নবজাতকের কোমল ত্বকের যত্ন ও প্রধান চর্মরোগের প্রতিকার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ১৬:২৩:৪৭
নবজাতকের কোমল ত্বকের যত্ন ও প্রধান চর্মরোগের প্রতিকার

নবজাতকের ত্বক অত্যন্ত কোমল ও সংবেদনশীল হওয়ায় জন্মের পরপরই বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। শিশুর ত্বকের সঠিক যত্ন না নিলে এসব সমস্যা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই নবজাতকের ত্বকের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হয়ে সঠিক পরিচর্যা ও প্রয়োজনমতো চিকিৎসা নেয়া অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে আমরা নবজাতকের প্রধান প্রধান চর্মরোগ ও সেগুলো থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রথমত, প্রিকলি হিট বা ঘামাচি নবজাতকের ত্বকে ঘামের কারণে লালচে অথবা সাদা রঙের ছোট ছোট দানা দেখা দেয়। অধিক গরমে শিশুকে অতিরিক্ত গরম কাপড়ে মুড়িয়ে রাখলে এই সমস্যা বেড়ে যায়। এ জন্য শিশুকে খোলামেলা রাখা ও ঘরের হাওয়া চলাচল নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি ট্যালকম পাউডারের ব্যবহার উপকারী হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, এরিথেমা টক্সিকাম নিউন্যাটোরিয়াম বা ‘মাসিপিসি’ নামক চর্মরোগ জন্মের পর ৩-৪ দিনের মধ্যে শিশুর শরীরে লাল র‍্যাশ দেখা দেয়, যা স্বাভাবিক এবং ১০ দিনের মধ্যে ওষুধ ছাড়াই সেরে যায়।

তৃতীয়ত, ডায়াপার র‍্যাশ বা ন্যাপকিন র‍্যাশ হচ্ছে ডায়াপার পরিধানের কারণে সৃষ্ট ত্বকের লাল ভাব ও চুলকানি। একসাথে দীর্ঘ সময় ন্যাপকিন বদল না করলে প্রস্রাবের ইউরিয়া থেকে তৈরি অ্যামোনিয়ার কারণে ত্বকে জ্বালা হয়। এ ক্ষেত্রে ন্যাপকিন বদলানো ও আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখা জরুরি।

চতুর্থত, ক্যানডিডিয়াসিস বা ফাঙ্গাস সংক্রমণ নবজাতকের মুখ, জিহ্বা ও শরীরের ভাঁজে সাদা ছোপ ও চুলকানির সৃষ্টি করে। আক্রান্ত জায়গা শুকনো রাখা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

পঞ্চমত, ক্যারাডাল ক্যাপ অর্থাৎ নবজাতকের মাথায় পুরু চামড়া জমে যাওয়া, যা দেখতে খুশকির মতো এবং সাধারণত ৬ মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হয়। চিকিৎসার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার উপকারী।

অবশেষে, স্ক্যাবিস বা পাঁচড়া চুলকানি অত্যন্ত সংক্রামক ও জটিল চর্মরোগ। শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও ছোট ছোট দানা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, কারণ untreated হলে কিডনিসহ অন্যান্য সমস্যার সম্ভাবনা থাকে।

নবজাতকের চর্মরোগের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক।

লেখক: ডা. তাজরিনা রহমান জেনি, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ


ত্বক উজ্জ্বল করতে পানির ভূমিকা আসলে কতটুকু তা নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ২১:৩৮:৩৮
ত্বক উজ্জ্বল করতে পানির ভূমিকা আসলে কতটুকু তা নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ছবিঃ সংগৃহীত

শীত এলেই ত্বক রুক্ষ খসখসে আর টানটান হয়ে ওঠে। অনেকের ক্ষেত্রে তো ত্বক ফেটে যাওয়ার অবস্থাও তৈরি হয়। তাই এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে সবাই একটু বেশি সচেতন হন। ত্বক ভালো রাখতে আমরা প্রায়ই শুনি বেশি পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। কিন্তু সত্যিই কি শুধু পানি পান করলেই ত্বক ঝলমল করে ওঠে নাকি এর পেছনে অন্য কোনো বিজ্ঞান কাজ করে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ওপার বাংলার পরিচিত ত্বক বিশেষজ্ঞ দেবত্রী দত্ত যিনি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে তাঁর সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞ দেবত্রী দত্ত বলেন মানুষ সাধারণত মনে করে বেশি পানি খেলে ত্বক ঝকঝকে হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে সে রকম নয়। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করাই যথেষ্ট। কেউ যদি ৫ লিটার পানি পান করেন তাহলেও ত্বক অতিরিক্ত উজ্জ্বল হবে না। অর্থাৎ অতিরিক্ত পানি পানে উজ্জ্বলতা বাড়ে না তবে কম পানি পানে ত্বক দ্রুত ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় যার ফলে ত্বক শুষ্ক রুক্ষ ও প্রাণহীন দেখায়। তাই পানি পানের পাশাপাশি খাবার ঘুম ও স্কিনকেয়ার সবকিছুতেই নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন।

পানি পানের আসল উপকারিতা সম্পর্কে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে পানি ত্বকের কোষগুলোকে ভেতর থেকে আর্দ্রতা দেয় এবং এতে ত্বক নরম ও মসৃণ থাকে। পানির অভাবে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের টক্সিন ঘাম ও প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। এতে ব্রণ ফুসকুড়ি বা ত্বকের জ্বলজ্বলে সমস্যা কমে আসে। শরীর যখন ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকে তখন ত্বকেও স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা দেখা যায় তবে এটি ধীরে ধীরে হয় এবং অতিরিক্ত পানি পানে হঠাৎ উজ্জ্বলতা বাড়ে না। পানি কোলাজেন ধরে রাখতে সাহায্য করে যা ত্বককে টানটান রাখে ফলে বলিরেখা বা বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে।

ত্বকের যত্নে বাইরে থেকে পানির ব্যবহারের গুরুত্বও কম নয়। ঘরে ফেরার পর বা ঘুম থেকে উঠে মুখ পানি দিয়ে ধুলে ময়লা ও তেল দূর হয় এবং ত্বক সতেজ লাগে। ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে ত্বকের ক্লান্তি কমে এবং মুখে সতেজ ভাব আসে। হালকা গরম পানির বাষ্প নিলে লোমকূপ খুলে যায় যা ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করতে সহজ করে। চোখের নিচে বা মুখে ফোলাভাব থাকলে ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি ব্যবহার করলে তা কমে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন পানি ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরি তবে অতিরিক্ত পানিই ত্বক উজ্জ্বলতার মূল চাবিকাঠি নয়। ত্বক ভালো রাখতে পরিমিত পানি পানের পাশাপাশি সুষম খাদ্য পর্যাপ্ত ঘুম নিয়মিত স্কিনকেয়ার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পেতে স্মার্টফোনের যে অপশনটি এখনই চালু করা জরুরি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৮:০৪:৪১
ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পেতে স্মার্টফোনের যে অপশনটি এখনই চালু করা জরুরি
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। যদিও ঘূর্ণিঝড় বা বন্যার মতো অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া যায় কিন্তু ভূমিকম্পের নির্ভুল পূর্বাভাস দেওয়া এখনো সম্ভব নয়। তবে ভূপৃষ্ঠের কম্পন বিশ্লেষণ করে কিছু প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের তাৎক্ষণিক সতর্কবার্তা দিতে সক্ষম। এর মধ্যে অন্যতম হলো গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম যা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য একটি জীবনরক্ষাকারী ফিচার হতে পারে।

প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ২০২০ সালে আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করে। এই প্রযুক্তি স্থানীয় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা প্রদান করে থাকে। মূলত স্মার্টফোনের সেন্সর ব্যবহার করে এটি ভূপৃষ্ঠের কম্পন বিশ্লেষণ করে এবং ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা সম্পর্কে তথ্য জানানোর পাশাপাশি নিরাপদ থাকার পরামর্শ দেয়।

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই এই অপশনটি চালু করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে স্মার্টফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অথবা লোকেশন অপশনটি খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সেখান থেকে আর্থকোয়েক অ্যালার্টস অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তী পৃষ্ঠায় একটি টগল বা বাটন দেখা যাবে যা চালু করে দিলেই এই ফিচারটি সক্রিয় হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে সি এ ডেমো অপশনে ট্যাপ করে ডেমো সতর্কবার্তা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এছাড়া লার্ন আর্থকোয়েক সেফটি টিপস অপশন থেকে ভূমিকম্পে নিরাপদ থাকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও জেনে নেওয়া সম্ভব।

গুগলের এই নিজস্ব সিস্টেম ছাড়াও ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়ার জন্য আরও কিছু অ্যাপ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে মাই আর্থকোয়েক অ্যাপটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ভূমিকম্প শনাক্ত করতে সক্ষম এবং এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক নামের অ্যাপটি ভূপৃষ্ঠের কম্পন বিশ্লেষণ করে আশপাশের এলাকায় সতর্কবার্তা পাঠায়। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এই ব্যবস্থাগুলো চালু করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পেতে পারেন এবং জরুরি সময়ে নিরাপদে থাকার প্রস্তুতি নিতে পারেন।


শ্যাম্পু ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে খুশকি কমানোর সহজ ও ঘরোয়া উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ২১:২৯:৩৫
শ্যাম্পু ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে খুশকি কমানোর সহজ ও ঘরোয়া উপায়
ছবিঃ সংগৃহীত

খুশকি হলো মাথার ত্বকের মরা কোষ। মানব শরীর থেকে এমন মরা কোষ প্রাকৃতিকভাবেই ঝরে পড়তে থাকে তবে তা খালি চোখে সব সময় দেখা যায় না। অন্যদিকে মাথার ত্বকে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষ ঝরে পড়ে। একে একটি প্রাকৃতিক চক্রও বলা চলে। কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যখন এই মরা কোষ ঝরে পড়ার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় আর একেই সাধারণ ভাষায় খুশকির সমস্যা বলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা একটু বেশিই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। খুশকি পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এ সময় মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখাই হলো সবচেয়ে উপযুক্ত দাওয়াই এবং এতে কার্যকর ফলাফলও পাওয়া যায়।

খুশকি দূর করতে নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি। মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে অনেকেই রাসায়নিক শ্যাম্পু ব্যবহার করেন কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে পরিষ্কার করতে পারলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে সারা রাত রিঠা ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

এছাড়া ভেষজ উপাদান ব্যবহার করেও খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধা কাপ মৌরি ও এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ মেথি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরে মৌরি ও মেথির ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এতে সামান্য মেথি ও মৌরি ভেজানো পানি মেশান। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ব্যবহার করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এবং এরপর শ্যাম্পু করে নিলে খুশকি অনেকটাই কমবে।

চুল আঁচড়ানোর সঙ্গেও খুশকি কমার সম্পর্ক আছে তবে নিয়ম হতে হবে সঠিক। এ ক্ষেত্রে মাথা নিচু করে সব চুল উপুড় করে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এরপর চিরুনি দিয়ে ঘাড়ের দিক থেকে চুল আঁচড়ে কপালের দিকে আনতে হবে। নিয়মিত এই কৌশলে চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং খুশকি অনেকটাই কমে আসে।


শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা ও চর্মরোগ এড়াতে যা করা প্রয়োজন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১১:৪৬:৫৩
শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা ও চর্মরোগ এড়াতে যা করা প্রয়োজন
ছবিঃ সংগৃহীত

শীত এসেছে এবং দেশের কোটি মানুষ এ সময় বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা ও রোগে ভোগেন। ত্বক বা চামড়া মানব দেহের সর্ববৃহৎ অঙ্গ। সুতরাং এর সমস্যা ও রোগও বেশি। চিকিৎসকরা শীতকালে কী কী ধরনের চর্ম সমস্যা ও রোগ হয় এবং এগুলো থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

শীতে সাধারণত বেশ কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া কোনো কারণ ছাড়াই শরীর চুলকানো ঠোঁট ও পা শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া এবং ইনফেকশন হওয়া। এছাড়া এই সময়ে চুলে খুশকির উপদ্রব বেশি হয়। পাশাপাশি কিছু চর্মরোগ বেশি মাত্রায় দেখা দেয় যেমন স্ক্যাবিস ও এলার্জি। পুরোনো জামা কাপড় উলের পোশাক বিভিন্ন ক্রিম লোশন ও পমেড ইত্যাদি ব্যবহারের কারণেও চুলকানি ও ত্বকের প্রদাহ হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ক্রনিক ডিজিজ বা দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ডায়াবেটিস ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ও থাইরয়েডের রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হওয়া ও চুলকানির মাত্রা বেশি দেখা যায়।

শীতে ত্বকের সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে সাধারণ কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে ত্বকের সুরক্ষা সম্ভব। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন এলার্জি এবং ক্রনিক ডিজিজ যেমন ডায়াবেটিস ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ও থাইরয়েডের রোগে ভুগছেন তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে এবং ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত শীতে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়া এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে অলিভ অয়েল নারকেল তেল ভেসলিন ও গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। পুরোনো ও উলেন কাপড় ব্যবহারের আগে অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে এবং যাদের উলের কাপড়ে এলার্জি আছে তাঁদের ভেতরে সুতির কাপড় পরিধান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

মাথার খুশকির সমস্যার সমাধানে কিটোকোনাজল জিংক পাইরিথিওন ও সাইক্লোপিরক্স যুক্ত শ্যাম্পু সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। ছোঁয়াচে রোগ স্ক্যাবিস হলে একই কাপড় চোপড় চাদর গামছা তোয়ালে লেপ ও কম্বল ইত্যাদি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করা বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিবারের সব সদস্যের চিকিৎসা নিতে হবে। ঠোঁট ও পায়ের চামড়া শুষ্ক হয়ে ফেটে গেলে ব্যথা ও ইনফেকশন হলে বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের কালক্ষেপণ না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাদের সাধারণ নিয়মকানুন মানার পরও ত্বকের সমস্যা যাচ্ছে না তাঁদের উচিত দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। সুস্থ জীবন ও সুন্দর পৃথিবীর জন্য নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।


অর্থভাগ্য নাকি প্রেম: ২২ নভেম্বর শনিবারের রাশিফল ও নক্ষত্রের অবস্থান

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১১:১২:৪১
অর্থভাগ্য নাকি প্রেম: ২২ নভেম্বর শনিবারের রাশিফল ও নক্ষত্রের অবস্থান
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ ২২ নভেম্বর ২০২৫ রোজ শনিবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি বৃহস্পতি সর্বগ্রাসী গ্রহ রাহু ও প্রেমের দেবতা শুক্রের প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে মিথুন রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর থাকবে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহের সানাই বাজবে। ভাগ্যলক্ষ্মী আপনার দ্বারে এসে টোক্কা মারবে। শ্রমিক কর্মচারীদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন এবং দাম্পত্য কলহবিবাদের মীমাংসা হবে।

রাশি অনুযায়ী আজকের (২২ নভেম্বর) পূর্বাভাস

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল] গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কারের পসরা সাজবে। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। নিত্যনতুন সুযোগ আসবে হাতের মুঠোয়। আটকে থাকা কাজ সচল হবে এবং পাওনা টাকা আদায় হবে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে] বাড়ি গাড়ি ও ভূসম্পত্তি ক্রয়ের পথ খুলবে। লাইফস্টাইল বদলাবে। মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যকার মতানৈক্য দূর হবে। কর্ম অর্থ যশ খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা হাতের মুঠোয় আসবে। শিক্ষার্থীদের মনোবাসনা পূর্ণ হবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষের প্রায় সিংহভাগ কুপরিকল্পনা নস্যাৎ হবে।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন] ভাগ্যলক্ষ্মী লক্ষ্মীর ভান্ডার পূর্ণ করবে। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কর্ম ও ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। বাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। দিনটি প্রেমীযুগলের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই] দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কার্যউদ্ধার করুন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক ইউটিউব প্রেম প্রসঙ্গ ও অনুচিত কাজবাজের প্রতি ঝুঁকবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট] অংশীদারি ব্যবসার বহুল প্রচার ঘটবে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। বেকারদের কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ হবে। দাম্পত্য কলহবিবাদের মীমাংসা হবে। প্রেমীযুগল সতর্কতার সঙ্গে চলুন। জীবনসাথী ও শ্বশুরালয় থেকে ভরপুর সহযোগিতা পাবেন।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর] শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কার্যউদ্ধার করতে হবে। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ ঘাতক প্রমাণিত হবে। বিষাক্ত কীটপতঙ্গের দংশন থেকে বাঁচতে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক ইউটিউব ও প্রেম প্রসঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর] আর্থিক ভিত মজবুত হবে। কর্ম ও ব্যবসায় তরতাজা উন্নতি করবেন। হারানো বুকের ধন বুকে ফিরতে পারে। শিক্ষার্থীরা মনের মতো কলেজ ভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর] ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে। গৃহবাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হওয়ায় সাজ সাজ রব করবে। মামলা মোকদ্দমা মীমাংসার দিকে ধাবিত হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের মনে মালিকপ্রীতি জাগ্রত হবে। মন সুর সংগীত ও ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর] সন্তানদের ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা ঘুচবে। লটারি জুয়া রেস শেয়ার হাউজি এড়িয়ে চলুন। কর্ম অর্থ মোক্ষ লাভের পথ খুলে দেবে। গৃহবাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রেমীযুগলের প্রেম মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি] অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব ঘুচবে। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। ধারকর্জ ঋণমুক্ত করবে। সন্তানদের সাফল্যে গৌরবান্বিত হবেন। প্রেম রোমান্স বিনোদন ও ভ্রমণ শুভ হবে। শত্রুরা পিছু হটবে এবং বিজয়ের বরমাল্য হাত বাড়িয়ে ধরবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি] জনবল ও অর্থবলের গ্রাফ চাঙা হবে। গৃহবাড়ি যানবাহন ও বস্ত্রালঙ্কার ক্রয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। মনোবল ও হাতে থাকা প্রতিটি কাজ সহজে সম্পন্ন হবে। পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষ পরাস্ত হয়ে পড়বে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ] পরিবারের কোনো বয়স্ক লোকের শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হবে। অত্যাবশ্যকীয় বিবাহে কোনো না কোনো বাধা আসতে পারে। আয় উপার্জনের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করা কঠিন হবে। শিক্ষার্থীদের মন ভেঙে পড়বে। প্রেমীযুগলের প্রেম ভেঙে দিতে পারে।


সামান্য কালোজিরায় যেভাবে কমতে পারে স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২২ ১০:৫৮:৪৪
সামান্য কালোজিরায় যেভাবে কমতে পারে স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি

উচ্চ রক্তচাপ বর্তমানে প্রায় প্রতিটি পরিবারের একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ বড় ধরনের শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই ঘুম খাদ্যাভ্যাস এবং দৈনন্দিন রুটিন সব ক্ষেত্রেই সচেতন থাকা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিয়মিত কিছু খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে আর এর মধ্যে অন্যতম হলো কালোজিরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এর পেছনে পাঁচটি প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।

প্রথমত কালোজিরা রক্তনালী শিথিল করতে সহায়তা করে। কালোজিরার প্রধান সক্রিয় উপাদান হলো থাইমোকুইনোন যা রক্তনালীর দেয়ালের মসৃণ পেশীকে শিথিল করে। ভাসোডিলেশন নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়ায় ধমনী প্রশস্ত হয় এবং এর ফলে রক্তপ্রবাহ সহজ হয় ও হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ কমে আসে।

দ্বিতীয়ত এই উপাদানটি প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ রক্তনালীর অভ্যন্তরীণ আস্তরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যা উচ্চ রক্তচাপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। কালোজিরায় থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ করে থাইমোকুইনোন ও নাইজেলোন ফ্রি র‍্যাডিকেল রোধ করে এবং রক্তনালীর স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

তৃতীয়ত কালোজিরা প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের করে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরের ফোলাভাব কমে এবং রক্তের মোট পরিমাণ হ্রাস পায় যা রক্তচাপ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে এটি শরীরে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

চতুর্থত গবেষণায় দেখা গেছে কালোজিরা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরির ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এই নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালীকে শিথিল করার সংকেত দেয়। এতে শুধু রক্তচাপই কমে না বরং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।

পঞ্চমত কালোজিরা হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি স্ট্রেস সম্পর্কিত হরমোন কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। স্নায়বিক উত্তেজনা কমিয়ে এটি স্ট্রেসজনিত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কালোজিরা রাখতে পারেন।


মোবাইলে মুহূর্তেই চেক করুন মোটরসাইকেল লাইসেন্স

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২১ ১৬:১৯:০৬
মোবাইলে মুহূর্তেই চেক করুন মোটরসাইকেল লাইসেন্স
ছবি: সংগৃহীত

মোটরসাইকেল চালকদের জন্য জরুরি খবর। নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স বৈধ কিনা বা লাইসেন্সসংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে নিবন্ধিত আছে কিনা এখন তা যাচাই করা আরও সহজ হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ জানিয়েছে, লাইসেন্স যাচাইয়ে দুটি দ্রুত পদ্ধতি চালু রয়েছে। এর মধ্যে একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এবং অন্যটি এসএমএস পদ্ধতি ব্যবহার করে।

অ্যাপের মাধ্যমে লাইসেন্স যাচাই দ্রুততম পদ্ধতি

বিআরটিএর ডিএল চেকার অ্যাপ ব্যবহার করে লাইসেন্স তথ্য যাচাই এখন আরও সহজ। ব্যবহারকারীকে কেবল অ্যাপটি ডাউনলোড করে সেখানে লাইসেন্স নম্বর প্রবেশ করতে হবে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লাইসেন্সের স্ট্যাটাস, মেয়াদ, রেজিস্ট্রেশন তথ্যসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।

অ্যাপটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছে কারণ এতে ভুল লাইসেন্স নম্বর, ভুয়া লাইসেন্স এবং মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দ্রুত শনাক্ত করা যায়।

এসএমএসের মাধ্যমে লাইসেন্স চেক কম ইন্টারনেট এলাকায় অত্যন্ত কার্যকর

ইন্টারনেট না থাকলেও এখন সহজে যাচাই করা যায় মোটরসাইকেল লাইসেন্স। ব্যবহারকারীকে মোবাইল মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে:

BRTA DL লাইসেন্স নম্বর

উদাহরণ: BRTA DL 123456789

তারপর তা ২৬৯৬৯ নম্বরে পাঠাতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই লাইসেন্সের সব তথ্য মুঠোফোনে ফিরে আসবে।

বিআরটিএ জানিয়েছে, এসএমএস পদ্ধতি চালকদের জন্য বিশেষভাবে সুবিধাজনক, বিশেষত দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে ইন্টারনেটের গতি স্বল্প।


বিআরটিএর নতুন নির্দেশনা নবায়নে কী কী লাগবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২১ ১৬:০৯:৫৩
বিআরটিএর নতুন নির্দেশনা নবায়নে কী কী লাগবে
ছবি: সংগৃহীত

গাড়ি চালাতে হলে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। পেশাদার ও অপেশাদার উভয় ধরনের লাইসেন্সেরই নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। পেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর এবং অপেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নবায়ন করা জরুরি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ জানিয়েছে, নবায়নে দেরি হলে প্রতি সালের জন্য অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করা হবে।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতি সহজ হয়েছে

বিআরটিএর নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী অপেশাদার লাইসেন্সধারীদের প্রথমে অনলাইনে নবায়ন ফি জমা দিতে হবে। বর্তমানে নবায়ন ফি নির্ধারিত রয়েছে ৪১৫২ টাকা। অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দাখিল করতে হবে।

লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পর থেকে প্রতি বছরের জন্য অতিরিক্ত ৫১৮ টাকা জরিমানা দিতে হবে। তাই বিআরটিএ আগেই নবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে।নিয়ম অনুযায়ী এখন আর ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা বায়োমেট্রিক দিতে হয় না, ফলে প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হয়েছে।

পেশাদার লাইসেন্সধারীদের জন্য ভিন্ন নিয়ম

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি কঠোর। নবায়নের জন্য আগের মতোই একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ফি জমা দিয়ে আবেদন করা যাবে।

মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করলে নবায়ন ফি ২৪২৭ টাকা, আর ১৫ দিন পর থেকে প্রতি বছরে ৫১৮ টাকা করে জরিমানা যোগ হবে।

পেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক্স দেওয়া বাধ্যতামূলক। ছবি, স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ শেষে স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত হলে আবেদনকারীকে এসএমএস পাঠিয়ে জানানো হয়।

যে কাগজপত্র জমা দিতে হবে

বিআরটিএ সার্কেল অফিসে আবেদন করার সময় নিম্নোক্ত নথিপত্র দাখিল করতে হয়

• রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের দেওয়া স্বাস্থ্য সনদের কপি

• জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি

• শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ

• সাম্প্রতিক সময়ে তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি

• অনলাইনে ফি প্রদানের রসিদ

• বিআরটিএর নির্ধারিত ফরম পূরণ

বিআরটিএ জানিয়েছে, কোনোভাবেই মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। লাইসেন্স নবায়ন না করলে জরিমানা তো হবেই, পাশাপাশি সড়কে তাৎক্ষণিক মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ভূমিকম্প হলে করণীয় কি জানুন বিস্তারিত

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২১ ১১:৩৪:৫৮
ভূমিকম্প হলে করণীয় কি জানুন বিস্তারিত
ছবি: সংগৃহীত

দেশে ক্রমবর্ধমান ভূমিকম্পের আশঙ্কার মাঝে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ভূমিকম্পের সময় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়লে দুর্ঘটনা অনেক বেশি বাড়ে। তাই আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা এবং দ্রুত সঠিক পদক্ষেপই জীবন বাঁচাতে পারে। ভূমিকম্পের সময় ঘরের ভেতরে, রান্নাঘরে, বিছানায় বা বাইরে অবস্থানরত মানুষের জন্য বিশেষজ্ঞরা আলাদা আলাদা করণীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

ভূমিকম্পের সময় কী করবেন

ভূমিকম্প অনুভূত মাত্রই প্রথম করণীয় হলো নিজেকে শান্ত রাখা। আতঙ্কিত হলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ঘরের ভেতরে থাকলে দ্রুত শক্ত কোনো টেবিল, ডেস্ক বা আসবাবের নিচে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা। তারা বলেন, আসবাব শক্ত করে ধরে মাথা ঢেকে রাখতে হবে।

বিছানায় থাকা ব্যক্তিদের জন্য পরামর্শ হলো, হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভূত হলে বিছানা ছেড়ে দৌড় না দিয়ে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে শক্ত কোনো কাঠামোর নিচে আশ্রয় নেওয়া। অন্যদিকে রান্নাঘরে থাকলে দ্রুত গ্যাসের চুলা বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে বের হয়ে যেতে হবে। কারণ গ্যাস লাইনে আগুন লাগার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

অনেক পুরোনো ভবনে দরজার চৌকাঠ এবং বিম–কলামের পাশ আঘাত কম নিতে পারে। তাই এসব স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়া তুলনামূলকভাবে কার্যকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, ঘরের ভেতরে হেলমেট থাকলে তা মাথায় পরে নেওয়া যেতে পারে অথবা শক্ত কোনো বস্তু দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা উচিত।

বৈদ্যুতিক ও গ্যাসের সংযোগে সতর্কতা

ভূমিকম্পের সময় বা পরেই গ্যাস, বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং আগুনের ঝুঁকি সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এজন্য সম্ভব হলে মেইন সুইচ ও গ্যাস ভালভ দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এতে আগুন লাগা বা বিস্ফোরণের ঝুঁকি কমে যায়।

ভূমিকম্প শেষে করণীয়

ভূমিকম্প থামলেও আরও কম্পন বা আফটারশক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৌড়ে বেরিয়ে না গিয়ে ধীরে, সতর্কভাবে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে। ঘরে গ্যাসের গন্ধ পেলে সঙ্গে সঙ্গে জানালা খুলে বাইরে চলে যেতে হবে এবং বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে হবে। আবার কোথাও বৈদ্যুতিক স্পার্ক দেখা গেলে সাথে সাথে মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে।

আগুন লাগলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ভূমিকম্পের পর ঘরের বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভেতরে প্রবেশ না করাই নিরাপত্তার জন্য উত্তম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সচেতনতা জীবন বাঁচাতে পারে

সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ঘর, অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালানোর পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত