কেরানীগঞ্জের চার লেন সড়কে দখলদারদের দাপট, ৬০ ফুটজুড়ে চলছে রমরমা অবৈধ বাণিজ্য

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৬ ১৬:১৯:১৫
কেরানীগঞ্জের চার লেন সড়কে দখলদারদের দাপট, ৬০ ফুটজুড়ে চলছে রমরমা অবৈধ বাণিজ্য

সত্য নিউজ:কেরানীগঞ্জের কদমতলী চার লেন সড়কের ৯০ ফুট প্রশস্ততার মধ্যে ৬০ ফুটজুড়ে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত দোকান ও ভ্যান। ফলে পথচারী ও যানবাহনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে মাত্র ৩০ ফুটজুড়ে, সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ।

সড়কটি বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মিলেছে। এ সড়কটি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক জেলায় যাতায়াত হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগপথটির শুরুর প্রায় ২০০ মিটারজুড়ে প্রতিনিয়ত চলে দখল বাণিজ্য।

সড়কের দুপাশজুড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে কাপড়, জুতা, ফল, খেলনা ও মোবাইল সামগ্রীর পসরা সাজানো হয়েছে। দোকান বসানো হয়েছে ড্রেনের ওপরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নাম ভাঙিয়ে প্রতিদিন ভ্যান ও দোকানিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কদমতলী গোলচত্বর থেকে সৈমন্তি টাওয়ার পর্যন্ত এলাকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৭০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন যুবদলের কর্মী তারিক ইসলাম ও মর্জিনা বেগম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতেও মর্জিনাকে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে। অন্যদিকে তানাকা ফিলিংস্টেশন থেকে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পর্যন্ত প্রতিটি দোকান থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন আলমগীর হোসেন।

এছাড়া অবৈধ সিএনজি ও মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড থেকেও প্রতিদিন গাড়িপ্রতি ৫০ টাকা করে আদায় করছেন লোকমান হোসেন ও শহিদ মিয়া। স্থানীয়রা জানান, আগে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাসেল মেম্বার এসব চাঁদা তোলার কাজ করতেন, বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপি-অংশীয় কিছু ব্যক্তি।

চাঁদা আদায় নিয়ে অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে বছরের পর বছর ধরে এই চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য চলছে।

বিএনপির জিনজিরা ইউনিয়ন সভাপতি মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা জেলা দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, অবৈধ দখল উচ্ছেদ করলেও পুনরায় দোকান বসে যায়। মোবাইল কোর্ট না থাকায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দখলদাররা সংঘবদ্ধভাবে বাধাও দেয় বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত