ড. ইউনূস–আনোয়ার বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া নতুন চুক্তি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১১:০০:০৩
ড. ইউনূস–আনোয়ার বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া নতুন চুক্তি
ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আন্তরিক কূটনৈতিক পরিবেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে সফরের দ্বিতীয় দিনে পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ইউনূস পুত্রজায়ায় পৌঁছালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান। পরে দুই নেতা একান্ত বৈঠকে মিলিত হন এবং পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অভিবাসন নীতি ও শিক্ষা খাতে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি সই হয় তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’, যা নির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নীতিগত সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টা পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। আনোয়ার ইব্রাহিম তাকে কূটনীতিক এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

তিন দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে অধ্যাপক ইউনূস সোমবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর পৌঁছান। বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান এবং লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই সফরে অভিবাসন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী সম্মেলনেও যোগ দেবেন।

সফরের শেষ দিন, বুধবার, মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম) অধ্যাপক ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করবে। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও উপস্থিত থাকতে পারেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।

-রাফসান


তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৬:৪৯:৪৬
তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব

স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে প্রযুক্তিনির্ভর ও উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে তরুণরাই নতুন বাংলাদেশের প্রধান চালিকাশক্তি হবেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশই ৩৫ বছরের নিচে। এই বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই তাদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানে এগিয়ে এসে দেশের উন্নয়নের নেতৃত্ব নিতে হবে।

উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং ইন্টারনেট খরচ কমানোর মতো আধুনিক প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি ই-স্পোর্টসকেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ৭৪ লাখের বেশি যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে ১১ লাখেরও বেশি যুবক ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছেন। এছাড়া ২৪ লাখের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক আত্মকর্মসংস্থানে যুক্ত হয়েছেন।

তরুণদের যুব নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আগামী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ইয়ুথ সামিটের আয়োজন করা হবে। একই সঙ্গে দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিসি কম্পিটিশনের আয়োজনের কথা জানানো হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৬ জন কৃতিত্বপূর্ণ যুব ও যুব সংগঠককে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যেমন তরুণরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করেছে, তেমনি তারা দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথপ্রদর্শকও হবেন।’

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. গাজী সাইফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

/আশিক


যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৫:৫৭:৫৬
যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় করদাতাদের জন্য আসছে নতুন শাস্তিমূলক বিধান। এবার থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে শুধু আর্থিক জরিমানা নয়, বরং গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অপরিহার্য পরিষেবার সংযোগও বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে কর কর্মকর্তাদের হাতে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতে, দীর্ঘদিন ধরে রিটার্ন না দেওয়ার প্রবণতা রোধ এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে বা আইন অনুযায়ী রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক, অথচ তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দেননি, তাদের বাসাবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পরিষেবার লাইন কেটে দেওয়া যেতে পারে।

রিটার্ন না দিলে সম্ভাব্য শাস্তি

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল না করার ফলে করদাতাদের যে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে

১. আয়কর আইনের ২৬৬ ধারা অনুযায়ী জরিমানা।২. ১৭৪ ধারা অনুসারে কর অব্যাহতির সুবিধা সীমিত হয়ে যাওয়া।৩. মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর গুনতে হওয়া।৪. গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া।৫. বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি।

কারা রিটার্ন দাখিল করবেন

আইন অনুযায়ী, দুই শ্রেণির টিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। প্রথমত, যাদের বার্ষিক করযোগ্য আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি। দ্বিতীয়ত, যাদের জন্য আইনগতভাবে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক, যেমন নির্দিষ্ট পেশা বা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।

বর্তমানে দেশে ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী আছেন, কিন্তু বছরে প্রায় ৪০ লাখ রিটার্ন জমা দেন। গত অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ করদাতা, যার মধ্যে ৭০ শতাংশ কোনো কর পরিশোধ করেননি। এই পরিস্থিতিই এনবিআরকে কঠোর নীতি গ্রহণে প্রণোদিত করেছে।

-রফিক


মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে লাল গালিচা ও গার্ড অব অনারে সংবর্ধনা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ২১:১৯:১৬
মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে লাল গালিচা ও গার্ড অব অনারে সংবর্ধনা
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লালগালিচা সংবর্ধনা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের সরকারি সফরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি মালয়েশিয়ার রাজধানীতে পা রাখেন। এর আগে দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

তিন দিনের এই সফরে ড. ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। সফরের মূল আলোচনায় থাকবে বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ একাধিক খাতের উন্নয়ন এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা।

বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, গভীর সমুদ্রের সঠিক ব্যবহার, কৃষি ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে। মালয়েশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।

এছাড়া এই সফরে ড. ইউনূসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সফরে তার সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বৈঠকে খাজানা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা এবং গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আহরণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়গুলো আলোচনায় থাকবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার, যেখানে আমরা মাত্র ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাছ আহরণ করি। এই সুযোগ কাজে লাগানোর দিকে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিচ্ছেন।”

এছাড়া প্রোটন হোল্ডিংসের সঙ্গে ইলেকট্রিক যানবাহন উৎপাদন এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি এক্সিয়াটার প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠকও এই সফরের অংশ। শফিকুল আলম বলেন, “প্রোটন হোল্ডিংস ইলেকট্রিক যান নিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশেও ইভি ম্যানুফ্যাকচারিং করা যায় কিনা এবং কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হবে।”

/আশিক


বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১৯:৩৪:৪৩
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন
ছবি: সংগৃহীত

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলেও তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কমিশন সভা শেষে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভোটে অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা আবারও ফিরেছে কমিশনের হাতে। পাশাপাশি পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে ‘না’ ভোটের বিধান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না বলেও তিনি জানান।

সানাউল্লাহ আরও বলেন, প্রার্থীরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারবেন, তবে তা ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীদের দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

তিনি জানান, হলফনামায় দেওয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছরের মেয়াদকাল জুড়েই কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারবে। প্রয়োজনে সংসদ সদস্যপদ বাতিলও করা যাবে।

নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৮৪টি নতুন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২২টি দলকে প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। এসব দলের মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলবে। এছাড়া ৮৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে কমিশন আপত্তি পেয়েছে বলেও তিনি জানান।

/আশিক


২৭ বছরের নিচে জামায়াত জনপ্রিয়তায় বিএনপিকে ছাড়িয়ে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১৭:৪২:২১
২৭ বছরের নিচে জামায়াত জনপ্রিয়তায় বিএনপিকে ছাড়িয়ে

আগামী সংসদ নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন, তা এখনও নির্ধারণ করেননি দেশের প্রায় ৪৮ শতাংশের বেশি মানুষ। এছাড়া, জরিপে ১৪.৪ শতাংশ ভোটার কাকে ভোট দেবেন তা প্রকাশ করতে রাজি হননি। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত এই জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১২ শতাংশ বিএনপি, ১০.৪ শতাংশ জামায়াতে ইসলামি, ৭.৩ শতাংশ আওয়ামী লীগ ও ২.৮ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে একই প্রশ্নে বিএনপির ভোট ছিল ১৬.৩০ শতাংশ, জামায়াতের ১১.৩০ শতাংশ এবং এনসিপির ২ শতাংশ। অর্থাৎ, আট মাসের ব্যবধানে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট কিছুটা কমলেও এনসিপির ভোট সামান্য বেড়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, ২৭ বছরের নিচের ভোটারদের মধ্যে জামায়াত বিএনপির চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই বয়সীদের মধ্যে ৯ শতাংশ বিএনপি, ১২ শতাংশ জামায়াত, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ ও ৪ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দিতে আগ্রহী। ২৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে, যারা দু’দলেরই প্রতি ১১ শতাংশ সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বিএনপির জনপ্রিয়তা তুলনামূলক বেশি, যেখানে ১৬ শতাংশ বিএনপি, ৯ শতাংশ জামায়াত, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং ৪ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দেবেন। শিক্ষাগত অবস্থান অনুযায়ীও ভোটারের পছন্দে পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত দু’দলেরই সমর্থন শতকরা ১০ শতাংশ, আওয়ামী লীগের ৫ শতাংশ এবং এনসিপির ৪ শতাংশ। অপরদিকে, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমনদের মধ্যে বিএনপির সমর্থন ১৪ শতাংশ, জামায়াতের ৯ শতাংশ, আওয়ামী লীগের ৭ শতাংশ এবং এনসিপির ২ শতাংশ।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭০ শতাংশ মনে করেন আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, যেখানে ১৫ শতাংশ মনে করেন এটি সুষ্ঠু হবে না।

সূত্র : বিবিসি


দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১৪:৩২:০৭
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আজ সোমবার বেলা ২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

এই সফরে মালয়েশিয়ার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সরকারি নীতি-নির্ধারক, বাণিজ্যিক সংস্থা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অভিবাসন ইস্যু, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা এই সফরের আলোচ্যসূচির মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে চলমান শ্রমবাজার চুক্তি কার্যকর ও সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের ভূমিকা আরও জোরদার করার প্রেক্ষাপটে। সফর শেষে তিনি আগামী বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

-রফিকুল


সেনাবাহিনী, বডি ক্যামেরা ও কড়া নজরদারিতে প্রস্তুত জাতীয় নির্বাচন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১৩:০৪:১৬
সেনাবাহিনী, বডি ক্যামেরা ও কড়া নজরদারিতে প্রস্তুত জাতীয় নির্বাচন
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ৮০ হাজারেরও বেশি সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন। তিনি জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যে কোনো ধরনের সহিংসতা বা অনিয়ম প্রতিরোধে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বডি ক্যামেরা থাকবে, যা প্রতিটি পদক্ষেপ নথিভুক্ত করবে এবং মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ভোট যেন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখেন এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়।

নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোনো নিরপরাধ বা নিরীহ মানুষ যেন আইনগত হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে সতর্ক। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক জুলাই ও আগস্ট মাসে কিছু ক্ষেত্রে টাকার প্রলোভনে ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে, যা প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হলো, নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন ন্যায়সঙ্গত থাকে এবং সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জানান, গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বছরের জুলাইয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এক সময় এমন অবস্থা ছিল যখন থানায় কেউ অভিযোগ জানাতে যেত না, আনসার বাহিনীতে বিদ্রোহ হয়েছিল, এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সক্রিয়তার ঘাটতিতে ভুগছিল। বর্তমানে সেই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে, যদিও এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছানো যায়নি। তারপরও বিদ্যমান পরিস্থিতি নির্বাচনী পরিবেশের জন্য যথেষ্ট সহায়ক এবং নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কোনো বড় বাধা নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভালো থাকার নজির পাওয়া যায়নি। তবে এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রশাসনিক তৎপরতার কারণে একটি শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আইনের শাসন রক্ষায় চিফ প্রসিকিউটরের দৃঢ় বার্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১২:৩৮:২৬
আইনের শাসন রক্ষায় চিফ প্রসিকিউটরের দৃঢ় বার্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আইনের চোখে কোনোভাবেই ছাড় পাবেন না। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কঠোর অবস্থান প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, “আইন সবার জন্য সমান। অপরাধ যেই করুক না কেন, তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। জুলাই-আগস্টের ঘটনাগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং প্রমাণের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চিফ প্রসিকিউটর আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, ভাঙচুর, হামলা কিংবা যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। অপরাধের ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে নতুন মামলাও করা হবে।

তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “কেউ প্রভাব খাটিয়ে বা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”

-রফিক


সব বন্দর নিয়ে বড় সুখবর দিলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১১ ১১:৪৬:৪৭
সব বন্দর নিয়ে বড় সুখবর দিলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী 
বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর এবং বে-টার্মিনালে অপারেটর নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হলে দেশের বন্দর পরিচালন ব্যবস্থা আরও আধুনিক, প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব হবে।

রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে শিপিং ও লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিডা চেয়ারম্যান। এসময় তিনি জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বর্তমানের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। এটি দেশের বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

পরদিন সোমবার (১১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আশিক চৌধুরী বিস্তারিতভাবে লেখেন যে, দেশের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা মূল্যায়নের সময় প্রথমেই বন্দরের সক্ষমতা ও অবকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরের হতে হবে ‘বেস্ট ইন ক্লাস’। তাছাড়া বন্দরগুলো নিজেরাই বিনিয়োগের অন্যতম বড় ক্ষেত্র।”

তিনি উদাহরণ দিয়ে উল্লেখ করেন, লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এককালীন অন্যতম বৃহত্তম প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই)। তাঁর মতে, এই বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হলে শুধু বন্দর নয়, আশেপাশের শিল্প, লজিস্টিকস এবং সাপ্লাই চেইন খাতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।

বিডা চেয়ারম্যান আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের পারফরম্যান্স ইতোমধ্যে নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত এক মাসে আগের মাসের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি কনটেইনার হ্যান্ডেল করা হয়েছে এবং জাহাজ ক্লিয়ারেন্সের সময় কমেছে প্রায় ৮ ঘণ্টা। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই উন্নতি এসেছে। একইসঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ আরটিজিএস, অটোমেটেড টিকিটিং ও গেট, অনলাইন এজেন্ট ডেস্ক চালু করেছে, যা কার্যক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং দুর্নীতির সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে।

নতুন অপারেটর নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে প্রশ্ন করেন, বন্দর ভালোই চলছে, তাহলে কেন নতুন অপারেটর? বাস্তবে আমরা এখনো এই বন্দরের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারিনি। প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং ম্যানেজমেন্ট এই তিন ক্ষেত্রের সর্বোত্তম সমন্বয় ঘটাতে পারলেই বন্দরের প্রকৃত সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে।”

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন আশা প্রকাশ করে বলেন, বিডা অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতা দূর করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এজন্য প্রতি সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বছরের শেষ নাগাদ যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সব বন্দরের অপারেটর নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তাঁর মতে, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক বন্দর অবকাঠামো ও লজিস্টিকস খাত আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হবে।

-রাফসান

পাঠকের মতামত: