রাজনৈতিক জোট নয়, নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিল এবি পার্টি!

ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি নয়, এবি পার্টি চাইছে বৈষম্যবিরোধী ও সংস্কারপন্থী সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক ছাতার নিচে আনার উদ্যোগ নিতে—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই উদযাপন কর্মসূচির’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “গত বছরের জুলাইয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা প্রশ্নে এক হয়েছিল। আজ যখন সংস্কারের প্রশ্ন আসে, তখন বিভক্তি কেন?”
অনুষ্ঠানে শহীদ নাজমুল কাজীর স্ত্রী মারিয়া সুলতানা রাখি ও তাঁদের কন্যা আরিয়ানা কাজী নুজাইরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে এবি পার্টির ‘জুলাই কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থান সফল হলেও তার ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের বড় ব্যর্থতা। ভারত যেন বাংলাদেশে কখনো মাথা ঘোরাতে না পারে, এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সচেতন থাকা জরুরি।”
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, বি এম নাজমুল হক, হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার সাদাতসহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আয়োজনে আলোচকরা বলেন, “জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করেই এবি পার্টি নতুন এক সংস্কারধারার রাজনীতির সূচনা করছে, যা দেশের ভবিষ্যতের পথ রচনা করবে।”
সত্য প্রতিবেদন/আশিক
এবার এনসিপি প্রার্থী ডা. মিতুকে হত্যার হুমকি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নির্বাচনী লড়াই শুরুর আগেই উত্তাপ ছড়িয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী এবং দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি জানান যে, একটি বিশেষ বিদেশি নম্বর থেকে তাঁকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ডা. মিতু তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে, তিনি জোটের হয়ে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট গল্প বানিয়ে চরিত্র হরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “জোটের খবর আওয়ামী লীগের পুচ্ছে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে আমি ভয় পাচ্ছি না এবং বিচলিতও নই।” তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আগামীতে তাঁর বিরুদ্ধে এআই (AI) প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুয়া ভিডিও বা আপত্তিকর ছবি তৈরি করে অপপ্রচার চালানো হতে পারে। তাঁর স্বামীও বিষয়টি নিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছেন বলে তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন।
এই হুমকির ঘটনায় ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে একজন নারী প্রার্থীর নিরাপত্তা ও সাইবার বুলিংয়ের বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ডা. মিতু তাঁর অনুসারীদের বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তিনি এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, বিষয়টি তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছেন। তবে এখন পর্যন্ত ডা. মাহমুদা মিতু বা তাঁর পক্ষ থেকে থানায় কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ওসি আরও যোগ করেন যে, অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের আগে প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের অন্যতম দায়িত্ব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ভোটের মাঠে বাবার মুখোমুখি হান্নান মাসউদ
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবা ও ছেলের প্রার্থী হওয়ার খবর এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে তাঁরা স্ব-স্ব দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ আব্দুল হান্নান মাসউদ তাঁর নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। অন্যদিকে তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ‘একতারা’ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। একই পরিবার থেকে এবং একই আসন থেকে বাবা-ছেলের এই দ্বৈরথকে সাধারণ মানুষ নবীন ও প্রবীণের এক প্রতীকী লড়াই হিসেবে দেখছেন।
এই ব্যতিক্রমী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন যে, তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও সংসদীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য একেবারেই নতুন। তিনি আরও জানান যে, হাতিয়া আসনের অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে তাঁর বাবা একজন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ ব্যক্তি এবং বাবার এই সাহসকে তিনি ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। মাসউদের মতে, ভোটের ময়দানে বাবার কাছ থেকে তাঁর নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হবে এবং তিনি এই লড়াইকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তাঁর বাবা আব্দুল মালেকের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাতিয়া আসনে এবার মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান এবং জামায়াতে ইসলামীর শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হকও রয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাবা-ছেলের এই প্রার্থিতা ভোটের মাঠে জনসমর্থনের মেরুকরণে এক বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে এক বিশাল হৃদয়: খালেদা জিয়ার মানবিক দর্শনের আড়ালে যা ছিল
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে বেগম খালেদা জিয়া কেবল একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নন, বরং তিনি একটি আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের জীবন্ত প্রতীক। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জলপাইগুড়িতে জন্ম নেওয়া এই মহীয়সী নারীর শৈশব কেটেছে উত্তরবঙ্গের শান্ত জনপদ দিনাজপুরে। তাঁর বাবা ইসকান্দার মজুমদার ছিলেন একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং মা তৈয়বা মজুমদার ছিলেন অত্যন্ত উদার ও আধুনিকমনা নারী। পারিবারিক পরিমণ্ডল থেকেই খালেদা জিয়া পেয়েছিলেন সততা, আদর্শবাদ এবং এক দৃঢ়চেতা মানসিকতা। বিদ্যালয়ের দিনগুলোতে তিনি যেমন মেধাবী ছিলেন, তেমনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তাঁর পারদর্শিতা ছিল প্রশংসনীয়। শিক্ষকদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এবং সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ ছোটবেলা থেকেই সকলের নজর কেড়েছিল।
১৯৬০ সালে তৎকালীন তরুণ সামরিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোতে তাঁর সাহসিকতা ইতিহাসের এক অমূল্য ও রোমাঞ্চকর অধ্যায়। অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহের সময় পাকিস্তানি সেনাদের হাত থেকে অস্ত্র রক্ষা করতে তিনি যে তাৎক্ষণিক ও সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলেন, তা আজও কিংবদন্তি হয়ে আছে। মেজরের অনুপস্থিতিতে তাঁর সেই অমোঘ নির্দেশ—“মেজর জিয়ার হুকুম ছাড়া একটা সুঁইও বাইরে যাবে না”—পুরো রেজিমেন্টকে কেবল ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষাই করেনি, বরং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পথকে আরও সুগম ও শক্তিশালী করেছিল। সেই মুহূর্তের সিদ্ধান্তটি না হলে হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধের গতিপথ ভিন্ন হতে পারত।
১৯৮১ সালে স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যখন বিএনপি এক মহাসংকটের মুখোমুখি, তখন অন্দরমহলের সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাজপথের সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন খালেদা জিয়া। তাঁর এই রাজনৈতিক রূপান্তর ছিল পুরো বিশ্বের জন্য এক বিস্ময়। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আপোষহীন নেত্রী’। দীর্ঘ ৯ বছরের রাজপথের লড়াইয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে বন্দুকের নলের চেয়ে জনগণের ভালোবাসা অনেক বেশি শক্তিশালী। ১৯৯১ সালে জনগণের বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তিনি রক্ষণশীল বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এক বিশাল মাইলফলক হিসেবে গণ্য হয়। প্রথাগত রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষের নির্ভরতার এক ‘বাতিঘর’।
ব্যক্তিগত জীবনে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অত্যন্ত রুচিবান ও মিতব্যয়ী। রাষ্ট্র পরিচালনার সময়ও তিনি অপচয় এবং বড় বড় প্রদর্শনমূলক প্রকল্প পছন্দ করতেন না, যা তিনি মূলত শিখেছিলেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ছিল প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রতিহিংসা দিয়ে দেশ গড়া সম্ভব নয়। এমনকি গত দেড় দশকে তাঁর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চরম নির্যাতন, কারাবরণ এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদের মতো ঘটনাও তাঁকে তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। দুই সন্তানের নির্বাসন এবং ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুও তাঁকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি করাতে পারেনি। আজ তাঁর এই মহাপ্রয়াণে বাংলাদেশ কেবল একজন রাজনীতিবিদকে হারায়নি, বরং হারিয়েছে দেশের আত্মমর্যাদার এক অকৃত্রিম অভিভাবককে। তাঁর এই শূন্যতা দীর্ঘ সময় ধরে এ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনুভূত হবে।
দল থেকে ছিটকে গেলেন রুমিন ফারহানা
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনী মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাঁকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনার মূলে রয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব। বিএনপি এবার এই আসনটি তাদের দীর্ঘদিনের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই লক্ষ্যে জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে জোটের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে এই আসন থেকে বিএনপির শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। জোটের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
রুমিন ফারহানা এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি দল থেকে সম্মানজনকভাবে পদত্যাগ করেই নির্বাচনের মাঠে নামবেন। তবে পদত্যাগ করার আগেই দল তাঁর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিএনপি এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ এখন এক ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে রুমিন ফারহানার অনুসারীরা এই বহিষ্কারের পর কী ভূমিকা পালন করবেন, তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন হবে যেখানে
বাংলাদেশের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আপসহীন নেতৃত্ব ও দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এই নেত্রী মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৬টায় ইন্তেকাল করেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেত্রীর প্রস্থানকে একটি যুগের সমাপ্তি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাজধানীর জিয়া উদ্যানে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানান, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুসরণ করেই সম্পন্ন করা হবে।
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও তিনি ছিলেন দেশের রাজনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বহুদলীয় রাজনীতির বিকাশে তার ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তার মৃত্যুতে বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
-রাফসান
গণতন্ত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম: খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শেখ হাসিনার বিশেষ বার্তা
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অপরিসীম। রাজনৈতিক বৈরিতা থাকলেও দেশের ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে শেখ হাসিনার এই বার্তা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা ও ভারতের কূটনৈতিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর এটিই শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আসা প্রথম কোনো বড় ধরণের আনুষ্ঠানিক শোক বার্তা। তিনি তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে এবং বিশেষ করে বিএনপি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। শেখ হাসিনা মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, “আমি তাঁর ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের অন্যান্য শোকাহত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আশা করছি মহান আল্লাহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং বিএনপির সবাইকে এই শোক কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবেন।” ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি ও হৃদরোগসহ নানাবিধ জটিলতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টার পর মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের এই ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার এই শোক বার্তাটি একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক শিষ্টাচারের উদাহরণ হয়ে থাকবে। ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৪১ বছর বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রাজপথের লড়াইয়ে কখনো হার মানেননি। তাঁর এই মহাপ্রয়াণে কেবল একটি দল নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক কাঠামোর এক শক্তিশালী স্তম্ভের পতন ঘটল বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করছেন।
জাতি আজ মায়ের ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো: রিজভী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক ও হাহাকার প্রকাশ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “যেকোনো সংকট বা শোকে মানুষের মাথার ওপর যেমন মায়ের একটা ছায়া থাকে, জাতি আজ সেই ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো। আমরা আমাদের সেই পরম আশ্রয় ও অভিভাবককে হারালাম।”
রিজভী তাঁর বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ও সংগ্রামী জীবনের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “দেশনেত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু যখন আমরা বাইরে রাজপথে কাজ করতাম, আমাদের মনে হতো মা তো আছেন। তিনি আমাদের সব সংকট দেখছেন। সেই প্রেরণা থেকেই আমরা লড়াই করার শক্তি পেতাম। যার নেতৃত্বের ছায়ায় আমাদের রাজনৈতিক জীবন গড়ে উঠেছে, তাঁর এভাবে চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। এই শোক ও সংকট কাটিয়ে ওঠা আমাদের এবং জাতির জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অসীম ধৈর্য ও ত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে পদে চরম নিপীড়ন সহ্য করেছেন। চোখের সামনে সন্তানের লাশ দেখার মতো কঠিন শোকও তিনি সয়েছেন শুধুমাত্র দেশ, মানুষ ও গণতন্ত্রের কথা ভেবে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি জনগণের অধিকারের পক্ষে অটল ছিলেন। তাঁর এই অকুতোভয় ও আপোষহীন মানসিকতা বিশ্ববাসীর কাছে তাঁকে এক ‘মজলুম নেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রুহুল কবির রিজভী সারা বিশ্বের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আজ কেবল বিএনপি নয়, বরং সারা বিশ্ব এই মহীয়সী নেত্রীর জন্য শোক পালন করছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর এই আবেগঘন বক্তব্য উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
জাতি এই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা কোনোদিন পূরণ হবার নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ব্রিফিং রুমে শোকাতুর কণ্ঠে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “এই দুঃসংবাদ নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে, তা আমরা কখনও ভাবিনি। আমরা বার বার আশা করছিলাম যে, দেশনেত্রী আবারও আগের মতো সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। কিন্তু আজ ভোর ৬টায় আমাদের গণতন্ত্রের মা আমাদের চিরতরে ছেড়ে চলে গেছেন।”
মহাসচিব আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তাঁর গোটা জীবন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কেবল একটি দল নয়, বরং গোটা জাতি এক অভিভাবককে হারিয়েছে। এ সময় মির্জা ফখরুল জানান যে, দেশনেত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁকে তাৎক্ষণিক ফোন করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা সমবেদনা জানিয়ে জানিয়েছেন যে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি জরুরি ক্যাবিনেট মিটিং বা মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ব্রিফিংয়ের সময় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত এবং দলের পক্ষ থেকে গৃহীত জানাজা ও দাফন সম্পর্কিত বিস্তারিত কর্মসূচি পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশবাসীকে জানানো হবে। এ সময় হাসপাতালের চারদিকের পরিবেশ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে এবং শত শত নেতাকর্মীর আহাজারিতে এক শোকাতুর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
লাজুক গৃহবধূ থেকে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী: খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মহাকাব্য
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে প্রবেশ ছিল এক আকস্মিক ও অভাবনীয় ঘটনা। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ছিলেন পুরোপুরি একজন গৃহবধূ। দুই সন্তান তারেক ও কোকোকে নিয়ে সেনানিবাসে নিভৃত জীবন কাটানো এই নেত্রীর রাজনীতি নিয়ে কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। তবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি যখন ভয়াবহ নেতৃত্বহীনতা ও বিভক্তির সংকটে পড়ে, তখন দলের অস্তিত্ব রক্ষায় অনেকটা বাধ্য হয়েই রাজপথে নামতে হয় তাঁকে।
১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি বিএনপির সাধারণ সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে পা রাখেন খালেদা জিয়া। তৎকালীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিকদের মতে, তিনি ছিলেন অত্যন্ত লাজুক ও সংসারমুখী। স্বামীর হত্যাকাণ্ডের পর তিনি রাজনীতিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলেও নেতাকর্মীদের ক্রমাগত অনুরোধ এবং দলের ঐক্য ধরে রাখতে ১৯৮৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। সেই থেকে টানা ৪১ বছর তিনি দলটির শীর্ষ পদে আসীন ছিলেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের অসুস্থতা ও এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তিনিই হয়ে ওঠেন বিএনপির প্রধান চালিকাশক্তি।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় ছিল নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। এরশাদ শাসনের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আপস না করে ৯ বছরের নিরলস সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি নিজেকে 'আপসহীন নেত্রী' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। নির্বাচনের ইতিহাসে তাঁর রয়েছে এক বিরল রেকর্ড—পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটিতেও হারেননি তিনি। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মহাপ্রয়াণে সমাপ্তি ঘটল বাংলাদেশের রাজনীতির এক সুবিশাল ও বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের।
পাঠকের মতামত:
- খালেদা জিয়া শুধু দলের নয় বরং পুরো দেশের নেতা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মেঘ আর কুয়াশায় ঢাকা সূর্য: কবে দেখা দেবে সোনালী রোদ জানাল অধিদপ্তর
- থার্টি ফার্স্ট নাইটে মুসলিমদের করণীয় নিয়ে যা বলেন ইসলামি স্কলাররা
- ফুরিয়ে আসছে ২৪ ঘণ্টার দিন, ঘড়ির কাঁটায় যোগ হচ্ছে নতুন সময়
- দাঁত সাদা করার ঘরোয়া টোটকা কি বিপদ ডেকে আনছে: যা বলছেন চিকিৎসকরা
- এবার এনসিপি প্রার্থী ডা. মিতুকে হত্যার হুমকি
- ভোটের মাঠে বাবার মুখোমুখি হান্নান মাসউদ
- প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে এক বিশাল হৃদয়: খালেদা জিয়ার মানবিক দর্শনের আড়ালে যা ছিল
- দল থেকে ছিটকে গেলেন রুমিন ফারহানা
- একঝাঁক বিশ্বনেতারা কাল ঢাকায় আসছেন খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে
- ২০২৬ সালের বার্ষিক বৃত্তিসহ সব পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- এস জয়শঙ্কর ও ইসহাক দার ঢাকা আসছেন কাল
- বছরের শেষ দিনে ডিএসইতে মিশ্র চিত্র, লেনদেন ৩৫৪০ কোটি
- বছরের শেষ কার্যদিবসে শীর্ষ গেইনার শেয়ার
- বছরের শেষ কার্যদিবসে শীর্ষ লোকসানি শেয়ার
- প্রতিদিনের প্লেটেই লুকিয়ে আছে সুস্থ ভবিষ্যৎ
- দুই মেয়াদি সরকারি বন্ডের কুপন রেকর্ড ডেট প্রকাশ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর, পুনরায় চালু তিন সিকিউরিটিজ
- সহজ রেসিপিতে ঘরেই বানান ধনে পাতার আচার
- শীতের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাসে সতর্কতা জারি
- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন হবে যেখানে
- ডায়াবেটিস ওঠানামা ঠেকাতে কী খাবেন প্রতিদিন
- খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের আবেগঘন বার্তা
- এনএফএমএল এর তৃতীয় প্রান্তিক বিশ্লেষণ
- বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিতরণ
- এনভয় টেক্সটাইলসের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- চার লাখের বেশি শেয়ার কিনছেন দুই করপোরেট পরিচালক
- শপিংয়ের আগে সতর্কতা: আজ যেসব মার্কেট বন্ধ
- প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে মোদির আবেগঘন বার্তা
- গণতন্ত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম: খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শেখ হাসিনার বিশেষ বার্তা
- জাতি আজ মায়ের ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো: রিজভী
- একাধিক কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
- এনএভি বিশ্লেষণে কোন ফান্ড এগিয়ে, কোনটি পিছিয়ে
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
- লেনদেন ৯৫০ কোটির বেশি, সূচক বাড়ল ডিএসইতে
- আট দফা বাড়ার পর অবশেষে কমল স্বর্ণের দাম: আজ থেকে কার্যকর হবে নতুন মূল্য
- জবিতে জকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা
- প্রিয় নেত্রীর প্রয়াণে বিপিএল আজ নিশ্চুপ: পেছানো হলো আজকের সব ম্যাচ
- দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির নক্ষত্রপতন: খালেদা জিয়াকে নিয়ে যা বলছে বিশ্বমিডিয়া
- বেগম জিয়ার বিদায়ে গভীর শোক প্রকাশ চীনের, এল বিশেষ বার্তা
- জাতি এই ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না: মির্জা ফখরুল
- জাতি এক মহান অভিভাবককে হারাল: প্রধান উপদেষ্টা
- ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে জেনে নিন আজকের আবহাওয়ার হালচাল
- টিভির পর্দায় আজকের সব খেলার সূচি
- লাজুক গৃহবধূ থেকে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী: খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মহাকাব্য
- আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ: হাড়কাঁপানো শীতের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস
- খালেদা জিয়াকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন: জামায়াত আমির
- চিরবিদায় নিলেন ‘আপসহীন নেত্রী’ বেগম খালেদা জিয়া
- মাহফুজ-আসিফ কেন ভোটের বাইরে: জামায়াতের আপত্তির আসল কারণ ফাঁস
- আজ ঢাবির ভর্তি যুদ্ধ: আছে এমআইএসটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খবর
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য বড় সুখবর
- আজ থেকে শুরু বিপিএলের দ্বাদশ আসর, জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে নীরবে কেঁদেছেন তারেক রহমান
- ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী
- ২০২৬ সালে স্কুলে ছুটি কমলো ১২ দিন, দেখে নিন তালিকা
- ই-রিটার্ন দাখিলে আর বাধা নেই: বড় সুখবর দিল রাজস্ব বোর্ড আজ
- এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পিছাল, নতুন তারিখ ঘোষণা
- জামায়াত-চরমোনাই দ্বিমুখী লড়াই: সংকটে ইসলামী জোট
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকাই
- হাড়কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশা থেকে মুক্তি কবে? যা জানাল আবহাওয়া অফিস








