বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ২১:৫৭:৩৭
 বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর 
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মাগুরার নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বলেন, গত স্বৈরাচার সরকারের সময় হাজারো মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। সেই সময় হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব অপরাধে জড়িতদের বিচারের দাবি দৃঢ় করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ সবখাতে হতে হবে। সঠিক সংস্কারের মাধ্যমে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিতে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে সরকার গঠন সম্ভব হয়, যেখানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ উপেক্ষিত থাকেন। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব দলের সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং কেউ স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিস্ট হতে পারবে না।

সমাবেশে তিনি বিএনপির কিছু নেতার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বড় রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা-কর্মী নিজেদের মধ্যে কোন্দলে লিপ্ত, চাঁদাবাজি ও অংশিদারিত্ব নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয় এবং নির্বাচনও হতে দেওয়া যাবে না।’

মাগুরা জেলা শাখার আয়োজিত এ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলার আমির মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিলুপ্ত কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির জানান, আসন্ন নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ভোট একত্রিত করার প্রচেষ্টা চলছে।

সমাবেশ শেষে মাগুরা-১ আসনে নাজিরুল ইসলাম এবং মাগুরা-২ আসনে মোস্তফা কামালকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সন্ধ্যায় এক মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

/আশিক


অত্যন্ত জটিল ও সংকটময় মুহূর্তে খালেদা জিয়া

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ০৮:৩৮:৫৮
অত্যন্ত জটিল ও সংকটময় মুহূর্তে খালেদা জিয়া
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত স্থিতিশীল নয় এবং তিনি এক সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এই তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে, বেগম জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির বিশেষ কোনো উন্নতি হয়নি এবং তিনি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

এর আগে রাতে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফেরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তাঁরা দীর্ঘ সময় বেগম খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে অবস্থান করেন এবং তাঁর চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন। ডা. জাহিদ জানান, গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি ঘটে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় তাঁকে সাধারণ কেবিন থেকে দ্রুত সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের দেশি-বিদেশি মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিকভাবে তাঁর চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

চিকিৎসক জাহিদ হোসেন আরও বলেন যে, তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে বেগম জিয়ার আরোগ্যের জন্য বিশেষভাবে দোয়া চাওয়া হয়েছে। দেশবাসী এবং চিকিৎসক-নার্সদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভালোবাসার জন্য তারেক রহমান সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একই সাথে হাসপাতালে অন্য রোগীদের চিকিৎসার যেন কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে, সে বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

বর্তমানে বেগম জিয়ার লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা ধরা পড়েছে বলে মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। ডা. জাহিদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে, আল্লাহ যদি মেহেরবানি করেন এবং চিকিৎসা সঠিক পথে এগোয়, তবে এই সংকটকাল কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে পুরো দেশ, এবং তাঁর দ্রুত সুস্থতার কামনায় সারা দেশে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।


এনসিপি কি দুই ভাগ হচ্ছে: জামায়াত জোট ঠেকাতে ৩০ নেতার কঠোর বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ২১:৩০:৫১
এনসিপি কি দুই ভাগ হচ্ছে: জামায়াত জোট ঠেকাতে ৩০ নেতার কঠোর বার্তা

নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ৮ দলীয় জোটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে দলটির ভেতরেই এখন আগ্নেয়গিরির মতো অসন্তোষ ফেটে পড়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এক যৌথ চিঠির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন প্রভাবশালী সদস্য এই জোটের বিরুদ্ধে তাঁদের স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, নুসরাত তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এবং কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসাইনসহ আরও অনেকে। তাঁদের মতে, জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ হওয়া মানেই এনসিপির ঘোষিত আদর্শ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতার সাথে বেইমানি করা।

চিঠিতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। নেতারা দাবি করেছেন, গত এক বছর ধরে জামায়াত-শিবির অন্যান্য দলের ভেতরে গুপ্তচরবৃত্তি ও স্যাবোটাজ চালিয়েছে। এমনকি এনসিপি ও তাদের ছাত্রসংগঠনের নারী সদস্যদের চরিত্র হনন এবং অনলাইন ফোর্সের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর মতো নিকৃষ্ট কাজও করেছে তারা। এছাড়া একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা এবং গণহত্যার সহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখ করে নেতারা বলেন, এমন কোনো দলের সাথে জোট গঠন এনসিপির গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক।

বিক্ষুব্ধ নেতারা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বারবার ৩০০ আসনে এককভাবে লড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় হাজার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে ইতিমধ্যে ১২৫ জন প্রার্থীও ঘোষণা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মাত্র কয়েকটি আসনের লোভে জামায়াতের মতো দলের সাথে সমঝোতা করাকে তাঁরা 'জাতির সঙ্গে প্রতারণা' বলে অভিহিত করেছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, জোটের খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দলের মধ্যপন্থী সমর্থক ও নতুন প্রজন্মের কর্মীরা এনসিপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।

নেতৃত্বের এই বিশাল অংশের আপত্তির ফলে এনসিপি এখন বড় ধরনের ভাঙনের মুখে পড়েছে। চিঠিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, নীতিগত অবস্থান বিসর্জন দিয়ে কোনো কৌশলগত জোট গ্রহণ করা হবে না। রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর আশঙ্কায় ৩০ জন নেতা আহ্বায়ককে অনুরোধ করেছেন যাতে জামায়াতের সাথে কোনো ধরনের রাজনৈতিক জোটে না যাওয়ার বিষয়ে দ্রুত স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া হয়। এখন দেখার বিষয়, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই ৩০ নেতার দাবি মেনে নিয়ে একক লড়াইয়ের পথে ফেরেন, নাকি জামায়াত জোটের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন।


গোপালগঞ্জের নৌকার ১৭ মাঝি এখন ধানের শীষের সারথি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ২১:১৩:৩৭
গোপালগঞ্জের নৌকার ১৭ মাঝি এখন ধানের শীষের সারথি
ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এক নজিরবিহীন রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটেছে। সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পিঞ্জুরী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১৭ জন নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে আস্থা রেখে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বিএনপিতে যোগ দেওয়া উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন— আবুল কাসেম, রাজিব শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, সদানন্দ বৈদ্য, স্বপন বৈদ্য, শ্রীনাথ বৈদ্য, সুশান্ত বৈদ্য, নীলকন্ঠ দেড়রী, ধলু বৈদ্য, লায়েক শেখ, শাহিন শেখ, জসিম শেখ, রফিক শেখ, রসুল শেখ, খোকন শেখ এবং হাবি শেখ। যোগদান অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার ও সভাপতি ইউসুফ আলী দাড়িয়াসহ স্থানীয় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তাঁদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন।

আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসা নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন যে, তাঁরা স্বেচ্ছায় এবং দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা আগামীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এস এম জিলানীর হাতকে শক্তিশালী করতে মাঠপর্যায়ে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে মন্তব্য করেন যে, কোটালীপাড়ায় আরও অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদানের অপেক্ষায় রয়েছেন, যা আগামী নির্বাচনে বিএনপির অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, গোপালগঞ্জের মতো জেলায় আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে এভাবে নেতাকর্মীদের বিএনপিতে চলে যাওয়া শাসক দলটির স্থানীয় সাংগঠনিক দুর্বলতাকে স্পষ্ট করছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই দলবদল কোটালীপাড়ার নির্বাচনী সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। নবাগত এই ১৭ কর্মীর যোগদানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি শিবিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।


কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন তাসনিম জারা: নিজেই জানালেন নেপথ্য কারণ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ২০:২০:১৪
কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন তাসনিম জারা: নিজেই জানালেন নেপথ্য কারণ
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এক দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটের হয়ে লড়বেন না। বরং খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯ আসনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দলীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে তিনি ‘বাস্তবিক প্রেক্ষাপট’ ও ‘নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি’ গড়ার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর এই ঘোষণা এনসিপি ও জামায়াত জোটের বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির এক নতুন প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, ঢাকা-৯ আসনের অন্তত ৪ হাজার ৬৯৩ জন ভোটারের সমর্থনযুক্ত স্বাক্ষর প্রয়োজন। আগামীকাল থেকেই তাসনিম জারা এই স্বাক্ষর সংগ্রহের বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করতে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শক্তি ও কর্মী বাহিনী তাঁর পাশে থাকবে না, তাই সাধারণ ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই এখন তাঁর একমাত্র ভরসা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপও খুলেছেন, যেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো তাঁর নির্বাচনী তহবিলের স্বচ্ছতা। কিছুদিন আগে তিনি এনসিপির প্রার্থী হিসেবে যে ফান্ডরেইজিং করেছিলেন, সেখান থেকে পাওয়া অর্থ তিনি ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, যেহেতু তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন (স্বতন্ত্র হিসেবে লড়া), তাই যারা ডোনেট করেছিলেন তাঁরা চাইলে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে তাঁদের অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। রাজনীতির মাঠে টাকার অঙ্কের চেয়ে আদর্শ ও নৈতিকতাকে প্রাধান্য দেওয়ার এই নজির ইতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তাসনিম জারা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, খিলগাঁওয়েই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা এবং তিনি এলাকার মানুষের সেবা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালানো ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করা চ্যালেঞ্জিং হবে, তবুও তিনি তাঁর সততা ও নিষ্ঠার ওপর ভর করে ভোটারদের ভালোবাসা পাবেন বলে আশাবাদী। এনসিপি বা জামায়াত জোটের সাথে তাঁর বর্তমান সম্পর্ক কোন পর্যায়ে আছে, সে বিষয়ে তিনি সরাসরি কিছু না বললেও তাঁর এই ‘একা পথ চলা’ দেশের নির্বাচনী ময়দানে এক নতুন রোমাঞ্চের সৃষ্টি করেছে। আগামীকালের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিই বলে দেবে ঢাকা-৯ আসনের মানুষ তাঁদের ‘ঘরের মেয়ে’র পাশে কতটা আছেন।


চট্টগ্রামের ৩ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত চমক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১৯:১৫:৫৬
চট্টগ্রামের ৩ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত চমক
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রণকৌশল সাজাতে চট্টগ্রামের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১১ এবং চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় সমীকরণ ও মাঠের বাস্তবতা বিবেচনায় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছে দলের উচ্চ পর্যায়। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে বন্দরনগরীতে দলীয় কোন্দল মিটিয়ে একযোগে নির্বাচনী মাঠে নামার ইঙ্গিত দিচ্ছে দলটি।

সবচেয়ে বড় চমক এসেছে চট্টগ্রাম-১০ আসনে। এখানে ধানের শীষের কান্ডারি করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তুর্যকে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকায় তুর্যের ওপরই আস্থা রেখেছে হাই কমান্ড। যদিও চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রভাবশালী নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই আসনটি তাঁর ছেলে ইস্রাফিল খসরুর জন্য চেয়েছিলেন, কিন্তু জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে শেষ পর্যন্ত নোমান তনয় তুর্যকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাঁর নিজের পুরনো দুর্গ চট্টগ্রাম-১১ আসনেই পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৪ তথা সীতাকুণ্ড আসনে দেখা গেছে নাটকীয় মোড়। গত ৩ নভেম্বর এই আসনে কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে আসলাম চৌধুরীর সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবং আসলাম চৌধুরীর বিশাল ত্যাগ ও কারাবরণকে সম্মান জানিয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। ভাটিয়ারীর নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি দলীয় মনোনয়নের চিঠি হাতে নেন এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

দলীয় সূত্রের দাবি, এই তিন আসনে প্রার্থী পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি আরও সুসংহত হবে। বিশেষ করে আবদুল্লাহ আল নোমানের উত্তরাধিকার হিসেবে তুর্যের আগমন এবং অভিজ্ঞ আমির খসরুর সাথে আসলাম চৌধুরীর সমন্বয় চট্টগ্রামের নির্বাচনী মাঠে ধানের শীষকে নতুন গতি দেবে। মনোনয়ন নিয়ে প্রাথমিক যে অসন্তোষ ছিল, চূড়ান্ত এই তালিকার পর তা কেটে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় জ্যেষ্ঠ নেতারা। এখন বন্দরনগরীজুড়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি শুরু করেছেন প্রার্থীরা।


গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে বিএনপিতে রাশেদ খাঁনের নাটকীয় যোগদান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১৫:২১:৪৩
গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে বিএনপিতে রাশেদ খাঁনের নাটকীয় যোগদান
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের রাজপথের লড়াই ও আন্দোলনের সঙ্গী গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিতে যোগদান করেছেন। দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশেদ খাঁন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

দলীয় বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলগুলোর সাথে আসন সমঝোতার অংশ হিসেবে বিএনপি রাশেদ খাঁনের জন্য ঝিনাইদহ-৪ আসনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা এবং তরুণ ভোটারদের মাঝে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাকে পুঁজি করেই বিএনপি এই কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ বিএনপিতে যোগদানের আগে রাশেদ খাঁন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর এই দলবদলকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

নিজের পদত্যাগপত্রে রাশেদ খাঁন উল্লেখ করেছেন যে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘ সময় তিনি রাজপথের সহযোদ্ধা হিসেবে রাজনীতি করেছেন। ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করলেও আন্দোলনের দীর্ঘদিনের বন্ধুদের সাথে তাঁর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বিএনপিতে যোগদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি যে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেই শক্তির সাথে একাত্ম হয়ে তিনি জনগণের সেবা করতে চান। ঝিনাইদহ-৪ আসনের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই তাঁর মূল লক্ষ্য।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে রাশেদ খাঁনের মতো তরুণ ও উদীয়মান নেতার বিএনপিতে যোগদান দলটিকে ভোটের মাঠে অতিরিক্ত সুবিধা দেবে। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ রাশেদ খাঁনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বিএনপির হাইকমান্ড মনে করছে যে ধানের শীষ প্রতীকে রাশেদ খাঁনের লড়াই ঝিনাইদহ এলাকায় দলটির অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি তাঁর মনোনয়ন দাখিলের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে জানা গেছে।


সংসদ নির্বাচনে লড়তে আর বাধা নেই তারেক রহমানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১৫:১১:৪৯
সংসদ নির্বাচনে লড়তে আর বাধা নেই তারেক রহমানের
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের নাগরিকত্বের পূর্ণতা এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দুপুর ১টায় তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে উপস্থিত হন। সেখানে অত্যন্ত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তিনি নিজের আঙুলের ছাপ, আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং প্রয়োজনীয় বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর বিদেশে অবস্থানের কারণে তিনি দেশের বর্তমান ছবিসহ ভোটার তালিকায় ছিলেন না, যা আজ পূর্ণ হলো।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে তিনি ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন এবং সরাসরি ধানমন্ডিতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে তারেক রহমানের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই শেষে সর্বোচ্চ একদিনের মধ্যেই তাঁর এনআইডি কার্ড ইস্যু করা হতে পারে। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ভোটার হওয়া একটি আবশ্যিক শর্ত এবং তারেক রহমান সেই শর্ত পূরণ করতেই আজ দ্রুততার সাথে এই কাজ সম্পন্ন করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ২৯ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁর পৈতৃক এলাকা বগুড়া-৬ (সদর) আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। বগুড়ার স্থানীয় নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন এবং আজ ভোটার হওয়ার খবরের পর সেখানে আনন্দের জোয়ার বইছে। তবে তিনি আরও কোনো আসন থেকে প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো ঘোষণা আসেনি।

তারেক রহমানের এই ভোটার হওয়ার বিষয়টি দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এক-এগারো পরবর্তী সময়ে দেশ ছাড়ার পর এবারই প্রথম তিনি রাষ্ট্রীয় কোনো নথিতে নিজের নাম ও তথ্য যুক্ত করলেন। ২৯ ডিসেম্বরের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই এনআইডি হাতে পেয়ে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। আজ আগারগাঁও এলাকায় তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ ও বিএনপি সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।


জোটের গলার কাঁটা দুই সাবেক উপদেষ্টা: জামায়াত-এনসিপি দরকষাকষিতে নতুন মোড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১১:৪৪:০৫
জোটের গলার কাঁটা দুই সাবেক উপদেষ্টা: জামায়াত-এনসিপি দরকষাকষিতে নতুন মোড়
ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক দুই হেভিওয়েট উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে নারাজ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত নেতাদের মতে, এই দুই সাবেক উপদেষ্টাকে জোটের ছায়ায় প্রার্থী করলে তাঁদের সরকারের সময়কার নানাবিধ ‘বিতর্কিত’ কাজের দায়ভার জোটের ওপর বর্তাবে। বিশেষ করে আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা থাকাকালীন জামায়াত ও এর আদর্শিক গুরু মওদুদীর মতবাদ নিয়ে একাধিকবার আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। ফলে তাঁকে জোটের মনোনয়ন দিলে দলীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছে জামায়াত।

এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, দুই সাবেক উপদেষ্টাকে ছাড়াই তারা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় না। মাহফুজ ও আসিফও নিজেদের প্রার্থিতা ও দলে জোরালো অবস্থান নিশ্চিত করা ছাড়া জোটে যেতে আগ্রহী নন। এই টানাপোড়েনের মাঝে এনসিপির ভেতরেও বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিনসহ অন্তত পাঁচজন নারী নেত্রী ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতের সাথে জোট বাঁধার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এনসিপি তারুণ্যের রাজনীতির স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে জামায়াতের স্বার্থ রক্ষা করছে।

এদিকে আসন বণ্টন নিয়ে জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে ৩০টি আসন নিয়ে সমঝোতা চললেও এনসিপি অন্তত ৫০টি আসন দাবি করছে। জামায়াতের শর্ত হলো, ছেড়ে দেওয়া আসনের বাইরে এনসিপি কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী দিতে পারবে না। অন্যদিকে, এনসিপির জোটসঙ্গী এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মাঝেও এই জোট নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম মনে করছেন যে এনসিপি ও এবি পার্টি জোটের মূল আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিচ্ছে না।

জামায়াতের আপত্তির মুখে আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তিনি প্রথমে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে, তবে বিএনপি তাতে সায় দেয়নি। অন্যদিকে, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন এবং মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসও আসন ভাগাভাগি নিয়ে জামায়াতের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ইসলামী আন্দোলন অন্তত ১০০টি আসন দাবি করলেও জামায়াত তাদের ৩০-৩৫টির বেশি দিতে রাজি নয়। এই জটিল সমীকরণের সমাধান খুঁজতে আজ শনিবার আট দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


হাদির কবর জিয়ারতে তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১১:৪০:১২
হাদির কবর জিয়ারতে তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ‘শহীদ’ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেছেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সরাসরি আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের দিকে রওনা হয়েছেন। সেখানে তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে ভোটার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত যাবতীয় দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করবেন। ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির সময় বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি ভোটার হতে পারেননি, যা দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারেক রহমান তাঁর পৈতৃক এলাকা বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করবেন এবং ইতিমধ্যে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে যে তিনি ঢাকার গুলশান-বনানী সংলগ্ন ঢাকা-১৭ আসন থেকেও প্রার্থী হতে পারেন। যদিও ওই আসনটি জোটের শরিক আন্দালিব রহমান পার্থের জন্য ছেড়ে দেওয়ার একটি আলোচনাও দলে বিদ্যমান। উল্লেখ্য যে নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রার্থী হতে পারবেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ২৯ ডিসেম্বর।

তারেক রহমানের এই ভোটার হওয়া এবং নির্বাচনী আসনে লড়াই করার বিষয়টি বিএনপির রাজনীতিতে এক নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। আজ আগারগাঁও এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল যে আইনের বিশেষ ক্ষমতাবলে তারা যেকোনো যোগ্য নাগরিককে যেকোনো সময় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আজ তারেক রহমানের নাগরিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

দিনের শেষভাগে তারেক রহমানের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে। ভোটার নিবন্ধন শেষে তিনি শেরেবাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালে যাবেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে। তাঁদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তিনি আজ তাঁর মানবিক কর্মসূচির সমাপ্তি টানবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে আজকের এই দাপ্তরিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারেক রহমান নিজেকে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জনগণের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন।

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত