদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে। এই দুই ম্যাচের মধ্যে একটি জিতলেও বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা যথেষ্ট থাকবে।


মিলিতাওয়ের দূরপাল্লার গোল, এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশে রিয়ালের দাপট

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১১:৫৩:৫৭
মিলিতাওয়ের দূরপাল্লার গোল, এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশে রিয়ালের দাপট
ছবিঃ সংগৃহীত

লা লিগায় দারুণ ছন্দ ধরে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে এসপানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই জয় তুলে নিল লস ব্ল্যাঙ্কোস। এদিন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এদার মিলিতাও এবং ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত গোল দুই অর্ধে আলাদা করে দলকে জয় এনে দেয়।

এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আরও দৃঢ়ভাবে বসে গেল। পাঁচ ম্যাচে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন এসপানিওল ও বার্সেলোনার চেয়ে পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে। শিরোপাধারী বার্সেলোনা রবিবার গেটাফের বিপক্ষে খেলবে, হাতে রয়েছে একটি ম্যাচ।

ম্যাচের ২২ মিনিটে মিলিতাও অবিশ্বাস্য এক গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন। প্রায় ৩০ মিটার দূর থেকে নেওয়া তাঁর শক্তিশালী রাইট ফুট শট এসপানিওল গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচকে হতবাক করে জালে জড়ায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ কার্লিং শটে বল জড়ান পোস্টের নিচের বাঁ কোণে। এই গোলের পর ম্যাচে আর ফিরে আসতে পারেনি এসপানিওল।

রিয়ালের এই জয় শুধু অপরাজেয় ধারা ধরে রাখেনি, বরং শিরোপা লড়াইয়ের প্রাথমিক ধাপেই প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য সতর্কবার্তা ছুড়ে দিয়েছে। নতুন মৌসুমে দলের ছন্দ, মিলিতাওয়ের ডিফেন্সিভ দৃঢ়তা এবং এমবাপ্পের ধারাবাহিক ফর্ম রিয়াল সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিচ্ছে।

-হাসানুজ্জামান


এশিয়া কাপ: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১১:০৫:১৭
এশিয়া কাপ: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দূরত্ব সত্ত্বেও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মাঠে নামছে। আজ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে দুবাইয়ে এই দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।

গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। তবে সেই ম্যাচটি শুধু মাঠের লড়াইয়ের জন্য নয়, ম্যাচ রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণেও আলোচিত হয়েছিল।

পাইক্রফট বিতর্ক ও পাকিস্তানের সংবাদ সম্মেলন বয়কট

টসের আগে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগাকে ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে হাত না মেলাতে নিষেধ করেছিলেন। এই নির্দেশনার কারণে পাকিস্তান আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় এবং টুর্নামেন্ট বয়কটের হুমকিও দেয়। যদিও পরে পাকিস্তান আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামে, তবে ম্যাচ শুরু হয়েছিল এক ঘণ্টা দেরিতে।

আজকের ম্যাচের আগে পাকিস্তান আবারও সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দলের মধ্যকার লড়াইয়ে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।

দুই দলের শক্তি ও দুর্বলতা

মাঠের ক্রিকেটের হিসাব করলে ভারত ওমানের বিপক্ষে জয় পেলেও তাদের বেশ কিছু দুর্বলতা চোখে পড়েছে। ওমানের বাঁহাতি পেসার শাহ ফয়সালের বলে শুভমান গিল দ্রুত আউট হন এবং সঞ্জু স্যামসনকেও ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করতে দেখা যায়। এই দুর্বলতা পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির মতো বোলারদের জন্য একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।

তবে কাগজে-কলমে ভারতকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তাদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ, বোলিংয়ের গভীরতা এবং সাম্প্রতিক ভালো ফর্ম তাদেরকে ম্যাচের ফেভারিট হিসেবে চিহ্নিত করছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের পক্ষেও কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া পেস আক্রমণ, মানসিক চাপহীন অবস্থা এবং নিজেদের প্রমাণ করার তাগিদ তাদেরকে ম্যাচে এগিয়ে রাখতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, পাকিস্তান ক্রিকেট দল সবসময়ই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’—খারাপ ফর্মে থাকলেও নিজেদের দিনে যেকোনো প্রতিপক্ষকে তারা গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

তাই ক্রিকেটপ্রেমীরা আজ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকতেই পারেন।

পাঠকের মতামত: