ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত

গাজা যুদ্ধবিরতি: কাতারে আলোচনায় যাচ্ছে ইসরায়েল, হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৬ ১০:৩৫:২৩
গাজা যুদ্ধবিরতি: কাতারে আলোচনায় যাচ্ছে ইসরায়েল, হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

গাজায় প্রায় ২১ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে নতুন করে আলোচনায় বসছে ইসরায়েল ও হামাস। তবে এই আলোচনার পথ রয়ে গেছে কণ্টকাকীর্ণ, কারণ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেটানিয়াহু কাতারের মাধ্যমে আসা হামাসের সাম্প্রতিক অস্ত্রবিরতির শর্তাবলী স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) রাতে নেটানিয়াহুর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “হামাস যে পরিবর্তনগুলোর কথা বলেছে, সেগুলো ইসরায়েলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।” যদিও সেই বিবৃতিতেই জানানো হয়, পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর কাতারে প্রস্তাবিত ‘প্রক্সিমিটি আলোচনা’তে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেটানিয়াহুর নির্দেশে ইসরায়েলি আলোচক দল কাতারে গিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে, যার উদ্দেশ্য আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং অস্ত্রবিরতির বিষয়ে একটি কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছানো—যেটি ইসরায়েল ইতোমধ্যেই অনুমোদন করেছে।”

রবিবার আলোচক দল কাতার রওনা দেবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে প্রস্তাবিত এক অস্ত্রবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে "অবিলম্বে" আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। এই প্রস্তাবের পেছনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক অস্থায়ী সমঝোতার গতি ধরে রেখে এবার গাজা সংকট নিরসনের চেষ্টায় মনোনিবেশ করেছেন।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি নেটানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবেন আগামী সোমবার ওয়াশিংটনে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজার ব্যাপারে ইসরায়েলের ওপর তিনি চাপ প্রয়োগ করবেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছাতে একটি কার্যকর সমঝোতা সম্ভব হবে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব

গাজা যুদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে চললেও সাম্প্রতিক কূটনৈতিক তৎপরতা নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী মধ্যস্থতাকারী কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে পারে। তবে হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবে কি না, সেটিই এখনো সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের অংশগ্রহণ এক ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও হামাসের শর্ত প্রত্যাখ্যান আলোচনার গতিপথকে জটিল করে তুলতে পারে। তবে নেটানিয়াহুর কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপের মধ্যে আগামী কয়েকদিনে গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বড় অগ্রগতি দেখা যেতে পারে।

-নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ