ইশরাক-চাশত-আওয়াবীন: কোন সময় কত রাকাআত পড়বেন?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ০৮:৫৭:০৮
ইশরাক-চাশত-আওয়াবীন: কোন সময় কত রাকাআত পড়বেন?
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে নফল সালাতের বিশেষ কিছু সময় রয়েছে, যেগুলোতে ইবাদত করলে অশেষ ফযীলত অর্জন করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সালাতুল ইশরাক, সালাতুয যোহা (চাশত) এবং সালাতুল আওয়াবীন। অনেকেই এ তিনটি সালাতকে আলাদা আলাদা মনে করলেও প্রকৃতপক্ষে এগুলো একই নামাযের ভিন্ন ভিন্ন নাম মাত্র।

সালাতুল ইশরাক

‘ইশরাক’ অর্থ সূর্যোদয়। সূর্য উঠার প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর যে সালাত আদায় করা হয়, তাকে বলা হয় সালাতুল ইশরাক। এটি মূলত সালাতুয যোহার প্রারম্ভিক সময় হিসেবেই গণ্য হয়। হাদীসে এ নামাযকে অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ বলা হয়েছে।

একটি হাদীসে এসেছে—

“যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতে আদায় করে, তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকে এবং সূর্য ওঠার পর দুই রাকাআত সালাত আদায় করে, তার জন্য একটি হজ্জ ও একটি উমরার পূর্ণ সওয়াব লেখা হয়।” (তিরমিযী, সহিহ তারগীব ৪৬১)যদিও কিছু মুহাদ্দিস এ হাদীসকে যঈফ বলেছেন, তবে ইমাম আলবানী রহ. এটিকে সহীহ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।

সালাতুয যোহা বা চাশত

‘যোহা’ অর্থ পূর্বাহ্ন। সূর্যের আলো যখন তীব্র হয়, অর্থাৎ যোহরের প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পূর্বে এ সালাত আদায় করা উত্তম। ভারতীয় উপমহাদেশে একে চাশত নামেও ডাকা হয়।

সালাতুল আওয়াবীন

‘আওয়াবীন’ অর্থ আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীরা। সালাতুয যোহাকেই হাদীসে সালাতুল আওয়াবীন বলা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন:“সালাতুয যোহা কেবল সেই ব্যক্তি নিয়মিত আদায় করে, যে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। এটাই হলো সালাতুল আওয়াবীন।” (সহিহ ইবনে খুযাইমা; সহিহ তারগীব তারহীব ১/১৬৪)

আরও একটি হাদীসে যায়দ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন:“সালাতুল আওয়াবীনের সময় হলো তখন, যখন সূর্যের তাপে উটের বাচ্চাদের পা গরম হয়ে যায়।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৩১)

এ থেকে স্পষ্ট যে, সালাতুল আওয়াবীন বলতে মূলত সালাতুয যোহাকেই বোঝানো হয়েছে। যদিও অনেকেই মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী ছয় রাকাআত নফল সালাতকে সালাতুল আওয়াবীন বলে থাকেন, তবে উপরোক্ত হাদীসের আলোকে তা সঠিক নয়। মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে নফল সালাত পড়া অবশ্যই মুস্তাহাব, তবে তাকে সালাতুল আওয়াবীন বলা ভুল।

সালাতের সময়সীমা

ইশরাক বা যোহা নামায শুরু হয় সূর্য ওঠার প্রায় ১৫–২০ মিনিট পর থেকে। আর এর শেষ সময় হলো সূর্য মাথার উপরে উঠার আগ পর্যন্ত।

রাকাআতের সংখ্যা

এ সালাতের সর্বনিম্ন রাকাআত হলো দুই। তবে নবী (সা.) মক্কা বিজয়ের দিনে আট রাকাআত সালাতুয যোহা পড়েছিলেন। এর সর্বোচ্চ রাকাআত সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। মুসলিম শরীফে আমর ইবনে আবাসাহ (রা.)–এর দীর্ঘ হাদীসে নবী (সা.) বলেছেন, “সূর্য উঠা পর্যন্ত নামায থেকে বিরত থাকো। তারপর সূর্য ওঠার পর নামায আদায় করো। ফেরেশতারা এতে উপস্থিত থাকেন। এভাবে সূর্য মাথার উপর উঠার আগ পর্যন্ত তুমি ইচ্ছেমতো সালাত আদায় করতে পারো।”

অতএব, দুই রাকাআত থেকে শুরু করে ৪, ৬, ৮, ১০, ১২ কিংবা তার বেশি পড়া যায়। অর্থাৎ এটি সীমাহীন নফল ইবাদত।

সালাতুল ইশরাক, সালাতুয যোহা (চাশত) এবং সালাতুল আওয়াবীন- সবগুলো একই নামাযের ভিন্ন ভিন্ন নাম। এর ফযীলত ও সওয়াব বিশাল, বিশেষত ফজরের নামায জামাতে আদায়ের পর নিয়মিত ইশরাক সালাত আদায়কারী ব্যক্তি হজ্জ ও উমরার সমতুল্য সওয়াব লাভ করেন। ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী এ সালাতের সর্বোচ্চ রাকাআত নির্দিষ্ট না থাকায় এটি ইচ্ছেমতো আদায় করা যায়। এ নামায শুধু আত্মিক প্রশান্তি দেয় না, বরং মুমিনের আল্লাহর প্রতি অনাবিল প্রত্যাবর্তন ও ভক্তির প্রকাশ ঘটায়।

Holiday Village

২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ২১:২০:৩১
২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
Zahir Mosque – Kedah, Malaysia /ছবিঃ সংগৃহীত

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৩ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৪৭ মিনিটে (PM)।

( সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৭ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৩ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ২০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৬ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৬ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৮ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৮ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ২১:২৫:৫০
১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৩ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৪৭ মিনিটে (PM)।

(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৭ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৩ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৬ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৬ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৮ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৮ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


৪০-৪৫ দিনের রেণুবিন্দু: বিজ্ঞান বনাম কোরআন, গর্ভের শিশুর নিয়তি কখন লেখা হয়?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৯:২০:০১
৪০-৪৫ দিনের রেণুবিন্দু: বিজ্ঞান বনাম কোরআন, গর্ভের শিশুর নিয়তি কখন লেখা হয়?
ছবিঃ সংগৃহীত

মানব সৃষ্টির সূচনা কোনো কাকতালীয় প্রক্রিয়া নয়; এটি নির্ধারিত পরিকল্পনার এক নিখুঁত ধারাবাহিকতা। মায়ের গর্ভে যে রেণুবিন্দু জমা হয়, আল্লাহর নির্দেশে সেটিই ধীরে ধীরে এক জীবন্ত সত্তায় রূপান্তরিত হয়। হাদিসে মানবজীবনের প্রথম ধাপের চমৎকার একটি ধারাবিবরণী উঠে এসেছে।

গর্ভে ফেরেশতার আগমন ও নিয়তির লিখন

হুযাইফাহ্ ইবনু আসিদ (রা.) থেকে মারফু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত:

“জরায়ুতে চল্লিশ অথবা পঁয়তাল্লিশ দিন রেণু জমা থাকার পর সেখানে ফেরেশতা গমন করে। অতঃপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রভু! সে কি হতভাগ্য না সৌভাগ্যবান? তখন উভয়টাতে লিপিবদ্ধ করা হয়। তারপর সে বলতে থাকে, হে আমার রব! সে কি পুরুষ না মহিলা? তখন আদেশ অনুসারে উভয়টা লিপিবদ্ধ করা হয়। তার আমল, আচরণ, মৃত্যুক্ষণ ও জীবনোপকরণ লিপিবদ্ধ করা হয়। তারপর ফলকটিকে পেঁচিয়ে দেওয়া হয়। তাতে কোনো অতিরিক্ত করা হবে না এবং ঘাটতিও হবে না!” (মুসলিম, হাদিস : ২৬৪৪)

এই হাদিস মানবজীবনের প্রথম ধাপকে শুধু জীববৈজ্ঞানিক নয়, আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যায়ও পরিণত করেছে। আল্লাহ বলেন, “তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির নির্যাস থেকে, তারপর বীর্যবিন্দু থেকে, তারপর তিনি তোমাদের যুগল বানিয়েছেন।” (সুরা ফাতির : ১১)

নিয়তি ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক

হাদিস অনুযায়ী, ফেরেশতা চারটি বিষয়ে লিখে নেন: ১. সে সৌভাগ্যবান না হতভাগ্য, ২. সে পুরুষ না নারী, ৩. তার আমল বা কর্মপথ, ৪. তার মৃত্যুর সময় ও জীবনোপকরণ।

কর্মের মূল্য: এখানে প্রশ্ন ওঠে, সবকিছু যদি পূর্বনির্ধারিত হয়, তবে মানুষের আমলের মূল্য কী? ইমাম নববী (রহ.) বলেন, “এই হাদিস মানুষের কর্মকে অকার্যকর করে না; বরং বোঝায় যে, যে যেমন কাজ করবে, আল্লাহ তার জন্য সে পথ সহজ করে দেবেন।” (শরহে মুসলিম)

বিজ্ঞান ও ঐশী প্রশাসন: আধুনিক বিজ্ঞানে শিশুর লিঙ্গ নির্ধারিত হয় নিষেকের মুহূর্তে (জৈবিক প্রক্রিয়া)। অন্যদিকে ইসলাম ব্যাখ্যা করে ঐশী প্রশাসন (আল্লাহর আদেশে ফেরেশতার লিখন)। ইবনু হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, “ফেরেশতার এই লিখন কোনো নতুন সিদ্ধান্ত নয়, বরং পূর্বনির্ধারিত বিধান বাস্তবায়নের অংশ।” (ফাতহুল বারী, ১১/৪৮১)

অর্থাৎ বিজ্ঞান বলে ‘কীভাবে’ একটি মানবদেহ গঠিত হয়, আর হাদিস বলে ‘কেন’ ও কার ইচ্ছায় সেই সত্তার নিয়তি নির্ধারিত হয়। এভাবে হাদিস ও বিজ্ঞান পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং একে অন্যের ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ করে।

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব ও দায়িত্ব

পবিত্র কোরআন ঘোষণা করে, “আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে, তারপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নিকৃষ্টতম স্তরে, তবে তারা ব্যতিক্রম যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে।” (সুরা : আত-তীন, আয়াত : ৪–৬)। মানুষ তার নিয়তি লিখতে পারে না, কিন্তু নিজের কর্মের মাধ্যমে নিয়তিকে সম্মানিত করতে পারে। গর্ভের ফেরেশতা যখন সেই শিশুর ভবিষ্যৎ লিখে যায়, তখন থেকেই তার দায়িত্ব শুরু হয়—জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সেই লিখনের মর্যাদা রক্ষা করা।


১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ২১:৪৫:০২
১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪১ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে (AM) (জুমার নামাজ), আসর ০৩টা ৫৭ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।

(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৫ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৯ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০১ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:৪৫:৩২
জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?
ছবিঃ সংগৃহীত

জান্নাত ও জাহান্নাম ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জান্নাত ও জাহান্নামের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ছাড়া কোনো ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নামে দ্বাররক্ষী বা প্রহরী নিযুক্ত করবেন, যেন কেউ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করতে না পারে এবং জাহান্নাম থেকে বের হতে না পারে।

জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে বিশ্বাস

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হলো—জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে যা এসেছে, তা সত্য। ইমাম তহাবি (রহ.) বলেন, জান্নাত ও জাহান্নাম আল্লাহর এমন সৃষ্টি, যা কখনো ধ্বংস হবে না, কিন্তু তা (আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলির মতো) চিরন্তনও নয়। ইমাম আবু জুরআহ রাজি (রহ.)-এর মতে, জান্নাত ও জাহান্নাম এখনো বিদ্যমান।

জান্নাত ও জাহান্নামের প্রহরী কারা?

পবিত্র কোরআনে জান্নাত ও জাহান্নামের প্রহরীদের ‘খাজানাতু’ শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে, যার অর্থ প্রহরী ও রক্ষক। আলেমরা এ বিষয়ে একমত যে জান্নাত ও জাহান্নামের প্রহরী হবেন ফেরেশতারা।

জাহান্নামের প্রধান প্রহরী: পবিত্র কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে জাহান্নামের প্রধান প্রহরীর নাম ‘মালিক’। ইরশাদ হয়েছে, “তারা চিৎকার করে বলবে, হে মালিক! তোমার প্রতিপালক যেন আমাদের নিঃশেষ করে দেন। সে বলবে, তোমরা এভাবেই থাকবে।” (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭৭)

জান্নাতের প্রধান প্রহরী: জান্নাতের প্রধান প্রহরীর নাম কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। তবে তাঁর নাম ‘রিদওয়ান’ বলে প্রচলিত, যা ‘রিদা’ (সন্তুষ্টি) থেকে গৃহীত।

দরজা ও দ্বাররক্ষীর সংখ্যা

জাহান্নাম: পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে অনুমান করা যায়, জাহান্নামের প্রহরীর সংখ্যা হবে ১৯ জন (সুরা : মুদ্দাসির, আয়াত : ২৭-৩০)। আর জাহান্নামের দরজা হবে সাতটি। (সুরা : হিজর, আয়াত : ৪৩-৪৪)

জান্নাত: হাদিসে এসেছে, জান্নাতের দরজা আটটি। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭৬৫৭)

যেমন হবেন জান্নাতের প্রহরী

১. নির্দেশ পালনে কঠোর: তারা আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কাউকে জান্নাতে প্রবেশ করতে দেবেন না। জান্নাতে প্রবেশের আগে নবীজি (সা.)-এরও অনুমতির প্রয়োজন হবে। (সহিহ মুসলিম : ৩৭৪)

২. কোমল হৃদয়: জান্নাতের প্রহরীরা জান্নাতিদের প্রতি কোমল হৃদয় হবেন এবং জান্নাতে প্রবেশের সময় তাদের অভিনন্দন জানাবেন। (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৭৩)

৩. জান্নাতিদের ডেকে নেওয়া: জান্নাতের প্রহরীরা কিয়ামতের দিন জান্নাতিদের ডেকে নেবেন।

যেমন হবেন জাহান্নামের প্রহরী

১. নির্দেশ পালনে কঠোর: তারা আল্লাহর নির্দেশ পালনে অত্যন্ত কঠোর হবেন। (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)

২. নির্মম হৃদয়ের অধিকারী: তাদের হৃদয় হবে অত্যন্ত নির্মম। জাহান্নামিদের আর্তনাদ তাদের অন্তরে কোনো দয়ার উদ্রেক করবে না।

৩. আর্তনাদ উপেক্ষাকারী: জাহান্নামের প্রহরীরা জাহান্নামিদের আর্তনাদ ও আবেদনের প্রতি ভ্রুক্ষেপহীন হবেন। (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৫০)


১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ২১:৫৮:৩৮
১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪১ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৭ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।

( সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৫ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৯ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০১ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:৩৬:৪৪
আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
ছবি: পেক্সেলস

মুসলিম জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এটি এমন একটি জীবনব্যাপী সাধনা, যা বান্দার হৃদয়ে শান্তি, আত্মায় প্রশান্তি এবং জীবনে সুখ নিয়ে আসে। তবে এই পথে চলতে গিয়ে প্রায়ই মানুষের অসন্তুষ্টি, সমাজের চাপ এবং নিজের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে ছোট ছোট কাজে খাঁটি নিয়তের মাধ্যমেই অপার সাফল্যের দ্বার খুলে যায়।

আল্লাহর সন্তুষ্টি বনাম মানুষের সন্তুষ্টি

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে একজন মুসলিমকে প্রায়ই মানুষের অসন্তুষ্টির সম্মুখীন হতে হয়। রাসূল (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি মানুষের অসন্তুষ্টির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি তালাশ করে, আল্লাহ তাকে মানুষের বোঝা থেকে মুক্তি দেবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অসন্তুষ্টির মাধ্যমে মানুষের সন্তুষ্টি তালাশ করে, আল্লাহ তাকে মানুষের ওপর ছেড়ে দেবেন।” (তিরমিজি, হাদিস: ২৪১৪)

মানুষের সন্তুষ্টি অস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি চিরস্থায়ী ও সর্বোত্তম। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “দুনিয়ার জীবনের উপকরণ সামান্য, আর আখেরাত তাদের জন্য উত্তম যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।” (সুরা নিসা, আয়াত: ৭৭)

ক্ষতিগ্রস্ত আমল: রাসূল (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন যে ব্যক্তি মানুষের প্রশংসা ও সম্মানের জন্য শহীদ হয়েছে, জ্ঞান অর্জন করেছে বা দান করেছে—তাদের আমল বাতিল বলে গণ্য হবে, কারণ নিয়ত খাঁটি ছিল না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৯০৫)

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলো আমাদের জীবনে প্রয়োগ করা উচিত:

১. খাঁটি নিয়ত: প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা অপরিহার্য। খাঁটি নিয়ত হৃদয়কে শক্তিশালী করে এবং আল্লাহর কাছ থেকে সাফল্য আকর্ষণ করে।

২. আল্লাহর আদেশে দ্রুত সাড়া: আল্লাহর আদেশ পালনে কোনো অলসতা বা বিলম্ব করা উচিত নয়। (সুরা তাহা, আয়াত: ৮৪)

৩. নিজেকে উৎসর্গ করা: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৭)

৪. নেতিবাচক গুণাবলি পরিহার: রাগ, অহংকার, আত্মম্ভরিতা ও বড়াই পরিহার করা।

৫. সাধারণ নেয়ামতের শুকরিয়া: খাবার বা এক ঢোক পানি পানের জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৭৩৪)

৬. অল্পে সন্তুষ্ট থাকা: জীবনের প্রাপ্তিতে আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা।

৭. হালাল উপার্জন: হালাল উপার্জনের জন্য ক্লান্ত হয়ে রাত্রি যাপন করা।

৮. পিতামাতার সন্তুষ্টি: রাসূল (সা.) বলেছেন, “আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতামাতার সন্তুষ্টির মধ্যে রয়েছে।” (বায়হাকি, শু’আবুল ঈমান)

৯. তকদিরের প্রতি সন্তুষ্টি: আল্লাহর ভাগ্যলিপির প্রতি সন্তুষ্ট থাকা।


নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:২৯:২৯
নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
ছবিঃ সংগৃহীত

নামাজ চলাকালে কারও মোবাইল ফোন বেজে উঠলে তা ইমাম ও জামাতের মনোযোগ নষ্ট করে এবং অন্যদের খুশু-খুজু (নিবিষ্টতা) ভঙ্গ করে। এই পরিস্থিতিতে অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান—এ সময় মোবাইল বন্ধ করা যাবে কি না, নাকি নামাজ ভেঙে যাবে?

এক হাতে মোবাইল বন্ধ করা জায়েজ

ইসলামি শরিয়তে নামাজে অতি সামান্য ও প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুমতি দিয়েছে, যদি তা মনোযোগ নষ্ট না করে বা নামাজের মূল কাঠামো ভেঙে না দেয়। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.)-এর আমলে সাহাবিরা নামাজে সেজদার জায়গা থেকে কাঁকর সরিয়ে নিতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৪৬)।

ইমাম নববির মত: ইমাম নববি (রহ.) বলেন, “যদি কোনো কাজ স্বল্প হয় এবং ইবাদতের স্বভাব পরিবর্তন না করে, তবে তা নামাজ নষ্ট করে না।”

ফিকহি মতামত: হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী, যদি নামাজে হালকা নড়াচড়া (যেমন—এক হাতে মোবাইল বন্ধ করা) প্রয়োজনীয় কারণে হয়, তবে নামাজ বাতিল হয় না। (আল-ফাতাওয়া আল-হিন্দিয়্যা)।

অতএব, নামাজে একটি হাত নেড়ে মোবাইল সাইলেন্ট বা বন্ধ করা শরিয়তসম্মত ও অনুমোদিত কাজ, কারণ এটি অপ্রয়োজনীয় নয়; বরং ইবাদতের সংরক্ষণমূলক কাজ।

খুশু ও দায়িত্বশীলতার গুরুত্ব

কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, “নিশ্চয়ই মুমিনরা সফল হয়েছে, যারা নামাজে বিনম্রভাবে মনোযোগী।” (সুরা মুমিনুন, আয়াত: ১–২)।

অন্যের মনোযোগ রক্ষা: রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অন্যের নামাজ নষ্ট করে, সে অন্যায়ের কাজ করে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৭৫)। যদি কারও মোবাইল বেজে ওঠে এবং সে সেটি বন্ধ না করে, ফলে অন্যদের মনোযোগ নষ্ট হয়, তাহলে সে নামাজের শিষ্টাচারবিরুদ্ধ কাজ করছে।

সচেতনতা জরুরি: নামাজের আগে মোবাইল সাইলেন্ট বা ভাইব্রেটে রাখা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক এবং অন্যের ইবাদত রক্ষার একটি আদব।

যদি নামাজ চলাকালীন মোবাইল বেজে ওঠে, তাহলে আতঙ্কিত বা বিভ্রান্ত না হয়ে সংযতভাবে এক হাতে মোবাইল সাইলেন্ট বা বন্ধ করা উচিত, যাতে অন্যদের খুশু নষ্ট না হয়।


১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ২২:০০:৩৪
১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামীকাল বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪১ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৭ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।

( সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৫ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৯ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০১ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।

পাঠকের মতামত: