রাজনৈতিক জোট নয়, নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিল এবি পার্টি!

ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি নয়, এবি পার্টি চাইছে বৈষম্যবিরোধী ও সংস্কারপন্থী সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক ছাতার নিচে আনার উদ্যোগ নিতে—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই উদযাপন কর্মসূচির’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “গত বছরের জুলাইয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা প্রশ্নে এক হয়েছিল। আজ যখন সংস্কারের প্রশ্ন আসে, তখন বিভক্তি কেন?”
অনুষ্ঠানে শহীদ নাজমুল কাজীর স্ত্রী মারিয়া সুলতানা রাখি ও তাঁদের কন্যা আরিয়ানা কাজী নুজাইরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে এবি পার্টির ‘জুলাই কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থান সফল হলেও তার ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের বড় ব্যর্থতা। ভারত যেন বাংলাদেশে কখনো মাথা ঘোরাতে না পারে, এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সচেতন থাকা জরুরি।”
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, বি এম নাজমুল হক, হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার সাদাতসহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আয়োজনে আলোচকরা বলেন, “জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করেই এবি পার্টি নতুন এক সংস্কারধারার রাজনীতির সূচনা করছে, যা দেশের ভবিষ্যতের পথ রচনা করবে।”
সত্য প্রতিবেদন/আশিক
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে রাজপথে নামব: আখতার হোসেন
টেবিলের আলোচনায় নতুন সংবিধান প্রণয়ন না হলে রাজপথে নামতে দেরি করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদকে কাগুজে বাঘ হিসেবে দেখতে চায় না এনসিপি। বর্তমান সরকারের সময়েই এর বাস্তবায়ন চান তারা। তিনি মনে করেন, লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকেই সংস্কার শুরু করতে হবে এবং পরবর্তী সরকার এসে তা সম্পন্ন করবে।
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনেক বিষয়ে একমত হলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ম্রিয়মাণ। তিনি মনে করেন, কমিশন একটি বা দুটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত। তিনি আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাও অপূর্ণাঙ্গ, কারণ এতে সংস্কার করা সংবিধানের আলোকে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আখতার হোসেন জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়। যদি টেবিলের আলোচনায় নতুন সংবিধানের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হয়, তবে তারা রাজপথে নামতে দেরি করবেন না। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি পুরনো নিয়ম ভেঙে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে এক হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন যেকোনো সময় হতে পারে, তবে তা পুরনো ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে নয়, নতুন ব্যবস্থায় হতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা, আরিফ সোহেল প্রমুখ।
সরকারকে লন্ডনে ‘বিক্রি করে’ দেওয়া হয়েছে:হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারপ্রধান লন্ডনে গিয়ে একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে ‘সিজদা’ করে এসেছেন এবং সেদিনই সরকারকে সেখানে ‘বিক্রি করে’ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার বাংলামোটরে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, বর্তমান মিডিয়া বেশিরভাগই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করছে। তিনি প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে বলেন, এখন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা অফিস শেষ হওয়ার আগেই গুলশান বা পল্টনের দিকে রওনা হন, যা আগে ধানমন্ডি ৩২ বা গুলিস্তানে দেখা যেত। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে এনসিপির প্রতি বৈরিতা থাকলেও তা রাজনৈতিক বাস্তবতায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে তিনি মনে করেন।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে যে তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন, তবে তিনি ও তার সহকর্মীরা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনসিপি নির্বাচন পেছানোর পক্ষে নয়, তবে নির্বাচনের নিয়ম (‘রুলস অব দ্য গেম’) বদলাতে হবে এবং নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ পুরোনো সংবিধানকে ‘ফ্যাসিবাদের পাঠ্যবই’ আখ্যায়িত করে একটি নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, তাদের দলকে আসন দিয়ে কেনা যাবে না এবং তারা বিক্রি হন না।
নির্বাচনের বিরুদ্ধে যারা, তারা জনগণের শত্রু: সালাহউদ্দিন আহমেদ
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কা প্রকাশ করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের বিপক্ষে বক্তব্য দেবে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের রুখে দেবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ। যারা বিভিন্ন ‘কু-যুক্তি’ দিয়ে গণতন্ত্রের এই যাত্রাপথকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আশা করি- বাংলাদেশের জনগণ ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যেকোনো রকমের বাধাকে অতিক্রম করতে সংকল্পবদ্ধ।”
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দোয়া মাহফিলে সালাহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যারা নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়। তারা সম্ভবত নির্বাচনকে বিলম্বিত বা বানচাল করতে চাইছে।” তিনি রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, সেভাবেই আগামী নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে করতে আজও বাংলাদেশের মানুষের জন্য আলোর দিশারি হয়ে আছেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সহজ করতে।
তিনি বলেন, “আমরা জাতীয় ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমাণ।” যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন এর সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাইফুল আলম নীরব, রেজাউল কবির পল, বেলাল হোসেন তারেকসহ প্রমুখ।
শ্রীকৃষ্ণের বাণী থেকে প্রেরণা: জন্মাষ্টমীতে তারেক রহমানের রাজনৈতিক বার্তা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। বিএনপি সেই বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।’ হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বাণীতে তারেক রহমান হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের অব্যাহত কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে দুষ্টদের বধ করে পৃথিবী পাপমুক্ত করেছিলেন। তিনি অন্যায়, অনাচার ও দুঃশাসন দমন করে সমাজে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, শ্রীকৃষ্ণের এই বাণী থেকে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের শিক্ষা লাভ করা যায়। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি অংশ, এবং এদেশের মানুষ কখনোই ঔদার্য ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা হারায়নি।
৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে যাদের জীবন ও কর্ম দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। বেগম খালেদা জিয়া সেই তালিকার শীর্ষে। আজ তাঁর ৮১তম জন্মদিন। চার দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ক্ষমতা, বিরোধিতা, আন্দোলন, কারাবাস এবং গৃহবন্দিত্বের ভেতর দিয়ে গেছেন। প্রতিটি অধ্যায় তাঁকে যেমন দৃঢ় করেছে, তেমনি রাজনৈতিক বিরোধিতার কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির নেতৃত্বে আসেন খালেদা জিয়া। তখন তিনি রাজনীতিতে নতুন ছিলেন, কিন্তু সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে তিনি দ্রুত বিরোধী শক্তির অন্যতম প্রধান মুখে পরিণত হন। ১৯৮০-এর দশকে তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকে এবং ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে বিরাট ভূমিকা রাখে, যা শেষ পর্যন্ত এরশাদের পতন ঘটায়। তাঁর নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য ছিল আপোষহীনতা, সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং বিরোধী শিবিরকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে তিনি বাংলাদেশের প্রথম গনতান্ত্রীকভাবে জনগনের ভোটে নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হন। দীর্ঘ ১৬ বছরের রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন। সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। তাঁর প্রথম মেয়াদে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যে চালু, নারীশিক্ষায় বিশেষ প্রণোদনা, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে সহায়তা এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের মতো উদ্যোগগুলো দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে, তিনি সার্কসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের নীতি গ্রহণ করেন। যদিও ১৯৯৪ সালে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, তিনি ১৯৯৬ সালে বিরোধী দলের দাবিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের এক নতুন সংস্কৃতি গড়ে দেয়।
২০০১ সালে বিপুল বিজয়ে ক্ষমতায় ফিরে খালেদা জিয়ার সরকার অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন সম্প্রসারণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রাথমিক অগ্রগতি সাধন করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৯/১১-পরবর্তী সময়ে চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় তাঁর দৃঢ় অবস্থান প্রশংসিত হয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা, দারিদ্র্য হ্রাস এবং গ্রামীণ উন্নয়ন তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০০৬ সালে মেয়াদ শেষে তিনি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। দুর্নীতির অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। “মাইনাস টু” পরিকল্পনার আওতায় তাঁকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, কারণ কারাগার থেকেও তিনি দলের নেতৃত্বে অবিচল থাকেন। প্রায় এক বছর কারাবাস শেষে তিনি মুক্তি পান।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক বিরোধিতা দমনে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ঢাকার সেনানিবাসে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজরিত বাড়ি থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ। এটি ছিল শুধু তাঁর ব্যক্তিগত বাসস্থান নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক ও পারিবারিক স্মৃতিচিহ্ন। উচ্ছেদের পরপরই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়, যা বিএনপি সমর্থকদের কাছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও শহীদের স্মৃতি মুছে ফেলার প্রচেষ্টা হিসেবে ধরা পড়ে।
২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন খালেদা জিয়া। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ৭ দফা প্রস্তাব দেয়, যার মধ্যে ছিল নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সংসদ ভেঙে দেওয়া, সেনা মোতায়েন, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। কিন্তু এসব প্রস্তাব সরকার প্রত্যাখ্যান করে এবং একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আন্দোলন দমনে সরকারের দমননীতি তীব্র হয়। খালেদা জিয়া বারবার গৃহবন্দী হন, দলের বহু নেতা-কর্মী গ্রেফতার হন, এবং বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ে।
২০১৮ সালে বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠানো হয়। বিএনপি এবং আন্তর্জাতিক মহল এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেয়। কারাগারে থাকাকালীন তাঁর স্বাস্থ্য দ্রুত অবনতি ঘটে। তিনি গুরুতর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও সরকার তা অনুমোদন করে না। সীমিত চিকিৎসাসুবিধায় তিনি হাসপাতালে থাকেন, যা দেশ-বিদেশে সমালোচিত হয়। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির সময় মানবিক বিবেচনায় দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হলেও শর্ত ছিল তিনি বাসায় থাকবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। কার্যত গুলশানের বাসায় তিনি দীর্ঘ গৃহবন্দী জীবন কাটান, যা তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তাকে স্থবির করে দেয়।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল জনগণের ক্ষমতায়ন ও জবাবদিহিমূলক শাসন। তাঁর প্রস্তাবিত ধারণাগুলো ২০২৩ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্রসংস্কার রূপরেখা হিসেবে প্রকাশ করেন। এতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা, অনুচ্ছেদ ৭০ সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং প্রশাসনিক সংস্কারের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল। মূলত এই প্রস্তাবই পরবর্তীতে জনমনে রাষ্ট্রসংস্কার আকাঙ্খার সৃষ্টি করে।
২০২৪ সালে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ঘটে। দীর্ঘ কারাবাস ও গৃহবন্দী জীবনের পর জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি বলেন, “আমরা যে সংগ্রাম করেছি, তা প্রতিহিংসার জন্য নয়। এটি একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য, যেখানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।” এই বক্তব্যে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও ক্ষমতার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের স্বার্থে কাজ করার অঙ্গীকার ফুটে ওঠে।
৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। তিনি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই করেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন, জাতীয় উন্নয়নে অবদান রেখেছেন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বছরের পর বছর কারাবাস ও গৃহবন্দী জীবন কাটিয়েছেন। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁকে শুধু বিএনপির নেতা হিসেবে নয়, বরং গণতন্ত্রের প্রতীক, নারীর সাহসিকতার মডেল এবং রাজনৈতিক দৃঢ়তার উদাহরণ হিসেবে স্মরণ করা হচ্ছে। তাঁর সংগ্রাম ও ত্যাগ প্রমাণ করে, প্রতিকূলতার মুখেও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো সম্ভব, যদি নেতৃত্বে থাকে অদম্য সাহস, দৃঢ় বিশ্বাস এবং জনগণের প্রতি অবিচল দায়বদ্ধতা।
‘জাতির পিতা’ নয়, মুজিববাদ ফ্যাসিবাদ: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তাদের সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং ফ্যাসিস্ট আদর্শ ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি নয়, এটি জনগণের রাষ্ট্র। শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ও ত্যাগকে স্বীকার করলেও, তার শাসনামলে সংঘটিত জাতীয় ট্র্যাজেডিও সমানভাবে স্মরণ করা জরুরি। তার ভাষায়, মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি কার্যত উপনিবেশে পরিণত হয়েছিল; ১৯৭২ সালে জনগণের ওপর জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা লুটপাট, রাজনৈতিক হত্যা, একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা ও একনায়কতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট রাজনীতির আড়ালে ‘মুজিব পূজা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ পূজা’ আসলে রাজনৈতিক মূর্তি পূজার একটি রূপ, যা জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালায়, রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করে এবং নাগরিকদের শ্রেণিভুক্ত করে। নাহিদ ইসলামের মতে, এটি গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে আধুনিক জমিদারির উদাহরণ ছাড়া আর কিছু নয়। মুক্তিযুদ্ধ ছিল সবার সংগ্রাম, কিন্তু কয়েক দশক ধরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং মুজিবুর রহমানের নামকে দুর্নীতি ও দমননীতির ন্যায্যতা দেওয়ার হাতিয়ার বানিয়েছে।
২০২৪ সালের জনগণের বিদ্রোহ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, এই গণআন্দোলনই দেশের জমিদারি ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ভবিষ্যতে আর কোনো ব্যক্তি, পরিবার বা মতাদর্শ যেন নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিতে বা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দিতে না পারে, সেটিই এখন প্রধান লক্ষ্য। তার ভাষায়, ‘জাতির পিতা’ শিরোনাম কোনো ইতিহাস নয়, বরং এটি বৈষম্য ও রাষ্ট্রের একচেটিয়া শাসনের একটি প্রতীক। বাংলাদেশ সকল নাগরিকের, এখানে কোনো ব্যক্তির জন্ম বা রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের কারণে মালিকানা দাবি করার সুযোগ নেই।
নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে ‘মুজিববাদ’কে একটি ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এর মাধ্যমে গুম, হত্যা, ধর্ষণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার, ইসলামোফোবিয়া, সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘুদের ভূমি দখল এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিক্রির মতো কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তার দাবি, ১৬ বছর ধরে মুজিবকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং মূর্তি ও প্রতীকীর আড়ালে অপহরণ, গণহত্যা, হত্যা ও লুটপাটের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, মুজিববাদ একটি জীবন্ত বিপদ, যা রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের মাধ্যমে পরাজিত করতে হবে। নাহিদ ইসলামের মতে, তাদের সংগ্রাম একটি সমঅধিকারভিত্তিক গণপ্রজাতন্ত্র গড়ার জন্য, যেখানে কোনো দল, বংশ বা নেতা জনগণের উপরে অবস্থান করবে না।
-রফিক
শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের ১ম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের একাংশের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হন তিনি। ওই দিনের হত্যাযজ্ঞে তার নিকটাত্মীয়সহ মোট ২৬ জন প্রাণ হারান। বিদেশে অবস্থান করায় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, প্রাণে বেঁচে যান।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই সংঘটিত হয়। তবে পুরো মুক্তিযুদ্ধকাল তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন। মুক্তির পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তবে স্বাধীনতার মাত্র তিন বছর পর, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তিনি দেশের সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা বন্ধ হয়ে যায় এবং অতীত জীবনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামকারী এই নেতা নিজেকে কার্যত আজীবনের জন্য রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একদলীয় শাসনব্যবস্থা, সীমাহীন দুর্নীতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ১৫ আগস্টের ঘটনার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমনকি শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দেশের কোথাও তাৎক্ষণিক কোনো গণবিক্ষোভ বা প্রতিবাদ দেখা যায়নি, যা সে সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জটিলতাকে স্পষ্ট করে। তবে স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর সীমাহীন ত্যাগ ও বলিষ্ঠ্য নেতৃত্ব, বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাসে তাকে অমর করে রাখবে।
৮১ বছরে খালেদা জিয়া: সংগ্রাম, কারাবাস ও রাজনৈতিক ইতিহাস
সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পথ পেরিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ ৮১ বছরে পদার্পণ করলেন। শুক্রবার তার জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপির কার্যালয় ও মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও কেক কাটার কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মুক্তিযুদ্ধে, ১৯৯০ সালের গণ-আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বেলা ১১টায় প্রধান দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তার পিতা ফেনীর ফুলগাজির ইস্কান্দার মজুমদার এবং মাতা চন্দনবাড়ির তৈয়বা মজুমদার। দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়ার সময় তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো।
১৯৮১ সালের ৩১ মে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও তার স্বামী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন। সে সময় পর্যন্ত গৃহবধূর জীবনযাপন করা খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বানে রাজনীতির ময়দানে নামেন। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক যাত্রা আনুষ্ঠানিক রূপ পায়।
১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়ে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে খ্যাতি পান তিনি। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৩ সালে সার্কের প্রথম নারী চেয়ারপারসন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তার নেতৃত্বে চারদলীয় জোট জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।
২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন পর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩ সেপ্টেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাভোগ করেন। একই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় মাত্র দুই কোটি টাকার অভিযোগে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ সাজানো রায়ে তাকে কারারুদ্ধ করে শেখ হাসিনার সরকার। কারাগারের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ও বিনা চিকিৎসায় থাকার ফলে তার শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার আবেদন বারবার নাকচ করে সরকার।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা পরিস্থিতিতে ছয় মাসের জন্য শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসায় গৃহবন্দী থাকেন। শুধু হাসপাতাল ও বাসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ জীবনযাপন করেন তিনি। কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা নেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেন। দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগতে থাকা খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। লন্ডন ক্লিনিকে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন। চার মাস পর, ৬ মে একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফেরেন তিনি।
-রফিক
ফ্রান্স থেকে ফিরে ‘ইন্টার্ন’ উপদেষ্টা দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন ইউনূস: রাশেদ খান
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা রাশেদ খান কয়েকদিন আগেই দৃঢ়ভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন “শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে।” কিন্তু বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি তীব্র সমালোচনা করেন।
পোস্টে তিনি প্রথমে ড. ইউনূসের নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার প্রশংসা করলেও, পরে উপদেষ্টা পরিষদকে ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক’ হিসেবে তুলনা করেন। তার ভাষায়, “তিনি (ড. ইউনূস) ফ্রান্স থেকে ফিরে এসে যাদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছেন তারা ইন্টার্ন চিকিৎসকের মত। ১৬ বছর ধরে তৈরি হওয়া হাসিনার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার (যাকে তিনি ক্যান্সার হিসেবে আখ্যা দেন) চিকিৎসা করাতে তিনি এই ইন্টার্ন উপদেষ্টাদের ব্যবহার করছেন। এর ফলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রে ছড়িয়ে পড়েছে বা বহাল থেকেছে।”
রাশেদ খানের দাবি, উপদেষ্টাদের অদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অভাবে আওয়ামী লীগ আমলের ‘ফ্যাসিবাদী সেটাপ’ সচিবালয়, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এবং অন্যান্য সরকারি দপ্তর ও সেক্টরে শুধু টিকে নেই, বরং অনেক ক্ষেত্রেই আরও শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি মনে করেন, গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের যারা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে তুলেছিল তাদের চাকরিচ্যুত ও শাস্তির আওতায় আনা। কিন্তু ড. ইউনূস সেই পুরোনো কাঠামো অপরিবর্তিত রেখেই দেশ পরিচালনা করছেন।
রাশেদ খান উপদেষ্টা পরিষদের এনজিও-প্রভাবিত চরিত্রের দিকেও ইঙ্গিত করেন। তার ভাষায়, “উপদেষ্টা পরিষদের এনজিও সার্কেলটা মিষ্টি কথায় পটু, কিন্তু বাস্তবায়নে কার্যত উদাসীন ও অনভিজ্ঞ। বিচার ও সংস্কারের মিষ্টি কথা বললেও, তাদের কার্যকলাপ আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়।”
পোস্টের শেষ অংশে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “বছরের শেষেও আমরা মিষ্টি কথার ধোঁকায় নতুন স্বপ্ন দেখছি। মূলত আমাদের ভাগ্যই খারাপ বারবার পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে আমাদের যোদ্ধারা জীবন দেয়, কিন্তু রাষ্ট্রের গুণগত ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন কখনো হয় না।”
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির
- সঙ্গীতশিল্পী থেকে অভিনেত্রী, নতুন রূপে পারশা মাহজাবীন পূর্ণী
- পাকিস্তানের হারের হতাশা কাটিয়ে: নেপালকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে রাজপথে নামব: আখতার হোসেন
- সরকারকে লন্ডনে ‘বিক্রি করে’ দেওয়া হয়েছে:হাসনাত আব্দুল্লাহ
- আলাস্কার আকাশে রহস্য: দুই নেতার সামনে কেন আচমকা মার্কিন বোমারু বিমান?
- নীরব ঘাতক কিডনি ক্যানসার: এই ৫ লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন
- ৩২ নম্বরে ফুল দেওয়া সেই রিকশাচালক এবার জুলাই মামলায় কারাগারে
- আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল?: চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আসিফ নজরুলের ক্ষোভ
- নির্বাচনের বিরুদ্ধে যারা, তারা জনগণের শত্রু: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান
- রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন চেষ্টা: এ বছরই বসছে ৩ আন্তর্জাতিক সম্মেলন
- গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) এর বার্ষিক পিকনিক প্রাণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রেমে বৃদ্ধের ঘরছাড়া, প্রাণঘাতী পরিণতি
- খুলনার ব্যাংকে দুর্ধর্ষ চুরি: ১৬ লাখ টাকা লুট
- বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না: আবারও ৫ দিনের বৃষ্টি বার্তা,৩ বিভাগে ভারি বর্ষণের শঙ্কা
- ৪ বছরে টাকার বড় দরপতন, ইউরো ও ডলারের বিপরীতে কতটা কমল?
- আকাশছোঁয়া দাম, ইলিশ এখন সাধারণের জন্য কেবল 'স্বপ্ন'
- রাজশাহীর কোচিং সেন্টার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার,ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী
- টাইগারদের পাওয়ার হিটিংয়ে দুর্বলতা: সমাধান নিয়ে এসেছেন জুলিয়ান উড
- গাজায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা: প্রতিদিনের বাস্তবতা
- মেলানিয়ার চিঠি নিয়ে রহস্য: ট্রাম্প কেন ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের হাতে দিলেন?
- গুজবের পর্দা ফাঁস: তারকাদের টাকার বিনিময়ে মুজিবকে নিয়ে পোস্ট? জানা গেল আসল সত্য
- পাথর পাচারের রুট পরিবর্তন: কোম্পানীগঞ্জ থেকে ছাতকে নতুন রুট
- আবার সাইবার হামলা: ভারতীয় হ্যাকারদের টার্গেটে বাংলাদেশের শতাধিক ওয়েবসাইট
- ফুটবল দুনিয়ার দৌড়ঝাপ, রোনালদো ভারতের পথে!
- বক্স অফিস রিপোর্ট: ‘কুলি’র বাজিমাত, পিছিয়ে ‘ওয়ার ২’, আর ‘ধূমকেতু’র রেকর্ড
- শ্রীকৃষ্ণের বাণী থেকে প্রেরণা: জন্মাষ্টমীতে তারেক রহমানের রাজনৈতিক বার্তা
- আগামী নির্বাচন হবে বিশ্বাসযোগ্য: ড. ইউনূসের মন্তব্য, জানালেন সংস্কারের অগ্রগতি
- নোবেল পেতে মরিয়া ট্রাম্প: নরওয়ের অর্থমন্ত্রীকে ফোন করে কী জানতে চাইলেন?
- ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের পর হল রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন বিতর্ক
- ইরাকে আলেমের চমক: কোরআনের আয়াতেই মুহূর্তে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
- নোয়াখালীতে শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ আটক ৩
- সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: যানজটে আটকে ফায়ার সার্ভিস,পুড়ে ছাই ২৫ দোকান
- তিন ঘণ্টার বৈঠকেও ইউক্রেন যুদ্ধে অচলাবস্থা, কী বললেন পুতিন-ট্রাম্প?
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- দুই বাংলায় সাড়া ফেলতে আসছে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন চমক
- নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- ‘জাতির পিতা’ নয়, মুজিববাদ ফ্যাসিবাদ: নাহিদ ইসলাম
- জেড আই খান পান্নার গৃহবন্দি স্ট্যাটাসে তোলপাড়
- শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- খালেদা জিয়ার জন্মদিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফুলেল শুভেচ্ছা
- শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- গবেষণায় উন্মোচিত খারাপ সিদ্ধান্তের মনস্তাত্ত্বিক কারণ
- ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে পুতিনের পুতিনের মনোভাব জানালেন ট্রাম্প
- ৮১ বছরে খালেদা জিয়া: সংগ্রাম, কারাবাস ও রাজনৈতিক ইতিহাস
- শুটিংয়ে সালমান খানকে কষে চড়!
- ফ্রান্স থেকে ফিরে ‘ইন্টার্ন’ উপদেষ্টা দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন ইউনূস: রাশেদ খান
- ১৫ আগস্টের আগে ঢাবি হলে শেখ হাসিনা-আ.লীগ ব্যঙ্গ করে নৃত্য-উল্লাস
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ১৪ আগস্ট ব্লক মার্কেটে বড় চুক্তি
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- ১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
- ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ
- চূড়ান্ত বিপ্লবের পথে: চিন্তার পুনর্গঠন ও আত্মার জাগরণ
- অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- সম্মতি ছাড়া ৫ মিনিট ধরে চুমু, শুটিং সেটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা
- নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের ভুল খুঁজে পেলেন বাংলাদেশের আফসার আলী
- ১৪ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৪ আগস্ট সেরা দশ লেনদেনকারী শেয়ার