ডিবি প্রধান হারুনকে ‘জ্বীন’ ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: মামুন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ২১:৪২:১৫
ডিবি প্রধান হারুনকে ‘জ্বীন’ ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: মামুন
ছবি: সংগৃহীত

ডিবি’র তৎকালীন প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ‘জ্বীন’ বলে ডাকতেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া এক জবানবন্দিতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। সাবেক আইজিপি জানান, হারুন সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। আন্দোলন দমন, সমন্বয়কদের আটক এবং তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের মতো বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা ছিল অগ্রণী।

গোপন বৈঠক ও আন্দোলন দমনের পরিকল্পনা

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু হলে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়। এরপর ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতেই ধানমন্ডিতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ‘কোর কমিটি’র গোপন বৈঠক হতো।

সাবেক আইজিপির দাবি, এসব বৈঠকে আন্দোলন দমন ও সরকারের পক্ষে নানা নির্দেশনা দেওয়া হতো। বৈঠকে তিনি ছাড়াও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব টিপু সুলতান, এসবির প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, র‍্যাব মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ এবং আরও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকতেন।

আন্দোলন সমন্বয়কদের আটকের সিদ্ধান্ত

এক বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিজিএফআই এই প্রস্তাব দিলে তিনি এর বিরোধিতা করেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি তাতে রাজি হন। সমন্বয়কদের আটকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি প্রধান হারুনকে।

পরে ডিজিএফআই ও ডিবি যৌথভাবে সমন্বয়কদের আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এমনকি তাদের আত্মীয়স্বজনকেও ডিবিতে এনে চাপ প্রয়োগ করা হয়। চৌধুরী মামুন জানান, শেষ পর্যন্ত সমন্বয়কদের টেলিভিশনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয় এবং এই পুরো প্রক্রিয়ায় হারুনের ভূমিকা ছিল মূল।

/আশিক


রাজধানীর মৌচাকে মসজিদে অগ্নিকাণ্ড

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৯:৩১:৪৮
রাজধানীর মৌচাকে মসজিদে অগ্নিকাণ্ড
সিদ্ধেশ্বরী মসজিদের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট

রাজধানীর মৌচাক মার্কেট সংলগ্ন সিদ্ধেশ্বরী স্কুলের পাশে একটি মসজিদে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুন লাগার খবর আসে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পাওয়ার পরপরই দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

তবে, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।


খুলনা শিপইয়ার্ড সড়কে অভিনব প্রতিবাদ: ধানের চারা রোপণ ও লাল কার্ড

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৯:২১:৪০
খুলনা শিপইয়ার্ড সড়কে অভিনব প্রতিবাদ: ধানের চারা রোপণ ও লাল কার্ড
শিপইয়ার্ড সড়কের সংস্কারকাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করে নিসচা। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার শিপইয়ার্ড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত চালুর দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা শাখা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা সড়কের ওপর ধানের চারা রোপণ করে এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (কেডিএ) লাল কার্ড প্রদর্শন করে। এই কর্মসূচিতে খুলনার নাগরিক সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খানজাহান আলী (রূপসা সেতু) সেতুর পশ্চিম পাশে অবস্থিত শিপইয়ার্ড সড়কে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, খুলনা মহানগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়ক রূপসা ট্র্যাফিক মোড় থেকে খানজাহান আলী (র.) সেতু পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ১২ বছরেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এখানে বড় বড় গর্ত ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের গাফিলতি ও অনিয়মের কারণে সড়কের কাজ শেষ হয়নি। নিম্নমানের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সড়কটিতে এখন বড় বড় গর্তে পানি জমে আছে। বছরের পর বছর ধরে রাস্তার দুই পাশ খুঁড়ে ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বক্তারা বলেন, প্রকল্প ধীরগতি এবং ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও কেন ঠিকাদারকে প্রায় ৭০ কোটি টাকা দেওয়া হলো এবং তাদের কেন জবাবদিহির আওতায় আনা হলো না।

বক্তারা এই ব্যর্থতার জন্য কেডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সকে দায়ী করে বলেন, এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করতে হবে। তারা অবিলম্বে সড়কটির নির্মাণ কাজ পুনরায় চালুর দাবি জানান। অন্যথায়, কেডিএ এবং মাহবুব ব্রাদার্সের বাড়ি ঘেরাও করারও হুমকি দেন তারা।

কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর প্রতিষ্ঠাতা সরদার আবু তাহের এবং সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুখরিত দেশ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১৯:৫৬:০৪
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুখরিত দেশ
ছবি: কালের কণ্ঠ

আজ ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সোমবার সারা দেশে আলোচনাসভা, শোভাযাত্রা, র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

নরসিংদী

নরসিংদীতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনাসভা ও পরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি চিনিশপুর থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর

গাজীপুরে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। জেলা বিএনপির উদ্যোগে বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বিকেলে গাজীপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এতে সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকারসহ মহানগর বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাট

বাগেরহাটে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে তরুণদের পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে গড়ে ওঠার আহ্বান জানানো হয়। সেমিনার শেষে তিনজন শিক্ষার্থীকে বই উপহার দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে গাইবান্ধায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা পৃথক দুটি শোভাযাত্রা বের করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন। দুপুর ১টায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপর বিকেল ৫টায় সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের নেতৃত্বে আরেকটি খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নিমতলা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়।

পটুয়াখালী

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য শুভেচ্ছা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৪টায় শহরের সার্কিট হাউজ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে লঞ্চঘাটে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন।

ফরিদপুর

ফরিদপুরে জেলা ও মহানগর বিএনপি পৃথক পৃথকভাবে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। বিকেল ৫টার দিকে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির ব্যানারে একটি র‌্যালি বের হয়। এর কিছুক্ষণ পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপনের নেতৃত্বে আরেকটি র‌্যালি বের হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে জেলা পরিষদ চত্বরে কেক কাটার মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।


কোপানোর পর দুই শিক্ষার্থীকে ফেলে দেওয়া হয় ছাদ থেকে: চবিতে নারকীয় হামলা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ২১:২০:২৭
কোপানোর পর দুই শিক্ষার্থীকে ফেলে দেওয়া হয় ছাদ থেকে: চবিতে নারকীয় হামলা
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ছাত্রকে কোপানোর পর একটি বাসার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে একজন, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজু। এছাড়াও কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কে এবং ধানক্ষেতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে রামদা দিয়ে কোপানো হচ্ছে।

শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা টি-শার্ট পরা দুই শিক্ষার্থীকে সাত-আটজনের একটি দল ভবনের ছাদে মারধর করছে। হামলাকারীদের মধ্যে একজন রামদা দিয়ে তাদের কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয় এবং নিচে পড়ার পরেও ইট ছুড়ে মারা হয়।

অন্য এক মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের পাশে একটি ধানক্ষেতে এক শিক্ষার্থী বসে আছে। এ সময় তিন-চারজনের একটি দল রামদা নিয়ে তাকে আক্রমণ করে। ওই শিক্ষার্থীটি মাটিতে পড়ে গেলে তারা তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।

দুই মিনিটের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, টি-শার্ট পরা এক শিক্ষার্থীকে বাসার সামনের সড়কে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছে জোবরা গ্রামের এক বাসিন্দা। তার সঙ্গে থাকা আরেকজন লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিল।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, “আগেও অনেকবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধ হয়েছে। কিন্তু এভাবে রামদা দিয়ে গণহারে আক্রমণের ঘটনা এটিই প্রথম।” তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে রামদাসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের শনাক্ত করা হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শনিবার রাতে এক ছাত্রীকে দারোয়ান মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ পর্যন্ত অন্তত ১৮০ শিক্ষার্থী, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন এবং প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, তাদের পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।


জামালপুরে বিএনপির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ১৮:১৫:৪৬
জামালপুরে বিএনপির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরে বিএনপির সাবেক এক নেতাসহ তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। প্রাণনাশের ভয়ে তিনটি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে জামালপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ব ফুলবাড়িয়া এলাকার রোকসানা ইয়াছমিন দীপা এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে রোকসানা ইয়াছমিন দীপা জানান, জামালপুর শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের জন্য তাদের তিন পরিবারের মালিকানাধীন ভূমি ও স্থাপনার কিছু অংশ সরকার অধিগ্রহণ করেছে। এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে অধিগ্রহণ শাখা থেকে ২ কোটি ৬২ লাখ টাকার একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ভূমির মালিকানা না থাকা সত্ত্বেও বিএনপির সাবেক নেতা আনোয়ার হোসেন এবং তার দুই ভাই সাজু ও রাজু, ক্ষতিপূরণের টাকার অংশ হিসেবে তাদের কাছে এক কোটি টাকা দাবি করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বর্তমানে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এ সময় তিনি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপির সাবেক নেতা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অধিগ্রহণ করা জমি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। তাই ক্ষতিপূরণের টাকা তাদেরই প্রাপ্য।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পরীক্ষা স্থগিত, সেনা মোতায়েন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ১০:৪৯:২৬
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পরীক্ষা স্থগিত, সেনা মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার দিবাগত রাতেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে, তবে নিয়মিত ক্লাস চালু থাকবে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ভাড়া বাসায় প্রবেশের সময় ভবনের দারোয়ানের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং তাকে মারধরের শিকার হতে হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয় এবং স্থানীয়রা মাইকে ডেকে আরও মানুষ জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

হতাহতের ঘটনা

সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে দুজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন, অন্যদের লাঠি, কাঠ ও ইটপাটকেলের আঘাত লেগেছে। তিনি বলেন, এত বিপুলসংখ্যক আহত শিক্ষার্থী একসঙ্গে আগে আসেননি, ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ৩৬ জন আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা নিতে দেখেছেন। তাঁদের মধ্যে চক্ষু বিভাগে একজন, নিউরোলজিতে তিনজন ভর্তি আছেন, আরেকজনের পা ভেঙে গেছে।

কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এত শিক্ষার্থী আহত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ আরিফ জানান, উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

বর্তমান অবস্থা

ক্যাম্পাসে এখনো সেনাবাহিনী অবস্থান করছে। সহ–উপাচার্য জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেন নিয়মিত সূচি অনুযায়ী চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।


মা-মেয়েকে অজ্ঞান করতে গিয়ে ধরা, নিজ জুসেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির সদস্য

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩০ ২২:১৮:১৮
মা-মেয়েকে অজ্ঞান করতে গিয়ে ধরা, নিজ জুসেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির সদস্য
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসে জুস খাইয়ে মা-মেয়েকে অজ্ঞান করে অলংকার লুটের চেষ্টার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন সহযাত্রীরা। জুস পান করতে বাধ্য করার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন সেই ব্যক্তি। শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঠাকুরগাঁওয়ের করনাই এলাকার কৌশলা রাণী (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮) এবং অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়াকে উদ্ধার করেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ।

যেভাবে ধরা পড়ল অজ্ঞান পার্টির সদস্য

জানা গেছে, কৌশলা রাণী তার মেয়ে বীথি রানীকে নিয়ে দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেনের ‘ঝ’ বগির ৭৮ ও ৭৯ নম্বর সিটে তারা বসেছিলেন। ৭৭ নম্বর সিটের যাত্রী ফুল মিয়া আলাপের একপর্যায়ে কৌশলা ও বীথিকে জুস পান করিয়ে অজ্ঞান করে কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম ঘটনাটি দেখে ফুল মিয়াকে আটক করেন।

অন্যান্য যাত্রীদের চাপের মুখে ফুল মিয়াকে তার নিজের তৈরি বোতলে থাকা অবশিষ্ট জুস পান করতে বাধ্য করা হয়। জুস পান করার পর তিনি নিজেও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ট্রেনটি সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে রেলওয়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পুলিশের বক্তব্য

আটক হওয়া ফুল মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর এলাকার মো. আব্দুস সামাদের ছেলে। সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ-উন নবী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি সুস্থ হলে তাকে নীলফামারী আদালতে পাঠানো হবে।

/আশিক


সবার সক্রিয় সমর্থন চাই: ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাছে তারেক রহমানের আহ্বান

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩০ ২০:২৭:০৯
সবার সক্রিয় সমর্থন চাই: ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাছে তারেক রহমানের আহ্বান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেই নির্বাচনে তিনি সবার সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা চান। বিএনপি ঘোষিত সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে দল, মত, ধর্ম-বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। শনিবার (৩০ আগস্ট) ময়মনসিংহ নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ‘ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশ-২০২৫’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এই সমাবেশ যেন পাহাড় বা সমতলে বসবাসকারীদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকনির্দেশক হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।” তিনি গারো, হাজং, ক্ষত্রিয়, সাঁওতাল, মালো, খাসিয়া ও মনিপুরিসহ সমতলের সকল জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান।

তারেক রহমান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার আমলে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আলোচনার স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ১৯৭৬-৭৭ সালে এসব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন দাবি সফল করেছিলেন। সেই সময় জিয়াউর রহমান বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনও গঠন করেন। তিনি আরও জানান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্র হোস্টেল, উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা এবং সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগও জিয়াউর রহমান করে দিয়েছিলেন। তার মতে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একটি নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যারা বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক, তাদের প্রথম ও প্রধান পরিচয় হলো ‘বাংলাদেশি’। তিনি বলেন, “বিএনপি বিশ্বাস করে বাংলাদেশ শুধু বাঙালির নয়, এটি ভিন্ন ভাষাভাষী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বৈধভাবে বসবাসকারী সবার।” একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “সকলের অধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মকে সমুন্নত রাখতে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটিতে যোগ্য নেতাদের বিএনপিতে স্থান দেওয়া হবে।” এছাড়াও, শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য বিভিন্ন ট্রাস্ট গঠন এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক লোনের ব্যবস্থাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, “ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য প্রত্যয়নপত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করা অত্যন্ত জটিল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করবে।”

তিনি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফার ১৬তম দফার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পাহাড়ে ও সমতলে বসবাসকারী সকল জাতিগোষ্ঠীর সব নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার এবং সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ভয়াবহ ও দানবীয় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।” তিনি বলেন, “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং জাতিগোষ্ঠীর কাউকে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলা যাবে না। আমরা সবাই বাংলাদেশি। তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফায় বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশা ও ধর্ম-বর্ণের মানুষের কথা বলা হয়েছে। আমরা সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছি।”

এই সমাবেশটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একদল তরুণ শিল্পী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

/আশিক


পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলতেই ৩২ বস্তা টাকা, এবার রেকর্ড ভাঙার আশা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩০ ১২:৩৩:০০
পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলতেই ৩২ বস্তা টাকা, এবার রেকর্ড ভাঙার আশা
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্স চার মাস ১৮ দিন পর খোলা হয়েছে। এতে পাওয়া গেছে ৩২ বস্তা টাকা। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান এবং পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এরপর টাকাভর্তি বস্তাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে গণনা শুরু হয়েছে।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল ১১টি দানবাক্স থেকে ২৮ বস্তা টাকা গণনা করে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তখন বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা, সোনা-রূপার অলঙ্কার এবং মনোবাসনা পূরণের আকুতি জানানো অসংখ্য চিরকুট পাওয়া গিয়েছিল। এবারও সেই একই ধরনের চিরকুট পাওয়া গেছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষের আশা, এবার টাকার পরিমাণ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

অনলাইন ও অন্যান্য অনুদান

গত ৪ জুলাই থেকে ভক্তদের জন্য একটি ডোনেশন ওয়েবসাইটও চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, শুক্রবার পর্যন্ত সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। দানবাক্স ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া এসব টাকা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসাবে জমা রাখা হয়। জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনুদানের জন্য একটি বাংলা ওয়েবসাইটও খোলা হবে।

টাকা গণনার কাজে দু’টি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং রূপালী ব্যাংকের স্টাফসহ মোট ৪১০ জন মানুষ অংশ নিয়েছেন। তারা টাকাগুলো মূল্যমান অনুযায়ী আলাদা করছেন এবং ব্যাংকের কাউন্টিং মেশিনে গণনা করে ১০০টির পৃথক বান্ডেল তৈরি করছেন।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্স খোলার নিয়ম থাকলেও এইচএসসি পরীক্ষাসহ নানা কারণে এবার চার মাস ১৮ দিন পর বাক্সগুলো খোলা হলো। তিনি আরও জানান, দানবাক্সের বাইরেও মানতকারীরা বিভিন্ন গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, কবুতর, দুধ এবং শাকসবজিও দান করেন। এগুলো প্রতিদিন বিকেলে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করে মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হয়।

মসজিদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

জেলা প্রশাসক জানান, এখন পর্যন্ত মসজিদের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৯১ কোটি টাকা জমা আছে। পাগলা মসজিদের সাড়ে ৫ একর জায়গার পাশাপাশি আরও কিছু জায়গা কেনা হবে। এখানে একটি ১০ তলা মাল্টিপারপাস মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে এবং এর ডিজাইন করার জন্য বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

/আশিক

পাঠকের মতামত: