সহজ কিন্তু আল্লাহর কাছে প্রিয় দুটি দোয়া, পুরস্কার অফুরন্ত

দোয়া—শব্দটি যদিও ছোট, কিন্তু এর গভীরতা ও প্রভাবের বিস্তৃতি অপরিসীম এবং পরিমাপ করা সত্যিই কঠিন। এটি প্রভু ও বান্দার মাঝে একটি শক্তিশালী সেতু হিসেবে কাজ করে, যেখানে একজন নিঃস্ব ও ছোট এক মানুষ হৃদয় থেকে বিনীত অনুনয়-বিনয়ের মাধ্যমে মহান মালিকের করুণা প্রার্থনা করে এবং স্নেহপূর্ণ মনিব সেই চাওয়া পূরণ করেন। দোয়া হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এক অনন্য উপহার এবং মুমিনদের জন্য শক্তিশালী অস্ত্র, যা সকল অসাধারণ ক্ষমতার বাইরে থেকে কাজ শুরু করে।
আরবি ভাষায় ‘দোয়া’ শব্দের অর্থ হলো ডাকা, আহ্বান করা, প্রার্থনা করা বা কোনো কিছু চাওয়া। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দোয়া ছাড়া আল্লাহর ইচ্ছা পরিবর্তন সম্ভব নয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২১৩৯)। তাই দোয়া সব ইবাদতের মূল ভিত্তি এবং তা ইসলামী জীবনাচরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, এমন দুটি বাক্য রয়েছে যা উচ্চারণে সহজ হলেও, সওয়াবের মাত্রায় অত্যন্ত ভারী এবং আল্লাহর কাছে বিশেষ পছন্দনীয়। এগুলো হলো, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম’ যার অর্থ ‘মহান সেই আল্লাহ ও তাঁর সমস্ত প্রশংসা, যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৪০৬)।
আরেকটি হাদিসে হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৬৪)। এই হাদিসগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, দোয়া ও আল্লাহর নাম জপ করার মাধ্যমে আমরা শুধু আত্মার প্রশান্তি পাই না, বরং অনন্ত পুরস্কারেরও অংশীদার হতে পারি।
মরুভূমিতে রহমতের ঝরনা: যেভাবে সৃষ্টি হলো পবিত্র জমজম কূপ
আজ থেকে হাজার বছরেরও বেশি সময় আগের কথা। আল্লাহর বিশেষ নির্দেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) তার স্ত্রী হজরত হাজেরা (আ.) এবং দুগ্ধপোষ্য শিশুসন্তান ইসমাঈল (আ.)-কে এক জনমানবহীন নির্জন মরুপ্রান্তরে রেখে আসার সিদ্ধান্ত নেন। আজকের আধুনিক মক্কা নগরী তখন ছিল ধূ-ধূ বালু আর পাথুরে পাহাড়ের এক রুক্ষ ও জনশূন্য ভূমি। এই কঠিন পরীক্ষায় হজরত হাজেরা (আ.) যখন জানতে পারেন যে এটি স্বয়ং আল্লাহর নির্দেশ, তখন তিনি ইমানি দীপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন যে তবে আল্লাহ তাদের কখনোই ধ্বংস হতে দেবেন না।
কয়েক দিনের মাথায় সাথে থাকা সামান্য খাবার ও পানি ফুরিয়ে গেলে শুরু হয় চরম সংকট। তৃষ্ণায় কাতর শিশু ইসমাঈল (আ.)-এর ছটফটানি দেখে মা হাজেরা স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি পানির সন্ধানে ব্যাকুল হয়ে সাফা পাহাড় থেকে মারওয়া পাহাড়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। সন্তানের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর আল্লাহর ওপর অটল বিশ্বাস নিয়ে তিনি সাতবার এই দুই পাহাড়ের মাঝে দৌড়ান। মরুভূমির প্রখর উত্তাপে ক্লান্ত-শ্রান্ত মা যখন শেষবার মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছান, তখনই ঘটে সেই অলৌকিক ঘটনা।
সপ্তমবার মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছানোর পর তিনি একটি গায়েবি শব্দ শুনতে পান। দ্রুত সন্তানের কাছে ফিরে এসে দেখেন এক বিস্ময়কর দৃশ্য। যেখানে তৃষ্ণার্ত শিশু ইসমাঈল (আ.) পা ছুড়ছিলেন, ঠিক তার পায়ের নিচ থেকেই মাটি চিরে পানির ধারা বেরিয়ে আসছে। আনন্দে আত্মহারা হাজেরা (আ.) সেই পানির অপচয় রোধ করতে চারদিকে বালুর বাঁধ দিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘জমজম জমজম’ অর্থাৎ থামো থামো। পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন যে উম্মে ইসমাইল যদি পানিটুকু ওভাবে আটকে না দিতেন তবে তা আজ প্রবহমান নদীতে পরিণত হতো।
পৃথিবীর এই শ্রেষ্ঠ কূপের সৃষ্টি ছিল মহান আল্লাহর এক অনন্য কুদরত। যেখানে এক ফোঁটা পানির অস্তিত্ব ছিল না, সেখানে এই চিরস্থায়ী উৎস থেকে আজ পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ তৃষ্ণা মেটাচ্ছে। এই অলৌকিক রহমতের পানিকে কেন্দ্র করেই ধীরে ধীরে মক্কায় জনবসতি গড়ে ওঠে যা আজকের পবিত্র মক্কা মুকাররমা। রাসুলুল্লাহ (সা.) জমজম নিয়ে বলেছেন যে এই পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হবে, আল্লাহ সেই উদ্দেশ্যই পূরণ করবেন। মা হাজেরার সেই ঐতিহাসিক ত্যাগকে সম্মান জানাতেই আজ বিশ্বজুড়ে হাজীদের জন্য সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সায়ি করা ওয়াজিব বা আবশ্যকীয় ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।
আজকের নামাজ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তর সময়সূচি প্রকাশ
ইসলামে নামাজকে পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং সময়মতো নামাজ আদায় একজন মুসলমানের জন্য অপরিহার্য ইবাদত। হাদিসে এসেছে, যারা নামাজের সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজের অপেক্ষায় থাকেন, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন। এ কারণেই প্রতিটি মুসলমানের উচিত দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যেও নামাজের সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং যথাসময়ে ইবাদত আদায় করা।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা অনুসরণ করে মুসল্লিরা সহজেই নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আজ ঢাকায় ফজরের নামাজের সময় নির্ধারিত হয়েছে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। দুপুর ১২টা ০০ মিনিটে জোহরের নামাজ আদায় করা যাবে। বিকেল ৩টা ৪১ মিনিটে শুরু হবে আসরের সময়। সূর্যাস্তের পর সন্ধ্যা ৫টা ১৯ মিনিটে মাগরিবের নামাজ এবং রাত ৬টা ৩৮ মিনিটে ইশার নামাজ আদায়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া ও জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব অনুযায়ী, আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে এবং সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৬টা ৩৬ মিনিটে। নামাজের সময়সূচি অনুসরণ করে সময়মতো ইবাদত আদায় করলে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আত্মিক প্রশান্তিও অর্জিত হয়।
-রাফসান
জানাজার নামাজে কী পড়বেন, কী করবেন না
কোনো মুসলিম ব্যক্তি ইন্তেকাল করলে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় মরদেহ সামনে রেখে যে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়, সেটিই জানাজার নামাজ। ইসলামী পরিভাষায় ‘জানাজা’ শব্দটি মূলত মরদেহকে নির্দেশ করে। এই নামাজ ফরজে কেফায়া হিসেবে গণ্য, অর্থাৎ সমাজের কিছু মানুষ আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব আদায় হয়ে যায়; তবে কেউ আদায় না করলে এলাকার সবাই গুনাহগার হয়।
জানাজার নামাজ পুরুষদের জন্য আবশ্যিক বিধান হিসেবে বিবেচিত। সাধারণভাবে নারীদের জানাজার নামাজে অংশগ্রহণের বিধান নেই বলে ফিকহি গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ রয়েছে। এই নামাজ আদায়ের জন্য অন্যান্য নামাজের মতোই পবিত্রতা শর্ত, অর্থাৎ ওজু ছাড়া জানাজার নামাজ সহিহ হয় না।
জানাজার নামাজের কাঠামো অন্যান্য ফরজ বা নফল নামাজের তুলনায় ভিন্ন। এতে রুকু, সিজদা কিংবা বৈঠক নেই। মরদেহ সামনে রেখে সবাই কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। জানাজার নামাজে মোট চারটি তাকবির দিতে হয় এবং পুরো নামাজ দাঁড়ানো অবস্থাতেই সম্পন্ন করা হয়।
প্রথম তাকবির বলার পর সানা পাঠ করা হয়। দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদ শরিফ পাঠ করতে হয়। তৃতীয় তাকবিরের পর মৃত ব্যক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। মৃত ব্যক্তি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হন, তবে সাধারণ জানাজার দোয়া পড়া হয়; আর শিশু হলে শিশুদের জন্য নির্ধারিত দোয়া পাঠ করা হয়। চতুর্থ তাকবিরের পর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে জানাজার নামাজ শেষ করা হয়। প্রথম তাকবির ছাড়া অন্য কোনো তাকবিরে হাত তোলা হয় না।
জানাজার নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়; বরং মনে মনে করাই যথেষ্ট। নিয়তের মর্মার্থ হলো চার তাকবিরসহ ফরজে কেফায়া জানাজার নামাজ এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আদায় করছি।
সানার উচ্চারণ হলো: “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া জাল্লা ছানাউকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।”
এরপর দরুদ শরিফ পাঠ করে তৃতীয় তাকবিরে দোয়া করা হয়। যদি পূর্ণ দোয়া মুখস্থ না থাকে, তবে সংক্ষিপ্তভাবে ‘আল্লাহুম্মাগফির লিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত’ বললেও দোয়া আদায় হয়ে যায়।
ইমাম তাকবিরগুলো উচ্চস্বরে বলবেন, আর মুক্তাদিরা নিচু স্বরে তাকবির ও দোয়া পাঠ করবেন। জানাজার কাতার বিজোড় হওয়া উত্তম বলে আলেমরা উল্লেখ করেছেন।
জানাজার নামাজের মাধ্যমে একদিকে মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত কামনা করা হয়, অন্যদিকে এতে অংশগ্রহণকারীর জন্যও বিপুল সওয়াবের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তাই ইসলামে জানাজার নামাজকে মানবিক দায়িত্ব ও ইমানি কর্তব্য উভয় হিসেবেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় জানাজার দোয়া ও এর তাৎপর্য
মৃত্যু জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী যা থেকে কারোরই পলায়নের পথ নেই। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী যে জন্মেছে তাকে একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। মায়াময় পৃথিবীর সব রূপ-রঙ পেছনে ফেলে মানুষকে পাড়ি জমাতে হবে পরকালীন জগতে যেখান থেকে আর ফেরার কোনো পথ নেই। সেই জগতে কেউ কারোর বন্ধু বা শত্রু নয় বরং প্রত্যেককে নিজ নিজ আমলের দায়ভার নিজেকেই বহন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ ٱلْمَوْتِ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫; সুরা আনকাবুত : ৫৭)।
আর সুরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যখন তাদের নির্ধারিত সময় এসে যায়, তখন তারা এক মুহূর্তও বিলম্বিত করতে পারে না, আবার ত্বরান্বিতও করতে পারে না। (আয়াত : ৬১)। মৃত্যুর পর পরকালীন জীবনের প্রথম ধাপ হলো কবর। যারা এই ধাপ সহজে অতিক্রম করতে পারবে তাদের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো হবে শান্তিময়।
হাদিসে এসেছে কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তার গোসল, কাফন, জানাজা ও দাফনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— তোমরা মৃত ব্যক্তিকে দ্রুত দাফন করো। যদি সে নেককার হয়, তবে তাকে কল্যাণের দিকে তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিলে; আর যদি অন্যরকম হয়, তবে সেই বোঝা তোমাদের কাঁধ থেকে নেমে গেল। (সহিহ বোখারি : ১৩১৫)। জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া যা মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমার সুপারিশ হিসেবে গণ্য হয়।
জানাজার নামাজে বালেগ পুরুষ বা নারী হলে এই দোয়া পড়তে হয়—
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا، وَمَيِّتِنَا، وَصَغِيرِنَا، وَكَبِيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِيمَانِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهُ
(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাগফির লি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া ছগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উংছানা, আল্লাহুম্মা মান আহয়াইতাহু মিন্না ফাআহইয়িহি আলাল ইসলাম ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান। আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আঝরাহু ওয়া লা তুদিল্লানা বাদাহু।)
(আবু দাউদ ৩২০১, তিরমিজি ১০২৪)।
মৃত যদি ছেলে শিশু হয় তবে পড়তে হয়—
اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًاً , وَّاجْعَلْهُ لَنَا أَجْرًا وَّذُخْرًا , اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا شَفِيْعًا وَّمُشَفَّعًا
(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাজআলহু লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহু লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহু লানা শা-ফিআও ওয়া মুশাফ্ফাআ)।
আর মেয়ে শিশু হলে এই দোয়ার শেষ অংশে ‘লাহা’ ও ‘শা-ফিআতাঁও’ শব্দ ব্যবহার করে দোয়া পড়তে হয়।
(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাজআলহা লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহা লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহা লানা শা-ফিআতাঁও ওয়া মুশাফ্ফাআহ)।
জানাজা আদায়ের জন্য মৃত ব্যক্তিকে কিবলার দিকে রেখে ইমাম তার বুক বরাবর দাঁড়াবেন। প্রথমে তাকবির বলে সানা পড়তে হয় যেখানে ‘ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা’-এর পর ‘ওয়া জাল্লা সানাউকা’ যোগ করতে হয়। এরপর দ্বিতীয় তাকবির দিয়ে দরুদে ইব্রাহিম এবং তৃতীয় তাকবিরের পর নির্দিষ্ট দোয়া পড়তে হয়। সর্বশেষ চতুর্থ তাকবির বলে ডানে ও বাঁয়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ সম্পন্ন করতে হয়
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়: ২০ ডিসেম্বর
ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। ইমান বা বিশ্বাসের পরেই নামাজের স্থান যা ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী হাশরের ময়দানে বা কিয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। তাই একজন মুমিনের জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করা অত্যন্ত আবশ্যক। আজ শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি এবং ৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা তারিখের জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
আজকের সূচি অনুযায়ী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়
জোহর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে।
আসরের নামাজ আদায়ের সময় শুরু হবে দুপুর ৩টা ৩৯ মিনিটে।
সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজের সময় হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে
এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে।
এছাড়া আগামীকাল রোববার পবিত্র ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে।
পরকালের মুক্তি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য শত ব্যস্ততার মাঝেও সময়মতো নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
উল্লেখ্য যে ঢাকার সময়ের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিভাগের সময়ের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সময় থেকে ৫ মিনিট এবং সিলেটের ক্ষেত্রে ৬ মিনিট সময় বিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে ঢাকার সময়ের সঙ্গে খুলনার জন্য ৩ মিনিট, রাজশাহীর জন্য ৭ মিনিট, রংপুরের জন্য ৮ মিনিট এবং বরিশালের জন্য ১ মিনিট সময় যোগ করে নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে হবে। সব ধরনের ফরজ নামাজের পাশাপাশি ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজ আদায়েও মুসল্লিদের যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জুমার দিনে দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য বিশেষ রহমত, ক্ষমা ও নৈকট্য লাভের সুযোগ রেখে দিয়েছেন। এই পবিত্র দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ আমল হলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, জুমার দিন ও রাতে পাঠ করা দরুদ সরাসরি রাসুল (সা.)–এর নিকট পেশ করা হয় এবং ফেরেশতারা বিশেষভাবে এই দরুদ গ্রহণের দায়িত্বে থাকেন। ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনে দরুদ পাঠের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণ বেশি।
বিশেষ করে জুমার দিন আসরের নামাজের পর সময়টিকে ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। বহু আলেম ও ইসলামি বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, এই সময়টি দুআ কবুলের অন্যতম বিশেষ মুহূর্ত। এই সময়ে নির্দিষ্ট দরুদ শরিফ পাঠের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অসাধারণ ফজিলত। বর্ণনায় এসেছে, কেউ যদি জুমার দিন আসরের পর নির্দিষ্ট দরুদ ৮০ বার পাঠ করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার ৮০ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং তাকে ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব দান করেন। গুনাহে ভারাক্রান্ত ও আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশী বান্দার জন্য এটি এক বিশাল সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।
জুমার দিনে নির্দিষ্ট দরুদের পাশাপাশি সাধারণ দরুদ বেশি বেশি পাঠ করাও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি রাসুল (সা.)–এর প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করেন, ১০টি গুনাহ মাফ করেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। জুমার দিনে এই দরুদ যত বেশি পাঠ করা হবে, বান্দা তত বেশি আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের সুযোগ পায় এবং অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করে।
ইসলামি বর্ণনায় দরুদের গুরুত্ব শুধু দুনিয়াবি কল্যাণেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং আখিরাতের কঠিন মুহূর্তগুলোর সঙ্গেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, কিয়ামতের দিন পুলসিরাত পার হওয়ার সময় দরুদ পাঠকারীর জন্য এই দরুদ নূরের মতো কাজ করবে এবং তাকে পথ দেখাবে। অর্থাৎ, দুনিয়ায় পাঠ করা দরুদ আখিরাতে বান্দার জন্য আলো ও সহায়তায় পরিণত হবে।
জুমার দিনের আমলকে পূর্ণতা দিতে দরুদ পাঠের পাশাপাশি সূরা কাহফ তিলাওয়াত, বেশি বেশি যিকির ও ইস্তেগফার, এবং আন্তরিক দুআ করার কথাও ইসলামি বর্ণনায় উৎসাহিত করা হয়েছে। বিশেষত আসরের পর সময়টিতে আল্লাহর নিকট ক্ষমা, হেদায়েত ও কল্যাণ কামনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এসব আমলের মাধ্যমে একজন মুমিন শুধু ইবাদতই করেন না, বরং নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করার এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন।
সব মিলিয়ে জুমার দিন একজন মুসলমানের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিশেষ উপহার। এই দিনে দরুদ পাঠের মাধ্যমে নবীপ্রেম প্রকাশ, গুনাহ মাফের আশা এবং আখিরাতের সফলতার পথ সুগম হয়। তাই এই মহামূল্যবান দিনটি যেন অবহেলায় না কেটে যায়, বরং ইবাদত, দরুদ ও দুআর মাধ্যমে তা অর্থবহ করে তোলাই একজন মুমিনের দায়িত্ব।
জুমার দিন কেন সেরা? হাদিসে বর্ণিত ৫টি বড় কারণ
মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের জুমার দিনটি ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)
জুমার দিনের এই বিশেষ মর্যাদার পেছনে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বহু কারণ রয়েছে। একটি হাদিসে জুমার দিন ঘটিত ও ঘটিতব্য পাঁচটি বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করে নবীজি (সা.) বলেন, জুমার দিন দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। জুমার দিনের বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। এ দিনই তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এ দিনই আল্লাহ তাকে মৃত্যু দিয়েছেন। জুমার দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাআলা তাকে তা-ই দান করবেন, যদি না সে হারাম কোনো কিছু প্রার্থনা করে। কেয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিন। জুমার দিন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা কেয়ামতের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত থাকেন। উদ্বিগ্ন থাকে পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, পাহাড়, পর্বত, সাগর সবকিছু। (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫৪৮, সুনানে ইবনে মাজা: ১০৮৪১)
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। তাকে দুনিয়াতে নামানো হয়েছে এ দিন। তার মৃত্যুও হয়েছে এ দিন। তার তাওবা কবুল হয়েছে এ দিন। এ দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। মানুষ ও জিন ছাড়া এমন কোনো প্রাণী নেই, যা কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমার দিন ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত চিৎকার করতে থাকে না। জুমার দিন একটা সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সে সময় নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬, সুনানে নাসাঈ: ১৪৩০)
আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য এই দিনটি নির্ধারণ করে বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমরা সর্বশেষ উম্মাত কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা হব অগ্রগামী। যদিও সব উম্মতকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের আগে, আর আমাদের কিতাব দেয়া হয়েছে সকল উম্মাতের শেষে। যে দিনটি আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন, সে দিন সম্পর্কে তিনি আমাদের হিদায়াতও দান করেছেন। সে দিনের ব্যাপারে অন্যান্যরা আমাদের পিছনে রয়েছে, (যেমন) ইহুদিরা (আমাদের) পরের দিন (শনিবার) এবং খৃষ্টানরা তাদেরও পরেন দিন। (রবিবার) (সহিহ মুসলিম: ১৮৬৩)
পূর্ববর্তী জাতিসমূহ মতানৈক্যের কারণে এই শ্রেষ্ঠ দিনটি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমাদের আগমন সবার শেষে। কিন্তু আমরা কিয়ামতের দিবসে থাকব সবার প্রথমে। আমরা জান্নাতে প্রবেশকারীদের মধ্যে অগ্রগামী থাকব। তবে তাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে এবং আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে তাদের পর। তারা মতবিরোধ করেছে, আর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেই সত্যের হিদায়াত দিয়েছেন যা নিয়ে তারা মতভেদ করেছে। এটাই সেই দিন— যে সম্পর্কে তারা মতবিরোধ করেছে এবং আল্লাহ আমাদেরকে এ ব্যাপারে হেদায়াত করেছেন। আমাদের বিশেষ দিন জুমার দিন। ইহুদিদের পরের দিন, খৃষ্টানদের তার পরের দিন। (সহিহ মুসলিম: ১৮৫৩)
আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর
ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলোর মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। নিয়মিত ও সময়মতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ ক্ষমা করেন এবং জান্নাতের সুসংবাদ দেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের আগেই নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে উপস্থিত হয়ে অপেক্ষা করেন, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন—এমন ফজিলতের কথাও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের মর্যাদা ও গুরুত্ব বোঝাতে বলেছেন, আজান দেওয়া ও প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর যে মর্যাদা রয়েছে, তা মানুষ পুরোপুরি জানলে সেই সুযোগ অর্জনের জন্য প্রয়োজনে লটারির আশ্রয় নিত। তিনি আরও বলেন, জোহরের নামাজ এবং বিশেষ করে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করত, তবে তারা কষ্ট হলেও হামাগুঁড়ি দিয়ে মসজিদে এসে নামাজ আদায় করত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৬৭)
এই প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাংলা ০৩ পৌষ ১৪৩২, হিজরি ২৫ জমাদিউস সানী ১৪৪৬) ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হলো।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি (শুক্রবার)
ফজর: সকাল ৫টা ১৫ মিনিটজুমা: দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটআসর: বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটসূর্যাস্ত: বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটইফতার: বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটমাগরিব: বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটইশা: সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ফজর: সকাল ৫টা ১৫ মিনিটতাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়: ৫টা ১৪ মিনিটসূর্যোদয়: সকাল ৬টা ৩৬ মিনিট
বিভাগভিত্তিক সময়ের পার্থক্য
ঢাকার সময়ের সঙ্গে বিভাগভেদে নামাজের সময় কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।
সময় বিয়োগ করতে হবেচট্টগ্রাম: ৫ মিনিটসিলেট: ৬ মিনিট
সময় যোগ করতে হবেখুলনা: ৩ মিনিটরাজশাহী: ৭ মিনিটরংপুর: ৮ মিনিটবরিশাল: ১ মিনিট
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইবাদতের পূর্ণতা অর্জন করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ তৈরি হয় বলে আলেমরা মনে করেন।
সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন
১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন
ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। তাই যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি।
ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি:
জোহর: ১১:৫৭ মিনিট
আসর: ৩:৩৯ মিনিট
মাগরিব: ৫:১৫ মিনিট
এশা: ৬:৩৫ মিনিট
ফজর (আগামীকাল শুক্রবার): ৫:১৩ মিনিট
বিভাগীয় সময়ের সামঞ্জস্য: ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগের সময়ের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। নিজ নিজ এলাকার সঠিক সময় জানতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করুন:
বিয়োগ করতে হবে:
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে:
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
পাঠকের মতামত:
- হাদি হত্যার ঘাতক ফয়সালের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটির রহস্যময় লেনদেন
- রান্নাঘরের যে ৫টি জিনিস নিঃশব্দে শরীরে বিষ ছড়াচ্ছে
- পুলিশ ও প্রশাসন চালানো এখন কঠিন কাজ: আইন উপদেষ্টা
- দেশকে রক্ষা করবে বিএনপিই: তারেক রহমান
- কূটনৈতিক এলাকায় বিক্ষোভকারীদের হানা: দিল্লির কাছে জবাবদিহি চায় ঢাকা
- ভারতের যুবাদের নিয়ে ছেলেখেলা: এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
- হাদি হত্যার ঘাতক সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই: অতিরিক্ত আইজিপি
- ৩ দিনের রিমান্ড শেষে জানা গেল হান্নান নির্দোষ: পেলেন জামিন
- দুধপুলি পিঠা বানাতে জানুন গোপন টিপস
- তফসিলের পর সেনাপ্রধানের সাথে প্রথম বৈঠক: বড় সিদ্ধান্তের আভাস
- অনিদ্রা দূর করতে রাতের সহজ অভ্যাস
- মুজিবর হল হবে ‘ওসমান হাদি’: নাম বদলের দাবিতে উত্তাল ঢাবি
- মরুভূমিতে রহমতের ঝরনা: যেভাবে সৃষ্টি হলো পবিত্র জমজম কূপ
- রাতে ঘুমানোর আগে কী খাবেন, কী খাবেন না
- স্থগিত হওয়া ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা: জানুন নিয়ম
- ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন মূল্য তালিকা
- বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে টাকার হালনাগাদ মূল্য তালিকা
- দিল্লি-ঢাকা কূটনৈতিক সংঘাত: হাইকমিশন নিয়ে পাল্টাপাল্টি দাবি
- ভারতের প্রেসনোট মানছে না বাংলাদেশ, কড়া বার্তা
- নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে যৌথ অভিযান শুরু হচ্ছে
- ২১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ২১ ডিসেম্বর ডিএসইতে বড় দরপতনের ১০টি শেয়ার
- ২১ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- কেন ডিভি লটারি বন্ধ করলেন ট্রাম্প? আসল রহস্য ফাঁস
- মবকারীদের ছাড় দেবে না সরকার: ধর্ম উপদেষ্টার কড়া হুঁশিয়ারি
- মবোক্রেসি দমনে কঠোর হওয়ার বার্তা সালাহউদ্দিন আহমদের
- লেনদেনের মাঝপথে ডিএসইতে মিশ্র সূচক প্রবণতা
- তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: বগুড়ায় উৎসবের আমেজ
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা সংবাদপত্রের ওপর আঘাত: শশী থারুর
- ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে গুগল ম্যাপস: জেনে নিন অফলাইন ব্যবহারের নিয়ম
- জিমেইল স্টোরেজ ফুল? টাকা খরচ না করে জায়গা খালি করার ৫ উপায়
- হাড়ের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধে রোদের জাদুকরী উপকারিতা
- ডলারের দামে ফের পরিবর্তন: জেনে নিন আজকের সর্বশেষ টাকার রেট
- নোয়াখালীতে আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর
- তারেক রহমানের ফ্লাইটে বড় রদবদল: দুই কেবিন ক্রুকে অব্যাহতি
- আমি আপনাদের এলাকার জামাই: নির্বাচনী ময়দানে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী
- অ্যাশেজের ইতিহাস গড়া জয় অস্ট্রেলিয়ার
- জাবিতে শুরু হচ্ছে ভর্তি যুদ্ধ: পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ও আসন বিন্যাস জানুন
- হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়
- শীতের বুকে জমা কফ দূর করবে তুলসী চা: জানুন জাদুকরী গুণ
- ছয় বীর শান্তিরক্ষীর জানাজা সম্পন্ন: শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত সেনানিবাস
- হাদি কেন খুনের শিকার হলেন? রহস্য জানালেন জামায়াতে ইসলামী আমির
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- পুতিনের প্রেমের কবুলনামা: কার প্রেমে মজেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট?
- জন্মদিনে এমবাপের মাইলফলক: রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন ফরাসি তারকা
- তরঙ্গের প্রকারভেদ ও বৈজ্ঞানিক আচরণে সহজ ব্যাখ্যা
- আজ বছরের ক্ষুদ্রতম দিন: দীর্ঘতম রাতের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব
- আজ বছরের ক্ষুদ্রতম দিন: দীর্ঘতম রাতের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব
- জল্পনার অবসান, বাগেরহাটে কাকে কাকে মনোনয়ন দিল বিএনপি
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত
- আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার আগাম বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- ডলারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার আজকের বিনিময় হার
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- আইপিএল নিলামে তোলপাড়: রেকর্ড দামে বিক্রি ফিজ
- আজকের রাশিফল: জেনে নিন সোমবার কার কেমন কাটবে
- মাত্র ৫টি অভ্যাসে জব্দ হবে ডায়াবেটিস








