প্লট বরাদ্দ মামলা
শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত তিনটি আলোচিত দুর্নীতি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনের সাক্ষ্য দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, যিনি মামলার প্রধান সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। একই দিনে দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসানেরও সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজউকের প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার পরিবারের সদস্য—সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। সম্প্রতি মামলাগুলোর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
এছাড়া আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার এবং রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞাসহ আরও অনেকে।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা রাজউকের প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে বিধি-বিধান উপেক্ষা করেছেন এবং নিজেদের পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা নিয়েছেন। এই মামলাগুলোকে দুর্নীতিবিরোধী লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ধাপে ধাপে সরকারি কর্মকর্তা, দুদক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্য নেবে। উচ্চপ্রোফাইল আসামি থাকার কারণে এ মামলাগুলো জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং এর অগ্রগতি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
-রাফসান
জামায়াত আমিরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে গেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। রোববার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী এ তথ্য জানায়। সফরের উদ্দেশ্য ছিল জামায়াত আমিরের চিকিৎসার অবস্থা সম্পর্কে সরাসরি অবহিত হওয়া এবং তাঁর সুস্থতা কামনা করা।
জামায়াতের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ড. খলিলুর রহমান হাসপাতালে পৌঁছে ডা. শফিকুর রহমানের কেবিনে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা-প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং রোগীর দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। সফরকালে তিনি জামায়াত আমিরের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন এবং তাঁর শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যক্তিগত শুভকামনা প্রকাশ করেন।
জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এ সফরকে আন্তরিক ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছে। দলটি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক ভিন্নমত ও মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও এ ধরনের সৌজন্য সাক্ষাৎ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সৌহার্দ্য ও মানবিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করে।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ডা. শফিকুর রহমানের হৃদ্যন্ত্রে বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর তিনি বর্তমানে কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথে রয়েছেন।
-শরিফুল
"তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধ হোন"
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কঠোর শৃঙ্খলাবিষয়ক বার্তা দিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দলের কোনো নেতা বা কর্মী যদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, তবে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সরাসরি বহিষ্কার করা হবে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে সাতক্ষীরা পৌর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম জিলানী বলেন, “আগামী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সামনে আসা নির্বাচন সহজ হবে না, তাই আমাদের প্রত্যেককে অপরাধ থেকে বিরত থেকে দলকে শক্তিশালী করার কাজে মনোযোগী হতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা ও জনআস্থা অর্জনের জন্য নেতাকর্মীদের সততা, ত্যাগ ও নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সরদার নুরুজ্জামান, নেছারুদ্দীন শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শেখ শরিফুজ্জামান সজিব। এছাড়া উপজেলা ও পৌর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা রাজনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান এবং আগামী আন্দোলন ও নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।স্বৈরাচার হাসিনা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তুলেছিল, যাতে দেশের জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়। এর সুযোগে দেশের অর্থ বিদেশে চলে গেছে। তাই আমাদের উচিত দেশের হাসপাতালগুলো এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে ধনী-গরিব সবাই সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান আরও বলেন, দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। জনগণ বিএনপিকে বিশ্বাস করে এবং সেই বিশ্বাসকে ধরে রেখে দেশ পুনর্গঠনের মাধ্যমে আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা সংস্কার কমিটিও গ্রহণ করেছে। তবে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি এই সংস্কার বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ পিছিয়ে যাবে এবং মানুষ আরও কষ্ট পাবে।
বিএনপি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ দেশের ভবিষ্যৎ জানতে চায় এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখে। তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অধিকাংশ ভোট পাবে এবং সেখান থেকে দেশের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে, যেগুলো মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজন।
তারেক রহমান বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করে সাজাতে হবে এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে কারণ শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ।
ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, পদ্মা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত বা জাতিসংঘেও যেতে হবে। পাশাপাশি দেশের খালগুলোকে পানিতে ভরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে পানির সংকট এলে সেগুলো ব্যবহার করা যায়।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপিই দেশের পুনর্গঠনের যোগ্য দল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪-৭৫ সালের দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে শহীদ জিয়ার আমলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশ খাদ্য রপ্তানিতে সফল হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশ নেন এবং দলকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
/আশিক
জাতীয় সংসদে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে জামায়াতের আন্দোলন ঘোষণা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে আনুপাতিক ভোটাধিকার (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
তাহের বলেন, ‘উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু নিয়ে আমরা একমত, তবে দাবি উভয় কক্ষে একই পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত। ৫৪ বছরের নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনো সম্ভব হয়নি। এজন্য আমরা আন্দোলনে নামছি।’
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি দলের প্রাপ্ত মোট ভোটের অনুপাতে সংসদীয় আসন বণ্টন করা হয়। তাহের আশা প্রকাশ করেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘জামায়াত সবসময় নির্বাচনের পক্ষে এবং ভোট ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছি।’
তিনি গত তিন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘অতীতের নির্বাচনে জনগণের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে অবিশ্বাস ছিল। এজন্য সরকারের কাছে বিভিন্ন সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছি।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে সমান সুযোগের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং কমিশনারও আন্তরিক থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
তাহের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি অন্যায়ভাবে ভোট দখল করা হয়, তাহলে জনগণ আবার রাস্তায় নামবে।’ তিনি জনগণ আর পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন মেনে নেবে না বলে জানান।
/আশিক
এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’
রাজশাহীর মোহনপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী জেলা কমিটির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক খালিদ হাসান মিলুকে কাপড় ও চিরকুট পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। একই রাতে তার বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা চালানো হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ধুরইল গ্রামে। রোববার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খালিদ হাসান মিলু জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে একজন অপরিচিত কণ্ঠে ডাকে। বারান্দায় গিয়ে তিনি দেখতে পান, বাড়ির টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে এবং চারপাশে পেট্রোলের গন্ধ। তিনি প্রথমে প্রতিবেশীদের ডাকেন, পরে ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরী ঘটনাস্থলে আসেন।
পরে বাড়ির সামনে একটি পলিথিনে মোড়ানো সাদা কাপড় (কাফনের কাপড়) ও একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল— “প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ-মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।” বৃষ্টির কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি এবং দ্রুত নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এনসিপি রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “এ ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ। প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিলে এমন সাহস তারা দেখাতে পারত না। আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করব।”
ওসি আতাউর রহমান জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/আশিক
২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জাবি ছাত্রদলের ১৩ নেতার প্রতি
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, মো. হোসাইন আল রাসেদ বাদল, মমিনুর রহমান লাজু, আলাউদ্দিন দেওয়ান, রাজুয়ার হোসাইন, মো. জোবায়ের হোসাইন, মাহবুবুর রহমান মুরাদ এবং সদস্য জাকিরুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, মির্জা আবু বকর সিদ্দিক সোহাগ, মাসুদ রানা পাইলট মিন্টু ও আবেশ আল মুবিন নাফি।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এজন্য তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ব্যাখ্যা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
/আশিক
‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ এবং রাজনীতি নিয়ে ছাত্রশিবির সভাপতির মতামত
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, তাদের সংগঠনের কার্যক্রম মূলত ‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ হিসেবে পরিচালিত হয়। তিনি আরও জানান, কেউ যদি এই প্রজেক্টকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে, তাহলে সেটাই তাদের রাজনীতি। রোববার (১০ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমের মাত্র ৫-১০ শতাংশ প্রচলিত রাজনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বাকি ৯০ শতাংশ কাজ ব্যক্তিগত গঠনমূলক। তিনি জানান, তাদের নীতি অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে একাডেমিক যোগ্যতার পাশাপাশি হার্ড স্কিল, সফট স্কিল এবং নৈতিক মান অর্জনে সহায়তা করা হয়।
শিবির সভাপতির বক্তব্যে উঠে আসে, ছাত্রশিবির শুধু ভালো ছাত্র তৈরি করে না, বরং তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু ও সমাজের মধ্যে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘মানুষ তৈরির এই প্রজেক্টকে যদি কেউ রাজনৈতিক সংজ্ঞায়ন করে, তবে হ্যাঁ, এটাই আমাদের রাজনীতি।’
/আশিক
অতীত ভুলে দেশ ও দলের জন্য একজোট হই: শাহজাহান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, অতীতের ভুলগুলোকে ভুলে গিয়ে দলের স্থপতি তারেক রহমানকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে, যা দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। তাই এই পরিস্থিতিতে ঐক্যের গুরুত্ব অপরিসীম।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ডিগ্রি কলেজ মাঠে জেলা কৃষক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, “জাতির পিতা জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ শব্দ সংযুক্ত করেছিলেন এবং তিনি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আল্লাহ যাকে সম্মান করেন, তাকে কেউ হেয় করতে পারে না। তাই আমাদের উচিত মানবসেবার মাধ্যমে জীবন যাপন করা, যা আল্লাহর সম্মান লাভের পথ।”
শাহজাহান আরও বলেন, “আমরা গত জুলাই ও আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে বিদায় দিয়েছি। নির্বাচন আসছে, কেউ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আসবে, কেউ দাঁড়িপাল্লা নিয়ে, তবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যাতে দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে না আসে। আমাদের ঐক্যের মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমার কাছে এমপি কিংবা মন্ত্রী হওয়ার অবস্থান বড় নয়, বড় হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের জন্য কাজ করে। আমি দলের কঠিন সময়েও পাশে ছিলাম এবং আজও আছি।” তিনি দলের সদস্যদের প্রতি আবেদন জানান, “সবাই যেন ভুলের পথ থেকে সরে এসে দলের সম্মান রক্ষায় কাজ করে। যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা অধিকার হারিয়েছেন তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।”
সমাবেশে সুবর্ণচর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, বিএনপি নেতা সলিমুল্লাহ বাহার হিরন, আবু নাসের, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি পলাশ, সাধারণ সম্পাদক হারুন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজগর উদ্দীন দুখুসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
-রফিক
ফেনীতে সাংবাদিক হত্যা পরিকল্পনায় ছাত্রলীগ নেতাদের নাম
ফেনীতে কর্মরত পাঁচ সাংবাদিককে ‘গাজীপুর স্টাইলে’ নৃশংসভাবে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এই তথ্য আসে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে, যা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আগেই জানতে পেরেছে এবং সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
শনিবার রাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ফেনী সংবাদদাতা ও দৈনিক ফেনীর সময় এর সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ফেনী মডেল থানায় এই ঘটনা নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্তের আওতায় রয়েছে।
পুলিশ ও জিডির তথ্যে জানা যায়, ‘একতাই শক্তি’ নামে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফেনীর পাঁচ সাংবাদিককে টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, আরিফুর রহমান (যমুনা টিভি), আরিফ আজম (দৈনিক ফেনীর সময়), সোলায়মান হাজারী ডালিম (টিভি প্রতিনিধি) ও জাহিদুল আলম রাজন (এনটিভি অনলাইন)।
গ্রুপের সদস্য সাইফ উদ্দিন মানিক লেখেন, ‘আমাদের উচিত গাজীপুরের মতো মিডিয়ার ট্রায়ালটার চান্স নেওয়া... এই চান্সে শাহাদাত, আরিফ আজম, আরিফ, রাজন— এদের কেউ যাতে শাস্তি পায়।’ অন্য একজন সাহেদ আকবর অভি বলছেন, ‘১০ বছর পরেও ছাড় নেই, মাটির নিচেও থাকলেও তুলে আনব।’
এই গ্রুপে নিষিদ্ধ ঘোষিত পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাহেদ আকবর অভি, সাইফ উদ্দিন মানিক, আবুল হাসনাত তুষার, সরোয়ার রনি, তোফায়েল আহাম্মদ অপু, নূর করিম জাবেদ, রায়হান হাবিব শাকিলসহ প্রায় ২০-২৫ জন সক্রিয় ছিলেন। গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহাম্মদ তপু, সাধারণ সম্পাদক নূর করিম জাবেদ, সহ-সভাপতি সাহেদ আকবর অভি ও অন্যান্য নেতারা। তাদের কথোপকথনে ‘গাজীপুর স্টাইলে’ আকস্মিক হামলা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো বা সাংবাদিকদের বাড়িতে রাতের আঁধারে আগুন লাগানোর ভয়াবহ পরিকল্পনা উঠে এসেছে।
ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক একেএম আবদুর রহীম বলেন, এই ধরনের পরিকল্পনা সাংবাদিক সমাজের জন্য গুরুতর হুমকি এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনী জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন বলেন, ফেনীর গণহত্যার পলাতকরা এখনও নাশকতার পরিকল্পনা করছে, সাংবাদিকদের ওপর এমন ভয়ঙ্কর হুমকি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, তাদের নিরাপত্তা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অপরাধীর পরিচয় যাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের পক্ষ থেকে ওসি সামছুজ্জামান জানান, গোয়েন্দা তৎপরতায় বিষয়টি আগেই জানা গেছে এবং সাইবার সেলের মাধ্যমে তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। গ্রুপের অনেকেই হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামি। হত্যাসহ নাশকতা পরিকল্পনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
-শরিফুল
পাঠকের মতামত:
- শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি
- সেনাবাহিনী, বডি ক্যামেরা ও কড়া নজরদারিতে প্রস্তুত জাতীয় নির্বাচন
- ওমানে প্রবাসী নাগরিকদের জন্য সুখবর!
- প্রবাসীদের জন্য সোনালি সুযোগ, আয়ের সেরা গন্তব্য
- আইনের শাসন রক্ষায় চিফ প্রসিকিউটরের দৃঢ় বার্তা
- ইসরাইলি পরিকল্পনা নিয়ে আরব লিগের সতর্কবার্তা
- জামায়াত আমিরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
- সব বন্দর নিয়ে বড় সুখবর দিলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
- বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু
- "তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধ হোন"
- সাগরিকাদের ইতিহাস: প্রথমবার অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ
- তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন
- শুল্কে ধাক্কায় পোশাক খাতে ভারত হারাচ্ছে অর্ডার, যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তনে
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিন সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬
- নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে ১৬ দল উত্তীর্ণ
- জাতীয় সংসদে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে জামায়াতের আন্দোলন ঘোষণা
- দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য কার্যকর আমল ও দোয়া
- হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে ‘বলির পাঁঠা’ আমি: টিউলিপ
- এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি লোডের প্রস্তুতি চূড়ান্ত
- ‘বর্ণবাদী’ বার্তা প্রচারে চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড
- ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জাবি ছাত্রদলের ১৩ নেতার প্রতি
- যশোরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ
- ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ
- তিন দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ, দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
- রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে গান গাইলেন পলকের ভগিনীপতি
- প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের নির্দেশনায় আসছে নতুন ভোটার সহায়ক অ্যাপ
- আফরান নিশোর পায়ের লিগামেন্ট ছেঁড়ে গেছে
- টাকা ছাপানো ও বণ্টনে বিপুল খরচ, ক্যাশলেস লেনদেন বাড়াতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
- নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের ভুল খুঁজে পেলেন বাংলাদেশের আফসার আলী
- গাজা সিটি দখলকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ
- কলকাতায় আ.লীগের পার্টি অফিস নিয়ে প্রশ্নে, যা বললেন প্রেস সচিব
- সিলেটের এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণে নতুন আশা, ৬৩৬ পত্রে ফল বদল
- ‘পুলিশ এখনও কাঠামোগতভাবে কাজ করছে না’– শ্রম ও নৌ উপদেষ্টার অভিযোগ
- সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অব্যাহত হরিণ শিকার ও অবৈধ মাংস বিক্রি
- ‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ এবং রাজনীতি নিয়ে ছাত্রশিবির সভাপতির মতামত
- আগামী নির্বাচনে অরাজকতার আশঙ্কা নেই: নিরাপত্তায় বাড়তি প্রস্তুতি
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে দরপতন হওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- মায়ের অসুস্থতার প্রমাণ মেলেনি, আনিসার পরীক্ষায় বসার সুযোগ বাতিল
- হারানো অস্ত্রের তথ্য দিলে মিলবে নগদ পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আসা কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত
- তেলের বাজারে জুনের পর সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক পতন
- সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, যুক্ত ৪৫ লাখ নতুন ভোটার
- ভূপাতিত সু-২৭: ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার বার্তা
- প্রবাসীদের জন্য ড. ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ সফর মালয়েশিয়াতে
- দুরুদ শরীফের ফজিলত ও বরকত: কীভাবে পড়বেন ও লাভ করবেন?
- দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের ও ভারতের পদক্ষেপ
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: মুক্তির স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা: কোন কোন সেবা পাবেন, কোনগুলো বন্ধ থাকবে
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- প্রধান উপদেষ্টা: "জুলাই শহীদদের স্বপ্নই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তি"
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর সময় কাটানো নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ‘জুলাই জাগরণ’-এ জনতার ঢল
- ডিএসই তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির সময়মতো ডিভিডেন্ড
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?