ড. ইউনূস–আনোয়ার বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া নতুন চুক্তি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১১:০০:০৩
ড. ইউনূস–আনোয়ার বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া নতুন চুক্তি
ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আন্তরিক কূটনৈতিক পরিবেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে সফরের দ্বিতীয় দিনে পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ইউনূস পুত্রজায়ায় পৌঁছালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান। পরে দুই নেতা একান্ত বৈঠকে মিলিত হন এবং পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অভিবাসন নীতি ও শিক্ষা খাতে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি সই হয় তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’, যা নির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নীতিগত সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টা পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। আনোয়ার ইব্রাহিম তাকে কূটনীতিক এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

তিন দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে অধ্যাপক ইউনূস সোমবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর পৌঁছান। বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান এবং লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই সফরে অভিবাসন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী সম্মেলনেও যোগ দেবেন।

সফরের শেষ দিন, বুধবার, মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম) অধ্যাপক ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করবে। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও উপস্থিত থাকতে পারেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।

-রাফসান


ঢাকার আকাশ যেন কুয়াশার গোলকধাঁধা: দিক হারিয়ে ৩ দেশে নামল ৮ বিমান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১১:২৭:৫৪
ঢাকার আকাশ যেন কুয়াশার গোলকধাঁধা: দিক হারিয়ে ৩ দেশে নামল ৮ বিমান
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা আজ ভোরে এক অভূতপূর্ব ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়মিত ফ্লাইট অপারেশনে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে রানওয়েতে দৃশ্যমানতা বা ভিজিবিলিটি অত্যন্ত কমে যাওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে ৮টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে ঢাকায় নামতে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে ৪টি ফ্লাইটকে ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে, ৩টি ফ্লাইটকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে এবং ১টি ফ্লাইটকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক বিমানবন্দরে ডাইভার্ট বা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায় যে কুয়াশার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পাইলটদের জন্য রানওয়ে শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ডাইভার্ট হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধা দূর করতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলো খাবার ও প্রয়োজনীয় হোটেল সুবিধা নিশ্চিত করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথেই এই ফ্লাইটগুলো পুনরায় ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার এই অবস্থান আকাশপথের পাশাপাশি নৌ ও সড়ক যোগাযোগকেও আজ ধীরগতির করে দিয়েছে।

একই দিনে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরে শীতের এক ভয়ংকর রূপ দেখা গেছে। আজ সকালে যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এটি গত ১৪ বছরের মধ্যে যশোরে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। হাড়কাঁপানো এই ঠান্ডা আর উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও নীলফামারীসহ সাতটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের উত্তাপ পৌঁছাতে না পারায় দিনের বেলাতেও মানুষের শরীরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প ও উত্তরের শীতল বায়ুর সংমিশ্রণে এই ঘন কুয়াশা তৈরি হয়েছে। আগামী অন্তত পাঁচ দিন কুয়াশার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং জানুয়ারির শুরুতে শীতের প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যশোরে ১৪ বছর পর এমন তীব্র শীত পড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ও গবাদিপশু। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষদের কষ্ট এখন চরমে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে বিমান ও নৌ চলাচলকারী সংস্থাগুলোকে ফগ লাইট ব্যবহার এবং বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দেশ: আসছে আরও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ০৯:১৩:১০
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দেশ: আসছে আরও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
ছবি : সংগৃহীত

পৌষের প্রথম পক্ষ শেষ হওয়ার আগেই শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে দেশ। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার যশোরে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের জনজীবন লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে। কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন যাত্রী, যাদের কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জেলাগুলো হলো—যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী। আজ সকালে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং গোপালগঞ্জে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে রাজধানী ঢাকাতেও শীতের দাপট বেড়েছে; গতকাল শুক্রবার মৌসুমের সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হলেও আজ কুয়াশার কারণে ঠান্ডার অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে। ৯৫ শতাংশ বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন যে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে শীতের এই দাপট আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। জানুয়ারির শুরু থেকে সারা দেশে এক বা একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হিমালয় থেকে আসা কনকনে বাতাসের কারণে ছিন্নমূল মানুষ ও শিশুদের কষ্ট চরমে পৌঁছেছে।

শীতের এই আকস্মিক প্রকোপে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ এবং নদী অববাহিকার বাসিন্দারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে গ্রামগুলোতে অনেকেই আগুনের কুণ্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে যে আগামী ৫ দিন তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে এবং কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে সূর্যের আলোকে বাধাগ্রস্ত করবে। এই অবস্থায় নদী পথে চলাচলকারী নৌযানগুলোকে ফগ লাইট ব্যবহার এবং বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে তিন আসামি আদালতে সব সত্য ফাঁস করলেন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:২৪:০৯
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে তিন আসামি আদালতে সব সত্য ফাঁস করলেন
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি

রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটক হওয়া প্রধান আসামির স্ত্রী ও তাঁর সহযোগীরা আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৯ দিনের দীর্ঘ রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এই মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ এবং দাউদের বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা এই তিনজনের জবানবন্দি পৃথকভাবে রেকর্ড করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

জবানবন্দি রেকর্ড করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনায়েদ এবং কামাল উদ্দীন। জবানবন্দি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার পল্টন থানার আদালত সাধারণ নিবন্ধন শাখার পুলিশের উপ-পরিদর্শক রোকনুজ্জামান বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর পল্টন বক্স কালভার্ট রোড দিয়ে যাওয়ার সময় মোটরবাইকে আসা দুষ্কৃতিকারীরা ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল এবং পরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশ জানিয়েছে যে জবানবন্দিতে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেরের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটি ওসমান হাদির মৃত্যুর পর এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে জুমার নামাজের পর প্রচারণার কাজ শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে তাঁকে অনুসরণ করে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল দাউদ এই হামলা চালায়। ঘটনার পরপরই আসামিরা পালিয়ে গেলেও সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

আসামিরা দফায় দফায় রিমান্ডে থাকলেও শেষ পর্যন্ত আদালতের কাছে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে রাহুল দাউদের বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমার জবানবন্দিতে এই ষড়যন্ত্রের আরও গভীর কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ এখন পলাতক থাকা প্রধান আসামি রাহুল দাউদ ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইনকিলাব মঞ্চের এই তরুণ নেতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল, আসামিদের এই স্বীকারোক্তির পর মামলার বিচারে তা বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।


নিকোটিন পাউচ ও ই-সিগারেটের দিন শেষ আসছে নতুন আইন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১২:৩৭:১৪
নিকোটিন পাউচ ও ই-সিগারেটের দিন শেষ আসছে নতুন আইন
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভেপিং ও ই-সিগারেটের আসক্তি বন্ধে এবং তামাকজনিত অসংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এই অধ্যাদেশের ফলে এখন থেকে দেশে সব ধরনের ই-সিগারেট, ভ্যাপ এবং উত্তপ্ত তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার, উৎপাদন ও বিপণন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটে বিদ্যমান ৫০ শতাংশ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিবর্তে এখন থেকে ৭৫ শতাংশ এলাকা জুড়ে সতর্কবাণী মুদ্রণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তথ্যবিবরণী অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এই বিশাল মৃত্যুঝুঁকি মোকাবিলায় ২০০৫ সালের বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটিকে আরও যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নতুন সংশোধনীতে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ‘নিকোটিন পাউচ’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেটসহ যেকোনো প্রচারমাধ্যমে তামাকের বিজ্ঞাপন এবং খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট সাজিয়ে রাখা বা প্রদর্শন করার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল যা তরুণদের তামাকের প্রতি আকর্ষণ কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন এই অধ্যাদেশে পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনের সংজ্ঞাকে আরও বিস্তৃত করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। আগে বিভিন্ন স্থানে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা (ডিএসএ) রাখার সুযোগ থাকলেও এখন থেকে তা সরকারের কঠোর নির্দেশনার শর্তাধীন করা হয়েছে। তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব হারানোর অজুহাত দেখিয়ে এই আইনের বিরোধিতা করলেও সরকার জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য যে গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তামাক খাত থেকে প্রায় ৪০ হাজার ৪১১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় রাষ্ট্রের এর চেয়েও বড় অংকের অর্থ ব্যয় হয় বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

অধ্যাদেশটি চূড়ান্তভাবে জারির লক্ষ্যে বর্তমানে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। তামাকের প্রচার ও প্রসারের পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে যা তামাক নিয়ন্ত্রণে একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আইনটি পর্যালোচনার জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির দীর্ঘ কার্যক্রম শেষে এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


যিশু খ্রিষ্টের মানবমুক্তির বার্তা সবার অনুপ্রেরণা: উপদেষ্টা ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ০৯:৫৪:৪৬
যিশু খ্রিষ্টের মানবমুক্তির বার্তা সবার অনুপ্রেরণা: উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছবি : সংগৃহীত

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশপ্রেম ও মানবতার মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ দেশের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২৫ ডিসেম্বর ‘বড়দিন’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার জন্য একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে তিনি দেশ বিদেশের সকল অনুসারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে যিশু খ্রিষ্টের জীবন ও দর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন যে মহান এই পুরুষ পৃথিবীতে শান্তি, ন্যায় এবং মানবমুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। মানবজাতিকে সত্য ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করাই ছিল তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন যে যিশু খ্রিষ্ট আমৃত্যু বিপন্ন ও অবহেলিত মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং ক্ষমা ও ভালোবাসার যে মহিমা তিনি প্রচার করেছেন তা আজও বিশ্ববাসীর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। তাঁর মহৎ চারিত্রিক গুণাবলি ধারণ করেই সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ইউনূস দৃঢ়তার সাথে বলেন যে বাংলাদেশ দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হয়ে রয়েছে। আবহমানকাল ধরে এদেশের মানুষ একে অপরের ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে। তিনি প্রত্যাশা করেন যে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন এই সম্প্রীতির বন্ধনকে ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় করবে। বাণীর শেষ অংশে তিনি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সকল মানুষের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন।

বর্তমানে দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং নতুন প্রশাসনিক সংস্কারের যে প্রক্রিয়া চলছে সেখানে সকল সম্প্রদায়ের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা। বড়দিনের এই আনন্দ উৎসব যেন সকল ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে এক সুতোয় বাঁধতে পারে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে যানজট এড়াতে যেসব রাস্তা পরিহার করবেন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ০৯:১১:২৯
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে যানজট এড়াতে যেসব রাস্তা পরিহার করবেন
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে বিশেষ ট্রাফিক ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে লন্ডন থেকে আসা একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে তিনি গুলশানের বাসভবনে পৌঁছাবেন। এই দীর্ঘ পথে ব্যাপক জনসমাগম ও যানজটের আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরণের পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ডিএমপির নির্দেশনায় জানানো হয়েছে যে মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর এবং কুড়িল থেকে মস্তুল পর্যন্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে সাধারণ যানবাহনের জন্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। উত্তরা ও মিরপুর এলাকার যাত্রীদের এয়ারপোর্ট সড়ক পরিহার করে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। গুলশান, বাড্ডা ও প্রগতি সরণি এলাকার যাত্রীরা কাকলী ও কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান–১, পুলিশ প্লাজা ও মহাখালী রুট ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলগামী বাসগুলোকে মিরপুর–গাবতলী সড়ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে আসা যানবাহনগুলো বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে মাদানী অ্যাভিনিউ হয়ে চলাচল করতে পারবে।

অভ্যর্থনায় আসা নেতাকর্মীদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে পুলিশ। জানানো হয়েছে যে কেউ কোনো ধরণের ব্যাগ, লাঠি বা সন্দেহজনক বস্তু বহন করতে পারবেন না। তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো মোটরসাইকেল বা বহিরাগত গাড়ি তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িবহরে যুক্ত হতে পারবে না। গুলশান ও বনানী থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখে মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশগামী যাত্রী এবং হজযাত্রীদের যানজট এড়াতে পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি। মিরপুর ও উত্তরা এলাকার যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেলকে সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্প হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি সেবার গাড়িগুলো এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।

নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য টঙ্গী ইজতেমা মাঠ, পূর্বাচল নীলা মার্কেট, বাণিজ্য মেলা মাঠ, আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠ এবং মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিএমপি। কমিশনার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে ট্রাফিক আইন ও এই বিশেষ নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীতে এক ধরণের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করলেও জানমালের নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে প্রশাসন।


সরকারি পদ ছেড়ে ভোটের ময়দানে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ২১:০৬:২২
সরকারি পদ ছেড়ে ভোটের ময়দানে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
মো. আসাদুজ্জামান

বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা বা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান তাঁর পদ থেকে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তিনি গণমাধ্যমকে জানান যে আগামী ২৭ ডিসেম্বর তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। মূলত আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর তিনি ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দলীয় সূত্রমতে ইতিমধ্যে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামানের এই পদত্যাগ কেবল আইনি বাধ্যবাধকতা নয় বরং তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। গত ২৩ ডিসেম্বর শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারীর কাছ থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। আসাদুজ্জামান এর আগেও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ৮ আগস্ট তিনি দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।

দায়িত্ব গ্রহণের সময় আসাদুজ্জামান নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন যার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত আপিল শুনানি অন্যতম। তবে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে তিনি পুনরায় সরাসরি ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৭ ডিসেম্বর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তাঁর সরকারি আমলাতান্ত্রিক দায়িত্বের অবসান ঘটবে।

ঝিনাইদহ-১ আসনটি মূলত একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত যেখানে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে আসাদুজ্জামানের মতো একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর অংশগ্রহণ এই আসনে নির্বাচনী লড়াইকে বেশ জমজমাট করে তুলবে। তিনি নিজে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এবং মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। এখন ২৭ ডিসেম্বর পদত্যাগের পর তিনি পুরোপুরিভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় মনোযোগ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের কড়া বার্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১৮:৫৫:৩২
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের কড়া বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার কোনো পথ আর খোলা নেই। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্ট করে বলেন যে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে এবং এ কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব নয়। সরকারের এই অবস্থান অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট এবং দলটির পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসন আমলের পর আওয়ামী লীগ বিহীন এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।

ব্রিফিংয়ে ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন যে এই নির্মম ঘটনাকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে। ভিডিও এবং ভিজ্যুয়াল ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেস সচিব জানান যে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে এটি ‘দ্রুত বিচার আইনে’ পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে এবং যেকোনো ধর্মীয় উৎসবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৃহস্পতিবারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন যে সরকার তাঁর ফিরে আসাকে ইতিবাচকভাবে স্বাগত জানাচ্ছে। তাঁর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চলছে এবং তাঁরা যতটুকু নিরাপত্তা বা সহযোগিতা চেয়েছেন সরকার তা সরবরাহ করছে। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। শফিকুল আলম জানান যে ভিডিও ফুটেজ দেখে এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনেকের কাছ থেকে অপরাধের আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় তাঁদের প্রতিশ্রুতিরই বহিঃপ্রকাশ বলে তিনি উল্লেখ করেন। অপরাধী যেই হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।


৪৬তম বিসিএসের ভাইভার সময়সূচি প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১৭:২৩:৪৯
৪৬তম বিসিএসের ভাইভার সময়সূচি প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত
ছবি: সংগৃহীত

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়িকভাবে সফল প্রার্থীদের একটি বড় অংশের জন্য মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) বিস্তারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বুধবার প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, এই ধাপে সাধারণ ক্যাডারের ১ হাজার ৩৬৭ জন এবং সাধারণ ও কারিগরি বা পেশাগত উভয় ক্যাডারের ৭৩৫ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

পিএসসি জানায়, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে এবং পরীক্ষার তারিখ ও সময় সংক্রান্ত সব তথ্য কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। বিশেষ কোনো যুক্তিসংগত কারণ দেখা দিলে এই সময়সূচিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন বা পরিবর্তন আনার অধিকার কমিশন সংরক্ষণ করে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মৌখিক পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সূচি ও সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা পিএসসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট bpsc.teletalk.com.bd–এ পাওয়া যাবে। প্রার্থীদের নিয়মিতভাবে এসব ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে যেকোনো হালনাগাদ তথ্য দ্রুত জানা যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন। ওই ফলাফলে মোট ৪ হাজার ৪২ জন প্রার্থী সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকেই ধাপে ধাপে মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের ডাকা হচ্ছে, যা ৪৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত