আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গোপন ঘাঁটি সায়দাবাদ: রাত হলেই শুরু অস্ত্রের মহড়া

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ০৭:৫৯:২৪
আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গোপন ঘাঁটি সায়দাবাদ: রাত হলেই শুরু অস্ত্রের মহড়া
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামে অস্ত্র প্রশিক্ষণের অভিযোগ ঘিরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত রাতের আঁধারে স্কুল মাঠে অস্ত্র চালনা, গুলির অনুশীলন এবং বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এসব প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জসিম উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম। তাদের তত্ত্বাবধানে আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, গভীর রাত হলেই চরাঞ্চলের বাতাস ভারি হয়ে ওঠে গুলির শব্দে। প্রতিদিন রাতে গুলি ছোড়া ও বিস্ফোরণের শব্দে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। যারা থেকে গেছেন, তারা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। এই গোপন প্রশিক্ষণের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই অনেকের সন্দেহ।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সায়দাবাদে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম নিজ নামে ‘শাহ আলম বাহিনী’ গড়ে তোলেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, এই বাহিনী সায়দাবাদ ও আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, জমি দখল, চাঁদাবাজি এবং লুটপাটে জড়িত। গত বছরের ২২ আগস্ট সংঘর্ষে শাহ আলম বাহিনীর গুলিতে প্রতিপক্ষের এক নারী ও এক ছাত্রসহ ছয়জন নিহত হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা হতাশ।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ঢাকায় আওয়ামী লীগের গোপন ক্ষমতা গ্রহণ সংক্রান্ত গুজব ছড়ানোর পর শাহ আলম বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। এ সময় থেকে তারা আরো সংগঠিতভাবে অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। যুবলীগের কথিত ডা. জসিম, ইকবাল, সালাউদ্দিন, ইউনুস, শিপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের রহিম, সেলিম, হারুন, আরমান এবং ছাত্রলীগের রনি, মাহফুজ, বাবুসহ প্রায় ৪০-৫০ জন নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, গত বছর নরসিংদী কারাগারে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় যারা পলাতক, তাদের কয়েকজন এই চরাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময় লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর একটি অংশ এখন সায়দাবাদ গ্রামে রয়েছে এবং সেগুলো দিয়ে প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছে। এতে পুরো অঞ্চলই রূপ নিচ্ছে এক অঘোষিত যুদ্ধক্ষেত্রে।

এই পরিস্থিতিতে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আদিল মাহমুদ বলেন, “চর এলাকার সব জায়গাতেই অস্ত্র আছে—সায়দাবাদ, শ্রীনগর, বাঁশগাড়ী, চানপুর—কোন জায়গায় নাই?” তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণের খবর জানেন না বললেও চরাঞ্চলে অস্ত্রের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেননি। রায়পুরা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বায়েজিদ বিন মনসুর জানান, এলাকাটিতে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যের লড়াই চলছে এবং তারা গোপনে অস্ত্র ব্যবহারের মতো কাজ করতেই পারে। এলাকা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পুলিশকে বড় আকারে অভিযান চালাতে হয় বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. কলিমুল্লাহ হক বলেন, অস্ত্র প্রশিক্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো অস্ত্রধারীদের ছবি যথাযথ কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। যদি প্রমাণিত হয় তারা ওই এলাকার বাসিন্দা, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এ অবস্থায় স্থানীয়দের দাবি, যৌথবাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তারা আশঙ্কা করছেন, অস্ত্রধারীদের এ প্রস্তুতি বড় ধরনের সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। তাই জননিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষার্থে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

সূত্র: আমার দেশ


নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১০:১৯:১৯
নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট গঠনের তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবার আলাদা পথেই হাঁটছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। উভয় দলই নিজেদের জন্য পৃথক জোট গঠনের পাশাপাশি আসন সমঝোতার জন্য বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বামপন্থি দলগুলোরও জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনপির জোট গঠনের কৌশল

আগামী নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিয়েই একটি বড় জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে। যুগান্তরের খবর অনুযায়ী, বিএনপি ডান, বাম ও ইসলামী দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চায়। এর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং ১২ দলীয় জোটসহ প্রায় বিশটি দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামি দলেরও বিএনপির সঙ্গে জোটে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “নির্বাচনের শিডিউল যখন ঘোষণা হবে, তখন আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করব। জোটের প্রয়োজন হলে জোট হবে। এখন সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা কঠিন।”

জামায়াত ও অন্যান্য দলের তৎপরতা

অন্যদিকে, জামায়াতও জোট ও আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং জাগপাসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করছে। তবে জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করছে, তা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে বলে জানা গেছে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “ইসলামপন্থি দলগুলো যাতে এক জায়গায় থাকতে পারে, সেই চেষ্টা করছি। আলাপ-আলোচনা চলছে।”

নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা

এনসিপিও জোট গঠনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। দলটি উদারপন্থি বলে পরিচিত কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে। এছাড়া, বাম ও ইসলামি দলগুলোর আরও দুটি পৃথক জোট গঠনের তৎপরতা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার নির্বাচনকে ঘিরে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে রয়েছে। তবে জোট গঠন বা সমঝোতার কৌশল সঠিকভাবে নিতে না পারলে নেতৃত্বে থাকা দল প্রত্যাশিত ফল নাও পেতে পারে।


বিএনপির নাম ব্যবহার করে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না করে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৮:৫২:৩৪
বিএনপির নাম ব্যবহার করে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না করে: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ দলের নাম ব্যবহার করে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।

‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

তারেক রহমান বলেন, “আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে, শহীদ জিয়া এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি সৈনিককে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে, এই দলের নাম ব্যবহার করে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে।” তিনি আরও বলেন, দলের নাম ব্যবহার করে যেন কেউ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেই ব্যাপারেও প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ধানের শীষের যত নেতাকর্মী আছে, যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের সামনে একটিই লক্ষ্য থাকতে হবে—যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকা। তিনি বলেন, এর কোনো বিকল্প নেই।


মানুষের আস্থা জামায়াতের প্রতি, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনেই তার প্রমাণ: মুজিবুর রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৭:৫৫:১৪
মানুষের আস্থা জামায়াতের প্রতি, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনেই তার প্রমাণ: মুজিবুর রহমান
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ছবি : কালবেলা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সৎ নেতৃত্বের কারণে আগামীতে দেশের মানুষ জামায়াতকেই ভোট দেবে। তিনি বলেন, মানুষের এই আস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রমাণিত হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। ‘বিশ্ব নবীর জীবন ও কর্মনীতি’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামীর গোদাগাড়ী পৌর ওলামা বিভাগ।

‘সৎ নেতৃত্বই কল্যাণ রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত’

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, একটি আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের পূর্বশর্ত হলো সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। তার মতে, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপকার। তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও আদর্শই আমাদের পথনির্দেশক এবং তা অনুসরণ করা উচিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জামায়াতের রাজশাহী মহানগরের মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। গোদাগাড়ী পৌর ওলামা বিভাগের সভাপতি শায়খ আবু মুহাম্মদ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল খালেক, রাজশাহী আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি ড. ওবায়দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।


তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষকে উঁচিয়ে ধরতে হবে:  এ্যানি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৭:৩৫:৫০
তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষকে উঁচিয়ে ধরতে হবে:  এ্যানি
ছবি : কালবেলা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষের পতাকাকে উঁচিয়ে ধরতে হবে। তিনি বলেন, এখন থেকেই বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

‘আগামী নির্বাচনই মূল লক্ষ্য’

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আগামী নির্বাচনই বিএনপির মূল লক্ষ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সম্মেলন থেকে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে, যারা ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে। তিনি বলেন, “আজকের এই সম্মেলনে আমরা সবাই এক মঞ্চে এসেছি। রামগঞ্জে ঐক্যের বন্ধন গড়ে উঠেছে। এখানে কোনো পক্ষ-বিপক্ষ বা মতভেদ নেই। উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা নেতৃত্বের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।”

সম্মেলনে উপস্থিত নেতা ও নির্বাচন

রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবুসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে আয়োজিত সমাবেশ পরবর্তী সময়ে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। উপজেলার ১০টি ও পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডের মোট ১,৪২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি, যারা চেয়েছিল তারাই পালিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:৪৩:২৭
বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি, যারা চেয়েছিল তারাই পালিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ দেশে যা কিছু ভালো, তার সবই দিয়েছে বিএনপি। শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো

মির্জা ফখরুল বলেন, “যাদের কাল জন্ম হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালে ভিন্ন অবস্থানে ছিল, তাদের জানা উচিত, বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো। কেউ বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। যারা গুম-খুন করে ভাঙতে চেয়েছিল, তারাই পালিয়ে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, বরং সংগ্রাম করে এই জায়গায় এসেছে। তিনি একাত্তর সালকে দলের জন্য গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।

‘তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় যাকে নির্যাতন করে নির্বাসিত করা হয়েছিল, সেই নেতা (তারেক রহমান) নতুন করে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন নতুন সুযোগ এসেছে তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার। তাই সবাইকে বিএনপির পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের যে গণতন্ত্রের কথা সবাই বলছে, তা নিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি। তিনি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের তাড়িয়ে দেওয়া ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানান।


সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের থাকা ভুল সিদ্ধান্ত: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:২১:৪২
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের থাকা ভুল সিদ্ধান্ত: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি : কালবেলা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে দাবি জানাতে পারে, তবে তা পুরো জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, যে পরিবর্তন সবাই চায়, তা একদিনে সম্ভব নয়; এর জন্য ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’ আয়োজিত তৃতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘জনগণের রায় ছাড়াই সবকিছু ঠিক করা হচ্ছে?’

সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “গতকাল দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হয়েছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, কোথাও বলা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে, আর বিএনপি হবে বিরোধী দল! তাহলে কি জনগণের রায় ছাড়াই এসব ঠিক করে ফেলা হচ্ছে?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি কোনো দল এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয় যে তারা সরকার গঠন করবেই, তাহলে তারা নির্বাচনে আসে না কেন?

তিনি বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য এখন সবার কাছে স্পষ্ট। তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংকটের পরিবর্তে ঐক্য তৈরি করতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করার মাধ্যমে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।

‘ছাত্র প্রতিনিধিদের সরকারে থাকা ভুল সিদ্ধান্ত’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আলোচনার টেবিলে মতৈক্য না হলে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক চর্চার ধারাবাহিকতা থাকলে একটি শক্তিশালী ও ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।

সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তার মতে, ছাত্রদের সরকারের দায়িত্বে থাকা উচিত হয়নি। তারা চাইলে জাতির প্রেশার গ্রুপ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু সরকারে যাওয়ার পর তাদের প্রতিনিয়ত নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।


অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দায়ী করা হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:০৪:৪৫
অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় দায়ী করা হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অংশীদারিত্ব থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের সব ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার দায় তার দলকে নিতে হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের হাতে ‘বন্দি’ হয়ে পড়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’র তৃতীয় সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘একাই লড়ছি’

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশের মানুষ এনসিপির কাছে নতুনত্ব প্রত্যাশা করছে। তিনি দাবি করেন, দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে এমন একটি অংশ মিডিয়া ও সেনাবাহিনীর মধ্যে রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তারা অনেকটা একাই লড়াই করছেন। তিনি বলেন, “আমরা মিডিয়ার চোখে চোখ রেখে কথা বলছি। সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলছি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে এনসিপির নেতাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের খবরটি গণমাধ্যমে প্রচার করা নিয়েও তিনি আপত্তি জানান। তিনি বলেন, এনসিপি মিডিয়া বিরোধী নয়, তবে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠতা প্রত্যাশা করে।

‘ভুল স্বীকার করতে পারি’

ব্যবসায়ীদের হাতে রাজনীতি ‘বন্দি’ হওয়ার প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত। এনসিপির অর্জন কম নয় দাবি করে তিনি বলেন, “আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, আমরা তার পর্যালোচনা করি। ভুল স্বীকার করতে পারি। আপনারা পরামর্শ দেবেন, আমরা সংশোধন করে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করবো।”


“টোগোতে ফের গ্রেপ্তার সমালোচক র‍্যাপার আমরন: উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি”

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১০:৩১:২৫
“টোগোতে ফের গ্রেপ্তার সমালোচক র‍্যাপার আমরন: উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি”
ছবিঃ সংগৃহীত

টোগোর জনপ্রিয় র‍্যাপার আমরন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট ফোর গনাসিংবেকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে আসছেন, আবারও গ্রেপ্তার হয়েছেন। শুক্রবার সকালে রাজধানী লোমেতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয় বলে তার আইনজীবী সেলেস্টিন আগবোগান নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আমরন জনশৃঙ্খলা ভঙ্গ, গণঅভ্যুত্থানের ডাক এবং সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত।

আমরনের প্রকৃত নাম নারসিস এসোয়ে চালা। গত ৩০ আগস্ট তিনি লোমেতে নিজ মহল্লায় বিক্ষোভের চেষ্টা করেছিলেন, তবে পুলিশ তাকে থামিয়ে দেয়। এর আগে মে মাসে প্রথমবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরে জুন মাসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

তার প্রথম গ্রেপ্তারের পর থেকেই দেশে তীব্র জনঅসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, সরকারবিরোধী দমননীতি এবং প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক সংস্কারের প্রতিবাদে জুন মাসজুড়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ওই বিক্ষোভে অন্তত সাতজন নিহত হন। সরকার অবশ্য মৃত্যুগুলো বিক্ষোভ-সংক্রান্ত নয় বলে দাবি করেছে।

আমরনের সর্বশেষ গ্রেপ্তার এমন সময়ে হলো, যখন মাত্র দুই দিন আগে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট গনাসিংবের শ্যালিকা মার্গেরিত গ্নাকাদেকেও তার লোমে-স্থিত বাড়ি থেকে আটক করা হয়। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা গ্নাকাদে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সরকারের সমালোচনা করে আসছিলেন এবং এক ভিডিও বার্তায় প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। তিনিও গত ৩০ আগস্ট লোমেতে স্বল্প সময়ের জন্য বিক্ষোভে অংশ নেন।

অগাস্টের শেষে টোগোর নাগরিক সমাজের জোট "টার্ন দ্য পেজ-টোগো" জানায়, তাদের দুই সদস্যকেও আটক করা হয়েছে। ক্রমাগত গ্রেপ্তার অভিযানে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সরকার সমালোচনামূলক কণ্ঠকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ফোর গনাসিংবে ২০০৫ সালে তার পিতা ন্যাসিংবে ইয়াদেমার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। তার পরিবার টোগো শাসন করছে টানা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। বিরোধীদের অভিযোগ, তিনি যে সাংবিধানিক সংস্কার করেছেন তা মূলত তার ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে।

-আলমগীর হোসেন


“এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১০:২১:১৪
“এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
ছবিঃ সংগৃহীত

বাল্টিক অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এস্তোনিয়া অভিযোগ করেছে, শুক্রবার তিনটি রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান অনুমতি ছাড়াই তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ঘটনাটি ঘটে ভায়ন্দলো দ্বীপের কাছে এবং বিমানগুলো প্রায় ১২ মিনিট এস্তোনিয়ার আকাশে ছিল। এসময় তাদের ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল এবং এস্তোনিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না।

ঘটনার পর ন্যাটোর অংশ হিসেবে বাল্টিক অঞ্চলে অবস্থান করা ইতালির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দ্রুত উড়ে যায় এবং রুশ বিমানগুলোকে সরে যেতে সতর্ক করে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে এই পদক্ষেপকে “দ্রুত ও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া” বলে প্রশংসা করেছেন। সুইডেন ও ফিনল্যান্ডও তাদের যুদ্ধবিমান উড়িয়ে পরিস্থিতি সামলায়।

এস্তোনিয়া এই ঘটনার পর ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ অনুযায়ী, কোনো সদস্য রাষ্ট্র যদি মনে করে তার নিরাপত্তা বা সীমান্ত হুমকির মুখে, তবে সে জরুরি বৈঠক ডাকতে পারে। এর আগে পোল্যান্ড একই অভিযোগে ন্যাটোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছিল।

রাশিয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, মিগ-৩১ বিমানগুলো কারেলিয়া অঞ্চল থেকে ক্যালিনিনগ্রাদে যাচ্ছিল এবং তারা এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। মন্ত্রণালয় বলেছে, বিমানগুলো বাল্টিক সাগরের নিরপেক্ষ আকাশসীমায় ছিল এবং দ্বীপ থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে উড়েছে।

এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গুস ছাখনা বলেছেন, রাশিয়া এ বছর চারবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি মনে করেন, রাশিয়ার এই বাড়তে থাকা উসকানি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

উক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইচ্ছে করে ইউরোপীয় দেশগুলোর আকাশসীমায় ঢুকে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, “হুমকি যত বাড়বে, চাপও তত বাড়বে।” তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।

ন্যাটোর বাল্টিক এয়ার পুলিশিং মিশনের নেতৃত্ব এখন ইতালির হাতে, যারা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ নজরদারি করছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সও পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।

-নাজমুল হাসান

পাঠকের মতামত: