ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর

ট্রাম্প-যুবরাজ বৈঠক: আলোচনায় কী ছিল?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৩ ১৬:১৫:২০
ট্রাম্প-যুবরাজ বৈঠক: আলোচনায় কী ছিল?

সত্য নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চার দিনের উপসাগরীয় সফরের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এই সফরের মূল লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা, নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ। সফরসূচি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরব ছাড়াও কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।

রিয়াদে যুবরাজের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক

সৌদি রাজধানী রিয়াদে অবতরণের পরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে একটি প্রাথমিক বৈঠক করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বৈঠকে অংশ নেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ করপোরেট নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল। আলোচনায় মূলত পারস্পরিক বিনিয়োগ, সামরিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু প্রাধান্য পায় বলে জানা গেছে।

সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে ট্রাম্পের অংশগ্রহণ

বিকেলে ট্রাম্প রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে যোগ দেবেন। এই ফোরামে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বড় পরিসরের চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনাও রয়েছে, যা আগের ঘোষিত ৬০০ বিলিয়নের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ট্রাম্প প্রশাসনের আশা, এই বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিক নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

উপসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক কূটনীতির বার্তা

ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট মেয়াদে এটিই তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিদেশ সফর। এবং আগের মেয়াদের মতো এবারও সৌদি আরবকে তাঁর প্রথম গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত কূটনৈতিক রীতির বাইরে একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা প্রথম বিদেশ সফরের জন্য যুক্তরাজ্য, কানাডা বা মেক্সিকোর মতো পশ্চিমা মিত্রদের পছন্দ করে থাকেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সফর উপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়ার একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে শক্তি বাজারে অস্থিরতা এবং চীনের প্রভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে, উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা মার্কিন প্রশাসনের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরবর্তী গন্তব্য: কাতার ও আমিরাত

সফরসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার ট্রাম্প কাতার যাবেন, যেখানে আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবেন, যেখানে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং জলবায়ু সহযোগিতা নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে।

এই সফরের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে—এমনটিই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত